সুইজারল্যান্ড সংবিধান ও জনপ্রিয় স্থান

আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা, আজকে আমরা কথা বলবো সুইজার‌ল্যান্ড সংবিধান ও জনপ্রিয় স্থান

বিষয় টি নিয়ে। আপনারা যারা সুইজারল্যান্ড সম্পর্কে জানতে চান তারা অবশ্যই আমার  এই লেখা টি পড়ুন।

আমার এই লেখা থেকে আরো জানতে পারবেন সুজারল্যান্ডে সবচেয়ে জনপ্রিয় স্থান ও সংবিধানের আরো

কিছু বিষয় সম্হ।এই সকল বিষয় নিম্ন আলোচনা করা হলো।আপনারা যারা জানতে ইচ্ছুক তারা অবশ্যই

আজকের আমার এই সুইজারল্যান্ড সংবিধার ও জনপ্রিয় স্থান লেখা টি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত

মনোযোগ সহকারে পড়ুন।নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হল।

সুইজারল্যান্ড সংবিধান

সুইজারল্যান্ড সংবিধান

প্রতিটি দেশেরই একটি নির্দিষ্ট সংবিধান আছে। আর সেই সংবিধানের মৌলিক বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায়।

তেমনই সুজারল্যান্ড এর সংবিধানে কতগুলি বৈশিষ্ট্য আছে ।সেইগুলি হল- লিখিত সংবিধান, সংবিধানের

আকার, সমপ্রতিনিধিত্ব, যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থা,দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভা,অনমনীয়

সংবিধান,সাধারণতান্ত্রিক সংবিধান ,গণতান্ত্রিক সংবিধান, যুক্তরাষ্ট্রীয় আদালত, ধর্মনিরপেক্ষতা।এই সকল

বিষয় নিম্নে আলোচনা করা হলো।

লিখিত সংবিধান: সুইজারল্যান্ডের সংবিধান হলো একটি লিখিত সংবিধান।এই সংবিধানে দুই ধরনের

সরকারের মধ্যে ক্ষমতা বন্টনের বিষয় টি লিপিবদ্ধ করা আছে।সুজারল্যান্ড এর সংবিধানে কিছু কিছু প্রথা ও

রীতিনীতির প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।

সংবিধানের আকার: সুইজারল্যান্ডে সংবিধান টি আকারে বড়।এই সংবিধানে তিন টি অধ্যায় সহ  ১২৩ টি

ধারা লক্ষ্য করা যায়।সুইস সংবিধানে যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার এবং ক্যান্টন সরকারের ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের বিষয়ে

বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

সমপ্রতিনিধিত্ব: প্রত্যেক টি ক্যান্টন থেকে সমান সংখ্যক প্রতিনিধি সুইস আইনসভার উচ্চকক্ষের প্রেরিত

হয়। ২২ টি পূর্ণ ক্যান্টন থেকে ২ জন করে এবং ৬ টি অর্ধ ক্যান্টন থেকে ১ জন করে প্রতিনিধি উচ্চকক্ষ বা

রাজ্য পরিষদের পাঠানো হয়।

যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থা: সুইজারল্যান্ডের সংবিধানের ১ নং ধারায় সুইজারল্যান্ডেকে একটি রাষ্ট্র সমবায়

রূপে আখ্যা দেওয়া হয়েছে।সংবিধানে দেশের জাতীয় সরকার এবং ২২ টি ক্যান্টিন এর মধ্যে বন্টিত ক্ষমতার

বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া আছে।

দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভা: সুইজারল্যান্ডে ‍দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভা দেখা যায়।আইনসভার উচ্চকক্ষের

নাম “রাজ্য পরিষদ” এবং নিম্নকক্ষের নাম ‘জাতীয় পরিষদ’।নিম্নে আরো কিছু সংবিধান এর বৈশিষ্ট্য দেওয়া

হল-

 সংবিধানের আরো কিছু বিষয় সমূহ-

অনমনীয় সংবিধান: সুইজারল্যান্ডের সংবিধান টি অনমনীয় সংবিধান। অর্থাৎ এটি দুষ্পরিবর্তনীয়

সংবিধান। সংবিধান সংশোধন করতে গেলে ক্যান্টন গুলির  পুলিশ সম্মতি প্রয়োজন অথবা গণভোটের

মাধ্যমে সংবিধান সংশোধন করা যেতে পারে।

সাধারণতান্ত্রিক সংবিধান: যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থা সুইজারল্যান্ডের সংবিধান টি একটি সাধারণ তান্ত্রিক

সংবিধান । ‍সুইস সংবিধানের ৬ নং ধারা অনুযায়ী বলা হয়েছে যে ক্যান্টন গুলিকে রক্ষা করার দায়িত্ব

যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের এবং প্রতিটি ক্যান্টন যুক্তরাষ্ট্রীয় সংবিধান কার্যকরী হবে। সুজারল্যান্ড এর প্রতিটি

রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান গণতান্ত্রিক নির্বাচন পদ্ধতির দ্বারা পরিচালিত হয়।

গণতান্ত্রিক সংবিধান: সুইজারল্যান্ডে সাংবিধানে গণতন্ত্রের প্রধান বৈশিষ্ট্য গুলি লক্ষ্য করা যায় ,তাই এই

দেশের সংবিধানকে গণতান্ত্রিক সংবিধান বলা যায়। অন্যান্য অনেক গণতান্ত্রিক দেশের সংবিধানের তুলনায়

সুইজারল্যান্ডের  সংবিধানে গণতান্ত্রিকতা অনেক বেশি সুস্পষ্ট  এবং সহজ-সরল।কারণ সংবিধান সংশোধন

করতে গেলে এখানে ‘গণভোট’ ও ‘গণউদ্যোগ’ ব্যবস্থার অস্তিত্ব আছে।

 যুক্তরাষ্ট্রীয় আদালত: সুইজারল্যান্ডের বিচার ব্যবস্থা পুরোপুরিভাবে যুক্তরাষ্ট্রীয় নয়। কিন্তু এখানে একটি

যুক্তরাষ্ট্রীয় আদালত আছে।যার নাম ‘যুক্তরাষ্ট্রীয় ট্রাইবুনাল’। যুক্তরাষ্ট্রীয় আইনের ব্যাপারে ট্রাইবিউনাল

কখনও হস্তক্ষেপ করতে পারে না।

ধর্মনিরপেক্ষতা: সুইজারল্যান্ডের সংবিধানে ধর্মীয় বিশ্বাস ও স্বাধীনতার কথা স্বীকৃত হয়েছে। তাই এ দিক

থেকে বিচার করলে সুইজারল্যান্ডে সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা রয়েছে অর্থাৎ সুইজারল্যান্ড একটি

ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র।

সুইজারল্যান্ডে সবচেয়ে জনপ্রিয় স্থান

সবচেয়ে জনপ্রিয় স্থান: যদিও সুইজারল্যান্ড একটি ছোট দেশ,তবে এর পর্যটনশিল্প সামান্যই।উচ্চতর

আল্পস এবং হিমবাহ ,সেই সাথে সুইজারল্যান্ডে মনোরম ল্যান্ডস্কেপ, পুরানো দুর্গ ,বিশুদ্ধ ফিরোজা হ্রদ এবং

মহিমান্বিত পর্বত শৃঙ্গ গুলি ঘুরে দেখার জন্য শীর্ষ ।সুইস অবস্থান গুলির উপর আধিপত্য বিস্তার করে-

সেখানে ২০০ মিটারেরও বেশি ৩০০০ টিরও বেশি চূড়া রয়েছে।সুইজারল্যান্ড জুড়ে ভ্রমণ শীর্ষ রন্ধন প্রণালীর

কারণে একটি আঞ্চলিক আশ্চর্য এবং আপনি যদি শীর্ষ সুইস সত্যটি  আবিষ্কার করেন তবে এটি স্পষ্ট যে এই

ছোট  শহরটিতে অফার করার জন্য অনেক কিছু আছে।জনপ্রিয় স্থান গুলো নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা

হল।

রাইন জলপ্রপাত

রাইন জলপ্রপাত: রাইন জলপ্রপাত ,ইউরোপের সর্বশ্রেষ্ঠ জলপ্রপাত ,একটি মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক

সৌন্দর্য  যা দর্শকদের সুইজারল্যান্ডে আকৃষ্ট করে। সুইজারল্যান্ডের সুদূর উত্তরে শ্যাফহাউসেন শহরের

কাছে ১৫০ মিটারেরও বেশি প্রস্থা থেকে বিশাল জলপ্রপাতের গর্জন ।দর্শকরা বিভিন্ন  সুবিধার পয়েন্ট থেকে

অনুষ্ঠানটি দেখতে পারেন এবং যারা যথেষ্ট সাহসী তারা শ্লোস লউফেন এবং শ্রোস ওয়ার্থের সংলগ্ন দুর্গে

নৌকা এবং প্যাডেল ভাড়া করতে পারেন । রাইনফল ১ লা আগস্ট সুইস জাতীয় দিবসে একটি দর্শনীয়

আতশবাজি প্রদর্শন করে যা পর্যটকদের ভিড় আকর্ষণ করে।

সুইজারল্যান্ড জুরিখ

 সুইজারল্যান্ড জুরিখ: জুরিখ সুইজারল্যান্ডের সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে, দেশটিতে ভ্রমণের পরিকল্পনা

করার সময় কোন অপেক্ষা করা উচিত নয়। অনেকের অজানা জুরিখের আর্থিক বাহ্যিকতার পেছনে

লুকিয়ে থাকা সমসাময়িক প্রান্তের সাথে একটি জীবন্ত নাইট লাইফ রয়েছে। সর্বোপরি জুরিখ ইউরোপের

বৃহত্তম বাৎসরিক রেভ পার্টিগুলির একটি ,স্ট্রিট প্যারেডের মঞ্চায়ন করে।যদিও শহরের ঐতিহাসিক

শিকড়ের কিছু অংশ সংরক্ষণ করা হয়েছে, যেমন টি স্বতন্ত্র গিল্ড ভবন, গ্রসমুন্সটার গির্জা,সুইস ন্যাশনাল

মিউজিয়াম এবং লিন্ডেনহফ প্লাজা দ্বারা প্রমাণিত, ধনী জুরিখ পুনঃউন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেয়।জুরিখে ৫০

টিরও বেশি জাদুঘর রয়েছে এবং ১০০ টি আর্ট গ্যালারি আছে। পুরানো কারখানা এবং ঐতিহ্যবাহী স্থান

গুলোকে সাংস্কৃতিক স্থান হিসেবে রূপান্তরিত করা হয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে বাসযোগ্য শহর গুলির মধ্যে

জুরিখ একটি। একটি শহরে বিরতিতে আপনি যা আশা করতে চান তার সমস্ত কিছু অফার করে। সেই সাথে

অল্প দূরে গ্রামীণ মনোরম জায়গা গুলি দেখার সুযোগ আছে।

সুইজারল্যান্ড বার্ন

সুইজারল্যান্ড বার্ন: বার্ন মধ্যযুগীয় শহর সুইজারল্যান্ডের রাজধানী, তবুও খুব কম লোকই এটি উপলব্ধি

করেন। যত তাড়াতাড়ি আপনি এর সংকীর্ণ পাথরের গলিপথে পা রাখবেন সমস্ত সন্দেহ দূর হয়ে যাবে ।এই

শহরের প্রতিটি ইঞ্চি, বিশেষ করে এর সমস্ত টাউন ইতিহাসের সাথে অনুরণিত। এই শহরের জন্য একটি

ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট মনোনীত করা হয়েছে ।বার্ন এর বেলেপাথরের সম্মুখভাগ, অসংখ্য

ফোয়ারা এবং প্রবেশদ্বারগুলি পুরাতন টাওয়ার ধারা উজ্জীবিত, যখন তোরণগুলি বুটিক, বার ,ক্যাফে এবং

ক্যাবারে স্টেজগুলির সাথে সারিবদ্ধ,যারা মধ্যে কয়েকটি খিলানযুক্ত খিলানের নিচে সমাহিত।বার্ন হলো

সুজারল্যান্ড এর অন্যতম সেরা- সংরক্ষিত  ঐতিহাসিক কেন্দ্র, যেটি সুইচ পার্লামেন্টের বর্তমান আবাসস্থল

হিসেবে কাজ করে। এটিতে একটি সুন্দর বোটানিক্যাল পার্ক, একটি স্পন্দনশীল সাপ্তাহিক বাজার এবং নদী

আরে এবং বিয়ার পার্কে অ্যাক্সেস রয়েছে যা ভাল্লুকের একটি পরিবারের আবাসস্থল যা শহরের প্রতীক।

সুইজারল্যান্ড সংবিধান ও জনপ্রিয় স্থান এর শেষ কথা

সবশেষে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শেষ করছি আজকের সুইজারল্যান্ড সংবিধান ও জনপ্রিয় স্থান

লেখা টি।এটি সুন্দর একটি তথ্যমূলক লেখা। আশা করি লেখা টি থেকে আপনারা অনেকেই উপকৃত

হইবেন। আপনাদের যদি আরো কোন বিষয়ে জানার থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাবেন ।আমরা

তার উত্তর দিয়ে আপনাকে সেই বিষয় টি জানিয়ে ‍দিবো।আমরা বিদেশের ব্যাপারে সব সময় সব ধরণের

তথ্য দিয়ে থাকি ।তাই বিদেশের ব্যপারে যারা তথ্য জানতে ইচ্ছুক তারা আমার এই সাইট থেকে জানতে

পারবেন।নিম্নে আরো কিছু লেখার লিংক আপনাদের সাথে শেয়ার করা হল ।প্রয়োজন মনে করলে পড়তে

পাড়েন।আশা করি কাজে লাগবে।ধন্যবাদ সবাইকে আজকে আমার এই  সুইজারল্যান্ড সংবিধান ও

জনপ্রিয় স্থান লেখা টি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য।

একই জাতীয় আরো লেখা :

About 24 Favor

Check Also

কাতারে কর্মী নিয়োগ

কাতার চাকরি এর জন্য কর্মী নিয়োগ

কাতার  চাকরি এর জন্য কর্মী নিয়োগ : আজকে আরো একটি সু-খবর নিয়ে আপনাদের সাথে হাজির …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *