বেকারত্ব দূর করার ১০টি সহজ উপায়

বেকারত্ব দূর করার ১০টি সহজ উপায়: বেকারত্ব নতুন কোন সমস্যা নয়। বহুকাল ধরেই এই সমস্যাটি ভারতবর্ষে

ব্যাপকহারে পরিলক্ষিত হয়। আমাদের দেশেও প্রতিবছরই পুরাতন বেকারদের এর সাথে যুক্ত হচ্ছে নতুন বেকার যুবকদের।

এখানে বেশিরভাগ বেকারত্বই হচ্ছে শিক্ষিত বেকার যুবক। যারা সদ্য লেখাপড়া শেষ করে বের হয়ে আসে তাদের সংখ্যাই বেশি পরিলক্ষিত হয়।

বাংলাদেশের ২০০২ থেকে ২০০৩ এবং ২০০৫ থেকে ২০০৬ এক জরিপে দেখা গেছে বাংলাদেশে শ্রম শক্তি ৫ কোটি ৬৩

লাখ ও ৪ কোটি ৯৫ লাখ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০১৬-১৭ জরিপ মতে, বেকার সংখ্যা ৪ কোটি ৮২ লক্ষ ৮০ হাজার।

তাই এই বেকার সমস্যার সমাধান কল্পে আমি আজকের এই লেখাটি লিখেছি । আপনারা যারা এই লেখাটি পড়বেন আমি

আপনাদের নিশ্চিত বলে দিতে পারি, আপনি এই লেখাটা পড়ার পর আর বেকার থাকবেন না। মুছে যাবে আপনার বেকারত্ব।

আপনি যদি সত্যিই নিজেকে বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্ত দেখতে চান তাহলে আপনি পারবেন বেকারত্ব সমস্যা

সমাধান করার জন্য। তো চলুন আমরা কিছু টিপস অনুসরন করি, যে টিপস গুলো আমাদের বেকারত্ব সমস্যা সমাধান দিবে।

সূচিপত্র

বেকারত্ব সমস্যা কি?

বেকারত্ব সমস্যা সমাধানের আগে আমাদের জানা উচিত আসলে বেকারত্ব কি? আমরা অনেক সময় কাজ থাকা সতেও

কাজ করি না, এটা আসলে বেকারত্ব নয়। সেটা আমাদের অলসতা বা আমাদের কাজের প্রতি অনিহা। আমাদের অলসতার

কারণেই আমরা কাজ করি না। বেকারত্ব বলতে আমরা সেই অবস্থাকে বুঝি যেখানে একজন মানুষের কাজ করার ইচ্ছা

শক্তি ও সামর্থ্য সবই আছে কিন্তু সে তার যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ পাচ্ছে না ।

অর্থাৎ কাজের এসকল যোগ্যতা থাকাসত্ত্বেও সে তার যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ পাচ্ছে না বা কোন ধরনের কাজে সে নিজেকে

নিযুক্ত করতে পারতেছে না এই অবস্থাকেই মূলত আমরা বেকারত্ব সমস্যা বলে থাকে।

বেকারত্ব দূর করার ১০টি সহজ উপায়

আপনি কি শিক্ষিত অথবা অশিক্ষিত? যাই হোন না কেন। আপনি কি বেকার এর মত অভিশাপে ভূগছেন? তাহলে এই লেখা

টি আপনার জন্য। আমি আপনাদেরকে এমন ১০ উপায় এখানে বলে দিব, যে উপায় গুলো অনুসরণ করলে আপনি

বেকারের মত সমস্যা থেকে মুক্ত হতে পারবেন। আপনি বেকার সমস্যা কে চিরতরে গুডবাই জানাতে পারেন।

এই ক্ষেত্রে আপনাকে শুধু অনুরোধ করছি আপনি এই লেখা টি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন, এবং নিজের জীবনের সাথে মিলিয়ে

নিন।আপনি যে ধরনের সমস্যায় ভুগছেন আমাদের এই লেখা দ্বারা আপনার সেই সমস্যাটি সমাধান হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ।

কারণ বেকার সমস্যা সবারই একই রকম শুধু দেশ জাতি হিসেবে ভিন্নতা থাকে।

কিন্তু মূল সমস্যার ধরণ একই। তাই আপনি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন দেখবেন আপনার জীবনের সাথে মিলে যাবে ,

এবং আপনি এই ১০ টি উপায় ফলো করে আপনার সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করুন।

১.বেকারত্ব দূর করতে সৃষ্টিকর্তার উপর ভরসা রাখুন

আপনি যদি বেকার হয়ে থাকেন. কখনো সৃষ্টিকর্তার ওপর থেকে নিরাশ হবেন না। কারণ সবকিছু মন্দের পরে আসে ভাল।

আর কাল রাত্রের পর আসে দিনের। অন্ধকারের পরে আশে আলো। তাই সৃষ্টিকর্তা আপনার জন্য ভালো কিছু রেখেছেন সব

সময়  তার ওপর বিশ্বাস রাখুন। দেখবেন একদিন আপনার বেকারত্ব সমস্যা সমাধান হবে। এর জন্য কখনো নিরাশ হবেন না।

২.বেকারত্ব দূর করতে সঠিক পরিকল্পনা করুন

সঠিক পরিকল্পনার অভাবে আমরা আমাদের বেকার সমস্যার সমাধান করতে পারি না। অর্থাৎ আমরা যদি বেকার হওয়ার

আগেই আমাদের বেকার সমস্যার সমাধান নিয়ে চিন্তা করতাম। পরিকল্পনা করে রাখতাম আমরা আমাদের বেকার সমস্যার

জন্য যেমন কি কি পদক্ষেপ নিতে পারি? কীভাবে পদক্ষেপ নিতে পারি ?

কিভাবে আমার বেকার সমস্যার সমাধান করতে পারি? এভাবে বিস্তারিতভাবে সুন্দর একটি পরিকল্পনা করলে কখনোই

আমাদের বেকারত্ব স্পর্শ করতে পারতো না।

৩.বেকারত্ব দূর করতে নিজের উপর আত্ববিশ্বাস রাখুন

বিশ্বাস হচ্ছে বেকারত্ব দূর করনের মূল শক্তি। কারণ আপনি যদি আপনার নিজের উপরে বিশ্বাস না রাখেন, তাহলে অন্যরা

আপনার উপরে কিভাবে বিশ্বাস করবে? কিভাবে বিশ্বাস করে আপনাকে একটি দায়িত্ব দেবেন। তাই সব সময় নিজের

উপরে বিশ্বাস রাখুন। সেই বিশ্বাসের শক্তি নিয়ে এগিয়ে যান, দেখবেন আপনার বেকারত্ব দূর হয়ে যাবে।

৪.বেকারত্ব দূর করতে দক্ষতা অর্জন করুন

দক্ষতা বা অভিজ্ঞতা ছাড়া কেউ আপনাকে কোন কাজ দিবে না । তাই আপনি যদি মনে করেন আপনার বেকার সমস্যার

সমাধান চান। তাহলে আপনি যে কাজ করে আপনার বেকার সমস্যার সমাধান চান। সেই কাজের উপর প্রয়োজনীয় দক্ষতা

অর্জন করুন।  দেখবেন দক্ষ হবার পরে  আপনার চাকরির অভাব হবে না।

৫.বেকারত্ব দূর করতে কোন কাজকেই ছোট করে দেখা যাবেনা।

আমরা অনেকেই ছোট কাজ কে অবহেলা করে থাকি । ছোট কাজকে কাজই মনে করিনা। আমরা মনে করি আমরা

শিক্ষিত মানুষ এই ছোট কাজ কিভাবে করব? আর এভাবেই আমরা আমাদের বেকারত্ব সমস্যাকে, সমস্যা না মনে করে

ফুলের মালা হিসেবে গলায় ঝুলিয়ে রাখি দিনের পর দিন।

আর তাই আপনাদের উদ্দেশ্যে বলতেছি যারা এই রোগে ভুগতেছেন। কোন কাজকেই ছোট মনে করবেন না। কারণ সেই

ছোট কাজই হতে পারে আপনার সাফল্যের জন্য অনেক বড় মাধ্যম। তাই আজকেই যেকোনো কাজে নিজেকে

আত্মনিয়োগের মাধ্যমে আপনার সমস্যার সমাধান করুন।

৬.বেকারত্ব দূর করতে প্রচুর ধৈর্যধারন করুন

আমরা যে কোন কাজ শুরু করে দিয়েই তা থেকে ফল আশা করি। আমাদের ধৈর্য যেন একদমই নেই। যারা আমার মত এই

সমস্যায় ভোগেন, তাদের উদ্দেশ্য করে বলতেছি । কোন কাজেই সহজে ফল আসেনা। ধরুন আপনি যদি গাছ থেকে ফল

খাওয়ার আশা করেন সেই ফলের জন্যও অপেক্ষা করতে হবে দুই থেকে তিন মাস।

আর আপনি কাজ করেই ফল পাবেন এরকম আশা করা একদমই ভুল। তাই ধৈর্য সহকারে কাজ করে যান, ফল পাবেন

এতে কোন সন্দেহ নাই। যে কোন কাজেই আপনাকে ধরতে হবে প্রচুর ধৈর্য।

৭.বেকারত্ব দূর করতে কঠোর পরিশ্রম করুন

কথায় আছে পরিশ্রমে ধন আনে। আসলেই এই কথাটি একদম সত্যি। আপনি যদি প্রচুর পরিশ্রম করেন এবং সেটা যত

ছোট কাজই হোক। সে কাজে আপনি সাফল্য পাবেন। কারণ যারা পরিশ্রম করে তারা কখনো বিফল হয় না। আর এ জন্যই

বলা হয়েছে পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি ।

আপনি যদি আজকেই নিজেকে প্রচুর পরিশ্রম করার জন্য প্রস্তুত করে থাকেন, তাহলে আমি আপনাকে ১০০ ভাগ গ্যারান্টি

দিতে পারি। আপনার বেকারত্ব দূর হয়ে গেছে । শুধু এই পরিশ্রম করার মনোভাব পোষণ করে পরিশ্রম শুরু করে দেওয়ার

মাধ্যমে।

৮.বেকারত্ব দূর করতে নিজেকে সবসময় আপডেট রাখুন

বর্তমান যুগ বিজ্ঞানের যুগ। তাই আপনাকেও যুগের সাথে সাথে নিজেকে পরিবর্তন করে নিতে হবে। করতে হবে নিজেকে

আপডেট। আপনি যদি সেই আগেকার মতোই থেকে যান , বর্তমান যুগের জিনিসপত্র ব্যবহার করতে না শিখেন তাহলে

চাকরির বাজার আপনার জন্য ছোট হয়ে যাবে।

যেমন ধরুন আপনি যদি বর্তমান সময়ে কম্পিউটার এবং ইংলিশ না জানেন তাহলে আপনি কোন ভাল জায়গায় কোন

ভাবেই চাকরি করতে পারবেন না। তাই আপনাকে বর্তমান সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য কম্পিউটার, এবং

ইংরেজী জানা থাকতে হবে। এটা একটি উদাহরণ মাত্র এভাবে সব সময় নিজেকে বর্তমান সময়ের আপডেট রাখতে হবে।

৯.বেকারত্ব দূর করতে সঠিক জায়গা নির্বাচনকরুন

আপনার বেকার সমস্যা সমাধানের জন্য সঠিক জায়গা নির্বাচন করতে হবে। কারণ আমরা অনেক সময় সঠিক জায়গায়

নির্বাচন না করার কারণে আমাদের বেকার সমস্যা থেকেই যায়। যেমন ধরুন আপনি যে কাজটি করলে সফলতা পাবেন,

এবং যে কাজের উপর আপনার দক্ষতা আছে।

সেই দক্ষতা অনুযায়ী সেই জায়গায় গিয়ে আপনার কাজটি করা উচিত। তবেই আপনার সমস্যার সমাধান হবে। অন্যথায়

আপনার বেকার সমস্যা সহ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে অনেক বেশি।

১০.বেকারত্ব দূর করতে সঠিক কাজ নির্বাচনকরুন

যখন আমরা বেকার থাকি, তখন বুঝতে পারিনা কোন কাজটি করলে আমাদের বেকার সমস্যার সমাধান হবে। তখন এ

সমস্যাটি আমাদের জন্য প্রকট আকার ধারণ করে । এই জন্য আমাদের উচিত আগে থেকেই চিন্তাভাবনা করা, কোন

কাজের উপর আমার দক্ষতা আছে? কোন কাজ করতে আমার ভালো লাগে?

কোন কাজকে আমি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ বা পছন্দ করি? এভাবে আপনি যদি আপনার মনের সাথে আলোচনা ক্রমে সঠিক

কাজ নির্বাচন করেন। সেই অনুযায়ী আপনি কর্ম পরিকল্পনা করেন তাহলেই আপনার বেকার সমস্যা খুব সহজেই সমাধান হবে।

বেকারত্ব কমানোর উপায় অথবা বেকারত্ব সমস্যা ও তার প্রতিকার

বাংলাদেশ একটি অনুন্নত দেশ। যদিও বিভিন্ন মাধ্যমে বলা হচ্ছে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ, কিন্তু এখনও আমরা

উন্নয়নশীল দেশের সেই সুফল ভোগ করতে পারেনি। আমাদের দেশে রয়েছে প্রচুর শিক্ষিত-অশিক্ষিত বেকার যুবক যুবতীর

সংখ্যা । আর এই বেকার সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে । প্রতিবছরই যোগ হচ্ছে নতুন শিক্ষিত-অশিক্ষিত বেকারের পরিমান।

আর এই বেকার সমস্যা সমাধানের জন্য একদিকে যেমন সরকারের ভূমিকা রয়েছে, অন্যদিকে আমাদেরও রয়েছে অনেক

গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা । সরকার যেমন তার সহকারী বাজেটে বেকার সমস্যা সমাধানের জন্য নিতে পারে বিভিন্ন পদক্ষেপ,

তেমনি একজন যুবক তার লেখাপড়া অবস্থা থেকেই পরিকল্পনা করতে পারে বেকার সমস্যার সমাধানের।

আর এর জন্য সে যদি গ্রহণ করে বিভিন্ন কর্ম মুখি প্রশিক্ষণ তাহলে সে যদি, কোন ভাবে চাকরি না পায়, সে ক্ষেত্রে সে যেন

বেকার না থাকে। সে যেন এই বাস্তব অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে তার বেকার সমস্যার সমাধান করতে পারে। তাই আসুন

আমরা শুধু সরকারের দিকে তাকিয়ে না থেকে নিজেরাও বিভিন্নভাবে উদ্যোগ নেই ।

নিজের কিভাবে বেকার সমস্যার সমাধান হয়, একই সাথে আরো কিছু লোকের বেকার সমস্যার সমাধান করা যায়। এ ছাড়াও

আরো কিছু পদক্ষেপের মাধ্যমে বেকার সমস্যার সমাধান করা যায় আর তা হলো নিম্নরুপ।

  • সরকারিভাবে বিভিন্ন কলকারখানা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে।
  • ভালোভাবে প্রশিক্ষণ দিয়ে বিদেশে শ্রমশক্তির রপ্তানি করে।
  • সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে খালি কোটায় নিয়োগ দিয়ে।
  • সরকারের নতুন নতুন সেবামূলক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে।
  • ব্যক্তিগত উদ্যোগে বিদেশে অর্থপাচার না করে, দেশেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে।
  • চাকরির উপর নির্ভরশীল না হয়ে নিজ নিজ উদ্যোগে বিভিন্ন কাজে নিজেকে নিয়োজিত করার মাধ্যমে।

দেশের বেকারত্ব সমস্যা/বাংলাদেশের বেকার সমস্যা সমাধানের উপায়

বাংলাদেশে রয়েছে প্রচুর বেকার সমস্যা । আর এই সমস্যা দিন দিন আরো প্রকট হয়ে দেখা দিচ্ছে। যদিও এই সমস্যা

সমাধান কল্পে বিভিন্নভাবে, বিভিন্ন সময় চেষ্টা করা হয়েছিল, কিন্তু বর্তমানে কোভিট-১৯ এর সময় থেকে বর্তমান পর্যন্ত এই

সমস্যা দেখা দিয়েছে আরও প্রকট  আকারে।

এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে কয়েকগুণে। আর তাই  এই সমস্যা সমাধানের জন্য বর্তমান সরকার বিভিন্নভাবে চেষ্টা করে

যাচ্ছে, তার বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের জনগন হিসেবে   আমাদেরও রয়েছে বেশ কিছু দায়িত্ব। আসুন

আমরা সবাই মিলে এই সমস্যার সমাধান করি। আর তার জন্য আমরা নিম্ন লিখিত পদক্ষেপ গুলো গ্রহণ করি।

  • শিক্ষা ব্যবস্থাকে কর্মমুখি করা।
  • সরকারি ভাবে শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা।
  • নতুন নতুন দেশে লোক পাঠানো।
  • ব্যক্তিগত উদ্যোগে কলকারখানা গড়ে তোলা।

বেকারত্ব দূরীকরণে আউটসোর্সিং এর ভূমিকা

বেকার সমস্যা সমাধানে আউটসোর্সিং হতে পারে অন্যতম একটি হাতিয়ার। কোভিট-১৯ এর কারণে অনেক লোক বর্তমানে

বেকার হয়ে বসে আছে ঘরে।  কিন্তু থেমে নেই পৃথিবী, থেমে নেই আপনার পরিবারের খরচ। আর তাই আপনি সহজেই ঘরে

বসে কিভাবে কাজ করতে পারেন তার জন্য আপনি চিন্তা করতে পারেন। আর এর জন্য অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে

আউটসোর্সিং।

পৃথিবীতে সবাই বিকল্প কোনো না কোনো কাজ খুঁজে বেড়াচ্ছেন, আর তাই আপনার জন্য আউটসোর্সিং হতে পারে বিকল্প

আয়ের মাধ্যম। যার সাহায্যে আপনি ঘরে বসে সহজেই কাজ করতে পারবেন, পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তের

মানুষের জন্য। আসুন আউটসোর্সিং কাজের মাধ্যমে আমরা আমাদের নিজেদের বেকার সমস্যা সমাধান করি।

আর এর জন্য আপনার প্রয়োজন অল্প একটু কম্পিউটার জ্ঞান, এবং আউটসোর্সিং সম্পর্কে ধারণা । এতে করে আপনি

মুছে দিতে পারেন আপনার বেকার সমস্যা।

বেকারত্ব সমস্যা সমাধানে সরকারের ভূমিকা

এই সমস্যা সমাধানে সরকারের রয়েছে ব্যাপক ভূমিকা। কারণ একটি দেশের সরকারই পারে তারা দেশের জনগণের জন্য

কাজের সংস্থান করতে। কারণ সরকারের অনেক রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা আছে, যে ক্ষমতাবলে সরকার তার দেশের জনগণের জন্য

কাজের ব্যবস্থা করতে পারেন।

এছাড়াও সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে লোক নিয়োগ প্রদানের মাধ্যমে বেকার সমস্যার সমাধান করতে পারেন। এছাড়াও রয়েছে

সরকারের বিভিন্ন কল কারখানার যে খানে উৎপাদন বৃদ্ধি করে. সেগুলো বিদেশে রপ্তানী করে একদিকে যেমন বৈদেশিক

মুদ্রা অর্জন করতে পারে, অন্যদিকে দেশের বেকার সমস্যা সমাধান করতে পারে।

এভাবে সরকার তাদের বাজেটের একটা নির্দিষ্ট অংশ বেকার সমস্যার সমাধান কল্পে রেখে সেই বাজেটের টাকা দিয়ে দেশের

জনগণের জন্য বেকার সমস্যার সমাধান করতে পারে।

বেকারত্ব দূর করার আমল/বেকারত্ব সমস্যা সমাধানে ইসলামী বিভিন্ন আলোচনা

আপনি যদি চাকরি পেতে চান তাহলে নিম্নোক্ত দোয়াটি পড়তে পারেন তাহলে দেখবেন আল্লাহতালার মেহেরবানিতে

আপনার কয়েকদিনের মধ্যেই চাকরি হয়ে গেছে।

চাকরি পাওয়ার জন্য নিম্নোক্ত দোয়াটি পবিত্র কোরআনে উল্লেখ আছে-
فَسَقَىٰ لَهُمَا ثُمَّ تَوَلَّىٰٓ إِلَى ٱلظِّلِّ فَقَالَ رَبِّ إِنِّى لِمَآ أَنزَلْتَ إِلَىَّ مِنْ خَيْرٍۢ فَقِيرٌ

উচ্চারণ: ফাসাক্বা লাহুমা ছুম্মা তাওয়াল্লা ইলাজজিল্লি ফাক্বালা রাব্বি ইন্নি লিমা আংযালতা ইলাইয়্যা মিন খায়রিং ফাক্বির।

অর্থ: তখন মুসা তাদের পক্ষে (পশুগুলোকে) পানি পান করিয়ে দিল। তার পর ছায়ায় ফিরে গেল এবং বলল— ‘হে আমার রব, নিশ্চয়ই আপনি আমার প্রতি যে অনুগ্রহই নাজিল করবেন, আমি তার মুখাপেক্ষী’। (সুরা কাসাস: ২৪)

আল্লাহ কুরআনে ইরশাদ করেছেন, কষ্টের সাথেই তো স্বস্তি আছে। অবশ্য কষ্টের সাথেই স্বস্তি আছে। (সূরা ইনশিরাহ-৫, ৬)
সুতরাং হতাশ না হয়ে বিশ্বাস রাখুন; বিপদ দূর হয়ে শান্তি আসবে।

কুরআন কারিমে আল্লাহ এরশাদ করেন, সালাত সমাপ্ত হলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ো এবং আল্লাহর ফজল অনুসন্ধান করো। (সূরা জুমুআ-৯) মুফাসসিরে কেরাম বলেন, এ আয়াতে ‘ফজল’ দ্বারা ব্যবসা-বাণিজ্যের মাধ্যমে রিজিক সংগ্রহ করাকে বুঝানো হয়েছে।

এক হাদিসে আমাদের প্রিয় নবী বলেছেন, হালাল রিজিক উপার্জন করা অপরাপর ফরজ কাজের পর আরেকটি ফরজ কাজ। (মু’জামে কাবির-তাবারানি, হাদিস : ৯৯৯৩)

আল্লাহ তায়ালা কুরআন কারিমে ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ তায়ালা কোনো সম্প্রদায়ের অবস্থা পরিবর্তন করেন না, যতক্ষণ না তারা নিজ অবস্থা নিজে পরিবর্তন করে। (সূরা রা’দ-১১) আরেক আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি কষ্টসহিষ্ণু করে। (সূরা বালাদ-৪)

বেকারত্ব সমস্যার সমাধান নিয়ে প্রিয় নবীজির একটি গল্প

 নবীজী সা: সাহাবিদের মজলিসে বসা ছিলেন। এমন সময় একজন গরিব সাহাবি সেখানে হাজির হলেন। তার কাছে কিছু ভিক্ষা চাইলেন। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমার ঘরে কি কিছুই নেই?’ আনসারি বললেন, ‘শুধু নিম্নমানের একটা কম্বল আর একটা কাঠের পেয়ালা আছে। কম্বলের একদিক আমরা বিছাই এবং একদিক গায়ে জড়াই। আর কাঠের পেয়ালাটা পানি পান করার কাজে ব্যবহার করি।’

‘যাও, সেই দুটি আমার কাছে আনো।’ প্রিয়নবী সা: সাহাবিকে হুকুম দিলেন। কিছুক্ষণের মধ্যে সাহাবি কম্বল ও কাঠের পেয়ালা এনে প্রিয়নবীর সামনে রাখলেন। প্রিয়নবী সা: সে দুটি হাতে তুলে নিলেন। তিনি জিনিস দুটি নিলাম করলেন। ‘কে কিনবে এই জিনিস দুটি?’ তিনি আওয়াজ দিলেন। ‘আমি, হে আল্লাহর রাসূল! আমি এ দুটি জিনিস এক দিরহামে কিনে নিতে চাই।’ বললেন একজন সাহাবি।

‘কে এক দিরহামের বেশি দাম দিতে পারে।’ দু’বার, তিনবার প্রিয়নবী সা: আওয়াজ দিতে থাকলেন। ‘আমি দুই দিরহামে নিতে পারি।’ আরেকজন সাহাবি বলে উঠলেন।

তিনি দুই দিরহামের বিনিময়ে কম্বল ও পেয়ালাটি বিক্রি করে দিলেন। দিরহাম দুটি দিয়ে বললেন, যাও, এক দিরহাম দিয়ে খাবার কিনে ঘরে নিয়ে যাও। আর অন্য দিরহামটি দিয়ে একটি কুঠার কিনে নিয়ে এসো। প্রিয় নবীর কথামতো আনসারি সাহাবি বাজারে গেলেন; এক দিরহাম দিয়ে খাবার কিনে ঘরে নিয়ে গেলেন।

আরেক দিরহাম দিয়ে একটি লোহার কুঠার কিনে নিয়ে নবীর কাছে এলেন। প্রিয়নবী নিজের হাতে কুঠারটিতে কাঠের বাঁট লাগিয়ে দিলেন। ‘যাও, বনে যাও, কাঠ কাটতে থাকো এবং বাজারে এনে বিক্রি করতে থাকো।’ প্রিয়নবী সা: আনসারিকে হুকুম দিতে থাকলেন। ‘তবে হ্যাঁ, মনে রেখো আগামী ১৫ দিন তোমাকে যেন আর এদিকে না দেখি।’

সাহাবি কুঠারটি হাতে নিয়ে বনের পথে চলে গেলেন। এরপর থেকে তাকে আর কারোর কাছে হাত পাততে দেখা যায়নি। বন থেকে কাঠ কেটে এনে বাজারে বিক্রি করতেন এবং তার বিনিময়ে যা পেতেন তা দিয়ে বেশ ভালোভাবে তার সংসার চলে যেত। এমনকি সংসারের খরচ চলার পরও প্রতিদিন কিছু পয়সা থাকত। ১৫ দিন পর যখন তিনি প্রিয়নবীর কাছে এলেন তখন তিনি বাড়তি ১০ দিরহামের মালিক। (সুনানে আবু দাউদ হাদিস ২১৯৮)

বেকারত্ব নিয়ে কয়েকটি উক্তি

বেকারত্ব একটি অভিশাপ। বেকারত্ব একটি বদনাম। যে বেকার থাকে সেই কেবল বুঝে এর কত যন্ত্রনা। আর তাই বিভিন্ন

সময়ে বেকারত্বকে নিয়ে বিভিন্ন মানুষ বের করেছে বিভিন্ন উক্তি। আর তাই আমরা এখানে বেকারত্ব নিয়ে বেশ কিছু জনপ্রিয়

উক্তি দিলাম যা আপনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ আপনার বন্ধু বান্ধবের সাথে শেয়ার করতে পারবেন।

আর থাকবো না বেকার ভাই
বেকারত্ব নাহি চায়

 

বেকার হলো অভিশাপ
করে মানুষের ক্ষতি
 থাকে না কেহ বেকার ভাই
যদি চালাক হয় অতি।

 

কাজের মাধ্যমে সুখ খোঁজো
কাজকে ভেবোনা ছোট।
তবেই যাবে তোমার দুঃখ
সুখ থাকবে  অটো।

 

কাজকে তুমি হেলা করে
বসে তুমি থাকো।
এভাবে তোমার দিন কাটবে না
সুখ দেখবেন নাকো

 

কর্মমুখী শিক্ষা নিয়ে
গড় তুমার জীবন।
আজীবন তুমি সুখে থাকবে
খুশিতে ভড়বে মন।

(আপনি যদি বিভিন্ন কৃষি বিষয়ক ভিডিও দেখতে চান তাহলে আমাদের সাবস্ক্রাইব করুন এবং ভিজিট করুন আমাদের

ইউটিউব চ্যানেলটি এখানে পেয়ে যাবেন নিত্যনতুন কৃষি বিষয়ক সকল আপডেট)

শেষকথা:

বেকার সমস্যা আপনার সমাধান হোক, এ প্রত্যাশায়। পরিশেষে আশা করি উপরোক্ত বিষয়গুলো ভালভাবে পরে আপনি

আপনার বেকার সমস্যা সমাধান করতে পারবেন। আপনার কোন বিষয়টা সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে, অবশ্যই

আমাদেরকে কমেন্টে করে জানাবেন ।

পরবর্তীতে আপনার সেই ভালোলাগা বা মন্দলাগা অনুভূতিগুলোকে আমরা শেয়ার করবো আমাদের পরবর্তী লেখায়।

ধন্যবাদ কষ্ট করে এই লেখাটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য।

আরো পড়ুন:

. সুন্দর কথা বলার কৌশল।

২. গুগলের জানা অজানা নানান তথ্য

৩. স্কুল লাইভ নিয়ে স্ট্যাটাস

৪. গুগলে মানুষ কোন বিষয়ে বেশি সার্চ করে।

About 24 Favor

Check Also

Meeting minutes writing format

Meeting minutes writing format: Who has engaged with NGO job maximum people need writings this …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *