বিষন্নতা নিয়ে ১0টি উক্তি

বিষন্নতা নিয়ে ১0টি উক্তি: বিষন্নতা হচ্ছে এক প্রকারের রোগ।এটা মানুষের প্রথম অবস্থায় বিভিন্ন কারণে হতে পারে,যেমন

চাকরি হারালে মানুষের বিষন্নতা হতে পারে অথবা প্রেমে ছ্যাকা খাওয়ার পর বিষন্নতা তৈরি হয় ইত্যাদি । এই রকম  আরো

অনেক করণ থাকতে পারে যার কারনে মনুষ বিষন্নতায় ভোগে। যদি কেহ দিনের পর দিন, একই ভাবে বিষন্নতায় ভূগতে

থাকেন তাহলে তরা অবস্থা দিন দিন  অধঃপতনের শেষ প্রান্তে চলে যায়। যার পরিণতি হয় ভয়াবহ।সেখান থেকে ফিরে

আসা তার জন্য কষ্ট কর । আর তাই আমাদের অসুখ বিসুখ হলে যেরকম ডাক্তারের কাছে যাওয়া প্রয়োজন তেমনি এই

রোগ  হলেও আমাদের  মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে যাওয়া প্রয়োজন।আর আপনার সমস্যটি যদি হয় অল্প একটু  তাহলে

আশাকরি  আমাদের বিষন্নতা নিয়ে ১0টি উক্তি লেখাটা  পড়লেই আপনার মন ভাল হয়ে যাবে। আপনি রিপূর্ণ সুস্থ জীবনে

ফিরে আসবেন । আর আপনি যত তাড়াতাড়ি পরিপূর্ণ জীবন ধারায় ফিরে আসবেন তাতে আপনার জন্য ভাল।

বিষন্নতা কি বা অবসাদ কি ?

মানুষ যখন কর্মহীনতা থাকে অথবা কোনো অসুখ বিসুখে থাকে তখন সে বিষন্নতায় ভোগে। এই বিষন্নতা মূলত মানুষের

অভাবের কারণে বেশি পরিলক্ষিত হয়। তাই আমরা যদি বিষন্নতা বা অবসাদ কথাটি সংক্ষিপ্ত আকারে বুঝাতে চাই, তাহলে

বলতে হবে। মানুষ যখন কোন খারাপ একটি অবস্থার সম্মুখীন হয়ে, সব সময় চিন্তামগ্ন থাকে তখন তাকে বিষন্নতা বা

অবসাদ বলে

বিষন্নতার ক্ষতিকর দিক বা অবসাদের ক্ষতিকর দিক কি?

একজন মানুষ যখন দিনের-পর-দিন বিষন্নতা বা অবসাদে ভোগে তখন সে বেশ কিছু ক্ষতিগ্রস্তের সম্মুখীন হয়। আর যে

সকল ক্ষতি হয়ে তার মধ্যে থেকে  উল্লেখযোগ্য সমূহ তুলে ধরা হলো।

  • শরীরে অসুখ-বিসুখ দেখা যায়।
  • আর্থিকভাবে ক্ষতি হয়।
  • মেজাজ খিটখিটে হয়।
  • অকারণে মানুষের সাথে ঝগড়া লাগে।
  • একসময় নিজের ওপর ঘৃনা তৈরি হয়ে আত্মহত্যা করতে পারে।
  • সামাজিক ভাবে মর্যাদা নষ্ট হয়।
  • আত্মীয়স্বজনের কাছে লজ্জা বোধ করে।

বিষন্নতা নিয়ে ১0টি উক্তি  বা অবসাদ নিয়ে  ১০ টি উক্তি

এখানে দেখানো হয়েছে বিষন্নতার ১০ টি উক্তি আর তার বিশ্লেষণ। অর্থাৎ সেই উক্তিগুলোর যে মূলভাব বা উক্তি দ্বারা কি

বুঝানো হয়েছে সে বিষয়টি এখানে পর্যালোচনা করা হয়েছে বিস্তারিত ভাবে যা পড়লে আপনার বিষন্নতা দূর করার জন্য

ওষুধের মত কাজ করবে।  তাই আশা করি আপনার নিচের উক্তি গুলো ভালভাবে পড়বেন এবং আপনার  বিষন্নতা গুলোকে

দূর করে নিবেন খুব সহজেই।

১. হেনরি ওয়াডসওয়ার্থ লংফেলো এর মূল কথা:

’’প্রত্যেক মানুষেরই তার গোপন দুঃখ আছে, যা বিশ্ব জানে না এবং অনেক সময় আমরা একজন মানুষকে ঠান্ডা

বলি যখন সে কেবল দুখী’’

হেনরি ওয়াডসওয়ার্থ লংফেলো এর কথার অর্থ: আপনার যতই দুঃখ থাক তা কখনোই প্রকাশ করতে নাই এর মধ্যে দিয়েই আপনাকে জয় নিশ্চিত করতে হবে।

২.রোলো মে তার বক্তব্যদ্বার নিষন্নতা সম্পের্কে সুন্দর ভাবে ধারনা দিয়েছেণ তার মতে-

’বিষন্নতা হল একটি সুন্দর ভবিষ্যত গঠনে অক্ষমতা’’।

রোলো মে এর কথার অর্থ:- আপনি যদি দিনের পর দিন এই রোগে আক্রান্ত থাকেন তাহলে আপনার দ্বার ভবিষ্যতে কোন উন্নয় বা ভাল কিছু আশা করা যায়না।

৩.ম্যাট লুকাস তার উক্তিতে বলেন –

’’বিষন্নতা এড়াতে চাইলে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন। আর  আমার জন্য অলসতা সবচেয়ে বড় শত্রু’’

ম্যাট লুকাসের উক্তির ব্যাখা:- কাজই পারে আমাদের সকল ধরনের বিষন্নতা থেকে মুক্তি দিতে । করান কাজ একদিকে

যেমন আপনাকে অর্থের যোগান দিবে । অন্য দিকে আপনাকে সবসময় ব্যাস্ত রাখবে । এর সাথে তিনি অলসতা থেকে

পরিত্রান চেয়েছেন কারন দেখা গেছে অলসতাই এই রোগের মূল কাররণ।

৪. পিথাগোরাস তার উক্তিতে বলে-

’’উদ্বেগকে  আমাদের কর্মে চালিত করা উচিত এবং বিষন্নতার দিকে নয়। সে কখনোই মুক্ত নয় যে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না’’

 পিথাগোরাসের কথার তাৎপর্য:  আমরা কাজ করতে গেলে বা সংসারে চলতে গেলে জীবনে উদ্বেগ থাকবে আর সেটাকে

আমাদের কাজে লাগিয়ে সামনে এগিয়ে চলতে হবে। যদি আমরা নিজেকে সেই দিকে নিয়ে যেতে না পারি তাহলে আমাদের

জীবন ব্যর্থ।  এর মূল অর্থ দাড়াঁলো আমার জীবনের নিয়ন্ত্রন আমার হাতে নেই।

৫. লরেন্স ফেরলিংগেটি তার ছোট একটি সুন্দর উক্তি দেন, সেখানে তিনি বলেন- 

’’আমি মনে করি যদি একটি মহান বিষন্নতা থাকে সেখানে কিছু আশা থাকা উচিত’’

লরেন্স ফেরলিংগেটির কথার অর্থ- আমরা বিষন্নতাকে কাজে লাগিয়ে সেখান থেকে ভাল কিছু অর্জন করতে হবে। অর্থ্যৎ

আপনার অবস্থা যতই খারাপ থাক তা থেকে ভাল কিছু শিক্ষা নিয়ে নিজের জীবনে কাজে লাগাতে হবে।

৬. জ্যানেট ফিচ তার ছোট একটি উক্তি করের এই বিষয় নিয়ে আর সেখানে তিনি বলেন-

’’মানুষের জীবনে বিষন্নতা থাকবে, কষ্ট থাকবে এবং রাগও থাকবে আর এই সবগুলোই  মানুষের অংশ’’

জ্যানেট ফিচ এর কথার ভাবার্থ:- মানুষের জীবন হাঁসি কান্না নিয়েই এখানে আপনি ইচ্ছে করলেই একটি বাদ দিয়ে চলতে

পারবেন না । আর এর জন্য আপনি যদি মন খারাপ করে বসে থাকেন তাহলে চলবে না। আপনার জীবনে যতই কষ্ট বা

বিষন্নতা আসুক তাকে বোকাবিলা করেই এগিয়ে যেতে হবে উন্নয়নের দিকে।

৭. মাইকেল গ্রেগার তার উক্তিতে বলেন –

’’মানসিক স্বাস্থ্য শারীরিক স্বাস্থ্যের মতোই গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে ,এবং প্রধানত বিষন্নতা হল সবচেয়ে সাধারণভাবে নির্ণয় করা মানসিক রোগগুলির মধ্যে একটি’’

মাইকেল গ্রেগার তার উক্তি দ্বারা যা বোঝাতে চেয়ে ছেন:- বিষন্নতা হলো এমন একটি রোগ যেটা খুব সহজেই নিরুপন করা

যায়। কিন্তু এটাকে আমরা অন্যান্য শারীরিক রোগের মত  গরুত্বপূর্ণ মনে করি না। আর তাই এই ধরনের রোগ হলে

আমাদের গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন।

৮. জয়েস মায়ার তার বিষন্নতার উক্তিতে বলেন – 

’’প্রতিটি মানুষের জীবনে বিষন্নতা শুরু হয় বিষন্নতা দিয়ে। আর বিষন্নতা যখন আমাদের আত্মায় প্রবল হয়, তখন তা নিরুৎসাহের দিকে নিয়ে যায়’’

জয়েস মায়ার তার কথা দিয়ে যা বোঝাতে চাচ্ছেন:- আসলে মানুষ বুঝতেই পারেনো যে তাদের বিষন্নতায় ভূগতেছে। কারণ

বিষন্নতাই তদেরকে ভয়াবহ মন খারাপের দিকে নিয়ে যায়। যেটা পরবর্তীতে এর পরিণতি হয় অনেক খারাপ।

৯. স্বামী শিবানন্দ সুন্দর ভাবে ব্যাখা করেন তার উক্তিটি সেখানে সে বলেন-

’’আপনার অতীতের ভুল এবং ব্যর্থতাগুলি নিয়ে চিন্তা করবেন না। কারণ এটি কেবল আপনার মনকে দুঃখ, অনুশোচনা এবং বিষন্নতায় পূর্ণ করবে। তবে ভবিষ্যতে তাদের পুনরাবৃত্তি করবেন না’’

তার কথার মূল অর্থ:- স্বামী শিবানন্দের কথার অর্থ হলো জীবনে অনেক হতাশা থাকবে অনেক বিষন্নতা থাকতে পারে । সে

গুলো মনেকরে জীবন থেকে  পিছিয়ে পড়লে চললে হবে না। জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আর এখন যে ধরনের ভূল

হয়েগেছে সেই ধরনের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে একই ধরনের ভূল আর সামনে করা যাবে না।

১০. সােইফুল ইসলাম তার উক্তিতে বলেন –

’’যে কাজ তোমাকে বিষন্নতা বা কষ্টে ফেলে দেয় সেই কাজ টাকেই চ্যালেন্জ নিয়ে করতে থাকো, দেখবো জয় তোমার জন্য অপেক্ষা করছে’’

তার কথার মূল অর্থ–  যে কাজে বেশি কষ্ট  সেই কাজ থেকে সফলতা হবার সম্ভাবনা বেশি। আপনি শুধু একটু ধৈর্য ধারন

করে কাজ করতে থাকুন দেখবেন একদি জয় আপনার কছেই ধরা দিয়েছে।

(আপনি যদি কৃষি বিষয়ক বিভিন্ন ভিডিও দেখতে চান তাহলে আমাদের এই চ্যানেলটি দেখতে পারেন। এখানে আপনি কৃষি

বিষয়ক সকল ভিডিও দেখতে পাবেন)

শেষকথা:

আমরা প্রতিটি লেখার দ্বারা চেষ্টা করি ভাল কিছু দিকনির্দেশনা বা উপকার করতে। আর তাই বিষন্নতা নিয়ে উক্তি গুলো

আপনাদের সেরকমই কাজে লাগবে আশাকরি। এই লেখাটি পড়ার মাধ্যমে আপনার  বিষন্নতার মত বাজে অভ্যাস থেকে

পরিত্রান পান, সুস্থ জীবনযাপন করেন, সুন্দর জীবনযাপন করুন পরিবার-পরিজন নিয়ে সুখে থাকেন। আমাদের লেখা দ্বারা

আপনি উপকৃত হলে অবশ্যই এই বিষয়গুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করবেন।আপনার বন্ধুদের জানিয়ে

দিবেন। আর যদি আমার লেখায় কোনো উন্নয়ন ধরনের উন্নয় করা প্রয়োজন মনে করেন থেকেন অবশ্যই কমেন্ট সেকশনে

লিখবেন। আমরা পরবর্তীতে আমাদের লেখায় সংযুক্ত করবো। যেন আমাদের লেখা আপনাদের কাজে লাগে। ধন্যবাদ

আপনাকে কষ্ট করে  লেখাটি পড়ার জন্য।

আরো পড়ুন:

. সুন্দর কথা বলার কৌশল।

২. গুগলের জানা অজানা নানান তথ্য

৩. স্কুল লাইভ নিয়ে স্ট্যাটাস

৪. গুগলে মানুষ কোন বিষয়ে বেশি সার্চ করে।

About 24 Favor

Check Also

Meeting minutes writing format

Meeting minutes writing format: Who has engaged with NGO job maximum people need writings this …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *