বর্তমানে স্বর্ণের দাম ২০২২

বর্তমানে স্বর্ণের দাম ২০২২: আমরা অনেকেই জানতে চাই বর্তমানে স্বর্ণের দাম কত? কিন্তু প্রয়োজনীয় তথ্য না থাকার কারনে আমরা তা জানতে পারি না।তাই অনেক সময় আমরা এই শখের জীনিস কিনতে গিয়ে ঠকে যাই । আজ আমি আপনাদের এমন কিছু ধারনা দিব, যা আপনাকে আপনার শখের জিনিস ভালভাবে কেনা সহ এর ভিবিন্ন খুটি নাটি বিষয় সম্পের্কে বিস্তারিতভবে জানাবে।

আপনি যদি ভাল মানের স্বর্ণ কিনতে চান তাহলে অবশ্যই আমার এই লেখাটি পড়া দরকার । বর্তমানে স্বর্ণের দাম ২০২২ লেখাটি পড়লে আমি আপনাকে বলে দিতে পারি, আপনাকে কোন ভাবেই দোকানদার ঠকাতে পারবে না। তাই চলুন বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা যাক।

সূচিপত্র

স্বর্ণ কি ?/ স্বর্ণ কাকে বলে?/ সোনা কি?

এই ধারনা করা হয় যে সোনা মানুষ কৃর্তক আবিস্কৃত প্রাচিনতম মৌল পদার্থ। জার্মানির বিখ্যাত সমাজ তত্ত্ববিদ কার্ল মাক্সও তার তথ্যে বলেছেন  সোনা হলো  মানুষের আবিস্কৃত প্রথম ধাতু। যার ব্যবহার মানুষ বহুকাল আগ থেকেই করে আসছে। এর বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য বা ভাল গুনের কারণে এটাকে মানুষ জন তাদের অর্থের মানদন্ড হিসেবেও ব্যবহার করা হয়।

সোনা বা স্বর্ণ হলো একটি হলুদ বর্ণের ধাতপ পদার্থ, যে পদার্থের সাথে মানুষ প্রাচীন কাল থেকেই পরিচিত ছিল। বহু আগে থেকেই এটির বিভিন্ন ভাল বৈশিষ্ট্যর কারনে, এটা মৃল্যবান ধাতু হিসেবে পরিচিত হয়ে আসছে। আর এই সোনার অলংকারের প্রচলন আগেও যেমন ছিল এখনও এর প্রচলন বিদ্যমান।

তাই যদি আমরা সহজ কথায় সোনা বা স্বর্ণ বলতে যা বুঝি, আর তাহলো সোনা হলো একটি হলুদ দামি ধাতপ পদার্থ । যা মানুষ বহুকাল আগ থেকেই ব্যবহার করে আসছে।

স্বর্ণ বা সোনা মাপার হিসাব

আমরা অনেকেই স্বর্ণ বা সোনার  সঠিক হিসাব কি ভাবে করতে হয় তা জানি না। তাই আমরা আপনারা যেন  স্বর্ণের সঠিক হিসাব বুঝতে পারেন, তার জন্য নিচে সোনার হিসাব তুলে ধরা হলো যা নিম্নরুপ।

বাংলাদেশে যে ভাবে সোনার হিসাব করা হয় তাহলো-

  • এখানে  ১ ভরি = ১৬ আনা ধরা হয় ।
  •  যদি আপনি রতি হিসাব করেন তাহলে ১ ভরি = ৯৬ রতি হয় ।
  • আর  ১ আনা = ৬ রতি হিসাব করা হয় ।

বিশ্ব পরিমন্ডলে বা আন্তর্জাতিক ভাবে সোনার যে হিসাব করা হয় তা হলো-

  • প্রতি  ১ আউন্স হিসেবে যা বাংলাদেশের তুলনায়= ২.৪৩০৫ ভরি।
  •  যদি এটাকে গ্রামে হিসাব করা হয় ১ আউন্স = ২৮.৩৪৯৫ গ্রাম।
  • যেটা  ১ ভরি = ০.৪১১৪৩ আউন্স হয় ।
  •  গ্রাম হিসেবে ১ ভরি = ১১.৬৬৩৮ গ্রাম হয়।

স্বর্ণের ক্যারেট/সোনার ক্যারেট চেনার উপায়

যদি আপনি সোনার ক্যারেট চিনতে চান, তাহলে আপনাকে জানতে হবে । সোনার ক্যারেট আসলে কি দ্বারা বুঝানো হয় তার জন্য যা বুঝতে হবে, আর সেটা হলো  (BIS) চিহ্ন। যার দ্বারা স্বর্ণের গুনগত মান বুঝানো হয়। ধরুন আপনি যদি ২২ ক্যারেট সোনা কিনেন তাহলে আপনার সোনার গহনার মধ্যে ২২ কে অথবা ৯১৬ ইংরেজিতে লেখা থাকবে। আর আপনি যদি ২১ ক্যারেট সোনা কেনেন তাহলে ২১ কে বা ৮৭৫ লেখা থাকবে। এভাবেই সহজেই আপনি সোনার ক্যারেট চিনতে পারবেন।

ভাল স্বর্ণ চেনার উপায়/ ভাল সোনা চেনার উপায়/কোন সোনা ভাল?

বর্তমানে স্বর্ণের দাম ২০২২
বর্তমানে স্বর্ণের দাম ২০২২

সোনা কিনতে চান ভাল সোনা চেনেন তো? কি ভাবে ভাল সোনা চেনা যায় জানেন তো? যদি আপনার উত্তর হয় না । তাহলে আপনার জন্য আমাদের এই লেখা । এই লেখাটি পড়লেই আপনি জানতে পারবেন আসল সোনা চেনার উপায়। আজকের পর থেকে আর কেউ আপনাকে ঠকাতে পারবেনা। আপনি নিজেই জেনে নিতে পারবেন আপনার কেনাটি আসল সোনা আর কোন গুলো নকল সোনা।

আমরা অনেকেই জানিনা সোনা মূলত কত ক্যারেটের হয় । আর তাই তাদের উদ্দেশ্য বলতেছি সোনা মৃলত ২৪( এর মানে ৯৯.৯ ভাগ সোনা) ক্যারেটের হয় । কিন্তু আপনি এই সোনা দিয়ে গহনা বানাতে পারবেন না । কারণ এই জাতীয় সোনা অনেক নরম থাকে যার ফলে গয়না তৈরী করা যায় না। আমরা যে গয়না বানানো সোনা দেখতে পাই তাহলো মৃলত ২২ ক্যারেটের বা তার নিচের ক্যারেটেরদস্তা।

আপনি যখন সাধারনত সোনার গহনা কিনতে যাবেন দেখবেন সোনার হলমার্ক (BIS) চিহ্ন গুলো আলাদা আলাদা দেওয়া আছে। যেমন আপনি যদি ২২ ক্যারেটের সোনা কিনতে চান তাহলে দেখবেন এখানে  ৯১৬,২১ ক্যারেট । আপনি যদি ২১ ক্যারেটের সোনা কিনতে চান তাহলে দেখবেন এখানে ৮৭৫,১৮ ক্যারেট দেয়া আছে।

তাই আপনি সোনা কেনার আগে এই সংখ্যা গুলো ভাল করে দেখে সোনা ক্রয় করবেন। এ ছাড়াও আসল সোনা চেনার জন্য আপনি নিম্নোক্ত যে কোন একটি বা প্রয়োজনে একাধিক পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন যা নিম্নে বিস্তারিত ভাবে বর্ণনা করা হলো।

ভাল মানের সোনা চেনার জন্য চুম্বকের ব্যবহার

অনেক সময় সোনার মধ্যে লোহার একটি অংশ মেশানো থাকে । আর  আপনি যদি মনে করেন আপনার কেনা সোনার মধ্যে লোহা মেশানো আছে কিনা? তাহলে আপনার কেনা সোনাটি কোন একটি ভাল চুম্বকের স্পর্সে আনুন দেখবেন যদি সোনার মধ্যে লোহা মেশানো থাকে তাহলে সেটি চুম্বক দ্বারা আকর্ষিত হচ্ছে। আর এভাবেই আপনি ধরে ফেলতে পারবেন আসল না নকল সোনা।

রাসায়নিক এসিড দ্বারা ভাল সোনা যাচাই

আপনি যদি কোন ভাবেই আসল না নকল যাচাই করতে পারছেনা তাহলে এই পদ্ধতিটি আপনার জন্য। বাজারে সোনা পরিক্ষা করার জন্য কিছু রাসায়নিক দ্রব্য( এটি হলো নাইট্রিক এসিড HNO3 ও হাইড্রোক্লোরিক এসিড HCl) পাওয়া যায় যেটা দিয়ে আপনি সোনার মান বা আসল নকল যাচাই করতে পারবেন।

যেমন আপনি যখন আপনার সোনাটি এই এসিডের মধ্যে দিবেন যদি আপনার সোনাটি আসল হয় তাহলে কোন ধরনের বিক্রিয়া ঘটবেনা । আর যদি আপনার সোনাটি নকল হয়ে তাহলে নানা ধরনের বিক্রিয়া দেখা যাবে । এভাবেও আসল নকল চেনা যায়।

ঘামের সংস্পর্শে এনে আসল সোনা চেনার উপায়

এটা খুবই সাধারণ একটা ব্যাপার । আপনার সোনা মান পরিক্ষা করার জন্য আপনার সোনাটি পরিক্ষা করে দেখতে পারেন। আর এর জন্য যে কাজটি করতে হবে তাহলো আপনার গহনাটি যদি আপনার শরীরের ঘামের সাথে গন্ধ হয় কিনা ? যদি আপনার ঘামের কারনে আপনার সোনার গহনাটি গন্ধ আসে, তাহলে বুঝতে হবে এটি আসল সোনা নয়।

আর যদি কোন ভাবেই ঘামের গন্ধ না আসে তাহলেই এটি আসল সোনা হিসেবে বিবেচ্য হবে। আর এভাবেই আপনি খুব সহজেই বুঝে নিতে পারবেন আপনার আসল নকল।

কাপড় দিয়ে সোনা আসল নকল যাচাই

এই পদ্ধতিটিও দ্বারা আমরা সোনা আসল নকল যাচাই করতে পারবো। আপনার সোনা যদি হালকা কাপড় দ্বারা মুষ্টি করে ধরে রাখা হয়,তাহলে কিছুখন পরে  সোনার গহনা বা সোনার মধ্যে এক ধরনের কামড়ের মত দাগ দেখা যাওয়ার কথা। আপনার পরিক্ষার পর যদি এই রকম দেখা যায় তাহলে আপনার কেনা সোনাটি আসল ।

আর যদি এই রকম না দেখা যায় তাহলে বুঝতে হবে আপনার কেনা সোনাটি আসল নয়। এটি হচ্ছে খুবই সাধারন ঘোরোয়া একটি পদ্ধতি আপনি ইচ্ছে করলেই যাচাই করে নিতে পারেন আপনার সোনার আসল নকল ।

কোন দেশের স্বর্ণ যসবচেয়ে ভাল?/ কোন দেশের সোনা ভাল?

আসলে কোন দেশের সোনা ভাল, এ রকম কোন ধরাবাঁধা কথা নেই । আপনি যে কোন দেশ থেকেই সোনা ক্রয় করেনা কেন আপাকে দেখতে হবে সোনার মান। অর্থাৎ আপনি যে সোনাটি ক্রয় করছেন সেটা কোন মানের । সেটা কি ২৪ ক্যারেটের, নাকি সেটা ২২ ক্যারেটের বা তার চেয়েও নিচের মানের এখানে একটা কথা বলে রাখি,

এখানে আমি ক্যারেট উল্লেখ করেছি এটা মূলত সোনার মান নির্ণয় করার জন্য ব্যবহার করা হয়। আপনার সোনার মান ২৪ ক্যারেট থেকে শুরু হয়, যা হচ্ছে সবচেয়ে ভাল সোনা। তবে এটা দ্বারা গহনা হয়না । গহনা বানানো হয় সাধারণত ২২ ক্যারেট থেকে নিচের মানের সোনা দিয়ে। তাই আপনার সোনার মানের উপরই নির্ভর করবে আপনার সোনার মান ভাল মন্দ।

তার পরেও কিছু দেশ আছে যে দেশ গুলো সোনা পরিশোধনের জন্য বিখ্যাত। তার মধ্যো সবচেয়ে নাম করা যে দেশটি হলো সিংগাপুর। এশিয়ার মধ্যো সবচেয়ে ভালভাবে সোনা পরিশোধন করে থাকে। যার ফলে এই দেশের সোন সাধারনত ভাল মানের হয়ে থাকে।

স্বর্ণ কেনার জন্য কি কি বিষয় বিবেচনা করতে হবে?/ সোনা চেনার বিবেচ্য বিষয়

আপনি যদি সোনার গহনা কিংবা সোনার বিস্কিট কিনে ব্যবসা করতে চান, তা হলে অবশ্যেই কেনার আগে যে বিষয় গুলো আপনাকে দেখতে হবে আর তা হলো-

সোনার গায়ে হলমার্ক (BIS) চিহ্ন দেওয়া আছে কিনা

আপনার সোনা মান কতটুকু অর্থাৎ আপনি যে মানের মোনা কিনতে চাচ্ছেন সেই মানের হলমার্ক চিহ্ন দেওয়া আছে কিনা। যদি দেখেন দেওয়া আছে তাহলে বুঝে নিতে হবে আপনার সোনার মান ঠিক আছে। আর যদি এই চিহ্ন না দেওয়া থাকে তাহলে সেই সোনা কেনা যাবেনা কারন এটা আসল সোনা নয় কোননা কোন সমস্য এতে রয়েছে।

সোনার রং পরিবর্তন হয় কিনা

আপনি যে সোনাটি ক্রয় করতেছেন, তা আপনার জন্য ঠিক আছে কিনা, তা দেখার জন্য সোনাটি অন্য কোন ধাতপ পদার্থের সাথে ঘসে দেখতে পারেন। এতে করে যদি তার রং পরিবর্তন হয়, তাহলে বুঝতে হবে এই সোনা ক্রয় করা যাবেনা। আর যদি দেখেন কোন ধরনের রং এর পরিবর্তন হয়না, তাহলে এটা আসল সোনা। আপনি নির্দ্বিধায় এটি ক্রয় করতে পারেন।

সোনা কেনার সময় এর মসৃনতা দেখবেন

আপনি যখন সোনা ক্রয় করবেন দেখতে হবে এর মসৃনতা । কারন সোনার মান যত ভাল হয়, এর মসৃনতার পরিমান ততবৃদ্ধি পায়। আর তাই আপনি যদি পরিক্ষা করে দেখেন, তাহলে দেখবেন ২৪ ক্যারেটের সোনা সবথেকে বেশি মসৃন এর পরেই থাকবে ২২ ক্যারেটের সোনার মসৃনতা । এভাবে যত নিচের দিকে আসবেন মসৃনতা তত কমতে থাকবে।

আর যদি এই বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত না হয় তাহলে বুঝতে হবে আপনার কেনা সোনাটির মধ্যে ঝামেলা আছে। আর এই ধরনের সোনা কেনা থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে।

মরচে পড়া দেখে সোনা কেনা

আপনি যদি কখনো পুরাতন সোনা কিনতে চান। তাহলে দেখতে হবে সেগুলোর মধ্যে কোন প্রকার মরচে পড়া আছে কিনা। যদি দেখেন মরচে পড়া আছে তাহলে বুঝতে হবে এই সোনা গুলো আসল নয়। কারণ আসল সোনায় কখনো মরচে ধরে না। আসল সোন যতদিন বা বছরই পড়ে থাকুক না কেন তার মধ্যে কোন দিনও মরচে পড়বেনা।

স্পেকট্রোমিটার দিয়ে মাপার মাধ্যমে

আধুনিকতার যুগে আপনাকে আর কষ্ট করে বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করতে হবেনা। আপনি যদি সোনা ব্যবহার করার জন্য অথবা ব্যবসা করার জন্য ক্রয় করতে চান, তাহলে আপনার জন্য এই যন্ত্রটি খুবই কার্যকরি । কারণ আপনার সোনার আসল নকল বের করার জন্য আপনি শুধু  এই যন্ত্র দিয়ে সোনা মাপার কাজটি করবেন। তাহলেই দেখবেন আপনার সোনা কেমন তা জানিয়ে দিবে। যেমন কত ক্যারেট কতটুকু খাদ আছে সকল কিছু বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবেন।

ব্যবসা করার জন্য কোন স্বর্ণ ভাল ?

আমরা অনেকেই স্বর্ণ কিনে ব্যবহার করে থাকি, আবার কেউ কেউ সোনা কিনে ব্যবসা করে থাকে বা টাকা ঘরে না রেখে তার পরিবর্তে সোনা কিনে রাখতে চায়। কিন্তু তারা বুঝতে পারেনা কোন ধরনের সোনা তারা কিনে রাখলে তাদের ব্যবসার জন্য ভাল হবে । অনেকের তাই অনেক সময় লাভের চেয়ে ক্ষতির পরিমাণ বেশি হয়ে থাকে। আর আপনার যদি এই ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে আজকের পর থেকে আর এই ধরনের সমস্যা হবেনা। কারন আমি আজকে আপনাকে আসল রহস্য বলে দিব ।

আপনাকে একটি প্রশ্ন করি, আপনার কাছে কোন দ্রব্যটি দামি তামা,লোহা, দস্তা নাকি সোনা? এই প্রশ্নের উত্তরে আপনি অবশ্যই বলবেন সোনার দাম বেশি। আপনি ঠিকই বলেছেন আসলেই সোনার দাম বেশি। এখন যদি আপনি বুঝতে পারেন সোনার দাম বেশি তাহলে আপনার বিষয়টি  বুঝতে সহজ হয়ে গেল।

আপনি যদি ২৪ ক্যারেটের সোনা ক্রয় করেন, তাহলে এর মধ্যে সোনার পরিমান থাকে প্রায় ১০০( ৯৯.৯৯) ভাগ । আপনি যদি ২১ ক্যারেট সোনা ক্রয় করেন তার মধ্যে সোনার পরিমান থাকবে ৯১.৬৭ ভাগ । যদি আপনার সোনাটি হয়  ১৮ ক্যারেটের তাহলে হবে ৭৫ ভাগ সোনা ।

এখন আপনি যদি কোন দোকানে সোনা ক্রয় করতে যান।  আর তা যদি হয় অন্য দ্রব্য দিয়ে মেশানো, তাহলে আপনি কি করবেন? আপনি নিশ্চত তা টাকা দিয়ে কিনতে চাবেন না । আপনি যেমন কিনতে চাবেন না বেজাল সোনা, অন্য লোকও একই অবস্থা।

তাই সকল বিষয় বিবেচনা করলে দেখা যায় আপনি যদি ব্যবসা করতে চান, তাহলে আপনার ২৪ ক্যারেটের সোনা কিনে রাখাই বুুদ্ধি মানের কাজ। কারন আপনি যেহেতু ব্যবসা করার জন্য রাখছেন।

 যদিও ২৪ ক্যারেটের সোনা দিয়ে গহনা বানানো যায়না যদি আপনি গহনা কিনে রাখতে চান তাহলে অবশ্যই ২২ ক্যারেট  এর সোনার গহনা রাখতে হবে।

স্বর্ণের দাম কত / আজকে স্বর্ণের দাম কত?

আপনি যদি সোনা বা স্বর্ণের দাম জানতে চান, তাহলে হয়তবা কেউ আপনাকে কালকের দাম দেখে বলতে পারবে না। কারণ আমরা সবাই জানি সবসময় আন্তর্জাতিক বাজারের দামের উপর নির্ভর করে। বিশ্ব বাজারে যদি কোন কারণে মন্দা দেখা যায় তাহলে সোনার দাম কম হয়। আর বিশ্ব বাজার যদি ভাল হয়, তাহলে সোনার দাম বেশি হয়। তা ছাড়াও সোনার দাম বিভিন্ন কারণে উঠানামা করতে পারে। আর তা হলো যুদ্ধ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ইত্যাদির কারনেও কম বা বেশি হতে পারে। তাই আপনি যদি সোনার প্রতিদিনের দাম জানতে চান তাহলে আপনাকে অনলাইনে সোনার দাম জেনে নিতে হবে।

আজকে সোনার যে দাম তাহলো:-

  • ২২ ক্যারেট সোনা প্রতি ভরি=৭৮,২৭৫ টাকা।
  • ২১ ক্যারেট প্রতি ভরি=৭৪,৭৬৬ টাকা।
  • ১৮ ক্যারেট =৬৪,১৫২ টাকা।

১ ভরি স্বর্ণের দাম

অনেকেই সোনার বিভিন্ন আন্তর্জাতিক  মাপ না জানার কারণে প্রশ্ন করে থাকেন, এক ভরি সোনার দাম কত? তাদের উদ্দেশ্য বলা, আপনার সোনার মানের উপর নির্ভর করবে সোনার দাম । যদি ২২ ক্যারেট হয় তাহলে আপনার ১ ভরি সোনার দাম হবে ৭৮২৭৫ টাকা। আর আপনার সোনা যদি হয় ২১ ক্যারেট তাহলে হবে ৭৪৭৬৬ টাকা। এভাবে আরো নিম্ন মানের হলে দাম কমতে থাকবে।

(আপনি যদি কৃষি বিষয়ক বিভিন্ন আপডেট ভিডিও দেখতে চান, তাহলে আমাদের চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করতে পারেন। আর দেখতে পারেন নতুন নতুন সব আপডেট কৃষি বিষয়ক ভিডিও। আর তার জন্য ক্লিক করুন এখানে)

শেষকথা:

আশাকরি আপনারা সোনার দাম থেকে শুরু করে সকল বিষয়ে পরিস্কার ধারনা পেয়েছেন। এর পরেও যদি আপনাদের এই বিষয়ে কোন কিছু জানার থাকে তাহলে আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন। আমি পরবর্তিতে আপনাদের উত্তর দিব। এছাড়াও আপনারা যদি আরো অন্য কোন কিছু জানতে চান, তাহলেও লিখতে পারেন । আমি আপনাদের চাহিদা মোতাবেক লেখা প্রকাশ করবো ইনশাল্লাহ্। ধন্যবাদ লেখাটি কষ্ট্য করে পড়ার জন্য।

আরো পড়ুন:

. সুন্দর কথা বলার কৌশল।

২. গুগলের জানা অজানা নানান তথ্য

৩. স্কুল লাইভ নিয়ে স্ট্যাটাস

৪. গুগলে মানুষ কোন বিষয়ে বেশি সার্চ করে।

About 24 Favor

Check Also

Meeting minutes writing format

Meeting minutes writing format: Who has engaged with NGO job maximum people need writings this …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *