সুন্দর করে কথা বলার কৌশল: আমরা সবাই কথা বলি। কিন্তু সুন্দর করে কয়জন কথা বলতে পারি? আমরা অনেকেই
সুন্দর করে কথা বলতে পারিনা । আবার কথা বলতে পারলেও গুছিয়ে বলতে পারিনা । কোথায় কোন কথা বলতে হবে তা
নাজানার কারণে আমরা সঠিক জায়গায় সঠিক কথা বলতে পারি না । আর আমাদের যাদের এধরনের সমস্যা হয় তাদের
জন্যে আজকে আমি এমন কিছু টিপস আলোচনা করব যে টিপস গুলো কাজে লাগালে এবং আপনি আপনার জীবনে
প্রয়োগ করলে আপনি সুন্দর করে সবার সামনে কথা বলতে পারবেন। হতে পারবেন সবার প্রিয় পাত্র। তো আজকে আমি
আপনাদের এই লেখার মাধ্যমে কিভাবে সুন্দর করে কথা বলতে হয় সেই বিষয়টা আলোচনা করব। আপনারা শুরু থেকে
শেষ পর্যন্ত পড়ুল আর শিখে নিন কিভাবে সুন্দর করে কথা বলতে হয়।
মানুষের সাথে সুন্দর করে কথা বলার কৌশল
অনেক সময় আমরা বাড়িতে অনেক কথা বলতে পারি। কিন্তু যখন অনেক মানুষের সামনে অথবা কোন একটি মিটিং বা
মিছিলে কথা বলতে যাই তখন আমরা সমস্ত কথা হারিয়ে ফেলি। আমাদের ভিতর থেকে যেন কোন কথাই আসতেই চায় না।
তো সেই ক্ষেত্রে আপনি যদি সবার সামনে গুছিয়ে পরিকল্পিতভাবে কথা বলতে চান, তার জন্য আপনি নিচের টিপসগুলো
অনুসরণ করলে আপনি সবার সামনে সুন্দর ভাবে গুছিয়ে কথা বলতে পারবেন। এবং আপনার কথা সবাই সুন্দরভাবে
বুঝতে পারবে।
হাসিমুখে কথা বলা
হাসিমুখে সুন্দরভাবে কথা বলা এটা একটা অনেক বড় আর্ট। আপনি যদি সবার সামনে হাসিমুখে কথা বলতে পারেন,
তাহলে সেটা দ্বারা বুঝা যায় আপনি তাঁর সাথে কথা বলতে পেরে খুশি। তার উপস্থিতি আপনার ভাল লেগেছে। সে তখন
নিজেকে গর্ববোধ করবে, এবং আপনার সাথে কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবে । যার ফলে আপনার কথাগুলো শুনতে তাঁর
কাছে অনেক ভালো লাগবে। সে আপনাকে অনেক মূল্যায়ন করবে। কারন সে বুঝে নিবে তাঁর সাথে কথা বলে আপনি খুব
খুশি। এজন্য আমরা যখন কারো সাথে কথা বলব, সব সময় চেষ্টা করব হাসিমুখে কথা বলার জন্য।
পরিকল্পিত ভাবে কথা বলা
পরিকল্পিত ভাবে কথা বলা খুবই প্রয়োজন। কারণ আমরা যখন কারো সাথে কথা বলতে চাই, সেটা যদি আমাদের পরিকল্পনা
নাথাকে তবে আমরা যে বিষয়ে কথা বলতে চাই সে বিষয়টা কথাটা বাদ পড়ে যেতে পারে অর্থাৎ আমার কথা দেয় যে
মেসেজটি আমি তাদেরকে দিতে চাচ্ছি সেই কথাটি ভাগ করে দিতে পারে তার জন্য কথা বলার সময় আমাদের আগে থেকে
পরিকল্পনা করে নিতে হবে । আমরা কি কথা বলতে চাই আমার কথা দ্বারা কি মেসেজ দিতে চাই বিশেষ করে আপনার
শুরুতে কি কথা বলবেন এবং শেষ কি কথা দ্বারা শেষ করবেন সে বিষয়টি স্পষ্ট করে নিবেন সে ক্ষেত্রে আপনি আপনার
কথা বলার বিষয়গুলো নোট করে নিতে পারেন আগে থেকেই।
ধীরগতিতে কথা বলা
যখন আমরা কথা বলবো, তখন আমাদের কথা যেন হয় ধীরগতিতে । আমরা যে কথাগুলো বলতেছি সেই কথাগুলো যেন
স্পষ্ট বোঝা যায়। অর্থাৎ আমরা কি কথা বলতেছি সে কথাটা যেন আমাদের যে শ্রোতা আছে তারা যেন সহজেই বুঝতে পারে
। এক্ষেত্রে আপনি একটি কৌশল অবলম্বন করতে পারেন আপনি কথাগুলো স্পেস দিয়ে বলতে পারেন। একটি কথা বলার
পরে আরেকটি কথা বলতে পারেন। এভাবে যদি আপনি ধীরগতিতে কথা বলেন তাহলে আপনার কথাগুলো সহজেই বুঝতে
পারবে, এবং আপনার কথা বলা হবে অনেক সুন্দর।
একান্ত ব্যক্তিগত তথ্য না চাওয়া
অনেক সময় আমরা কথা বলার এক পর্যায়ে, না বুঝেই অথবা তার সাথে ভাল মত পরিচয় হওয়ার আগেই, আমরা তাদের
সাথে এমন প্রশ্ন করে বসি যেটা তার আত্মসম্মান বাদে। হতে পারে তার বয়স জানতে চাওয়া অথবা সে বিবাহিত কিনা? সে
বিষয়ে জানতে চাওয়া। আপনার খেয়াল রাখতে হবে আমরা যাদের সাথে কথা বলবো তাদের আত্মসম্মানে বাজে বাদে এ
ধরনের কথা কখনো বলা যাবে না। সব সময় এই জাতীয় কথা এড়িয়ে চলতে হবে।
পরিস্থিতি বুঝে চোখে চোখ রেখে কথা বলা
অনেকে আমরা কথা বলি কিন্তু চোখে চোখ রেখে কথা বলি না। এটা অনেকটা অসম্মানেরও বটে। আপনি একজনের সাথে
কথা বলছেন কিন্তু আপনি চেয়ে আছেন আরেকদিকে, এটা আসলে ভালো দেখায় না। এইজন্য আপনারা চেষ্টা করবেন
সবসময় চোখে চোখ রেখে কথা বলার। কিন্তু সে ক্ষেত্রে আপনার খেয়াল রাখতে হবে পরিবেশ এবং পরিস্থিতির। পরিবেশ
এবং পরিস্থিতি যদি আপনার অনুকূলে থাকে সে ক্ষেত্রে আপনি সুন্দর ভাবে তার চোখের দিকে তাকিয়ে সুন্দর করে কথা
বলার চেষ্টা করবেন।
ইতিবাচক কথা বলা
ইতিবাচক কথার মাধ্যমেই আপনি মানুষের মনের মনিকোঠায় মধ্যে যেতে পারেন। আমি যদি আপনাদের উদাহরণ দেই
তখন আপনি বুঝতে পারবেন। যেমন আপনি কাউকে একটি কাজ দিয়েছেন, এখন তাকে যদি আপনি বলেন আপনি
পারবেন না। আপনাকে দিয়ে হবে না। তাহলে দেখবেন সে আপনার প্রতি বিরক্ত প্রকাশ করবে। আর একই কথা যদি
আপনি তাকে সুন্দর করে বুঝিয়ে বলেন যে, আপনাকে দিয়ে হবে । আপনি চেষ্টা করুন একবার হয় নাই তো কি হয়েছে
বারবার চেষ্টা করুন দেখুন আপনাকে দিয়ে হবে । আমি আশা করি এবার হয় নাই, কিন্তু সামনের বার ইনশাল্লাহ হয়ে যাবে।
দেখবেন এই কথাগুলো বলার সাথে সাথে সে আপনাকে অনেক আপন করে নিয়েছে। এই জন্যই যারা সুন্দরভাবে কথা বলে
তারা দেখবেন সব সময় ইতিবাচক কথাগুলা বলে । আমরা চেষ্টা করবো আমাদের কথার মধ্যে যেন সবসময় ইতিবাচক কথা
থাকে।
কথা শুনুন বেশি বলুন কম
বেশিরভাগ মানুষেরই কথা বলার স্বভাব বেশি। আমাদের সোনার স্বভাব কম। আমরা কথা সবাই বলতে চাই কিন্তু কেউ কথা
শুনতে চাই না। যার জন্য এই বাজে সমস্যার সন্মুখিন হতে হয় আমাদের। এর ফলে আমাদের কথাগুলো মানুষ মনোযোগ
দিয়ে শোনে না । আর কথা শোনার অভ্যাস করা এটাতো অনেক বড় গুণ । আজকে থেকে আপনারা অভ্যাস করুন
শুনবেন বেশি বলবেন কম। তাহলে দেখবেন আপনার কথাগুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। কারণ আপনি তার কথা শুনে
বুদ্ধিমত্তা খাটিয়ে যখন আপনি উত্তর দিবেন দেখবেন আপনার কথা সুন্দর হয়েছে। আর যদি তার কথা না শুনেন সেক্ষেত্রে
আপনার কথাগুলো সুন্দর হবে না বা গোছানো হবে না। তার সমস্যার আলোকে আপনার কথা বলা হবে না। এইজন্য
আপনি যার সাথে কথা বলবেন তার সমস্যা গুলো শুনুন, তার কথা শুনুন তার পরে আপনার কথাগুলো সুন্দর ভাবে তার
সামনে উপস্থাপন করুন।
অনুমাননির্ভর কথা না বলা
কথায় বলে শোনা কথায় কান দিবেন না । অনেকেই আমরা অনুমান নির্ভর কথা বলে থাকি। যেটা বলা একদম বদভ্যাস। এই
অভ্যাসটা আমাদের অনেকেরই আছে । আর যাদের আছে তাদেরকে মানুষ বেশি অপছন্দ করে । আপনি যদি সবার প্রিয়
পাত্র এবং ভালো কথার অধিকারী মানুষ হতে চান অবশ্যই আপনাকে অনুমাননির্ভর কথা বাদ দিতে হবে। সবসময় আপনি
যে কথাগুলো বলবেন সে কথাটি হতে হবে একদম বিশ্বাস নির্ভর । কারণ আমরা যদি একবার মানুষের কাছে
বিশ্বাসঘাতকতা হয়ে যাই তখন আর মানুষ আমাদেরকে বিশ্বাস করবে না। তখন আমাদের কথা শুনতে চাইবে না আর।
এইজন্যই আপনার চাই সঠিক জ্ঞান, আপনি সঠিক জ্ঞান অর্জন করে আত্মবিশ্বাসের সাথে কথা বলবেন সব সময়।
অনুমাননির্ভর কথা পরিত্যাগ করবে বেন।
কৌশলীভাবে কথা বলা
কৌশলী ভাবে কথা বলা বা হিকমতের সাথে কথা বলা। এখানে আমি আরবি হেকমত শব্দটি এনেছি আপনি কথা বলবেন
ঠিক আছে কিন্তু শ্রোতার মন জয় করার জন্য সেই ভাবে কথা বলা প্রয়োজন । যে ভাবে কথা বল্লে শ্রোতা খুশি হবে সেই
ভাবে কথা বলতে হবে। কিন্তু একটা বিষয় বলে রাখছি আপনি হেকমতের শহীদ সত্য কথা বলবেন। কোনভাবেই মিথ্যার
আশ্রয় নেওয়া যাবে না। আপনি আপনার কথাকে জাস্ট একটু কৌশলীভাবে বলবেন। তাহলে দেখবেন সবাই আপনার
আপনজন হবে। আপনার কথা দ্বারা কোন ধরনের শত্রুতা ভাব সৃষ্টি হবে না। সবাই আপনাকে শ্রদ্ধা করবে সম্মান করবে।
শুদ্ধ ভাষায় কথা বলা
আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলা ভালো সেটা আপনার নিজস্ব এরিয়ার মধ্যে হতে হবে। কিন্তু আপনি যখন কোনো একটি
অনুষ্ঠানে অথবা অপরিচিত লোকের সাথে কথা বলবেন, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে শুদ্ধ ভাষায় কথা বলতে হবে। কারণ
শুদ্ধ ভাষায় কথা বলা এটা অনে বড় একটা গুন। আমরা অনেকেই এই গুনটি আয়ত্ত করতে পারিনা। কিন্তু আপনি যদি
অল্প কিছুদিন চেষ্টা করেন তাহলে দেখবেন এই গুনটি আপনি আয়ত্ব করতে পেরেছেন। যখন আপনি কারো সাথে কথা
বলবেন আপনার কথাগুলো যেন হয় শুদ্ধ ভাষায়। আঞ্চলিক ভাষায় কথা বললে সেটা হয়তো আপনার অঞ্চলের মানুষ
পছন্দ করবে, কিন্তু অন্য অঞ্চলের মানুষ আপনার কথা না বুঝতে পারে অথবা বিরক্ত বোধ করতে পারে। এইজন্য
সুন্দরভাবে কথা বলতে গেলে শুদ্ধ ভাষায় কথা বলার গুন অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য।
মিটিং এ কথা বলার কৌশল
কথা বলার সময় আপনার যারা স্রোত আছে, আপনি যার উদ্দেশ্য বলতেছেন তাদেরকে গুরুত্ব দিতে হবে। যদি আপনার
শ্রোতা বুঝতে পারে যে, আপনি তাদেরকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না, বা তাদেরকে কোন কিছু মনে করতেছেন না। তাহলে তারা
আপনাকেও গুরুত্ব দিবে না, এবং আপনার কথা কেউ গুরুত্ব দিবে না। এইজন্য যখন আপনি কথা বলবেন, আপনি
এমনভাবে আপনার কথাগুলো কে উপস্থাপন করেন যেন আপনি আপনার শ্রোতার উদ্দেশ্যে শুধু কথা বলছেন। আপনার
যত কথা তাদেরকে ঘিরেই। তারাই আপনার কথার মূল কেন্দ্রবিন্দু । এভাবে কথা বললে আপনার কথাগুলো হবে অনেক
সুন্দর।
কথা বলার কৌশল এর বই
অনেকেই আমরা কথা বলা কৌশলের শেখার জন্য ইন্টারনেটের আশ্রয় নেয় অথবা ইউটিউবে আশ্রয় নেয়। তো আমি
তাদের উদ্দেশ্যে বলছি প্রচলিত বাজারে অনেক ধরনের বই পাওয়া যায়, আপনি ইচ্ছে করলে সুন্দর করে কথা বলার জন্য
বাজার থেকে বই কিনে নিজে বাড়িতে চেষ্টা করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আপনার অনেক উন্নতি হবে। আপনি মাত্র দুই থেকে
তিন মাস বাড়িতে চেষ্টা করুন আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে । দেখবেন দুই থেকে তিন মাস পরে আপনি অনেক সুন্দর কথা
বলতে পারতেছেন । পারলে আপনি আগের কথাগুলো রেকর্ড করে রাখুন এবং পরবর্তীতে যখন দুই মাস পরে দেখবেন
আপনার কথার মধ্যে অনেক পার্থক্য হয়ে গেছে। এখন আপনি অনেক সুন্দর কথা বলতে পারতেছেন। এভাবে বই কিনে আপনি সুন্দরভাবে কথা শিখতে পারেন।
রোমান্টিক কথা বলার কৌশল
কথা আমরা সবাই বলতে পারি বা কথা আমরা সবাই বলি। কিন্তু রোমান্টিক কথা সবার মুখ থেকে আসে না। রোমান্টিক কথা
বলতে গেলে আগে আপনাকে রোমান্টিক হতে হবে । আপনার মনের মধ্যে প্রেম থাকতে হবে, ভালোবাসা থাকতে হবে। সে
ভালোবাসাটা শুধু খারাপ অর্থেই তা নয় আপনারা যে মানুষের সাথে কথা বলতেছেন সে মানুষের প্রতি আপনার ভালোবাসা
থাকতে হবে। তবে আপনার মুখ থেকে সুন্দর সুন্দর রোমান্টিক কথা আসবে, এবং আপনি সুন্দর রোমান্টিক কথা বলতে
পারবেন।
অপরিচিত কারো সাথে কথা বলার কৌশল
আমরা যখন কোন অপরিচিত কারো সাথে কথা বলতে যাই তখন আমরা কি দিয়ে শুরু করবো তা আমরা বুঝতে পারি না।
আনেক সময় অমরা কোন কথাই বলতে পারি না । তো যাদের আমাদের এই ধরনের সমস্যা হয় তাদের উদ্দেশ্যে বলতেছি,
আপনি যখন কোনো অপরিচিত লোকের সাথে কথা বলবেন। তখন তাকে আগেই কোন ধরনের প্রশ্ন না করে আগে নমনীয়
হয়ে আপনি আগে নিজের পরিচয় দিন তারপরে যদি দেখেন সে আপনার কথায় সাড়া দিচ্ছে তখন আপনি তার পরিচয়
জানতে চাইতে পারেন। এভাবে পরিচয় পর্বের মাধ্যমে কথা শুরু করুন। (আমরা সবাই চাই আমাদের জীবন যেন বদলে
যায়। বদলে যাওয়ার জন্য চাই আপনার কিছু ভাল অভ্যাস। আর সে ভালো অভ্যাসের টিপস গুলো আমরা সাজিয়েছি
আমাদের আরেকটি পেজে আর তার জন্য ভিজিট করুন এই পেজটি)
চালাকি করে কথা বলার কৌশল
চালাকি অর্থ কোন চতুরতা নয় । এখানে আপনি আপনার বুদ্ধিমত্তার সাথে কথা বলবেন ,অর্থাৎ আপনি তার বর্তমান অবস্থা
বিচার-বিবেচনা করে যেই কথাটা বললে সে খুশি হবে সে ধরনের কথা বলবেন। আপনি যদি দেখলেন তার মনটা খারাপ
অবস্থায় আছে , এখন যদি আপনি তার সাথে হাসি তামাশা করেন অবশ্যই সে আপনাকে ভালো চোখে দেখবে না । এইজন্য
তার মনের গতিবিধি পর্যালোচনা করে, দেখে শুনে তার সাথে কথা বলুন। দেখবেন সে আপনার কথাগুলা কে সুন্দরভাবে
গ্রহণ করেছে। (জীবনের সবাই সুখী হতে চায়। আমি নিশ্চিত আপনিও সুখী হতে চান। তাহলে আর দেরি নয়, সুখী হওয়ার
জন্য যে টিপসগুলো জানা প্রয়োজন জেনে নিন আমাদের এখান থেকে ক্লিক করে)
ঘন্টার পর ঘন্টা কথা বলার কৌশল
ঘন্টার পর ঘন্টা কথা বলা এটা আসলেই একটা অনেক বড় গুণ। আমরা অনেকেই কথা বলতে চাই, কিন্তু অল্প কিছু সময়
কথা বলেই আমাদের কথা শেষ হয়ে যায়। কয়েকটি কথা বলার পরে আমরা আর কথা পাই না বা কথা বলতে পারিনা। কিন্তু
আমাদের অনেক সময় প্রয়োজন হয় ঘন্টার পর ঘন্টা কথা বলা। অনেক সময় নিয়ে কথা বলা । সেই ক্ষেত্রে আমরা একটি
টিপস অনুসরণ করব আর তা হলো আপনি যদি কারো সাথে কথা বলতে চান ? এবং সেই সময়টাকে দীর্ঘায়িত করতে চান ?
তবে আমি আপনাকে পরামর্শ দিব আপনি আপনার কথাকে প্রশ্ন-উত্তর পর্বের মাধ্যমে সাজিয়ে নেন । আপনি আপনার
শ্রোতাকে প্রশ্ন করবেন তারা উত্তর দিবে অথবা তারা আপনাকে প্রশ্ন করবে আপনি উত্তর দিবেন। দেখবেন এভাবে যখন
আপনি কথা বলবেন তখন আপনার কথার সময় ঘন্টার পর ঘণ্টা হয়ে যাচ্ছে। আপনি যদি কৃষি বিষয়ক কোন ভিডিও
দেখতে চান তাহলে ক্লিক করুন এখানে।
শেষকথা:
আমি বিশ্বাস করি আমি যে টিপস গুলো আপনাদের উপরে দিয়েছি, সেগুলো আপনি যদি আপনার জীবনে কাজে লাগান
আপনি ১০০ ভাগ সফল হবেন। আপনার কথাগুলো হবে সুন্দর। আপনি হবেন সবার কাছে স্মরণীয় । আপনার কথা মানুষ
স্মরণ করবে আজীবন। আর যারা এই টিপসগুলো অনুসরণ করবেন না তারা কখনোই ভালোভাবে কথা বলতে পারবেন না।
কারণ এটা হচ্ছে সুন্দরভাবে কথা বলার মূল মন্ত্রের মতো । যদি উপরোক্ত বিষয়গুলো আয়ত্তে এনে আপনার এই টিপস
গুলো কাজে লাগে তবে আমি আপনাদেরকে অনুরোধ করছি আপনারা আমার এই লেখা বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার
করে আপনার বন্ধু-বান্ধবদেরকে ছড়িয়ে দিন। কারণ জ্ঞান এমন একটি জিনিস এটা ছড়িয়ে দিলে নিজের মধ্যে আরও বৃদ্ধি
পায়। আমরা চাই আমরা সবাই জ্ঞানী হয়ে সমাজের একটি সুন্দর অবস্থা বিরাজ করুক। যেন আমরা সবাই ভালো থাকতে
পারি। ধন্যবাদ আমার এই লেখাটি কষ্ট করে পড়ার জন্য।
আরো পড়ুন:
১. গুগলের জানা অজানা নানান তথ্য।
৩. গুগলে মানুষ কোন বিষয়ে বেশি সার্চ করে।
27 comments
Pingback: ভালো ছাত্র হওয়ার সহজ উপায়
Pingback: স্কুল লাইফ নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস
Pingback: মোবাইল ফোন ব্যবহারে ক্ষতিকর দিকগুলো ও এ থেকে বাঁচার উপায়
Pingback: অলসতা দূর করার উপায়শারীরিক অবসাদ বা অলসতা দূর করার উপায়
Pingback: ভাল মেয়ে চেনার উপায় বা বিয়ের জন্য ভালো মেয়ে চেনার উপায়
Pingback: স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক ভালো রাখার উপায়
Pingback: রাগ কমানোর সহজ উপায়
Pingback: বেকারত্ব দূর করার ১০টি সহজ উপায়
Pingback: ইংরেজি শেখার সহজ টিপস
Pingback: চিন্তা দূর করার ১০টি সহজ উপায়
Pingback: উন্নত জীবন গড়ার উপায়
Pingback: মুখের দুর্গন্ধ দূর করার উপায়
Pingback: বর্তমানে স্বর্ণের দাম ২০২২
Pingback: নতুন কষ্টের স্ট্যাটাস ও ক্যাপশন
Pingback: ছেলেদের কষ্টের মেসেজ
Pingback: বিয়ে নিয়ে ইসলামিক উক্তি
Pingback: বিষন্নতা নিয়ে ১0টি উক্তি
Pingback: মধ্যবিত্ত নিয়ে উক্তি
Pingback: বিশ্বাস নিয়ে কিছু উক্তি
Pingback: মেয়েদের কষ্টের মেসেজ
Pingback: কাজু বাদাম খাওয়ার উপকারিতা
Pingback: সেক্সে রসুনের উপকারিতা
Pingback: পাঁচটি লাভজনক ব্যবসার ধারণা
Pingback: ধনী হওয়ার সহজ উপায়
Pingback: পুরুষাঙ্গ বৃদ্ধির উপায়
Pingback: হার্টের সমস্যা সমাধানের উপায়
Pingback: গভীর ভালোবাসার মেসেজ ছন্দ ও কবিতা