পহেলা বৈশাখের শুভেচ্ছা কবিতা উক্তি এসএমএস

বাংলা নববর্ষ বাংঙালী জাতীর এক নতুন দিন। এ দিনকে ‍গিরে বাংলা ভাষাভাসি মানুষ মেতে উঠেন নানা আয়োজন উৎসবে

। বাংলাদেশ সহ  ভারতের কিছু অংশের মানুষ এ দিন টিকে পালন করেন সার্বজনীন উৎসব হিসেবে। ঘরে ঘরে পালিত হয়

নানা ধরনের পিঠা পুলির উৎসব। পথে ঘাটে দেখা যায় নানা ধরনের  গান বাজনা। নতুন জামাই সহ মেয়েরা আসেন তার

বাবার বাড়ী বেড়াতে। গ্রামে, গঞ্জে  শুরু হয় বিভিন্ন ধরনের মেলা।

সূচিপত্র

বাংলা নববর্ষ/Bangla noborso

এই দিনটি বাঙালী জাতির জন্য বয়ে আনেক এক অনাবিল আনন্দ । আবাল -বৃদ্ধ , জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবাই মিলিত

হয় বাংঙালী জাতির এই মিলন মেলায়। এদিনটিকে গিরে থাকে বাংলা ভাসাভাসি মানুষ জনের নানান ধরনের উৎসব। আর

এই দিনটিকে সস্মরন করে রাখার জন্য সবাই ভাল পোষাক,ভাল খাবার , কোথাও বেড়াতে যাওয়া ইত্যা বিষয় সমূহ ছড়াও

আরো নানান কর্ম ব্যস্ততায় কাটায় সারাটি দিন।

বাংলা নববর্ষ ও পহেলা বৈশাখ/Pohela Boysak

চৈত্রের শেষে আবার গুরে আসে নতুন প্রবাত নতুন দিন নতুন মাস। আর এদিনেই পালিত হয় পহেলা বৈশাখ ’’মেলায়

যাইর ‘’ গান কোথাও বেঁজে  উঠলেই মনে করি এই বুঝি পহেলা বৈশাখ এলো। বৈশাখ মাসের শুরুথেকেই চারদিকে শুরু

করা হয় বিভিন্ন মেলার আয়োজন। তাই এবার পহেলা বৈশাখ পালিত হবে। ১৪ই এপ্রিল ২০২২ সালে রোজ বৃহশপতিবার।

আসুন এবারের পহেলা বৈশাখকে আরো স্মৃতিময় করে রাখার জন্য বন্ধু বান্ধবদের শুভেচ্ছা বার্তা পাঠাই । আর তার জন্য

আমার লেখা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে পারেন।

পহেলা বৈশাখের এবং বাংলা নববর্ষে এর  ইতিহাস

পহেলা বৈশাখ হলো বাংলা বর্ষের প্রথম দিন বা বাংলা বর্ষ পঞ্জিকার প্রথম দিন। যদিও অনেক আগে থেকেই বাংলা সন গননা

হয়ে আসছিল ধারনা করা যায় মোগল সম্রাটদের আমল থেকে বাংলা বর্ষ পালন করা হতো । তখণ এই দিনকে তারা নানান

ভাবে পানল করতো । তারা এই মাস গননার মাধ্যমে কর আদায় করতেন এবং পহেলা বৈশাখকে নতুন বর্ষের প্রথম দিন

ধরে বছরের গনান শুরু করতেন। আধুনিক ইতিহাস অনুসারে সর্বপ্রথম ১৯১৭ সালে  বাংলা নববর্ষের ধারনা পাওয়া যায়।

সেই সময়ে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে বৃটিশদের জয় কামনা করে কীর্তন ও পূঁজার আয়োজন করা হয়। এর পরেও ১৯৩৮ সালে একই

ভাবে পহেলা বৈশাখের দিন পূঁজার আয়োজন করা হয়। যা পহেলা বৈশাক পালনেরই অংশবিশেষ। বাংলাদেশে ১৯৬৬ সালে

প্রথম ডঃ মোহাম্মদ শহীদুল্লাকে নিয়ে কমিটি গঠন করে পুরোনো দিনপুন্জিকে সংশোধন করে প্রথম পাঁচ মাসকে ৩১ দিন

এবং পরবর্তী মাসগুলোকে ৩০ দিন ধরে মাস গননা শুরুকরেন। এবং ১৯৮৭ সালে প্রথম আনুষ্ঠানিক ভাবে এই সাল

গননাকে গ্রহণ করা হয়। যার ফলে প্রতিবছর বৈশাক মাসের প্রথম দিনটিকে বাংলামাসের প্রথমদিন ধরে নববর্ষ  হিসেবে

পালন করা হয়।

পহেলা বৈশাখের প্রস্তুতি/বাংলা নববর্ষ পালনের প্রস্তুতি

পহেলা বৈশাখ বা বাংলা নববর্ষকে কেন্দ্র করে চলে নানান আয়োজন । অনেক আগ থেকেই বানানো শুরু করতে হয় মঙ্গল

শোভাযাত্রা প্রায় ১ মাস আগ হতেই বানানো শুরু করতে হয়। এছাড়াও এই দিনটিকে পালন করার জন্য রমনার বটমূলে

ছায়ানেটের উদ্যেগে শুরু করেন ব্যাপক প্রস্তুতি একেক জন ব্যাস্থ থাকে একেক কাজে। যে ভাবেই হোক সফল করতে হবে

এই উৎসবকে।

কি কি আয়োজন থাকে বাংলা নববর্ষকে কেন্দ্র করে

নানান আয়োজনে মেতে উঠে বাংলাদেশের লোকজন তথা বাংলা ভাষাভাসি লোকজন। বিভিন্ন  ধরনের গান বাজনা  ও নাচ

সহ নানান কর্মসূচী পালিত হয় প্রায় সপ্তাহ ব্যাপি। আর এই সব উৎসবের মধ্যেই বাংঙালী জাতী খুঁজে পায় তার মায়ের ভাষা

বাংলাভাষার আসল গন্ধ। আর যে সকল আয়োজন করা হয় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য গুলো নিচে বর্ণনা করা হলো।

মঙ্গল শোভাযাত্রা:

বাংলাদেশের মানুষের কাছে মঙ্গল শোভাযাত্রা এক প্রানের উৎসব। সকল ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই অংশগ্রহন করেন এই

মঙ্গল শোভাযাত্রায়। যেখানে ভেদাভেদ থাকেনা কোন নারী পুরুষের কিংবা জোয়ান বৃদ্ধের, ধনী কিংব গরীবের সবাই অংশ

নিয়ে থাকেন এই শোভাযাত্রায়।  বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ১৯৮৯ সালে মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু করেন। এখন পর্যন্ত এই ধারা

অব্যহত আছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনিস্টিটিউট থেকে বের হয়ে শহরের বিভিন্ন জায়গা প্রদক্ষিন করে পুঃনরায়

চারুকলা  ইনিস্টিটিউট  শেষ হয়।

বউমেলা পালন:

বউমেলা বাংলার গ্রামীন জনজীবনের  এক আরেক প্রানের উৎসব। গ্রাম গঞ্জের  বিভিন্ন জায়গায় শুরু করে সপ্তাহ ব্যাপি

বিভিন্ন মেলা তার মধ্যে বউমেলা অন্যতম। বিশেষ করে ঈশাঁখার সোনাগাঁও  এ মেলা প্রতি বছরেই  বসে । আবার এ মেলাকে

বটতলার মেলও বলা হয় বা বটতলার মেলা হিসেবেও পরিচিত । যেহেতু বট গাছ তলায় বসে এই  মেলা তাই  এর  নাম করন

করা হয়েছে বটতলা মেলা ।

ঘোড়ার মেলা/ ঘোড়ার দৌড়:

আনন্দ প্রেমী/উৎসব প্রেমী বাংলা ভাষাভাষী মানুষ জন আয়োজন করে বিভিন্ন উৎসব তার মধ্যে ঘোড়ার মেলা বা ঘোড়ার

দৌড় অন্যতম। যেমন বাংলাদেশের সোঁনারগাও থানার পেরাব গ্রামে  পাঁচ দিন ব্যাপি  আয়োজন করা হয় ঘোড়ার মেলা।

বাংলাদেশের উত্তর অঞ্চলে  মধুপুর, শেরপুর ,জামলপুর সহ বেশকয়েকটি জেলায় উপজেলায় আয়োজন করা হয় । ঘোড়া

দৌড়ের ।

আদিবাসীদের বর্ষবরণ

বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন ভাষাভাসির আদিবাসীর বসবাস পরিলক্ষিত হয় । তার মধ্যে উল্লেখ যোগ্য হলে পার্বত্য

অঞ্চল অন্যতম । এখানে বেশ কয়েক প্রজাতির আদিবাসী পরিলক্ষিত হয়।  তার মধ্যে উল্লেখ যোগ্র হলো –

  • চাকমা .
  • মারমা .
  • হাজং
  • রাখাইন.
  • গারো .
  • ম্রং
  • খাসিয়া .
  • মনিপুরি.
  • ত্রিপুরা ইত্যাদি।

আর সবাই তাদের সকলেরই উৎসব  বৈসাবি  হিসাবে পরিচিত এই দিনটিকে পালন করে থাকে বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন

থেকে । এ দিনটিকে গিরে তারা আয়োজন করে বিভিন্ন ধরনের খেলা । গান বাজনা , নৃত্য , কবি গান,পালা গান, জলকেলি

খেলা সহ বিভিন্ন আয়োজন। তাছাড়া আদিবাসীগন তিনদিন ব্যাপি বিভিন্ন আয়োজনের মাধ্যমে এই দিনটিকে সম্বরন করে

থাকে।

পৃথীবির অন্যান্য দেশে পহেলা বৈশাখ পালন:

বাংলাদেশের মত পৃথিবির অন্যান্য দেশেও যেখানে বাংলাভাষা ভাষি মানুষ জন বসবাস করে সেখানে পালন করা হয়  এই

দিনটিকে। সেখানেউ আয়োজন করা হয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানের। ঘরে ঘরে মেতে উঠে খাবার দাবারের উৎসব। সবাই ঘরের

কাজ সেরে বেড়িয়ে জায়  পরিবার পরিজন নিয়ে বেড়াতে। তাছাড়াও তারা আয়োজন করে বিভিন্ন গান বাজনা , নাটক,

সিনেবা, কবি গান, নৃত্য সহ নানান আয়োজনের । ঘরে ঘরে চলে পান্তা ইলিশের উৎসব।

গ্রামের মেলা:

বাংলা নববর্ষ বা পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে গ্রামে গ্রমে বসে বিভিন্ন রকমের মেলা। সেখানে হয়ে উঠে এক মিলন মেলা ।

মেলায় দেখানো হয় বিভিন্ন গান বাজনা, নৃত্য ,যাদু । তাছাড়াও মেলায় থাকে বিভিন্ন প্রকার মিষ্টিজাত খাবার সহ নানান

ধরনের পিঠা পুলি। ছোট ছোট ছেলে মেয়ারা উঠে নাগরদোলায় । চারদিক মুখরিত হয় আনন্দে। তাছাড়াও মেলায় আসে

নানান ধরনের আসবাবপত্রের দোকান যেখান থেকে গ্রামের লোকজন তাদের সংসারের চাহিদা মোতাবে আসবাবপত্র ক্রয়

করে নিয়ে যায়।

বৈশাখে শিশুদের আনন্দ

শিশু মানেই অনাবিল সুখ আর আনন্দের উৎস। সারা বছর তারা অপেক্ষায় থাকে কখন পহেলা বৈশাখ আসবে । আবার

মেতে উঠতে পারবে আনন্দে। গায়ে দিতে পারবে বৈশাখি পোষাক । বৈশাখ মাস আসার আগেই শিশুরা বায়না ধরে নতুন

পোষাকের জন্য। আর তার নতুন বছরের প্রথম দিন সেই নতুন পোষাক পড়ে বেড়াতে যান নানার বাড়ী সহ বিভিন্ন আত্বীয়র

বাড়ী। এছাড়াও নতুন পোষাক পড়ে তারা জান বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বা মেলায় সেই দিন তারা পায় ভাল ভাল খাবার যার ফলে

শিশুদের আর আনন্দের সীমা থাকেনা।

বৈশাখে খাবার দাবার

বছরের প্রথমদিন খেতে হবে ভাল ভাল খাবার তবেই সারাবছর পাওয়া যাবে ভাল খাবার ।  এই প্রথা চালু আছে বহুকাল ধরে

যার ফলে সবাই তার সাধ্য মত   চেষ্টা করে  এই দিনে একটু ভাল খাবার সংগ্রহ করতে। আর ঘরে ঘরে চলে বিভিন্ন পিঠ

পায়েসের উৎসব । বাড়ীতে বাড়ীতে চলে পান্তা ইলিশ খাওয়ার ধূম। তাছাড়াও অনেকে আবার ভর্তা ভাতের আয়োজন করে

থাকে এই দিনটিকে স্মরন রাখার জন্য। সারা বছর যেভাবেই খাবার দাবার খায়না কেন সবাই চেষ্টা করে এই দিনে একটু ভাল

খাবার খেতে।

অনলাইনে বৈশাখ পালন

বর্তমানে কোভিট-১৯ কারনে অনলাইনে বৈশাখ পালন করা হয়ে উঠেছে আরেক ভার্চুয়াল মাধ্যম। আবার অনেকেই কাজের

কারনে বা বিদেশে থাকার কারনে পরিবার পরিজনের কাছে থাকতে পারনা যার ফলে তারা বেছে নিয়েছে এই অনলাইন

মাধ্যম । অনলাইনেই তারা তাদের পরিবার পরিজন বা বন্ধু বান্ধব নিয়ে ভার্চুয়ালি ভাবে পালন করে এই প্রানের উৎসব বাংলা

নববর্ষ বা পহেলা বৈশাখকে।

ফেসবুকে পহেলা বৈশাখ স্ট্যাটাস প্রদান

সবাই এখন কর্ম ব্যবস্ততার কারনে বা কোভিট-১৯ এর কারনে দেখা করা বা বিভিন্ন উৎসবে যোগদান করাকে এড়িয়ে চলতে

চায় । যার ফলে পহেলা বৈশাখের আনন্দ ভাগাভাগি করার জন্য তারা বেচে নিয়েছে বিভিন্ন সামাজিক অনলাইন মাধ্যম তার

মধ্যে ফেসবুক হেচ্ছে অন্যতম।  অনেকেই এখন ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে পহেলা বৈশাখকে/ বাংলা নববর্ষ কে পালন করে

থাকে।

রমনার বটমুলে বৈশাখ পালন

প্রতি বছরই রমনার বটমূলে পালিত হয় পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান । ছায়ানটের উদ্যেগে আয়োজন করা হয় সংস্কৃতিক

অনুষ্ঠানের । যেখানে শুরু হয় বাঙালীি জাতীর এক মিলন মেল। শহরের মানুষ জন শহরের কোলাহলকে দূরে ঠেলে মেতে

উঠে এক প্রানের উৎসবে। নেচে গেয়ে পাড় করে পহেলা বৈশাখেরে এই দিনটিকে। পসরা সাজিয়ে বসে বিভিন্ন গ্রমিন বা

বিভিন্ন আঞ্চলিক  পিঠার স্টল। শহরের মানুষ এই দিনকে গিরে ফিরে যায় গ্রামীন পরিবেশে। সবাই হলুদ শাড়ী আর বাহাড়ী

পোশাকে চলে আসে রমনার বটমূলে।

তারকাদের পহেলা বৈশাখ পালন

বাংলাদেশ সহ কলকাতার নায়ক নায়িকা কিংবা গায়ক গায়িকা থেকে শুরু করে বেশির ভাগ বাংলা ভাষাভাষি তারকারা

মেতে উঠে বৈশাখি উৎসবে। বিভিন্ন টিভি দেখা যায় তাদের অনুষ্ঠন। তারকারা বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে দিয়ে থাকে তাদের

পহেলা বৈশাখি শুভেচ্ছ/ নববর্ষের শুভেচ্ছা । এ দিনটিকে ঘিরে কোন প্রকার কমতি থাকেনা তরকাদে মধ্যে। বাহরী রকমের

পোষাক পড়ে তারা বের হয়ে পরে মানুষ জনের সাথে এই দিনটিকে উদযাপন করতে।

পহেলা বৈশাখের বার্তা

পহেলা বৈশাখকে গিরে মানুষ জন বা কবি গন দিয়ে থাকে বিভিন্ন বার্তা এই বার্তাগুলো গুরতে থাকে বিভিন্ন সামাজিক

যোগাযোগ মাধ্যমে অথবা মোবাইল ক্ষুদে বার্তায়। যুবক যুবতী ,ছাত্র,ছাত্রী আবাদ -বৃদ্ধ বনিতা সবাই চেষ্টা করে বিভিন্ন বাহারী

বার্তার মাধ্যমে এই দিনের আন্দকে ভাগাভাগি করে পালন করার জন্য। আপনি যদি পহেলা বৈশাখের বার্তা পেতে চান

তাহলে আপনি আমাদের এই পেজে ক্লিক করে নানান ধরনের বাহরী বর্তা পেয়ে যাবেন। যা আপনি আপনার বন্ধু বান্ধব

দেরকে শেয়ার করতে পারবেন।

(আপনি যদি পহেলা বৈশাখের পেদে চান তহলে এখানে ক্লিক করুন )

পহেলা বৈশাখে দোকানের অনুষ্ঠান

পুরতন হিসাববে বন্ধ করে দোকানদার গন শুরু করেন নতুন হিসাবের । আর এই কর্যক্রমকে শুরু করার জন্য বেচে নেয়

পহেলা বৈশাখের এই দিনটিকে। পহেলা বৈশাখে বা বাংলা নববর্ষের প্রথম  দিনে দোকানে দোকানে অনুষ্ঠানকরে  হাল খাতার

। যে অনুষ্ঠানে মাধ্যমে পুরতন হিসাবকে চুকিয়ে শুরু করা হয় নতুন হিসাবের। আর এই অনুষ্ঠানে যারা আসে তাদের

করানো হয় মিষ্টি মুখ বা পেট পুড়ে খাওয়ানো হয়।

পহেলা বৈশাখের পোষাকের কেনা বেচা

বাহারী জমকালো হলুদ সাদা পোশাকে চারদিক ফুলের মত হয়ে যায়। আর সুযোগেই পহেলা বৈশাখের  পোশাক কেনাবেচার

জন্য আগেথেকেই প্রস্তুতি শুরু করেন দোকান দার গন। দোকান দার গন দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করে পহেলা

বৈশাখের বাহারী পোষাক। তারা এই সময়ে অন্যান্য কেনা বেচা বন্ধ রেখে শুরু করেন পহেলা বৈশাখের পোষাক কেনা বেচা।

আর এ দিনটির জন্য দোকানদার গন অপেক্ষায় থাকে বাকি ১১ টি মাস।

বাংলা নববর্ষে প্রধান মন্ত্রীর বার্তা

যেহেতু বাংলা নববর্ষ বাঙালী জাতীর এক প্রানের উৎসব । তাই বাংলা বছরের এই প্রথমদিনে বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রীও বার্তা

দিতে ভূল করেনা । দেশের জনগনের শুভ কামনা করে তার বার্তায় তুলে ধরেন বাংলাদেশের বিভিন্ন আচার আচনর সহ

কৃষ্টি কালচার । বাংলা বৎসরের প্রথম দিনে দেশের সবার মঙ্গল কামনা করেন। প্রধান মন্ত্রী চেষ্টা করেন রমনার বটমূলের

অনুষ্ঠানে যোগদান করতে। অন্যথায় ভার্চুয়ালী যোগদান করে থাকেন।

বাংলা নববর্ষে রাষ্ট্রপতির বার্তা

বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠানে  দেশের রাষ্ট্রপতি যোগদান করা সহ যোগদান করেন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে। তাছাড়া রাষ্ট্রপতি বিভিন্ন

প্রিন্ট মিডিয়া ও  ইলেকট্রিক মিডিয়ায় প্রেরণ করেন  তার বাংলা নববর্ষের বার্তা। রাষ্ট্রপতি তার বার্তায় দেশের জনগনের সু-

স্বাস্থ্য কামনা সহ দেশের মঙ্গল কামনা করেন। তাছাড়াও বাঙালীর পোষাক পরিধান করে একাত্বতা প্রকাশ করেন বাঙালী

জাতীর সাথে। এই দিনটিকে সরকারী ভাবে বন্ধ ঘোসনা করা হয়েছে। সকল সরকারী কিংবা আধাসরকারী সকল প্রতিষ্ঠান

বন্ধ থাকে।

বিদেশের মাটিতে পহেলা বৈশাখ পালন/বাংলা নববর্ষ পালন

বাংলাদেশ থেকে অনেকেই কাজের জন্য বা স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য প্রবাসে বসবাস করে । আর যখন বাংলা নববর্ষ আসে

তখন তাড়াও ভূলে যায়না এই দিনটিকে। পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে তারা আয়োজন করে নান রকমের দেশীয় গান

বাজনার । অনেক সময় বাংলাদেশ থেকে শিল্পি,অভিনেতা নিয়ে তারা অনুষ্ঠান করে থাকে।

বিদেশের মাটিতে তার যেন বাঙগালী জাতির মিলন মেলার আয়োজন করে থাকে।  বাহড়ী বাঙালী পোশাক পরিধান করে

তারা মিলিত হয় একটি জায়গায়। সেখানে থাকে নানান ধরনের বাংগালী খাবারের আয়োজন।

পহেলা বৈশাখের ছবি

পহেলা বৈশাখের বিভিন্ন রংঙিন ছবি সবার কাছেই জনপ্রিয়। সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাই অনেকেই পহেলা বৈশাখের

শুভেচ্ছা বিনিময় করে থাকে ছবির মাধ্যমে । আর আাপনি যদি ছবির মাধ্যমে বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্য বা সামাজিক মাধ্যমে

পহেলা বৈশাখের/বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে চান তাহলে আপনি আমাদের পেইজে ক্লিক করে দেখতে

পারেন। আপনি আপনার পছন্দ মত ছবি পেয়ে যাবেন।

( এখানে আপনি পাবেন নতুন নতুন  পহেলা বৈশাখের ছবি তো আর দেরী কেন ক্লিক করুন এখানে )

বাংলা নববর্ষ এবং পহেলা বৈশাখের গান

পহেলা বৈশাখকে সামনে রেখে নানান ধরনের গান লেখা হয়ে থাকে। অনেকেই আবার সাউন্ট সিস্টেম এনে বাজায় পহেলা

বৈশাখের গান। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো রবীন্দ্রনাথের   এসো হে…………… বৈশাখ এসো এসো………………..।  আপনি যদি

পহেলা বৈশাখের গান পেতে চান তাহেলে আমাদের ইউটও চ্যানেল দেখতে পারেন।

 (পহেলা বৈশাখের গান)

বাংলা নববর্ষ  এবং পহেলা বৈশাখের কবিতা

কত কবিতা কত গান এটাই হচ্ছে বাংলার প্রান। বাংলা নববর্ষকে কেন্দ্র করে অনেক কবি লিখে গেছেন অনেক কবিতা ।

আর এই দিনের শুভেচ্ছা জানাতে অনেকেই সমাজিক মধ্যমে প্রদান করেন বিভিন্ন ধরনের কবিতা। আর আপনিও যদি মনে

করেন সুন্দর কবিতার মাধ্যমে এই দিনকে আরো স্মরনীয় করে রাখবেন তাহলে আপনি আমারেদ নিচের পেইজের কবিতা

গুলো দেখতে পারেন ।আপনার অনেক ভাল লাগবে।

(পহেলা বৈশাখের কবিতা)

বাংলা নববর্ষ  এবং পহেলা বৈশাখের উক্তি

পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ তথা মোবাইল এসএমএস এর মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকার উক্তি আদান

প্রদানের মাধ্যমও অনেকেই পহেলা বৈশাখের / বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় করে থাকে। আর আপনি যদি নতুন

আনকমন এবং সুন্দর বাংলা নববর্ষের/ পহেলাবৈখের উক্তি পেতে চান তহলে আপনি আমাদের নিচের পেইজ ভিজিট করে

আপনার পছন্দ সত উক্তি সংগ্রহ করে সামাজিক মধ্যম বা এসএমএস করতে পারেন আপনার প্রিয়জনকে।

(পহেলা বৈশাখের উক্তি)

বাংলা নববর্ষ  এবং পহেলা বৈশাখের এস.এম.এস

ক্ষুদে বার্তা আজকাল খুবই জনপ্রিয়। মানুষ এখন আর আগের মত বড় বড় বার্তা লিখতে বা পড়তে পছন্দ করেনা বা লেখা

বা পড়ার মত সময় তাদের হাতে নেই। তাই  তারা এখন বেছে নিয়েছে ক্ষুদে বার্তা ।  এখন ক্ষুদে বার্তা  এখন বেশ জনপ্রিয়

। আপনার যদি ভাল মানের ক্ষুদে বার্তার প্রয়োজন হয় তাহলে আমাদের নিচের সাইট ভিজিট করতে পারেন।

(পহেলা বৈশাখের এস.এম.এস)

১৪২৯ সাল

এবার বাংলা পহেলা বৈশাখ বা বাংলা নববর্ষ পালিত হবে । ইংরেজী মাসের এপ্রিল মাসের ১৪ তারিখে পালিত হবে। ১৪ই

এপ্রিলের রোজ বৃহশপতিবার হবে।

তাই আসেন সরকারী ৩ দিন আমাদের আরো সুন্দর ভাবে কাটুক । সেই আশা নিয়ে আমরা অপেক্ষায় থাকবো।

কবে পহেলা বৈশাখ/নববর্ষ

আমরা অনেকেই জানিনা বাংলা নববর্ষ বা পহেলা বৈশাখ কবে? তার তার জন্যই অনেকেই জিঙ্গাসা করেন কবে বাংলা

নববর্ষ বা পহেলা বৈশাখ তাদের জন্যই মূলত আমার   এই অংশ লেখা । এবারের পহেলা বৈশাখ পালিত হবে । ২০২২ সালের

এপ্রিল মাসের ১৪ তারিখ রোজ বৃহশপতিবার।

যেহেতু বৃহশপতিবার এবার বাংলা নববর্ষ/পহেলা বৈশাখ পড়েছে তাই সরকারী বা অনেক বেশরকারী চাকুরীজিবি ৩ দিনের

ছুটি পাবেন ।যা তার পরিবারের সাথে মিলত হবার এক অপূর্ব সুযোগ করে দিয়েছে।

আপনার যদি আমার লেখা ভাল লেগে থাকে তাহলে আমাকে অব্যশই কমেন্স সেকসনে লিখে জানাবেন। আর যদি

আপনার আমার লেখা ভাল লেগে না থাকে তাহলে আমার লেখার উন্নয়নের জন্য পরামর্শ দিয়ে যাবেন । তাহলে আপনার

কাছে আমি  উপকৃত হবো। আমি আপনার পরামর্শ সাদরে গ্রহণ করবো এবং পরবর্তী লেখায় তার প্রতিফলন পাবেন।

লেখাটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আরো সব মজার বিষয় পড়ুন:

১. পহেলা বৈশাখের কবিতা।

২. পহেলা বৈশাখের উক্তি।

৩. পহেলা বৈশাখের এসএমএস।

৪, দেখতে পারেন বৈহেলা বৈশাখের ছবি।

About 24 Favor

Check Also

হতাশা নিয়ে ইসলামিক উক্তি

হতাশা নিয়ে ইসলামিক উক্তি

হতাশা নিয়ে ইসলামিক উক্তি : ”জীবন মানেই তো যন্ত্রনা বেঁচে থাকতে বোধয় শেষ হবে না” …

20 comments

  1. Pingback: SMS,Quote,Poetry,Image for Pohela Boishakh

  2. Pingback: প্রিয়জনকে জন্মদিনে ভালোবাসার স্ট্যাটাস শুভেচ্ছা উক্তি এসএমএস

  3. Pingback: ভালবাসার মানুষের জন্মদিরে শুভেচ্ছা

  4. Pingback: গুগলে মেয়েরা সবচেয়ে বেশি সার্চ করে - Girls search the most on Google

  5. Pingback: মেয়ে পটানো মেসেজ উক্তি স্ট্যাটাস রোমান্টিক কথা

  6. Pingback: বেষ্ট ফ্রেন্ড স্ট্যাটাস- Best Friend Status

  7. Pingback: মোবাইল দিয়ে অনলাইন থেকে আয়ের সহজ উপায়

  8. Pingback: সুখী হওয়ার সহজ কৌশল

  9. Pingback: জীবন বদলে যাওয়ার কিছু অভ্যাস

  10. Pingback: প্রতি দিনের রোমান্টিক ফেসবুক স্ট্যাটাস

  11. Pingback: বাংলা ব্লগ লেখে টাকা আয় করার সহজ উপায়

  12. Pingback: সুন্দর করে ব্লগ লেখার নিয়ম একটি ভালো ব্লগ এর বৈশিষ্ট্য

  13. Pingback: স্কুল লাইফ নিয়ে স্ট্যাটাস, উক্তি ,কবিতা ও ক্যাপশন

  14. Pingback: মেয়েদের মন পাওয়ার কৌশল

  15. Pingback: শুভ সকালের ফেসবুক স্ট্যাটাস

  16. Pingback: মেয়ে পটানোর সহজ উপায়-Easy way to seduce a girl

  17. Pingback: মানুষ গুগলে সবচেয়ে বেশি সার্চ করে-People search the most on Google

  18. Pingback: মার জন্মদিনের শুভেচ্ছা- Mother's Birthday Wishing

  19. Pingback: শেখ মুজিবুর রহমান জীবনী বাংলা

  20. Pingback: মুক্তপাঠ সকল কোর্স রেজিষ্ট্রেশন login ও সার্টিফিকেট আবেদন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *