ব্যবসা শুরু করার পদ্ধতি ও অন্যান্য বিষয় ‍বিস্তারিত

ব্যবসা শুরু করার পদ্ধতি: আপনি যদি নতুনভাবে ব্যবসা শুরু করতে চান, তাহলে আমি বলব আপনি ঠিক লেখা টি পড়তেছেন। এই লেখাটি পড়লে আপনি জানতে পারবেন কিভাবে একটি নতুন ব্যবসা শুরু করতে হয়। আপনি যদি নতুনভাবে ব্যবসা শুরু করতে চান, কোন কোন বিষয়গুলো আপনার জানা খুবই প্রয়োজন।

এখানে আমরা ধারাবাহিকভাবে বর্ণনা করেছি কোন বিষয়গুলো জানলে আপনি হয়ে যাবেন একজন দক্ষ ব্যবসায়ী। তাই না জেনে ব্যবসা শুরু করে ক্ষতির সম্মুখীন না হয় জেনেশুনে ব্যবসা শুরু করুন । আর ব্যবসা থেকে সর্বোচ্চ লাভের চেষ্টা করুন ।আমরা দেখেছি ব্যবসা শুরু করার পদ্ধতি কিভাবে একটি ব্যবসা শুরু করলে আপনি ক্ষতির সম্মুখীন হবেন না ।

তো চলুন আমরা ধারাবাহিক আলোচনা করব একটি নতুন ব্যবসা করতে গেলে কি কি বিষয় জানা প্রয়োজন, এবং এর সাথে আরো কয়েকটি বিষয় জেনে নিব। সেগুলো হলো কীভাবে আপনার পুঁজি ছাড়া  ব্যবসা করবেন। ইসলাম কিভাবে ব্যবসা করতে বলে এবং সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা।

নতুন ব্যবসা শুরু করার নিয়ম

ব্যবসা শুরু করতে যাচ্ছেন ? তবে আমরা নিচে যে এগারোটা বিষয় এখানে উল্লেখ করেছি, এই বিষয়গুলো আপনার বিস্তারিত জানা খুবই প্রয়োজন। আর শুধু জানলেই হবে না, একই সাথে এই বিষয়গুলো মেনে নিয়ে আপনাকে ব্যবসা শুরু করতে হবে। জানা এবং মানা এই দুইটা যদি আপনার এক হয়ে যায়, আমি আপনাকে গ্যারান্টি দিচ্ছি আপনি ইনশাল্লাহ আপনার ব্যবসায় সাকসেস হবেন।

তো চলুন আমরা সেই এগারোটা বিষয়কে বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করি । জেনে নেই কিভাবে এই বিষয় গুলো আমরা  আমাদের ব্যবসায় কাজে লাগাবো।

১. একটি ব্যবসায়িক পরিকল্পনা তৈরি

পরিকল্পনা হচ্ছে যেকোনো কাজের মূল কাজ। আপনি যদি একটি ভাল পরিকল্পনা করতে পারেন, তবে ধরে নিতে পারেন আপনি সেই কাজটির অর্ধেক করে ফেলেছেন। এই জন্য ইংলিশে বলে ওয়েল প্লানিং ইজ  ইজ হাফ ডান। অর্থাৎ ভাল পরিকল্পনা কাজের অর্ধেক। আপনি যদি ভালো পরিকল্পনা করেন তবে অর্ধেক কাজ করে ফেলেছেন।

আর ব্যবসার ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম নয়। আমরা যদি একটি ব্যবসা শুরু করার আগে এই ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তারিত একটি পরিকল্পনা করে নেই। তাহলে আমরা সেই ব্যবসা থেকে সহজেই আয় করতে পারবো । কারন একটি পরিকল্পনায় বলে দেবে, আমি এই ব্যবসা দ্বারা কি করতে চাই?  কত দিনে করতে চাই?

কিভাবে করতে চাই? আমার এইখানে উপকারভোগী কে? এইখানে আমি কি পরিমাণ মুনাফা অর্জন করতে চাই? বিস্তারিত । তাই আসুন আমরা নতুন ব্যবসা শুরু করার আগে, সেই ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তারিত একটি পরিকল্পনা তৈরি করে ফেলি। তারপর ব্যবসা শুরু করি।

ব্যবসার নাম নির্ধারণ বা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ

ব্যবসা শুরু করার পদ্ধতি
ব্যবসা শুরু করার পদ্ধতি

ভালো একটি পরিকল্পনা করার পরেই। আসে আপনার ব্যবসার নাম নির্ধারণ, এবং সেই ব্যবসা করার জন্য যে সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগবে, সেই সকল কাগজপত্র সংগ্রহ করা। বিশেষ করে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে, আপনি যদি ব্যবসা করতে চান । আর আপনার যদি সেই ব্যবসার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকে তাহলে সরকার আপনাকে সেই ব্যবসা পরিচালনা করতে দিতে দিবেনা।

তো ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য আমাদের যে কাগজগুলো লাগে সেগুলোর মধ্যে হচ্ছে ট্রেড লাইসেন্স, টিন সার্টিফিকেট উল্লেখযোগ্য । আর এছাড়াও যদি আপনি বাহিরে থেকে কোন পণ্য আমদানি করতে চান। সে ক্ষেত্রে আরো কিছু কাগজপত্র লাগে, যেগুলো আপনাকে সংগ্রহ করতে হবে। তাই আপনি ব্যবসা শুরু করতে গেলে অবশ্যই আপনার ব্যবসার একটি নাম লাগবে, এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে হবে, ব্যবসা শুরু করার শুরুতেই।

ব্যবসা করার জন্য পণ্য নির্ধারণ

বাজারে হাজারো পণ্য রয়েছে। আপনি ইচ্ছে করলেই সবগুলো পণ্য নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন না। তাই আপনাকে আগে একটি পণ্য নির্বাচন করতে হবে। যে আমি কোন পণ্যটি উৎপাদন করতে চাই? অথবা আমদানি করতে চাই। এই পণ্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে, আপনি যে পন্যটি নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে চান।

সেই পণ্যটি উৎপাদন অথবা আমদানি করার জন্য যে রিসোর্স গুলো প্রয়োজন, সেই রিসোর্স গুলো আপনার সহজলভ্য কিনা?

ব্যবসা করার জন্য বাজার যাচাই

অনেকেই আমরা আছি। যারা হুট করে একটি ব্যবসা শুরু করেছি। কিন্তু এটা একটি ভুল ধারণা। আমাদের ব্যবসা শুরু করার আগে, আমি যে পন্যটি নিয়ে ব্যবসা করতে চাচ্ছি, সেই পণ্যটি আমার এলাকার বাজারে চাহিদা আছে কিনা? অর্থাৎ আমি যেই পণ্যটি আমদানি করব অথবা উৎপাদন করব সেই পণ্যটি আমাদের যে স্থানীয় বাজার আছে সেই বাজারে বিক্রি হয় কিনা?

ক্রেতাগণ এটা কিনে কিনা ? কি পরিমাণ কেনে?  এ সকল বিস্তারিত জানার জন্য আপনার অবশ্যই দরকার বাজার সার্ভে করা। আপনি যদি ব্যবসা শুরু করার আগেই সেই পণ্যের বাজার সর্ভে করেন, এবং এর সার্বিক বিষয়ে বিস্তারিত  তুলে এনে বিষয় গুলো এনালাইসিস করে ব্যবসা শুরু করেন. আমি আপনাকে ইনসিওর করছি, আপনি আপনার ব্যবসা থেকে সর্বাধিক লাভ পাবেন।

মূলধন/পুঁজির জোগান

এটা হচ্ছে ব্যবসার বড় একটি অংশ। কারণ আমরা জানি প্রায় সব ব্যবসাতেই মূলধন প্রয়োজন। হাতে গোনা দুই একটি ব্যবসা ছাড়া। তাই আপনি যে ব্যবসাই করতে যাবেন, সেই ব্যবসার জন্য যে পরিমাণ মূলধন প্রয়োজন সেই মূলধন আপনার আছে কিনা? তো সেই ক্ষেত্রে আমি আপনাদের একটু পরামর্শ দিব ।

আপনি ব্যবসা শুরু করার আগেই কোন ধরনের ঋণ করে টাকা নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে যাবেন না। সে ক্ষেত্রে আপনার ঝুঁকির পরিমাণ বেশি । আপনি চেষ্টা করবেন আপনার নিজস্ব পুঁজি অথবা বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের অন্য লোকজনের কাছ থেকে নেওয়া পুঁজি দিয়ে ব্যবসা শুরু করতে। কারণ সেক্ষেত্রে আপনার ঝুঁকির সম্ভাবনা কম থাকে।

ব্যবসার জন্য দক্ষতা বা জ্ঞান অর্জন

জ্ঞান বা দক্ষতা হচ্ছে এমন একটি উপাদান, যেটা শুধু ব্যবসা না, যেকোনো কাজেই আপনার জ্ঞান বা দক্ষতার প্রয়োজন। আর তাই যেকোনো সৈন্যদলকে তাদের জ্ঞান বা দক্ষতা অর্জনের জন্য দেওয়া হয় কঠিন প্রশিক্ষণ। আমরা যদি আমাদের ব্যবসা শুরু করার আগেই, সেই ব্যবসা সম্পর্কে নিয়ে ফেলতে পারি কঠিন প্রশিক্ষণ তাহলে আমরা অর্জন করতে পারবো দক্ষতা বা জ্ঞান।

তাহলে আমরা সহজেই সেই ব্যবসা থেকে লাভবান হতে পারব। কারন একজন দক্ষ লোক বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সফলতা লাভ করে ।আমি যদি আপনাদের একটি ছোট্ট একটা উদাহরণ দিই, তাহলে বিষয়টা আরো পরিস্কার হবে। ধরুন আপনি সাঁতার জানেন না। আপনাকে বলা হলো আপনি ছোট্ট এই কুকুরটির ওপাড়ে যাবেন।

তাহলে আপনার সেই পুকুর ওপাড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কত? আপনি স্বভাবতই বলবেন যে আমি সাঁতার জানি না কিভাবে আমি এই কুকুরটির ওপারে যাব। ঠিক তাই আপনি যদি কোন কাজ না জানেন সেই কাজটা থেকে আপনি কিভাবে সফলতা পাবেন? তাই আপনি যে কোন ব্যবসা শুরু করার আগে সেই ব্যবসা সম্পর্কে সঠিক দক্ষতা অর্জন নিশ্চিত করুন।

পরিবারের বা বন্ধুদের সহযোগিতা গ্রহণ

পরিবার হচ্ছে প্রতিটা মানুষের জন্য কাছের এক বন্ধন। এছাড়াও বন্ধু বন্ধ থাকে আত্মার সাথে মিশে। তাই আপনি যে কোন ব্যবসা শুরু করার আগে, পরিবার এবং বন্ধু-বান্ধবের কাছ থেকে সহযোগিতা নিয়েই শুরু করতে হবে। সহযোগীতা হতে পারে নানান রকমের যেমন হতে পারে পরামর্শ অথবা পুঁজি সংগ্রহ । যাই হোক তাদের সহযোগিতায় নিয়েই. আপনি শুরু করেন আপনার নতুন ব্যবসা টি।

(আমরা সবাই আমাদের জীবনকে বদলাতে চাই । মুছে ফেলতে চাই খারাপ অভ্যাসগুলো কে। কিন্তু পারিনা। আর সেই আপনার না পারাকে- পাড়ায় পরিণত করার জন্য আমরা লেখেছি একটি ব্লগ যে ব্লগ পড়লে আপনি সহজেই নিজেকে বদলে ফেলতে পারবেন। আর তার জন্য ভিজিট করুন আমাদের এই পেজটি)

একই ব্যবসায় সফল ও বিফল হয়েছে এমন লোকদের পরামর্শ গ্রহণ

আপনি যে ব্যবসাটি  শুরু করতে চাচ্ছেন অর্থাৎ যে পণ্যটি উৎপাদন বা আমদানি করতে চাচ্ছেন। আপনি দেখবেন সেই ব্যবসাটি অলরেডি অনেকেই করে সফল বা বিফল হয়েছে। তাই আপনি চেষ্টা করবেন একাধিক ব্যাক্তির সাথে যারা একই ব্যবসায় সফল ও বিফল হয়েছে।

তাদের সাথে আলাপ-আলোচনা করলে আপনি সেক্ষেত্রে তাদের সফলতা বা  বিফলতার কারণ গুলো বিস্তারিত জানতে পারবেন। এখান থেকে আপনি দু ধরনের জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন, এক এই ব্যবসা থেকে সফল হওয়ার উপায় গুলো, এবং দ্বিতীয়তো এ ব্যবসা করতে গেলে কি কি ঝুকি আছে। যেগুলো আপনার এড়িয়ে চলতে হবে।

এ ভাবে আলোচনা করলে ব্যবসার পরিচালনা করা সহজ হয়। কারণ তখন জানা থাকে ব্যবসার ঝুঁকি এবং সুবিধার দিকগুলো । তাই আপনি ব্যবসা শুরু করার আগে অবশ্যই ব্যবসায় যারা সফল এবং বিফল হয়েছে তাদের সাথে আলাপ-আলোচনা করে নেয়া।

পণ্য বিক্রির কৌশল নির্ধারণ

যেকোনো পণ্য উৎপাদন করবেন বা আমদানি করেন সেটা বিক্রি করা হচ্ছে মূল লক্ষ্য। আপনি যদি পণ্যটি উৎপাদন বা আমদানি করার পর সেই পণ্য বিক্রি করতে না পারেন তাহলে আপনি কখনোই লাভবান হবেন না। এই জন্য পণ্য বিক্রি করার জন্য আপনাকে নিতে হবে কিছু কৌশল।

যে কৌশল গুলো গ্রহন করে আপনি আপনার পণ্য বিক্রির প্রচেষ্টা চালাবেন। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আপনি আপনার পণ্য বিক্রি করার জন্য কিছু বিক্রয় প্রতিনিধি নির্ধারণ করতে পারেন, কিছু হকার নির্ধারণ করতে পারেন, হোলসেলার নির্ধারণ করতে পারেন সেটা নির্ভর করবে আপনার পণ্যের ধরনের উপরে। এইজন্য বিক্রির কৌশল নির্ধারণ করা ব্যবসার একটি অন্যতম কাজ।

ব্যবসার হিসাব নিকাশের ব্যবস্থা থাকা

হিসাবেই লাভ হিসাবেই ক্ষতি । আপনি ব্যবসা পরিচালনা করতে গেলে আপনার প্রথমেই লক্ষ্য থাকতে হবে, আমি যে ব্যবসাটি পরিচালনা করব সেই ব্যবসাটির পরিপূর্ণ একটি হিসাব বিবরণ থাকা। সেটা হতে পারে আপনার কম্পিউটারে অথবা সেটা হতে পারে আপনার খাতা কলমে ।

যেভাবেই পারেন  আপনি ব্যবসা পরিচালনা করলে আপনার অবশ্যই হিসাব নিকাশের ব্যবস্থা থাকতে হবে। কারন এই হিসাব নিকাশ দ্বারা প্রকাশ পাবে আপনার ব্যবসার লাভ ক্ষতি । আপনার ব্যবসার গতি এবং প্রকৃতি। পরবর্তীতে কি কি পদক্ষেপ নিতে হবে যাবতীয় বিষয়।

ব্যবসার নিয়ম কানুন প্রতিষ্ঠা করা

সবশেষে একজন আদর্শ ব্যবসায়ী হতে গেলে আপনার  থাকতে হবে কিছু নিয়ম কানুন। আর সেই নিয়ম কানুনে উল্লেখ থাকবে ব্যবসায়ীর যাবতীয় নিয়মকানুন । অর্থাৎ এই ব্যবসাটি কিভাবে পরিচালিত হবে? এর লভ্যাংশ কিভাবে বন্টন হবে? ক্রেতাগণ কিভাবে ও কি কি সুবিধা পাবেন? ভোক্তাগন কিকি নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে?

এই ব্যবসা দ্বারা সমাজের কিভাবে উপকার হবে। এ ব্যবসায় কিভাবে দেশ উপকৃত হবে যাবতীয় বিষয়। সকল ব্যবসায়িক নিয়ম কানুন এই জায়গায় উল্লেখ থাকবে । যেটাকে বলা হবে ব্যবসা পরিচালনার মূল চাবিকাঠি।

(আমরা সফল হতে চাই। কিন্তু জানিনা সফল হওয়ার সেই কৌশলগুলো । আর সফল হতে গেলে আপনার জানতে হবে কিছু কৌশল। সেই কৌশল গুলো নিয়ে সাজিয়েছে আমাদের এই পেইজটি। জেনেনিন সফল হওয়ার সেই গোপন কৌশল গুলো)

পুঁজি ছাড়া ব্যবসা

ব্যবসা করতে চাই কিন্তু পুঁজি নাই। কিভাবে ব্যবসা করব? কোন ব্যবসা করব? হতাশ হবেন না। আপনার যদি মেধা থাকে,

এবং কিছু বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে পারেন, তাহলে আপনি পুঁজি ছাড়াই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। পুঁজি

সবসময় ব্যবসার মূল চাবিকাঠি তা ঠিক নয়। ব্যবসা করতে গেলে অনেক সময়ের প্রয়োজন হয় মেধার।

আর এই মেধা খাটিয়ে আপনি পুঁজি ছাড়াই বেশ কয়েকটি ব্যবসা করতে পারেন। যে ব্যবসা গুলোতে বেশ আয়ের সুযোগ

আছে । বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যেসকল ব্যবসা পুঁজি ছাড়া করা যায় সেই সকল ব্যবসার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-

  • অনলাইনে পণ্য কেনাবেচা।
  • ব্লগিং ব্যবসা।
  • পণ্য বেচা কেনায় মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ব্যবসা ।
  • আদম ব্যবসার দালালি।
  • গরুর ব্যবসার দালালি।
  • পণ্য ডেলেবারি ব্যবসা।
  • প্রাইভেট পড়ানো বা কোচিং ব্যবসা।
  • মাল বিক্রি করে পরবর্তীতে মালের দাম পরিষদ করার মাধ্যমে অনেকেই পুঁজি ছাড়া ব্যবসা করে থাকে।

এ ছাড়াও আরও বেশ কিছু ব্যবসা আছে যেগুলো আপনি করতে পারেন। তো বাংলাদেশের পেক্ষাপটে এই ব্যবসা হচ্ছে

উল্লেখযোগ্য। অনায়াসে আপসি এই সকল ব্যবসা  শুরু করে দিতে পারেন।

(ধনী হতে চান ? জানতে চান ধনী হওয়ার সেই মূল মন্ত্র গুলো ? তাহলে আর দেরি নয়। ভিজিট করুন আমাদের এই

পেইজটি এবং হয়ে যান আপনি খুব সহজেই ধনী মানুষের একজন)

কাপড়ের ব্যবসা করার নিয়ম

অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন ভাই আমি কাপড়ের ব্যবসা করব। কিভাবে করব? কিভাবে শুরু করতে হবে? ইত্যাদি বিষয়ে।

আর তাই আমি আপনাদের এই বিষয়ে বলব, আপনি যদি আপনার এলাকায় কাপড়ের ব্যবসা করতে চান । তবে অবশ্যই

উপরের দেওয়া ১১ টি তথ্য ভালোভাবে আপনার ব্যবসার ক্ষেত্রে কাজে লাগাবেন। এর সাথে আপনি আরও কিছু বিষয় যোগ

করবেন যেমন

  • আপনি যে কাপড়ের ব্যবসা করতে চাচ্ছেন সেই কাপড় আপনার এলাকায় চলে কিনা?
  • যেখান থেকে কাপড় কিনে আনবেন সেখান থেকে কিনে এনে আপনার এলাকায় বিক্রি করলে সে কাপড় থেকে লাভ করতে পারবেন কিনা?
  • এলাকার মানুষ কোন ধরনের কাপড় পছন্দ করে?
  • কাপড়ের ব্যবসা করার জন্য আপনার উপযুক্ত জায়গা আছে কিনা?

এই সমস্ত বিষয় বিবেচনা করে আপনি যদি কাপড়ের ব্যবসা শুরু করতে পারেন । তাহলে আপনি অবশ্যই আল্লাহর রহমতে

সফল হতে পারবেন। কারণ কাপড়ের ব্যবসা হচ্ছে এমন একটি ব্যবসা, যেখানে লস হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে ।  প্রতি

বছরই কাপড়ের দাম বাড়তে থাকে। এ ছাড়াও এই পণ্যটি সহজেই নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনাও কম।

তাই অনেকেই কাপড়ের ব্যবসা কে পছন্দ করে থাকেন। আপনি ইচ্ছে করলে আপনার এলাকার চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে,

শুরু করে দিতে পারেন লাভজনক এই ব্যবসাটি।

(আপনি কি জানতে চান কোন পাঁচটি ব্যবসা করলে আপনি লাভবান হতে পারবেন? এবং সেই ব্যবসাগুলো কি? তাহলে

ভিজিট করুন আমাদের এই পেজটি}

ইসলামে ব্যবসা করার নিয়ম

আমরা অনেকেই আছি যারা একটু ধর্মভীরু। আমরা চাই ধর্মের পরিধির মধ্যেই আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য কে পরিচালনা

করার জন্য । আপনি যে ধর্মেরই মানুষ হোন না কেন। সকল ধর্মই মানুষের কল্যানের জন্য । আর তাই মানুষের কল্যাণের

জন্য আমরা ধর্মের বাইন্ডিংস থেকে যারা ব্যবসা পরিচালনা করতে চাই তাদের জন্যই মূলত আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা।

আপনি ইচ্ছে করলে ইসলামী শরিয়া মতে আপনার ব্যবসা পরিচালনা করতে পারেন। আর যদি আপনি নিচের এই নিয়ম

মাফিক আপনার ব্যবসাকে পরিচালিত করেন তাহলে আপনার ব্যবসাটি হবে ইসলামী শরীয়া মতে ব্যবসা পরিচালনা।

তাহলে  জেনে নেয়া যাক সেই সকল বিষয়গুলো।

  • কোন ভাবেই প্রতারণা বা ধোকা দেওয়া যাবে না।
  • যে কোন ধরনের মিথ্যার আশ্রয় নেয়া যাবে না ।
  • মালা মাল বিক্রয় করার সময় ওজনে কম দেওয়া যাবেনা।
  • যখন কোন পণ্য ক্রয় বা বিক্রয় করা হবে তখন সেই পণ্য ক্রয় বা বিক্রির জন্য মিথ্যা শপথ করা যাবেনা।
  • ব্যবসা পরিচালনার সময় নিজে বা অপরকে ঠকানো যাবেনা ।
  • ইসলামী ভাবে ব্যবসা পরিচালনা করার সময় সকল প্রকার সুদকে বর্জন করতে হবে।
  • মালামাল ক্রয় বা বিক্রয়ের সময় আনুমানিকভাবে ব্যবসা করা যাবেনা।
  • অপরের মাল নিজের স্বার্থের কারণে হণন করা যাবে না ।
  • বৈধ নয় এমন মাল ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে না।
  • শুধু আল্লাহকে খুশি করার জন্য ব্যবসা পরিচালনা করতেছি এই নিয়তে ব্যবসা করা।

আপনি যদি উপরোক্ত বিষয়গুলো মেনে ব্যবসাকে পরিচালনা করতে পারেন, তাহলে বলা যায়  ১০০ ভাগ ইসলামিক আইন

কানুন মেনে আপনার ব্যবসা পরিচালনা করছেন।

(আপনি যদি কৃষি বিষয়ক বিভিন্ন ভিডিও আপডেট পেতে চান, এবং জানতে চান আধুনিক কৃষি বিষয়ক সকল তথ্য তাহলে

ভিজিট করতে পারেন আমাদের এই ইউটিউব চ্যানেলটি)

শেষকথা:

আশা করি উপরোক্ত বিষয়সমূহ যদি ১০০ ভাগ কাজে লাগান বা ফলো করেন। তাহলে আপনি যে কোন ধরনেরই ব্যবসা

শুরু করেন না কেন? সেই ব্যবসা থেকে আপনি লাভবান হতে পারবেন। আপনি উপরোক্ত পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করে

ব্যবসা করার ফলে আপনার ব্যবসায় কতটুকু লাভবান হয়েছে, অথবা আপনার উপরোক্ত বিষয়গুলো পড়ে আপনার কেমন

লেগেছে?তা অবশ্যই আমাদের কমেন্ট সেকশানে জানাবেন । উপরোক্ত বিষয়সমূহ যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে

অবশ্যই আপনি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ লেখাটি শেয়ার করে সবাইকে জানিয়ে দিবেন। ধন্যবাদ আপনাকে

কষ্ট করে এই লিখাটি পড়ার।

আরো পড়ুন:

. সুন্দর কথা বলার কৌশল।

২. গুগলের জানা অজানা নানান তথ্য

৩. স্কুল লাইভ নিয়ে স্ট্যাটাস

৪. গুগলে মানুষ কোন বিষয়ে বেশি সার্চ করে।

About 24 Favor

Check Also

Meeting minutes writing format

Meeting minutes writing format: Who has engaged with NGO job maximum people need writings this …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *