স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক ভালো রাখার উপায়

স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক ভালো রাখার উপায়: স্বামী এবং স্ত্রী এই সম্পর্কটি হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ মধুর সম্পর্ক । কিন্তু আমরা এই মধুর সম্পর্ক সবসময় বজায় রাখতে পারি না। অনেক কারণেই দেখা দেয় সেই সম্পর্কের মধ্যে ভাঙ্গন। আমরা শেষ পর্যন্ত টিকিয়ে রাখতে পারিনা সেই সম্পর্কটি। অনেক ক্ষেত্রেই শেষ পরিণতি হয় বিবাহবিচ্ছেদ।

বিভিন্ন কারণেই এই ঘটনাগুলো হয়ে থাকে । তাই আজকে আমি আমার এই লেখা দ্বারা এমন কিছু টিপস দেব যে টিপসগুলো কাজে লাগিয়ে মজবুত করতে পারবেন আপনাদের পারিবারিক সম্পর্ক। আপনাদের জানাবো কিছু গু,রুত্বপূর্ণ বিষয় যা আপনারা জানলে আপনাদের মধ্যে এ ধরনের সমস্যা হবেনা ।

তাই আসুন কিভাবে আমাদের স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক মজবুত করে রাখা যায়, ঘরে তোলা যায় সুখের স্বর্গ এবং সুখে থাকা যায় পরিবার পরিজন নিয়ে। সে বিষয়গুলো আলোচনা করব আমার স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক ভালো রাখার উপায় লেখার মাধ্যমে।

সূচিপত্র

স্বামী স্ত্রী কাকে বলে?

স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক ভালো রাখার উপায়
স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক ভালো রাখার উপায়

স্বামী-স্ত্রী হচ্ছে একটি জুটি. একটি বন্ধন। যখন একটি প্রাপ্তবয়স্ক ছেলে. একটি প্রাপ্তবয়স্ক মেয়ের সম্মতি ক্রমে তারা সামাজিকভাবে, পারিবারিকভাবে, এবং ধর্মীয় সম্মতি নিয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় তখন তাকে স্বামী স্ত্রী বলে। এক্ষেত্রে তাদের বিবাহ বন্ধন ধর্মীয়ভাবে এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে রেজিস্ট্রি করার মাধ্যমে সম্পন্ন হয়ে থাকে। তারা সুখে দুঃখে আজীবন একসাথে কাটাতে এই ওয়াদা দিয়ে শুরু করে তাদের পথচলা। আর তাদের এই স্বামী-স্ত্রীর বন্ধন থাকে মৃত্যু পর্যন্ত। আর একেই স্বামী-স্ত্রী বলে।

স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক ভালো রাখার ১০ উপায়

স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক ভালো রাখার উপায়
স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক ভালো রাখার উপায়

একসাথে চলতে গিয়ে বিভিন্ন সময় দেখা যায় মনো-মালিন্য, হয়ে যায় কথা-কাটাকাটি। শেষ পর্যন্ত হাতাহাতি পর্যন্ত গড়ায় ।আর এরই চূড়ান্ত রূপ নেয় বিবাহ বিচ্ছেদ। আর আমরা তাই সবসময় চেষ্টা করি আমাদের সম্পর্ক যেন সুন্দর থাকুক, সুখে থাকুক, কিন্তু কিছু টিপস না জানার কারণে আমরা ধরে রাখতে পারি না আমাদের সম্পর্ককে ।

আমাদের সম্পর্ক হয়না মজবুত। সম্পর্ক হয় না মধূল, তাই আসুন কিভাবে আমাদের সম্পর্ককে সুন্দর করা যায়, সেই টিপস গুলো নিচে বিস্তারিত জেনে নেই।

একে অপরকে বিশ্বাস করা

বিশ্বাস হচ্ছে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক মজবুত করার অন্যতম একটি মাধ্যম। কারণ যে সংসারে বিশ্বাস নাই সেই সংসারের শান্তি নাই। যে সংসারের শান্তি নাই সেই সংসার বেশিদিন টিকতে পারেনা। অশান্তির সংসার দীর্ঘায়িত হয় না। তাই সব সময় স্বামী স্ত্রীর প্রতি, এবং স্ত্রী স্বামীর প্রতি থাকতে হবে গভীর বিশ্বাস।

আপনাদের অবিশ্বাসে যেন কেউ ফাটল ধরাতে না পারে। কারো কথায় কান দিয়ে একজন অপরজনকে অবিশ্বাস করা যাবে না । যদি আপনাদের মধ্যে বিশ্বাস থাকে তাহলে আপনাদের সম্পর্ক কখনোই খারাপ হবে না। তাই বিশ্বাসটা হচ্ছে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক সুন্দর রাখার একটি অন্যতম মাধ্যম।

দুজন দুজনকে সম্মান করা

আমাদের সবারই উচিত সবাই সবাইকে সম্মান করা। আর স্বামী-স্ত্রীর ক্ষেত্রে এটা আরও বেশি জরুরি। আমরা শুধু মনে করি স্ত্রীরা স্বামীদের কে সম্মান করবে, এটা ভুল ধারণা । স্ত্রীর যেরকম স্বামীকে সম্মান করা দায়িত্ব ঠিক তেমনি স্বামী তার  স্ত্রীকে সম্মান করবে এটা তার দায়িত্ব।

এভাবে একজন অপরজনকে সম্মান করলে তাদের ভালোবাসা মজবুত হবে। তাদের মধ্যে সুন্দর সম্পর্ক গড়ে ওঠবে। তাই আসুন আমরা একজন অপরজনকে সম্মান করি। আমাদের সংসার সুন্দর ও মজবুত করে গড়েতুলি আমাদের সম্পর্ক হোক আরো ভাল।

একজন আরেকজনকে ক্ষমা করা

একসাথে চলতে গেলে অনেক ধরনের ভুল হবে । আর সেই ভুলকে দোষ ধরে যদি আপনি মনের মধ্যে রাগ ধরে রাখেন তাহলে কখনই আপনার সংসারে শান্তি আসবে না। তাই ক্ষমা করে দেওয়ার যে মহৎ গুণ, সেই কোনটি আপনার মধ্যে থাকতে হবে ।আপনি যদি ক্ষমা করার মত মহৎ ‍গুন অর্জন করতে না পারেন আপনিও সংসার জীবনে কখনো সুখী হবেন না।

কারণ আপনার সঙ্গীটি কখনো কখনো ভুল করে ফেলতে পারে, সেই ভুলকে ক্ষমা করা দেওয়া হচ্ছে আপনার নৈতিক দায়িত্ব। ক্ষমা করে দিলে একদিকে যেমন আপনি মন থেকে শান্তি পাবেন, অপরদিকে আপনার সঙ্গীকে আপনার প্রতি তার সহানুভূতি বেড়ে যাবে। সে বুঝতে পারবে আমার সঙ্গী আপনার সাথে কখনো রাগ করে না ।

সে সব সময় আপনাকে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখেন। আপনার প্রতি তার সম্মান বেড়ে যাবে বহুগুণে। এভাবে সম্পর্ক হবে আরও মজবুত আরো দৃঢ়।

দুজন দুজনকে বন্ধু মনে করা

দুই জন দুই পরিবারের সদস্য । একটি সম্পর্কের কারণে বসবাস করে একই ঘরের. একই বিছানায়। কিন্তু সে সম্পর্ক যদি হয় বন্ধুত্বের তাহলে সম্পর্ক হবে আরও সুন্দর। কিন্তু সেই সম্পর্ক যদি হয় শুধু স্বামী-স্ত্রীর, যদি একজন অপরকে শুধু মনে করে এটা আমাদের দায়িত্ব,এটা আমাদের কর্তব্য। তবে কখনোই সেই সম্পর্ক হবে না সুন্দর, কখনো হবে না মজবুত।

আজীবন থেকে যাবে মনের মধ্যে থেকে একটি পার্থক্য । কারণ একজন অপরজনকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করেনাই। তাই আমাদের উচিত একে অপরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করা । যেকোনো ধরনের বিপদ আপদে একজন আরেকজনের জন্য প্রাণপণ যুদ্ধ করা। এভাবেই মজবুত হবে আপনার স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক টি।

তাই আসুন আমরা একজনকে অপরজনকে স্বামী-স্ত্রী না ভেবে বন্ধু হিসেবে বিবেচনা করি। আজকে এই লেখা পড়ার পর থেকে একে অপরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করে জীবনের পরবর্তী  সময়টা অতিবাহিত করেন দেখবেন সেই সম্পর্কটা কত সুন্দর হয়।

একে অপরের প্রতি সন্তুষ্ট থাকা

সব সময় আমরা না-পাওয়ার যন্ত্রণায় ভূগতে থাকি । যাকিছু পাই তাতে আমরা সন্তুষ্ট নই । যার ফল আমরা অল্পতে সন্তুষ্ট থাকতে চাইনা। আমাদের মনের মধ্যে শুধু একটাই ক্ষুধা আর তাহলো আরো চাই, আরো চাই। এই প্রবণতার কারনে সংসারে দেখা দেয় নানা ধরনের অশান্তি ।

বিশেষ করে প্রতিবেশীর সাথে অসম প্রতিযোগিতার দ্বারা এই চাহিদা বেড়ে যায় আরো বহুগুনে। যার জন্য সংসারে অশান্তি লেগেই থাকে। আর তাই আমাদের খেয়াল রাখতে হবে স্বামী-স্ত্রীর একজন অপরজনের প্রতি চাহিদা থাকবে তার সাধ্যের মধ্যে।

সাধ্যের মধ্যে যতটুকু দিতে পারে ততটুকুতেই সন্তুষ্ট থাকতে হবে। তবেই সংসারে শান্তি আসবে। তাই শুধু স্বামী স্ত্রীর প্রতি আর স্ত্রী স্বামীর প্রতি নয় দুজন দুজনের প্রতি থাকতে হবে যে কোন বিষয়ে সন্তুষ্ট।

দুজনেই আত্মত্যাগের মনোভাব থাকা

স্বামী-স্ত্রীর আত্মত্যাগের কারণেই আসতে পারে সংসারে পরিপূর্ণ শান্তি। এখনকার সময়ে  স্বামী- স্ত্রী কেউ আত্মত্যাগ করতে রাজি নয় । কেউ কাউকে ছাড় দেয়না যার কারণে সংসারের সব সময় অশান্তি লেগেই থাকে । কেউই করতে চায়না আত্মত্যাগ।

তাই আসুন আমরা একজন অপরজনের জন্য সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের মাধ্যমে সংসার জীবনকে গড়ে তুলি  সুখের নীড় হিসেবে। আর এই আত্মত্যাগ পারে সংসারের সু-সম্পর্ক বজায় রাখতে। এটাই হচ্ছে সুখে থাকার জন্য অন্যতম মাধ্যম।

একে অপরের উপর নির্ভরশীলতা থাকা

একজন অপরজনের ওপর নির্ভরশীল থাকতে হবে । এক্ষেত্রে এই নির্ভরশীলতাকে অনেকেই আয়-উপার্জনকে বুঝতে পারেন । কিন্তু না আমি এখানে  নির্ভরশীলতা মানে শুধু উপার্জন করে তাকে বুঝানো হয়নি।  এখানে নির্ভরশীলতা মানেসংসারে যেই উপার্জন করুক না কেন, একজন যদি উপার্জন করে আরেকজন যদি সংসারে পরিশ্রম করে তবে একজন যেরকম তার ওপর টাকা পয়সার জন্য নির্ভরশীল হবে ,অপরজন নির্ভরশীল হবে তার সংসারের কাজ কর্মের ওপর।

এভাবে নিজেদের মন থেকে একজন অপরজনের প্রতি নির্ভরশীলতা অনুভব করা। এতে করে দুজন দুজনকে অনুভব করতে পারবে। দুজন দুজকে ভালবাসতে পারবে ।ভালোবাসা মজবুত হবে এতে করে তাদের সম্পর্ক হবে আরও সুন্দর।

যেকোনো বিষয়ে শেয়ারিং করা

সংসার করতে গেলে শেয়ারিং এর মনোভাব থাকতে হবে। অর্থাৎ যেকোন কাজকর্মে অথবা যেকোনো গোপনীয়তা বিষয় থাক স্বামী স্ত্রীর সাথে স্ত্রী স্বামীর সাথে করে নিতে হবে শেয়ারিং। কারণ যদি শেয়ারিং না থাকে সে ক্ষেত্রে একজন অপরজনের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। আর এই ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি থেকেই শুরু হয় অবিশ্বাসের। আর এই অবিশ্বাস থেকে শুরু হয় সংসারে ঝগড়াঝাঁটির ।

আর যার শেষ পরিণতি হয় সংসারে ভাঙ্গন। তাই আপনি যেকোনো পরিস্থিতিতেই থাকুন না কেন, দুজন দুজনের মধ্যে শেয়ারিং করতে হবে। শেয়ারিং করলেই দেখবেন আপনাদের মধ্যে থাকবে না কোন ধরনের ভুল বুঝাবুঝি। যার ফলে একজন আরেকজনের সহযোগী হিসেবে কাজ করতে পারবেন।

যেকোনো ধরনের গোপন বিষয় গোপন না করা

অনেক ধরনের গোপন বিষয় থাকে, যে বিষয়গুলো স্বামী স্ত্রীর সাতে এবং স্ত্রী স্বামীর সাথে শেয়ার করো না। কিন্তু সেই বিষয়গুলো যদি অন্য কোনো মাধ্যমে তাদের কাছে আসে আসে তাহলে তখন সৃষ্টি হয় সংসারে অশান্তির। আর এর জন্য কোনো গোপন বিষয় গোপন না রেখে শেয়ারিং করতে হয়। তাহলে দেখা যাবে কখনই দুজন দুজনের সাথে  ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হবে না ।

আর তাই গোপন বিষয়ে শেয়ারিংয়ের হচ্ছে সংসারের শান্তি বজায় রাখার অন্যতম মাধ্যম। তাই কোন গোপনীয় বিষয় থাকলে সেগুলো অবশ্যই দুজনের মধ্যে আলোচনা করে নেওয়া ভাল এবং কোনো ধরনের গোপন বিষয় গোপন না করা।

একে অপরকে সময় দেয়া

সময়ের বড় অভাব, এ অজুহাত দিয়ে আমরা একজন অপরজনকে সময় দিতে চাইনা। স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক টা শুধুই একটি সম্পর্কের বেড়াজালে আবদ্ধ থাকে । আমরা বুঝতে চাইনা একে অপরকে। আমরা কখনো অনুভব করিনা যে আমাদের সহধর্মিনী অথবা আমাদের স্বামী আমাদের দিকে চেয়ে থাকে তাকে কিছু একান্ত সময় দিবো বলে।তার সাথে সময় কাটাবো বলে।

আর সেই সময় যদি আপনি না দিন দিন দিন আপনার প্রতি তার ভালবাসার বিপরীতে ঘৃণা বাড়তে থাকে। যার ফল হয় পরক্রিয়া প্রেম। আর তাই আসুন আমরা একজন আরেকজনকে সময় দেই যাতে করে আমাদের ভালবাসাটা আরও মজবুত হয়, বজায় থাকে আমাদের সম্পর্ক।

স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ  হওয়ার ১০ টি উপায়

স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক ভালো রাখার উপায়
স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক ভালো রাখার উপায়

স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক যদি থাকে শুধু কাগজে থাকে শুধু সামাজিক বা পারিবারিক কারণে, তাহলে টিকববেনা সেই সম্পর্ক।  আর তাই থাকতে হবে অনেক ঘনিষ্ঠ হয়ে। আর তাই আমরা অনেকেই চেষ্টা করি স্বামী বা স্ত্রীর সাথে সম্পর্কটি কিভাবে আরো ঘনিষ্ঠ করা যায়। অনেক কষ্ট করেও আমরা পারিনা।

আর এর জন্য দায়ি আমরা নিজেরাই কারণ কিছু কৌশল না জানার কারণে হয়ে উঠেনা আমাদের সেই গভীর সম্পর্ক ।আর তাদের জন্যই মূলত আমি লিখেছি । আপনার সম্পর্ক কিভাবে আরও বেশি ঘনিষ্ঠভাব হয়, কিভাবে আরো সুন্দরভাবে জীবন যাপন করতে পারবেন। আসুন তাই জেনে নেয়াযাক  সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হওয়ার বিশেষ কৌশল গুলো।

একজন আরেক জনের জন্য উপহার দেওয়া

উপহার মানুষকে তার কাছে আনতে এবং ভালবাসতে সহযোগিতা করে। তাই আমরা এই,এচ.সিতে পড়েছি  জিম এন্ড ডেলার গল্প। সেই গল্প থেকে বোঝা যায় একজন আরেকজনকে উপহার দিলে কতটা ভালোবাসা বেড়ে যায়। আর তাই আপনি যদি আপনাদের সম্পর্ক আরও গভীর করতে চান তবে বিভিন্ন সময়ে একজন অপরজনকে উপহার দিন।

যদি সম্ভব হয় একসাথে বসবাস করা

চাকরির কারণেই হোক, আর অন্য কারণেই হোক, আমরা বিভিন্ন সময়ে একজন অপরজন থেকে আলাদা বসবাস করি। যার কারণে আস্তে আস্তে আমাদের ভালোবাসা কমতে থাকে । ইংলিশে একটি কথা আছে আউট অফ সাইট, আউট অফ মাইন্ড। আসলে কথাটা ঠিক, আর তাই আপনি যদি পারেন আপনার সঙ্গীকে চেষ্টা করুন সব সময় কাছাকাছি রাখতে এতে করে আপনাদের সম্পর্ক আরও গভীর হবে।

 সময় পাইলে একসাথে সিনেমা দেখা

সময় পেলে বা অবসরে আপনার পরিবার পরিজন নিয়ে ভালো মানের সিনেমা দেখতে পারেন। একসাথে সিনেমা দেখলে দেখবেন আপনার সম্পর্ক  আরো ভাল হবে, আরও গভীর হবে। এটি সম্পর্ক গভীর করার অন্যতম একটি মাধ্যম।

বন্ধের দিন গুলোতে একসাথে রান্না করা

অনেক সময় আমরা মনে করি রান্না করা শুধু মহিলাদের কাজ। আর তাই সব সময় নিজেরা বসে থাকি, মহিলারা রান্না করে থাকে। কিন্তু একবার ভাবুন সে প্রতিদিনই আপনার জন্য রান্না করছে, আর তাই যদি আপনি পারেন বন্ধের দিনগুলোতে আপনার স্ত্রীর সাথে রান্নার কাজে সহযোগিতা করুন, দেখবেন সে আপনাকে কতটা ভালোবাসে। তার সাথে সম্পর্ক দিন দিন আরও গভীর হবে।

পরিবারের লোকজন একসাথে বিভিন্ন কাজকর্ম করা

শুধু রান্না করাই নয়। পরিবারের আরো অনেক কাজ থাকে, যেগুলো সময় পেলে একসাথে করা যায়। যেমন ঘর গোছানো, গাছ লাগানো, থালা বাসন পরিষ্কার করা, কাপড় চোপড় পরিষ্কার করা। এই এসকল কাজগুলো করেও আপনি একজন আরেকজনের প্রতি দেখাতে পারেন ভালোবাসা। এভাবেই বেড়ে যাবে আপনাদের ভালোবাসা।

একে অপরের যত্ন নেওয়া

এখানে যত্ন নেওয়া মানে সব সময় তাকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে দেওয়া, তার কাপড়চোপড় ধূয়ে দেওয়ার নাম নয়। যত্ন নেওয়া মনে হচ্ছে সব সময় তার খোঁজ-খবর নেওয়া। সে ঠিকমতো খাবার খেয়েছি কিনা ? তার শরীরের ঠিক ঠিক আছে কিনা ? এই সমস্ত বিষয়ে যদি আমরা একজন অপরজনের প্রতি খোঁজখবর নেই তাহলে দেখা যায় ভালবাসার বন্ধনে আরো মজবুত হয়।

বাচ্চাসহ পরিবারকে সময় দেওয়া

পরিবারের সাথে ঘনিষ্ঠ হওয়ার জন্য সময় দেওয়ার কোনো বিকল্প নেই। কারণ আপনি যদি বিভিন্ন সময়ে তাদের সাথে না থাকেন এবং তাদেরকে সময় না দেন, তবে কখনোই আপনি আপনার পরিবারের সাথে ঘনিষ্ঠ হতে পারবেন না। আর তাই পরিবারের সাথে ঘনিষ্ঠ হতে গেলে সময় দেওয়া একান্ত প্রয়োজন। পরিবারের সাথে সময় দিয়ে আপনার সম্পর্ককে ঘনিষ্ঠ করে তুলুন।

তার গোপন বিষয় জানতে না চাওয়া

অনেকগুলো বিষয় থাকে যেগুলো একজন অপরের সাথে বলা যায় না। বিশেষ করে বিবাহের আগে অনেক গোপন বিষয় থাকে যেগুলো জানতে চাওয়া এক ধরনের বোকামি। এই জন্য সবসময় তার পূর্বের কোন ধরনের গোপন বিষয় জানতে না চাওয়া হচ্ছে ভালো । এভাবে থাকলে আপনার সম্পর্ক সুন্দর থাকবে ঘনিষ্ঠ থাকবে।

একে অপরের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া

যেকোনো কাজে করেননা কেন? অথবা যে কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন না কেন? একজন অপরজনের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে বুদ্ধিমানের কাজ । এতে করে একদিকে যেমন আপনি যে কোন প্রকার ক্ষতি থেকে বাঁচতে পারেন। অপরদিকে আপনার প্রতি তার সহানুভূতি বেড়ে যাবে বেড়ে যাবে তার বিশ্বাস। এতে করে আপনাদের সম্পর্ক হবে আরও ঘনিষ্ঠ।

এক সাথে ঘুরতে যাওয়া

সময় পেলেই একসাথে বেড়াতে বের হোন। দেখবেন আপনাদের সম্পর্ক হয়ে গেছে আগের থেকে অনেক সুন্দর, অনেক মজবুত। ভাবে আপনি আপনার সম্পর্ককে আরও ভালো করতে পারবেন।

স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক ভালো রাখার দোয়া

ইসলামিক ভিত্তিতে কিছু দোয়ার মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রীর মাধ্যে ভালোবাসার বন্ধন ঘরে তোলা যায়। আর সেই দোয়াটি হলো নিম্নরুপ।

উচ্চারণ : ‘আল-ওয়াদুদু’

অর্থ : ‘প্রকৃত বন্ধু’; যে তাঁর অনুগত ও তাঁর দিকে ফিরে আসে তিনি তাকে ভালোবাসে। তাদের প্রশংসা করেন এবং তাদের প্রতি তিনি ইহসানকারী।

ফজিলত
>> স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে যদি মিল মহব্বত কমে যায় বা উভয়ের মাঝে বনিবনা না হয় বা তাদের একজন অপর জনের ওপর অসন্তুষ্ট হয়; তখন আল্লাহ তাআলার পবিত্র গুণবাচক নাম (اَلْوَدُوْدُ) ‘আল-ওয়াদুদু’ ১০০১ (এক হাজার এক) বার পাঠ করে কোনো খাবার-দ্রব্যের মাঝে ফুঁ দিয়ে উভয়কে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করলে আল্লাহর রহমতে উভয়ের মধ্যে মিল-মহব্বত ও আন্তরিকতা সৃষ্টি হয়।

স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক বজায় রাখার ক্ষেত্রে ইসলাম যা বলে

কোন প্রকার খারাপ দৃষ্টিভঙ্গি ইসলাম সমর্থন করে না। বরং এই মনোভাবের কঠোর নিন্দা করেছে ইসলাম। নিশ্চিত করেছে স্ত্রীর নিরাপদ ও সম্মানজনক জীবন। স্ত্রী হিসেবে ইসলাম নারী জাতিকে অধিকার ও মর্যাদা দিয়েছে। স্বামীকে নির্দেশ দিয়েছে স্ত্রীর সাথে ভালো আচরণ করার।

আল কুরআনে বলা হয়েছে, ‘আর তোমরা স্ত্রীদের সাথে বসবাস করো সদাচারের সাথে। আর যদি তোমরা কোনো কারণে তাদের অপছন্দ করো, তাহলে হয়তো তোমরা এমন একটি বস্তুকে অপছন্দ করলে, যাতে আল্লাহ তায়ালা প্রভুত কল্যাণ রেখেছেন। (সূরা নিসা : ১৯) ।

এক হাদিসে আল্লাহর রাসূল সা: ইরশাদ করেন, ‘কোনো মুমিন পুরুষ যেন কোনো মুমিন নারীকে অপছন্দ না করে।’ (সহিহ মুসলিম : হাদিস-১৪৬৯, সুনানে ইবনে মাজা : হাদিস-১৯৭৯) এই হাদিসে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দাম্পত্য জীবনের কলহ নিরসন ও নারীর প্রতি সহিংসতা দূরীকরণের একটি মূলনীতি বলে দিয়েছেন।

স্ত্রীর সব আচরণ স্বামীর কাছে ভালো লাগবে, এটা অসম্ভব। আবার স্বামীর সব আচরণ স্ত্রীর কাছে ভালো না লাগাই স্বাভাবিক। কারণ আল্লাহ তায়ালা কাউকেই পূর্ণতা দান করে সৃষ্টি করেননি। প্রত্যেকের ভেতরেই কিছু না কিছু মন্দ স্বভাব থাকবেই। ভালো ও মন্দ মিলেই মানুষ।

কাজেই স্ত্রীর কোনো স্বভাব স্বামীর কাছে অপছন্দ হলে সে যেন ধৈর্যধারণ করে এবং ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখে। স্ত্রীর ভালো গুণগুলোর দিকে লক্ষ্য করে আল্লাহর শোকর আদায় করে এবং তার প্রশংসা করে।

এ ক্ষেত্রে প্রত্যেক স্বামীর জন্য রাসূল সা:-এর জীবনই উত্তম আদর্শ। রাসূল সা: যখন ঘরে যেতেন, স্ত্রীদের সাথে ঘরের কাজে শরিক হতেন। তাদের সাথে সদাচার করতেন। স্ত্রীদের সাথে খোশগল্প করতেন। তাদের সাথে হাসিমুখে কথা বলতেন। রাসূল সা: কখনো কোনো স্ত্রীকে প্রহার করেননি।

তিনি যখন তাহাজ্জুদের সময় উঠতেন, তখন খুব আস্তে দরজা খুলতেন, যাতে ঘরের লোকদের ঘুমে ব্যাঘাত না হয়। তিনি ইরশাদ করেন, ‘তোমরা স্ত্রীদের সাথে উত্তম আচরণ করো।’ (তিরমিজি : হাদিস-১১৬৩)

অন্য হাদিসে আছে, ‘তোমাদের মধ্যে সেই নারী উত্তম, যে তার স্বামীর কাছে উত্তম।’ (জামে তিরমিজি : হাদিস-১১৬২)

স্বামী যদি স্ত্রীকে ভাল না বাসলে করনীয়/ স্বামীকে সুখে রাখার টিপস

অনেকক্ষেত্রে দেখা যায় সংসারে স্বামী স্ত্রীকে দেখতে পারে না বা ভালবাসেনা। এই কারণে সংসারের সব সময় ঝগড়া বিবাধ লেগেই থাকে । পরিবারে বেড়ে যায় অশান্তি।আর এই অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে স্বামী-স্ত্রীর দুটি পরিবারের মধ্যে। এভাবে সেই অশান্তি ছড়িয়ে যায় সামাজিকভাবে ।  আর  এই কারণটি গটতে পারে দুটি কারনে যে গুলো হলো-

১.  ভালনাবাসার নির্দিষ্ট কোন কারণ

অনেক সময় ভালোবাসার অনেক সময় ভালো না বাসার উদ্দেশ্যে একটি কারণ থাকে এবং সেই কারণগুলো সবারই জানা থাকে আর সেই কারণগুলো হচ্ছে নিম্নরূপ।

  • যৌতুকের দাবি করা।
  • নিজের অমতে বিয়ে করছে।
  • জোর করে তাকে বিয়ে করছেন।
  • শারীরিক অক্ষমতা ।
  • তার চাহিদা মত সন্তান না হওয়া ইত্যাদি
করনীয়:

উপরের যে কোন একটি বিষয়ে আপনার সাথে ঘটে থাকলে, সে ক্ষেত্রে আপনি আপনার সাধ্যমত চেষ্টা করেন তার সাথে কাউন্সিলিং করার মাধ্যমে তার সাথে কথা বলে, যে কোন উপায়ে তার সাথে সমঝোতায় আসা। তাহলেই কেবল আপনি তার মনের মধ্যে প্রবেশ করতে পারবেন। অন্যথায় তার সাথে ভালোবাসা গড়ে ওঠা সম্ভব নয়।

২.  ভালনাবাসার অনির্দিষ্ট কারণ

অনেক সময় দেখা যায় স্বামী তার স্ত্রীকে দেখতে পারে না। সে নিজেও জানেনা আসলে কী কারণে তাকে দেখতে পারতেছে না বা ভালোবাসে না। ভালো লাগে না তাই ভালোবাসো না এরকম একটা ভাব। আর এরকম যদি আপনার স্বামীর সাথে হয়ে থাকে তাহলে আপনি নিজে নিজে নিচের পদক্ষেপগুলো নিতে পারেন । যেগুলো আপনার ভালোবাসা পাওয়ার ক্ষেত্রে খুবই কাজে লাগবে।

  • সব সময় নিজেকে সাজিয়ে সুন্দর করে স্বামীর সামনে উপস্থাপন করুন, যেন আপনার স্বামী আপনাকে দেখে আকর্ষিত হয়।
  •  নিজে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন যেমন আপনার গা থেকে ঘামের দুর্গন্ধ বের না হয়। কারণ বেশিরভাগ স্বামী  ঘামের দুর্গন্ধ পছন্দ করে না। আপনি গোসল করে সুন্দর করে গায়ে ভালো মানের পারফিউম দিতে পারেন বা লাগাতে পারেন।
  • সব সময় স্বামীর ভালোলাগা, খারাপ লাগা দিকে নজর রাখুন, এবং তার সেবাযত্নে সচেতন থাকুন।
  • ভুলেও কখনো স্বামীর বদনাম অন্য কারো কাছে করবেন না। কারণ এতে করে সে পরবর্তীতে জানতে পারলে আপনার প্রতি তার আরও ঘৃণার তৈরি হবে।
  • সকল কাজে স্বামীর প্রশংসা করুন। তার সকল কাজে তাকে উৎসাহিত করুন। যেন সে বুঝতে পারে আপনি ছায়ার মত তার সাথে আছেন।
  • স্বামীর অনুমতি ছাড়া কোথাও যাবেন না।
  • আপনার ভালো না লাগলেও, তার মনের চাহিদাকে বুঝে সবসময় তার মনের চাহিদা পূরণে সচেষ্ট থাকা।
  • স্বামীর পছন্দ-অপছন্দের সাথে নিজেকে মানিয়ে নেওয়া । অর্থাৎ স্বামী যা অপছন্দ করে, তা আপনি পছন্দ করবেন। স্বামী যা অপছন্দ করে তা আপনিও অপছন্দ করবেন ।দেখবেন এতে করে একদিন আপনার স্বামী আপনাকে ভালোবেসে ফেলেছে।

এভাবে উপরোক্ত টিপসগুলো কাজে লাগালে দেখবেন আস্তে আস্তে আপনার প্রতি তার সহানুভূতি বেড়ে গেছে। একদিন দেখবেন সে তার ভালোবাসার হাতটি বাড়িয়ে দিয়েছে আপনার দিকে। আমি আপনাকে ১০০ ভাগ গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি, আপনি একটু ধৈর্য্য সহকারে উপরের টিপসগুলো কাজে লাগান দেখবেন আপনি সফল হবেন ইনশাল্লাহ।

স্বামীর মন খারাপ হলে করনীয়

অনেক সময় স্বামীর মন খারাপ করে বাড়িতে ফিরে বা বাড়িতে কোন কারণে মন খারাপ হয়। তখন আমরা যারা স্ত্রী না বুঝেই তার সাথে রাগারাগি করি।  আরো তার সাথে উল্টো তাকে বিভিন্ন ধরনের বকা দিয়ে থাকি। এটা একটা ভুল পদক্ষেপ। কারণ আপনি যদি এরকম করেন আপনার সংসারে কখনোই শান্তি থাকবে না।

এজন্য প্রথমে আপনার উচিত তাকে শান্ত করে, তার মন খারাপ হবার কারণটিই উদঘাটন করে, তাকে সেই অনুযায়ী বোঝানো । তার সাথে খুবই সুন্দর আচরণ করা। যেন সে আপনার কাছে এসে একটু শান্তি পায়, ফেলতে পারে একটু প্রশান্তির নিঃশ্বাস । তাকে আপনি রিসিভ করবেন খুবই হাসি মুখে ।

তার সাথে একান্ত ঘনিষ্ঠজন ভাব দেখাবেন, সে যেন বুঝতে পারে আপনি তার পরম বন্ধু। আপনার কাছে আসলে তার মন ভালো হয়ে যাবে। সে যেন আপনাকে ভরসা করতে পারে, এভাবেই স্বামীর মন খারাপ থাকলে স্বামীর মন ভালো করার চেষ্টা করতে হবে।

স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিশ্বাস

বিশ্বাস হচ্ছে ভালবাসার মূল চালিকাশক্তি । যেখানে বিশ্বাস নেই, সেখানে ভালবাসা নেই। তাই বিশ্বাসকে ভালবাসায় পরিনত করতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে থাকতে হবে অগাধ বিশ্বাস। একজন আরেকজনকে কখনো ভুল বোঝা যাবে না কখনোই, সন্দেহের চোখে দেখা যাবে না । তাই আপনি যখন আপনার স্বামী বা স্ত্রীকেসন্দেহের চোখে দেখবেন তখন থেকে শুরু হবে আপনার সংসারে অশান্তি। তাই যেকোনো পরিস্থিতিতেই হোক, একজন অপরজনকে বিশ্বাস করতে হবে হৃদয় থেকে।

স্বামী-স্ত্রীর ভুল-বোঝাবুঝি

বিভিন্ন কারণেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে সমাজে কিছু দুষ্টু লোকের কারণে এই ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি আরো বেশি আকার হয়ে থাকে। আর তাই সবসময় সর্তক থাকতে এই ভুল বুজাবুজি থেকে। সবসময় নিজেদেরকে রাখতে হবে এর উধের্ধ একজনের কথা শুনলেই তার কথা বিশ্বাস করে স্বামী-স্ত্রী কেউ কাউকে ভুল বোঝাবুঝি করা যাবেনা ।

কারণ এই ভুল বোঝাবুঝি থেকে পরিবারের শুরু হয় অশান্তির প্রথম ধাপ, আর শেষ  পরিণতি হয় সংসারের  ছাড়াছাড়ির মাধ্যমে। যেন একজন অপরজনকে ভুল না বুঝে সেদিকে সবসময় খেয়াল রাখতে হবে।

স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক সুন্দর রাখার উপায়

আমাদের সবসময় সচেষ্ট থাকতে হবে, আমাদের সম্পর্ক যেন সবসময় সুন্দর থাকে, ভালো থাকে। আর এই সম্পর্ক সুন্দর রাখা যায় মাত্র কয়েকটি টিপস গ্রহণ করে। সে টিপস গুলো হলো নিম্নরুপ।

  • সব সময় একজন অপরজনের যত্ন নেওয়া।
  • নিঃস্বার্থভাবে ভালবাসা।
  • একজন অপরজনের প্রতি ভালোবাসার দৃষ্টিতে তাকানো।
  • একজন আরেকজনের উপর দোষ না চাপানো।
  • সব সময় নরম সুরে কথা বলা।
  • হাজারো ব্যস্ততার মাঝে, একজন অপরজনের ডাকে সাড়া দেওয়া।

(কৃষি বিষয়ক তথ্য পেতে চাইলে ক্লিক করুন এখানে)

শেষকথা:

আমি আপনাকে নিশ্চিত করে বলে দিতে পারি, আপনি যদি উপরের বিষয়গুলো ভালভাবে পড়ে থাকেন তাহলে আপনার সংসারে কখনোই অশান্তি আসতে পারে না । উপরোক্ত বিষয়গুলো আপনার কাজে লাগলে অবশ্যই দয়াকরে আমাকে কমেন্ট সেকশনে জানাবেন। কোন বিষয়টি আপনার সবচেয়ে বেশি কাজে লেগেছে, সে বিষয়টা উল্লেখ করবেন । আর অনেক কষ্ট করে পড়ার জন্য আপনাকে অনেক, অনেক ধন্যবাদ ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।

আরো পড়ুন:

. সুন্দর কথা বলার কৌশল।

২. গুগলের জানা অজানা নানান তথ্য

৩. স্কুল লাইভ নিয়ে স্ট্যাটাস

৪. গুগলে মানুষ কোন বিষয়ে বেশি সার্চ করে।

About 24 Favor

Check Also

Meeting minutes writing format

Meeting minutes writing format: Who has engaged with NGO job maximum people need writings this …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *