পাইলস এর ব্যাথা কমানোর উপায়

পাইলস এর ব্যাথা কমানোর উপায়: বর্তমান সময়ে পাইলস হচ্ছে মারাত্মক একটি রোগ। বিশেষ করে গ্রামে যারা

অসচেতন তাদেরই এই রোগ বেশী হয়ে থাকে। আবার অনেক ক্ষেত্রে মেয়েদের এ রোগটি হওয়ার প্রবণতা বেশি দেখা যায়।

অনেকেই এটাকে গোপন করে রাখে। মানুষকে বলতে চায় না লজ্জায়, আজকে তাদের উদ্দেশ্যে এখানে এর  প্রচন্ড ব্যথা

থেকে কিভাবে মুক্তি পেতে পারেন সে বিষয়ে আমি আজকে আলোচনা করবো। আপনারা কিভাবে ব্যথা উপশম করতে

পারেন সেই বিষয়টা ধারণা দিব।এ ছাড়াও আপনাদের যদি এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত ধারণা প্রয়োজন হয় সে ক্ষেত্রে

আমাদের লিখবেন। আমরা আপনাদেরকে পরবর্তীতে বিস্তারিত জানাবো । তো চলুন জেনে নেওয়া যাক আপনার পাইলস

হলে কিভাবে এর ব্যথা উপশম করবেন।

পাইলস এর ব্যাথা কমানোর উপায় এ পাইলসের লক্ষণ

পায়খানার রাস্তায় যেকোন ধরনের ঘাঁ বা ফুলে যাওয়াকেই আমরা পাইলস বা অর্শ বলতে পারি না। আর এই রোগটি হয়েছে

কিনা তা বলেতে হলে থাকতে হবে এর কিছু আলাদা বৈশিষ্ট্য। আর যদি এই নির্দষ্ট কিছু বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয় তবেই তাকে

আমরা পাইলস বা অর্শ বলতে পারি । আর সেই সেকল বৈশিষ্ট্যর মধ্যে সাধারণত দু-ধরনের বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায় ।

১. অভ্যন্তরীণ পাইলসের বৈশিষ্ট্য ।
২. বহ্যিক পাইলসের বৈশিষ্ট্য।

অভ্যন্তরিন পাইলসের বৈশিষ্ট্য বা লক্ষণ

  • মল পরিত্যাগ করার সময় অতিরিক্ত জ্বালা পোড়া করতে পারে।
  • অনেক সময় মল পরিত্যাগের সময় ব্যাথাহীন রক্ত আসতে পারে।
  • যদি পাইলস প্রল্যাপস, ব্যথা এবং জ্বালা হয়।

বহ্যিক পাইলসের বৈশিষ্ট্য

  • মলদ্বারের চারপাশে প্রচুর  চুলকানি।
  • মলদ্বারের কাছে বেদনাদায়ক মাংসল গলদ থাকা।
  • বসার সময় ব্যথা বা অস্বস্তি অনুভব করা ।
  • মলদ্বারে রক্তক্ষরণ হওয়া ।

পাইলস এর ব্যাথা কমানোর উপায়

যাদের এই রোগটি হয়েছে তারাই কেবল বলতে পারে এর কত যন্ত্রনা। বিশেষ করে পায়খানার রাস্তা যখন ছিঁড়ে রক্ত বের হয়

তখন পায়খানা করতে গেলে প্রচুর ব্যাথা ও পায়খানার রাস্তা দিয়ে রক্ত আসে। অনেক সময় অনেকে ভয়ে পায়খানায় করতে

চায়না। আর তাই আপনি কয়েকটি টিপস অনুসরন করলে খুব সহজেই এই ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। আর তার জন্য

আপনাকে যা করতে হবে নিম্নে সেগুলো বিস্তারিত দেওয়া হল।

পাইলসের ব্যাথা উপশমে বরফ সেক নেয়া

আপনি ইচ্ছে করলে খুব সহজেই বরফ এর সেক নিয়ে খুব অল্প সময়ের মধ্যে আপনার পাইলসের ব্যাথা উপসম করতে

পারবেন। আর তার জন্য আপনাকে যা করতে হবে। তাহলো আপনার যদি মলদ্বারে পায়খানের পরে বা আগে পাইলসের

কারণে প্রচুর ব্যাথা করে তবে ঘরে থাকা বরফ অথবা বাজার থেকে কেনা বরফের ছোট ছোট টুকরা কাপড়ে পেছিয়ে ব্যাথার

স্থানে ১০ থেকে ১২ মিনিট রাখুন দেখবেন ব্যাথা দূর হয়ে গেছে।

পাইলসের ব্যাথা উপশমে অ্যাপেল সােইডার ভিনেগার ব্যাহার

নরম একটু তুলো নিয়ে তার মধ্যে এই ভিনেগার লাগিয়ে আপনার যে স্থানে ব্যাথা করে সেই স্থানে লাগাতে হবে। অনেক

সময় শুরুতে একটু জ্বালাপোড়া অনুভব হতে পারে। তবে ভয়ের কোন কারণ নেই অল্প একটু পরেই তা কমে যাবে। আর

এই পদ্ধতিটি দিনে কয়েক বার অনুসরণ করুন। আর যদি আপনার ভিতরে সমস্যা হয় তার জন্য ১ চা চামচ ভিনেগারের

সাথে এক গ্লাস পানি মিশিয়ে যদি পারা যায় তার সাথে দুই চা-চামচ মধূ মিশিয়ে খেতে পারেন দেখবেন ব্যাথা কমা সহ অল্প

কয়েক দিনের মধ্যে রোগটি থেকে রক্ষা পেয়ে যাবেন ইনশাল্লাহ।

পাইলসের ব্যাথা উপশমে অ্যালোভেরার ব্যবহার

যদি আপনার সমস্যাটি বাহিরের অংশে হয়ে থাকে তবে অ্যালোভেরার জেল বা আক্রান্ত স্থানে লাগালে খুবই কাজে দিবে।

আর এর ওষুধি ক্ষমতা এত বেশি যে এটা খুব তাড়াতাড়ি ব্যাথা উপশমে সহায়তা করে থাকে। লাগানোর নিয়ম হলো প্রথমে

অ্যালোভেরার নরম অংশ চামচ অথবা ছুড়ি দিয়ে আলাদা করে সেটা ফ্রিজে ঠান্ডা করে ব্যাথার স্থানে দিনে দুই থেকে

তিনবার লাগান দেখবেন ব্যাথা দূর হয়ে গেছে।

পাইলসের ব্যাথা উপশমে অলিভ অয়েল

যাদের এই রোগ হয়েছে তারা যদি নিয়ম করে প্রতিদিন এক চ-চামচ অলিভ অয়েল খায় তবে তাতে দেহের প্রদাহ দ্রুত হ্রাস

করতে সাহায্য করে। আর অর্শ রোগ নিরাময় করার জন্য এটা খুবই করী। আপনি ইচ্ছে করলে এই পদ্ধতিটি অনুসরণ

করতে পারেন। অনেকেরই সাথে আলোচনা করে দেখা গেছে এই অলিভ অয়েল ব্যাবহার করে ভালো ফল পেয়েছে।

পাইলসের ব্যাথা উপশমে আদা ,মধু ও লেবুর রস

পানি শূণ্যতা এই রোগ হবার অন্যতম একটি কারণ। আর তাই যদি কেহ নিয়ম করে দিনে দুই বার আদা কুচি ,লেবু ও মধু

মিশ্রণ করে খায় তবে দেখা যাবে তার পাইলসটি দ্রুত নিয়ন্ত্রে চলে এসেছে। এছাড়াও যাদের এই রোগ আছে তাদের নিয়ম

করে দিনে অন্তত ৩ থেকে ৪ লিটার পানি কম পক্ষে খাওয়া দরকার এতে করে দেখা যাবে এই রোগটি খুব দ্রুত নিরাময় হয়ে

গেছে।

পাইলস এর ব্যাথা কমানোর উপায় এর শেষ উপদেশ

আশা করি উপরোক্ত লেখাটি আপনাদের অনেক উপকারে আসবে এবং এই বিষয়ে যদি আপনাদের আরো কিছু জানার

থাকে এবং কোন ওষুধ সম্পর্কে জানার প্রয়োজন তাহলে আমাদের কি লিখতে পারেন কমেন্ট করে জানাতে পারেন আমরা

আশা করি পরবর্তীতে আপনার চাহিদা অনুযায়ী আপনার প্রশ্নের উত্তর দিব এবং নতুন ব্যাখ্যাটি কার নিয়ে আসব সর্বোপরি

বলা যায় যারা আপনারা সময় অসময় পানি পান করেন না তাদের উদ্দেশ্যে বলতেছি তাঁদেরি রক্ত বেশি হয়ে থাকে এবং

প্রয়োজনে খাবারের সাথে আর যুক্ত খাবার খাবেন এবং যাদের এই রোগটি হয়েছে সব সময় শাকসবজি খান অভ্যাস গড়ে

তুলবেন এতে করে আপনি ভালো থাকবেন এবং আপনার পরিবার ভালো থাকবে সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।

আরো পড়তে পারেন

১. টাকা নিয়ে উক্তি ও কাকে বলে।

. টাকা কাকে বলে?

. জুমা মোবারক স্ট্যাটাস

৪. পরকীয়া প্রেম নিয়ে উক্তি

৫. স্কুলের বন্ধুদের নিয়ে উক্তি

About 24 Favor

Check Also

Meeting minutes writing format

Meeting minutes writing format: Who has engaged with NGO job maximum people need writings this …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *