হতাশা নিয়ে ইসলামিক উক্তি

হতাশা নিয়ে ইসলামিক উক্তি : ”জীবন মানেই তো যন্ত্রনা বেঁচে থাকতে বোধয় শেষ হবে না” গানটির সাথে তাল মিলিয়ে বলতে হয় জীবনে চলার পথে থাকে অনেক চড়াই-উৎরাই। আর এসব পার করেই আমাদের চলতে হয়। চলার পথে থাকে  অনেক দুঃখ বেদনা। আর এই সব দুঃখ বেদনা কে পাশ কাটিয়ে জীবনকে নিয়ে যেতে হবে সফলতার দিকে।

জীবনে চলার পথে থাকবে ব্যর্থতা, থাকবে অনেক হতাশা। আর এই হতাশায় যদি কেউ নিজের জীবনকে ভাসিয়ে দেয়, তাহলে জীবনে সাফল্যর চরম লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব নয়। আর এভাবেই মানুষ বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে হতাশায় নিমজ্জিত হবে জেনেই আল্লাহতালা তার কুরআনের বিভিন্ন আয়াতে মানুষকে হতাশ না হওয়ার জন্য বিভিন্ন উৎসাহমূলক অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন।

আর এই সব অনুপ্রেরণা যদি আমরা বারবার পড়ি, তাহলে আমরা হতাশা গুলোকে দূরে সরিয়ে ফেলতে পারব। তাই আসুন আজকের এই লেখা পড়ে জীবন থেকে হতাশা কে দূর করে ফেলি চিরতরে। জীবনকে শুধু সাফল্য দিয়ে  সুখময় করে তুলি। আর এর জন্য আপনাকে হতাশা নিয়ে ইসলামিক উক্তি  প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে।

হতাশা নিয়ে ইসলামিক উক্তি

আমরা অনেক সময় হতাশ হয়ে পড়ি। জীবনে চলার পথে নানান কাজে ব্যার্থতার কারণে জীবনটাকে আমাদের ভিষময় মনে হয়। আর এই সকল হতাশার কারণে আমরা জীবনকে উপভোগ করতে পারিনা। জীবনে নেমে আসে অন্ধকার। এই সময় আমরা পাইনা কোন দিক নির্দেশনা। তখন একটু আশার আলো দেখার জন্য মানুষ খুজতে থাকে নানান উপায়।

তাই আজ আমরা এখানে আলোচনা করবো কিছু ইসলামিক উক্তি যেই উক্তি গুলো আপনাকে দিবে আশার আলো দেখাবে নতুন পথ। যে খান থেকে আপনি পেয়ে যাবেন জীবনের চলার পথের দিক নির্দেশনা।

সূরা আর রুম আয়াত নাম্বার ১২ তে আল্লাহতালা বলেন “ যেদিন কিয়ামত সংঘটিত হবে সেদিন অপরাধীরা হতাশ হয়ে যাবে”

এই হতাশা বিষয়ে একই সূরা রুম এর ৩৬ নং আয়াতে আল্লাহতালা বলেন “ আর যখন আমি মানুষকে রহমত এর স্বাদ আস্বাদন করাই,তারা তাতে আনন্দিত হয় এবং তাদের কৃতকর্মের ফলে যদি তাদেরকে কোন দুর্দশা পায় তবে তারা হতাশ হয়ে পরে”

হতাশার বিষয়ে আল্লাহতালা তার বিভিন্ন আয়াতে বলেন এর মধ্যে সুরা ১৭ ইসরা আয়াত ৮৩ তে বলা হয় যার বাংলা অর্থ ” আমি যখন মানুষকে নিয়ামত দান করি,তখন সে মুখ ফিরিয়ে নেয় ও পাশ কাটিয়ে যায় । আর যদি কোনো অনিষ্ট তাকে স্পর্শ করে, তখন সে হতাশ হয়ে পড়ে”

সবার জীবনেই কম বেশি হতাশা থাকে আর এই হতাশা কাটিয়ে উঠার জন্য আল্লাহতালা দেখিয়েছেন আমাদের বিভিন্নভাবে দিকনির্দেশনা। আরে এই হতাশা নিয়ে সুরা ৩৯ জুমার আয়াত ৫৩ তে বলা হয়েছে যার বাংলা অর্থ “ বলো, হে আমার বান্দাগন!তোমার যারা নিজেদের প্রতি অবিচার করেছ, তোমরা আল্লাহর অনুগ্রহ থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয়িই আল্লাহ সকল গুনাহ ক্ষমা করে দেন। নিশ্চয় তিনি অতি ক্ষমাশীল পরম দয়ালু”

জীবনকে সহজ সরল ভাবে চলার জন্য কুরআনপাকের বিভিন্ন আয়াতে আল্লাহতালা দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। এই নির্দেশনা দেখে যেন আমাদের জীবন চলার পথ সহজ হয় । সুরা ৩ আলে ইমরান আয়াত -২০০ তে আল্লাহতালা বলেন “ হে ইমানদারগন!তোমরা ধৈর্য ধারণ করো এবং দৃঢ়তা অবলম্বন করো আর আল্লহকে ভয় করো, যাতে তোমরা সফল হতে পারো”

হতাশা দূর করার উপায় / হতাশা দূর করার কিছু কথা

জীবনে অনেক হতাশা অনেক ব্যর্থতাকে অনেক সময় বরণ করতে হয়। কেউ কেউ আবার  এই সব হতাশা ও ব্যর্থতার মধ্য দিয়েই পার করেন তাদের জীবন। আমাদের জীবনেও থাকবে হতাশা থাকবে ব্যর্থতা। আর এই সকল হতাশাকে মোকাবেলা করতে হবে খুবই সাবধানতার সাথে। ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় অনেকেই এই হতাশাকে মেনে না নিয়ে মৃত্যুকে বরণ করে নিয়েছে।

বেছে নিয়েছে আত্মহত্যার মত কঠিন সিদ্ধান্ত। আমরা কেউ চাই না এই অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু। আমরা সবাই চাই সুন্দর এই পৃথিবীতে নিজের মত করে সুন্দরভাবে বাঁচতে। আর তাই আসুন আমরা সবাই নিজের হতাশা গুলোকে দূর করে নেই কিছু উক্তি পড়ার মাধ্যমে। যে উক্তি গুলো পড়লে আপনার মনের মধ্যে সাহস যোগাবে,

আপনি আশা দেখবেন নতুন করে বাঁচার। আপনার মনের মধ্যে স্বপ্ন জাগবে  এবং আপনি বলতে বাধ্য হবেন হতাশা নয় আশা নিয়ে বাঁচতে চাই।

পথিক তুমি পথ হাড়া
তাহলে পথ খুঁজো 
পেয়ে যাবে পথের খোঁজ।
যেতে পারবে তোমার গন্তব্যে। 

 

কোন সময় উপরের মানুষ গুলো দেখে
নিজের সুখ চিন্তা করো না।
একবার তোমার নিচের দিকে লক্ষ্য করো
দেখবে তাদের অবস্থা তুমার থেকে খারাপ।

 

যখন খুব হতাশায় থাকবে 
তখন খোলা আকাঁশের নিচে গিয়ে
চেয়ে দেখ পৃথিবী কত বিশাল।
আর এই বিশাল পৃথিবীতে তোমর সমস্যা 
তেমন কোন সমস্যাই নয়। 

 

যখন কেউ জীবনে হতাশাকে মেনে নিল
তখন যেন সে নিজেই নিজের 
ব্যর্থতাকে মেনে নিল। 
কারণ হতাশার পরের ধাপই ব্যর্থতা।

 

যে ভাবেই বেঁচে আছো 
এটাই হচ্ছে সৃষ্টিকর্তার দেয়া
সবচেয়ে বড় নিয়ামত।
তুমার আমার মত অনেক লোক
আজ কবর বাসি।

হতাশা দূর করার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস

যখন কেউ হতাশ হয়ে পড়ে, তখন আবার কেউ কেউ চায় তার এই দুঃখের কখা গুলো সবাইকে জানাতে । আর বর্তমানে এই জানানোর কাজটাকে সহজ করে দিয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো । যেখানে শেয়ার করলে মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়বে । আর তাই বিভিন্ন সময় অনেক বিষয় নিয়েই সমাজিক যোগযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়ে থাকি।

আর এর একটি অংশ হচ্ছে, কম বয়সী তরুন তরুনী থেকে শুরু করে মাঝ বয়সি নারী পুরুষ। তাই এই সময় আমরা খোঁজ করে থাকি বিভিন্ন স্ট্যাটাস যে গুলো আমরা সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করার মাধ্যমে  নিজের হাতাশা টাকে শেয়ার করতে পারি। যাতে করে আমাদের  হতাশার পরিমাণ একটু কম হয়, দুঃখ গুলো দূরে ফেলে দেয়ার চেষ্টা করি।

আর তাই এখানে থাকছে তাদের জন্য খুব সুন্দর সুন্দর স্ট্যাটাস যেগুলো শেয়ার করার মাধ্যমে দূর করতে পারবেন আপনার মনের হতাশা। আর তাই  এখান থেকে বেঁচেনিন আপনার পছন্দের স্ট্যাটাসটি।

জীবনের দুঃখ্য গুলোকে 
বেলুনে ভড়ে উড়ি দিলাম
আমার কাছে যেন আর 
কোন দিন না আসতে পারে।

 

আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন
আমি যেন ভাল থাকতে পারি।

 

হতাশা নয় কষ্ট করে বেঁচে থাকতে চাই।
জীবনে দুঃখ নয় আনন্দ চাই।
কারো অবহেলা নয়।
সন্মান নিয়ে বাঁচতে চাই।

হতাশা দূর করার মন্ত্র শিখেছি
আর তাহলো সবসময়
নিজেকে সুখি মনে করা।
এটাই মূল মন্ত্র আজকে বলে দিলাম।

 

মনের দুঃখ গুলোকে কাউকে বলব না
হতাশা আর কাউকে দেখাবো না ।
শুধু একজনকে ডেকে বলব।
সে হচ্ছে মহান সৃষ্টিকর্তা  আল্লাহ রাব্বুল আলামীন।

 

শেষ উপদেশ

সবশেষে একটি কথাই বলতে চাই জীবনে অনেক ভাল সময় এবং অনেক খারাপ সময় পার করতে হবে। কিন্ত কোন সময়ের জন্য নিজেকে হারিয়ে ফেলা যাবেনা। জীবনকে এগিয়ে নিতে হবে প্রতিটা ঘাত প্রতিঘাতের মধ্যদিয়ে। সব সময় চেষ্টা করতে হবে নিজেকে হতাশা থেকে মুক্ত রাখতে । আর এই কাজটা অনেক কষ্ট তার পরেও বারবার চেষ্টা করতে হবে।

তবেই আপনার জীবনে সফলতা আসবে। আপনার জীবনে সর্বোচ্চ সফলতা আসুক এই প্রত্যাশানিয়েই শেষ করবো আজকের লেখা। যদি আপনাদের এই লেখাটি ভাল লেগে থাকে তবে আমাকে কমেন্টস্ করে জানাবে। ধন্যবাদ লেখাটি কষ্ট করে পড়ার জন্য।

(কৃষি বিষয়ক বিভিন্ন ভিডিও দেখতে চাইলে। দেখতে পারেন আমাদের এই চ্যানেলে । আর এর জন্য ক্লিক করুন এখানে।)

আরো পড়ুন-

১. কাজু বাদাম খাওয়ার উপকারিতা

২. মধু খাওয়ার উপকারিতা

. জীবন নিয়ে উক্তি

About 24 Favor

Check Also

বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা এসএমএস কবিতা উক্তি ছবি

Pohela Boishakh and Bangali new year: চৈত্র মাসের শেষ হতে না হতেই সবার মাঝে জেগে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *