হার্টের সমস্যা সমাধানের উপায়- বর্তমানে এই রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এক জরিপে দেখা গেছে উন্নত দেশ
গুলোতে এই হৃদরোগের রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা এখন নিয়ন্ত্রন এর ক্ষমতার অনেক বহিরে। কিন্তু আমরা
যদি বড় ধরনের সমস্যা হওয়ার আগে সচেতন থাকি তবে আমরা এই ধরনের সমস্যা আমাদের হবে না। আর যদি কোন
কারনে এই ধরনের সমস্যা হয়েই যায় তবে কিছু ঘরোয়া উপায়ে আপনি আপনার সমস্যার সমাধান করতে পারেন। আর এই
বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো যে আলোচনার মাধ্যমে আপনি সহজেই আপনার সমস্যার সমাধান করে নিতে
পারবেন। আর এর জন্য এই হার্টের সমস্যা সমাধানের উপায় লেখাটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন আর
আপনার সমস্যার সমাধান করে নিন খুব সহজেই।
হার্টের সমস্যা সমাধানের উপায়
আমাদের চার পাশে অনেকেই এই ধরনের সমস্যায় আছে । কিন্তু তা বুঝতে পারছেনা আবার অনেকেই এই
সমস্যাটিকে খুব একটা প্রথম থেকে গুরুত্ব প্রদান না করার কারণে তাদের এই সমস্যা এক সময় অনেক বড় আকারে ধারণ
করে থাকে। তাই যাদের এই ধরনের সমস্যা আছে তাদের প্রথম দিকে গুরুত্ব দিয়ে এর সমাধানের জন্য চেষ্টা করা প্রয়োজন।
আসুন আজ এখানে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো যাতে আপনার সমস্যার সমাধান খুব সহজেই করে
নিতে পারেন। আর তার জন্য নিচের বিষয় গুলো খুব গুরুত্ব সহকারে অনুসরণ করতে পারেন। আশাকরি আপনার সমস্যা
যদি প্রাথমিক পর্যায়ে থাকে তবে আপনি খুব সহজেই এর সমাধান করতে পারবেন।
বেশ কয়েক জন ডাক্তারের সাথে আলোচনা করার ফলে তারা যে সকল বিষয়ে একমত তাদের পরামর্শ অনুযায়ী নিচের
বিষয়টি বেশ গুরুত্বপূর্ণ । আর তাই যদি কেউ নিচের বিষয়টি মেনে চলে তাহলে সবাই আল্লাহর
রহমতে ভাল থাকতে পারবে।
খাবার বিষয়ে সচেতন হয়ে হার্ট অ্যাটাকের ঝুকি কমানো
বিশেষ করে যাদের বয়স ৪০ বা তার থেকে বেশি তাদের খাবার খাওয়ার প্রতি খুবই সচেতন হতে হবে। তা নাহলে যখন তখন
পড়ে যেতে পারেন এই ধরনের সমস্যায়। কারণ সময় যদি কেউ এ সময় অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় খাবার খায় এবং তৈলাক্ত
খাবার খায় তবে শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমে যার ফলে রক্তে চর্বির পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে যাতে হার্ট অ্যাটাকের মত
সমস্যা হতে পারে।
শর্করা ও চর্বি জাতীয় খাবার কম খাওয়ার মাধ্যমে হার্ট অ্যাটাকের সমস্যার সমাধান
কেউ যদি অধিক পরিমানে শর্করা ও চর্বি জাতীয় খাবার বেশি খায় তবে তার এই ধরনের সমস্যা হবার সম্ভাবনা বেশি হয়।
তাই এই ধরনের খাবার যতটুকু সম্ভব কম খাওয়া। যাতে করে শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমা না হয়। বিশেষ করে যাদের শরীরে
অতিরিক্ত মেদ বা বয়স একটু বেশি তাদের জন্য এই সমস্যা আরো অধিক। তাই যাদের শরীর অধিক মোটা বা বয়স একটু
বেশি তাদের এই ধরনের খাবার পরিহার করাই উত্তম।
আমিষ জাতীয় খাবার বেশি খাওয়ার মাধ্যমে হার্ট অ্যাটাক সমস্যার সমাধান
আমাদের খাবার তালিখায় আমিষ জাতীয় খাবার বেশি রাখতে হবে। কারণ আমরা যদি শর্করা ও চর্বি জাতীয় খাবার কম
খেয়ে, বেশি করে এই ধরনের খাবার বেশি করে খেতে হবে । তাহলে দেখা যাবে আমাদের এই ধরনের সমস্যা থেকে দূরে
থাকতে পারবো। যাদের শরীর মোটা তাদের জন্য অনেক সময় ডাক্তার বেশি করে শাকসব্জি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
হাটার মাধ্যমে হৃদরোগের সমাধান
আমাদের সবারই উচিৎ প্রতিদিন নিয়মিত সকালে এবং বিকাল বেলা হাটা। যারা নিয়ম করে হাটতে পারবে তাদের এই
ধরনের রোগ কম হবে। তাছাড়া যদি কেউ জরুরী প্রয়োজনে প্রতিদিন হাটতে সক্ষম না হয় তবে সপ্তাহে অন্তত ২ দিন হাটা
অনেক ডাক্তারের মতে বাধ্যতামূলক। তাই আমাদের সকলেরই সু-স্বাস্থ্য বজায় থাকার জন্য প্রয়োজন নিয়ম করে হাটতে
হবে। হাটা একটি অনেক বড় ধরনের ব্যায়াম এই কাজটি করলে আরো কয়েকটি রোগ থেকে পরিত্রান পাওয়া যায়।
এড়িয়ে চলতে হবে লিফটে চড়া
কাজের জন্য বা অন্য কারনে অনেক সময় আমরা লিফট ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু যাদের আমাদের হার্ট এর সমস্যা আছে
তাদের জন্য লিফট ব্যবহার নিষিদ্ধ তাই কাজের জন্য বা অন্য কারনে যখনই আপনার লিফট ব্যবহার করা প্রয়োজন হবে
তখন আপনি উপরে উঠার জন্য বা নিচে নামার জন্য সিঁড়ি ব্যবহার করুন।
হৃদ রোগের ঝুকি এড়াতে একটানা বেশি বসে থাকা যাবেনা
যাদের এই ধরনের সমস্যা আছে তাদের জন্য একটানা বেশি সময় ধরে বসে থেকে কোন কাজ না করাই হচ্ছে উত্তম । যদিও
কোন কারণে অনেক সময় বেশি সময় ধরে বসে কাজ করতে হয় তবে অন্তত ২ ঘন্টা পর পর ১৫ থেকে ২০ মিনিট হেটে
আসুন। তা নাহলে আপনার সমস্যাটি আরো প্রকট হয়ে যাবে। আর তাই প্রত্যেক ডাক্তার গন পরমর্শ দিয়ে থাকেন কাজের
ফাঁকে অবশ্যই বিশ্রাম নেয়া বাধ্যতামূলক।
হৃদরোগের ঝুকি কমাতে বূমপান ও নেশা পরিত্যাগ
কারো যদি নেশার করার অভ্যাশ থাকে বা ধূমপান করার অভ্যাস থাকে তবে তাদের এই সমস্যা হবার ঝুকি অনেক বেশি।
আর যাদের এই সমস্যা আছে তাদের জন্য আরো ভয়াবহ হবার সমস্যা দেখা দিবে। তাই আসুন যাদের এই ধরনের বদ
অভ্যাস আছে তারা এই কু-অভ্যাস বদলে ফেলুন। আর যেন আপনাদের এই ধরনের সমস্যার সন্মুখিন হতে না হয়।
হার্ট অ্যাটাক কমাতে ওজন ও সুগার নিয়ন্ত্র রাখতে হবে
অনেক সময় আমরা বুঝিনা যে আমাদের শরীরের ওজন বেড়ে গিয়েছে বা সুগার অনেক বেশি হয়েছে। যার ফলে হঠাৎ
করে সমস্যায় পড়ে যাই। আর এর জন্য প্রতিদিন আমাদের ওজন বৃদ্ধি ও সুগার নিয়ন্ত্রণ রাখার ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে।
প্রয়োজনে মাঝে মাঝে চেক করা প্রয়োজন।
হার্টের সমস্যা সমাধানের উপায় এর শেষ কথা
উপরোক্ত হার্টের সমস্যা সমাধানের উপায় লেখাটি দ্বারা অনেকরই উপকার হবে আশা করা যায়। আপনার সু-স্বাস্থ্য
বজায় রাখতে উপরের নিয়ম গুলো অনুসরণ করুন। যদি আপনার সমস্যার মত্রা অধিক হয় তবে ভাল ডাক্তারের পরামর্শ
নিন। আর যদি এছাড়াও আপনার আরো কোন বিষয়ে জানার থাকে তবে আমাদের কাছে লিখতে পারেন। আমরা পরবর্তিতে
আপনার প্রশ্নের উত্তর দিব। লেখাটি ভাল লাগলে সবার সাথে শেয়ার করার জন্য অনুরোধ রইল। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত
পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
One comment
Pingback: সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিয়ে উক্তি রচনা ও কবিতা