নিউজিল্যান্ড কোন মহাদেশে অবস্থিত

সবাইকে স্বাগতম জানিয়ে, শুরু করছি আজকের এই নিউজিল্যান্ড কোন মহাদেশে অবস্থিত লেখা টি।

তাই আপনারা যারা নিউজিল্যান্ড সম্পর্কে জানতে চান তারা অবশ্যই আমার এই নিউজিল্যান্ড কোন

মহাদেশে অবস্থিত লেখা টি শেষ পর্যন্ত পড়ুন। এই লেখা টি থেকে আপনারা আরও জানতে পারবেন

নিউজিল্যান্ড দেশ ও নিউজিল্যান্ড এর রাজধানী সম্পর্কে। এ সকল বিষয় নিম্নে আলোচনা করা হল। তাই

আপনারা যারা নিউজিল্যান্ড যেতে চান বা নিউজিল্যান্ড সম্পর্কে জানতে চান তারা অবশ্যই আজকে আমার

এই নিউজিল্যান্ড কোন মহাদেশ অবস্থিত লেখা টি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

নিউজিল্যান্ড কোন মহাদেশে অবস্থিত

নিউজিল্যান্ড কোন মহাদেশে অবস্থিত

নিউজিল্যান্ড কোন মহাদেশ অবস্থিত: নিউজিল্যান্ড দক্ষিণ- পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের ওশেনিয়া

অঞ্চলে অবস্থিত একটি দ্বীপ রাষ্ট্র। মানচিত্রে এটি মহাদেশীয় রাষ্ট্র অস্ট্রেলিয়ার কাছাকাছি অবস্থিত বলে মনে

হলেও প্রকৃতপক্ষে অস্ট্রেলিয়া থেকে দক্ষিণ-পূর্বে ২০০০ কিলোমিটার দূরত্বে তাসমান সাগরে অবস্থিত।

ভৌগোলিকভাবে বিচ্ছিন্ন দেশ।নিউজিল্যান্ডের প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মধ্যে টোঙ্গা,ফিজি এবং নুভেল কালেদোনি

উল্লেখযোগ্য।নিউজিল্যান্ড প্রধান দুইটি বৃহত্তম দ্বীপ নিয়ে গঠিত যে গুলোকে বলা হয় উত্তর দ্বীপ ও দক্ষিণ

দ্বীপ।কুক প্রণালী নামের একটি অপেক্ষাকৃত সরু সামুদ্রিক প্রণালী দ্বীপ দুইটিকে আলাদা করেছে ।এছাড়া

এখানে অসংখ্য ক্ষুদ্র দ্বীপ আছে, যাদের মধ্যে স্টুয়ার্ট দ্বীপ ও চ্যাথাম দ্বীপপুঞ্জটি উল্লেখযোগ্য।

নিউজিল্যান্ডের রাজধানী ওয়েলিংটন উত্তর দ্বীপে অবস্থিত।এটি বিশ্বের সমস্ত রাজধানীর মধ্যে সবচেয়ে

দক্ষিনে অবস্থিত।নিউজিল্যান্ডের বৃহত্তম শহর অকল্যান্ড উত্তর দ্বীপেই অবস্থিত। নিউজিল্যান্ডের উভয়

দ্বীপই পাহাড়-পর্বতে পূর্ণ।দক্ষিন দ্বীপে একটি দীর্ঘ পর্বতশৃঙ্গল অবস্থিত, যার নাম দক্ষিণ আপ্লস। পর্বত গুলি

মহাসাগরীয় আর্দ্র বায়ুমন্ডলকে ধরে রাখে এবং এর ফলে এর চারপাশে প্রায় ঘন কুয়াশার মতো মেঘের

আবরণ দেখতে পাওয়া যায়।বর্তমানে নিউজিল্যান্ডের অধিকাংশ মানুষেরই ইউরোপীয় বংশদ্ভূত শ্বেতাঙ্গ।

নিউজিল্যান্ডের আদি অধিবাসীদের নাম মাওরি, তারা সংখ্যালঘু জাতি গোষ্ঠী। এছাড়া উল্লেখযোগ্য সংখ্যক

এশীয় বংশোদ্ভূত এখানে বসবাস করে। বিশেষ করে পৌর এলাকায়। ইংরেজি নিউজিল্যান্ডের সর্বাধিক

প্রচলিত ভাষা।আদিবাসী মাওরিদের মাতৃভাষা হল মাওরি ভাষা।  মাওরিরা পলিনেশিয়ান নামক-প্রশান্ত

মহাসাগরীয় অঞ্চলে থেকে নিউজিল্যান্ডে আগমন করেন। তারা দেশটিকে ‘আওতেয়ারোয়া’ নামে ডাকত,

যার অর্থ ‘দীর্ঘ শুভ্র মেঘের দেশ’। নিউজিল্যান্ডের ঐতিহ্যবাহী মাওরি সংস্কৃতি এখনো বেঁচে আছে। কিন্তু সেটি

এখন আধুনিক নিউজিল্যান্ডের ইউরোপীয় সংস্কৃতি সাথে মিশে গেছে। আজও নিউজিল্যান্ডের ঐতিহ্যবাহী

মাওরি সঙ্গীত বাঁশির সুরে সুরে বাজানো হয়, এবং ঐতিহ্যবাহী মাওরি নৃত্যও পরিবেশন করা হয়। কাঠের

খোদাই শিল্প, চিত্রশিল্প ও শনের বুননে তৈরি হস্তশিল্প বা দারু শিল্প মাওরি সাংস্কৃতিক অংশ।

নিউজিল্যান্ড দেশ

নিউজিল্যান্ড দেশ: নিউজিল্যান্ড একটি উন্নত দেশ। এটি আন্তর্জাতিকভাবে প্রচলিত মানব উন্নয়ন সূচক

এর উপরের দিকে অবস্থান করে আছেন। এছাড়া দেশটির জীবনযাত্রার মান প্রত্যাশিত আয়ুষ্কাল, শিক্ষার

হার, শান্তি ও অগ্রগতি অর্থনৈতিক স্বাধীনতা,গণমাধ্যমের স্বাধীনতা,ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ, রাজনৈতিক

অধিকার রক্ষা ইত্যাদি ক্ষেত্রে অগ্রসরমান একটি দেশ। পৃথিবীর সর্বাধিক বাসযোগ্য শহরের মধ্যে

নিউজিল্যান্ডের শহর গুলো হল অন্যতম। নিউজিল্যান্ড মেরিনো প্রজাতির ভেড়ার পশম বিশ্বখ্যাত। দক্ষিণ

দ্বীপের বিভিন্ন পাহাড়ে বহু বিশালাকার ভেড়ার খামার ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। ভেড়ার পশম ছাড়াও

নিউজিল্যান্ড উৎকৃষ্ট মানের পনির,  মাখন ও মাংস উৎপাদন করে।নিউজিল্যান্ডের রাষ্ট্রপ্রধান হল

ইংল্যান্ডের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ। তার প্রতিনিধি নিউজিল্যান্ডের সরকার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অধিকারী।

প্রকৃতপক্ষে রাষ্ট্রের রাজনৈতিক ব্যাপারে রাণীর কোনো প্রভাব নেই। রাণী মাত্র অনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রপ্রধান।

গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর অধীন সংসদই হলো রাষ্ট্র ক্ষমতার অধিকারী। প্রধানমন্ত্রী

নিউজিল্যান্ডের সরকারপ্রধান।এদেশের পরিবেশ এবং প্রাণীকুল বৈচিত্র্যময় অন্যান্য প্রাকৃতির। মানুষ্যবসতি

প্রতিষ্ঠা করার পূর্বে এখানে প্রচুর স্থানীয় পাখি ছিল, যার মধ্যে অনেক প্রজাতিই জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে

ক্রমান্বয়ে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। দীর্ঘ চঞ্চু বিশিষ্ট কিন্তু উড়তে অক্ষম এই কেউই নামের একটি পাখি মাত্র

নিউজিল্যান্ডে দেখতে পাওয়া যায়। কেউই পাখি নিউজিল্যান্ডের একটি জাতীয় প্রতীক।নিউজিল্যান্ড

অধিবাসীদেরকেও কেউ মাঝে মাঝে প্রচারমাধ্যমে ‘কিউই’ নামে ডাকে।

নিউজিল্যান্ড এর রাজধানী

নিউজিল্যান্ড এর রাজধানী: নিউজিল্যান্ড একটি উন্নত দেশ। আন্তর্জাতিকভাবে প্রচলিত মান উন্নয়ন

সূচক এর উপরের দিকে অবস্থান করে আছেন। এছাড়াও দেশটির জীবনযাত্রার মান অনেক উন্নত, শিক্ষার

হার, শান্তি ও অগ্রগতি, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা, ব্যবসা-বাণিজ্য, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং রাজনৈতিক

অধিকার রক্ষা ইত্যাদির ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে আছে দেশ টি। পৃথিবীর সর্বাধিক বাসযোগ্য শহরগুলোর মধ্যে

নিউজিল্যান্ডের শহর গুলোর অন্যতম।নিউজিল্যান্ডের রাজধানী ওয়েলিংটন উত্তর দিকে অবস্থিত। এটি

বিশ্বের সমস্ত রাজধানীর মধ্যে সবচেয়ে দক্ষিণ অবস্থিত।নিউজিল্যান্ডের বৃহত্তম শহর অকল্যান্ড উত্তর

দ্বীপেই অবস্থিত ।আশা করি নিউজিল্যান্ড এর বাজধানী সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

নিউজিল্যান্ড কোন মহাদেশে অবস্থিত এর শেষ উক্তি

সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শেষ করছি আজকের নিউজিল্যান্ড কোন মহাদেশ অবস্থিত লেখা টি।এটি

সুন্দর একটি জ্ঞান মূলক লেখা। তাই আপনারা যারা নিউজিল্যান্ড সম্পর্কে জানতে চান তারা অবশ্যই এই

লেখা টি থেকে উপকৃত হইবেন। আপনাদের যদি আরও কোন বিষয়ে জানার থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট

বক্সে জানাবেন। আমরা তার উত্তর দিয়ে সেই বিষয় টি আপনাকে জানিয়ে দেবো। আমরা বিদেশের ব্যাপারে

সব ধরনের তথ্য সব সময় দিয়ে থাকি ।তাই আপনারা যারা বিদেশের ব্যাপারে তথ্য জানতে ইচ্ছুক তারা

আমার এই লেখাগুলো পড়তে পারেন। আশা করি কাজে লাগবে।নিম্নে আরও কিছু লেখার লিংক আপনাদের

সাথে শেয়ার করা হল। প্রয়োজন মনে করলে পড়তে পারেন। আশা করি কাজে আসবে। সবশেষে সবাইকে

ধন্যবাদ জানিয়ে শেষ করছি আজকের নিউজিল্যান্ড কোন মহাদেশ অবস্থিত লেখা টি। আপনারা

অবশ্যই প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে লেখা টি পড়বেন। ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে

দেখবেন।আজকে এই পর্যন্তই শেষ।

একই জাতীয় আরো লেখা :

About 24 Favor

Check Also

অ্যামাজন কোম্পানি

অনলাইনে পণ্য বিক্রি অ্যামাজন: নেট দুনিয়ায় অন্যান্য ওয়েবসাইটের মত অ্যামাজন একটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট। এখানে প্রতিদিন …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *