ইউকে স্টুডেন্ট ভিসা খরচ যোগ্যতা

ইউকে স্টুডেন্ট ভিসা খরচ যোগ্যতা- আপনি কি পড়াশোনা করার জন্য ইউকে যাচ্ছেন? তাহলে আপনি ঠিক লিখাটি পড়ার

জন্য নির্বাচন করেছেন। আজকে আমি এই লেখার মাধ্যমে পরিপূর্ণ একটি ধারণা দিব, আপনি কিভাবে ইউকে পড়াশোনার জন্য

যেতে পারেন। সেখানে যাওয়ার জন্য আপনার কত টাকা খরচ হবে? কি কি যোগ্যতা লাগবে? এ সকল বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা

করব। যাতে করে আপনি খুব সহজেই সেই দেশে স্টুডেন্ট ভিসায় নির্বাচিত হতে পারেন। কারণ হিসেবে দেখা যায় অনেকেই শুধু এই

তথ্যগুলো না জানার কারণে তারা তাদের স্বপ্নের দেশে যেতে পারে না। যেখানে যে কেউ স্টুডেন্ট ভিসার মাধ্যমে যাওয়ার পর

স্থায়ীভাবে বসবাস করতে পারবে। আর এই সকল বিষয় ভালোভাবে জানার জন্য আমার এই ইউকে স্টুডেন্ট ভিসা খরচ যোগ্যতা

লেখাটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।

ইউকে তে পড়াশুনা/ইউকে স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৩

স্টুডেন্ট ভিসায় লন্ডন
স্টুডেন্ট ভিসায় লন্ডন

ইউকে তে পড়াশুনা/ইউকে স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৩- আপনি যদি পড়াশোনা করার জন্য ইউরোপের কান্ট্রি যেতে চান, তবে আমি

বলব ইংল্যান্ড হচ্ছে আপনাদের জন্য সর্বোত্তম জায়গা। কারণ এখানকার কলেজের লেখাপড়ার মান যেমন অনেক ভালো, তেমনি

এখানে সমস্ত লেখাপড়া করানো হয় ইংরেজি মাধ্যমে। যা আমাদের দেশের ছেলেমেয়েদের জন্য অনেকটা সহজ, কারণ অন্যান্য

দেশে গেলে তাদের ভাষা ভিন্ন ধরনের হওয়াতে অনেক সময় লেখাপড়া করতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। কিন্তু ইংল্যান্ডে এই

সমস্যাটি নেই, তাই অনেকেই ইংল্যান্ডে পড়াশোনা করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে থাকে। আর তাদের জন্যে আজকে আমি এখানে

বিস্তারিত আলোচনা করব ইংল্যান্ডে গিয়ে পড়াশোনা করলে আপনার কত টাকা খরচ হবে? কতদিন সময় লাগবে?, এবং আপনার কি

কি যোগ্যতা থাকতে হবে। আসুন সেই বিষয়গুলো বিস্তারিত জেনে নেই-

যুক্তরাজ্য স্টুডেন্ট ভিসা যোগ্যতা বা যেতে কি কি লাগে

যুক্তরাজ্য স্টুডেন্ট ভিসা যোগ্যতা-  যুক্তরাজ্যে স্টুডেন্ট ভিসায় যাওয়ার আগে যে জিনিসটা সবার প্রথমে প্রয়োজন, সেটা হচ্ছে

সেখানে লেখাপড়া করাতে যাওয়ার জন্য যোগ্যতা । তাই প্রথমে আমাদের দেখতে হবে যে ব্যাক্তি পড়াশুনা করতে যাচ্ছে তার সেই

যোগ্যতা আছে কিনা। যেহেতু আমাদের এই বিষয়ে ধারণা নেই, তাই আমাদের আগে বুঝতে হবে বা জানতে হবে কি কি যোগ্যতা

থাকলে আমি যুক্তরাজ্য লেখা পড়ার করার ভিসা নিয়ে সেখানে যেতে পারবো। সাধারনত ইউ কি লেখাপড়া করতে গেলে নিম্নোক্ত

যোগ্যতাসমূহ আপনার প্রয়োজন হবে-

  • আপনাকে যে কোন দেশের বৈধ নাগরিক হতে হবে।
  • আপনার একটি ৬ মাস( ১ বছর হলে ভালো হয়) মেয়াদী  বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে।
  • পূর্বশিক্ষার কাগজ পত্র থাকতে হবে।
  • যে ক্লাস বা বিষয়ে লেখা পড়া করতে যাচ্ছে তার আগের সকল একাডেমিক সার্টিফিকেটের ফটোকপি।
  • আগের ক্লাসের ২জন শিক্ষক থেকে ২টি রিকমেন্ডেশন।
  • এস.ও.পি লাগবে।( লেটার অব পারপাস)
  • IELTS ( নূন্যতম ৬ স্কোর লাগে) সার্টিফিকেট।
  • স্ট্যাডি গ্যাপ থাকলে প্রমান হিসেবে জব লেটার বা গ্যাপ দেয়ার প্রমান পত্র জমা দিতে হবে।
  • স্কুল বা কলেজ কতৃপক্ষ দ্বারা নো-অবজেশন রিপোর্ট জমা দিতে হবে।

ইংল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসা খরচ ও হিসেবে কত টাকা আয় করা যায়?

ইংল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসা খরচ- সাধারণত দেখা যায় অনেকেই অধিক খরচের ভয়ে ইংল্যান্ড লেখাপড়া করতে চায়না। আবার

অনেকেই জানেনা যে আসলে সেখানে লেখা পড়তে গেলে কত টাকা খরচ হতে পারে? তারা মূলত এই ভূল অনুমান নির্ভর থেকে

অনেক সময় তারা ভ্রান্ত ধারণার বশবর্তী হয়ে সেখানে যাওয়া থেকে বিরত থাকে। তাই আজকে আমি আপনাদেরকে পরিপূর্ণভাবে

ধারণা দিব ইংল্যান্ডের লেখাপড়া করার জন্য কত টাকা খরচ হতে পারে, এবং এর সাথে আরো আলোচনা করব আপনি সেখানে

যাওয়ার পর মাসিক নূন্যতম কত টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

যুক্তরাজ্য স্টুডেন্ড ভিসার খরচ

যুক্তরাজ্য স্টুডেন্ড ভিসার খরচ- যদি কেউ যুক্তরাজ্য লেখা পড়া করতে চায় তবে তার প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত যে খরচ গুলো হয়ে

থাকে তা অনেকাংশে নির্ভর করে যে কলেজে পড়াশুনা করতে যাবেন সেই কলেজের টিউশন ফি ও প্লেন ফেয়ারের উপর। তবে স্কুল

কলেজ গুলো সাধারণত দুইভাবে টিউশন ফি নিয়ে থাকে। অনেক সময় দেখা যায় তারা ১ বছরের ফি একবারে নিয়ে থাকে। আবার

অনেক কলেজ আছে যেখানে ৬ মাসের টিউশন ফি দিতে হয়। তবে মোটামুটি একটি হিসেব করলে বলা যায় আপনার যদি ৬ মাসের

টিউশন ফি দিতে হয় তবে যে পরিমাণে খরচ করতে হবে, তার একটি হিসেব আপনাদের সামনে উপস্থাপন করা হলো এখন আপনার

যদি ১ বছরের লাগে তবে এর সাথে সেই খরচ যোগ করতে হবে।

  • পসপোর্ট তৈরী করতে -৯০০০বাংলােদেশী টাকা।
  • IELTS ফি বাবদ খরচ হবে – ২০০০০বাংলাদেশী টাকা।
  • টিউশন ফি দিতে হবে গড়ে- ১০,০০০ থেকে ২০,০০০ পাউন্ড ( প্রতিবছর )
  • প্লেন ফেয়ার দিতে হবে – ৬০০০০/=
  • মেডিকেল বা টিবি টেস্ট করার বাবদ -৭৩০০ বাংলাদেশী টাকা।
  • হেলথ ইন্সুরেন্স ফী = ৪৭০পাউন্ড প্রতিবছর।
  • এম্বাসি খরচ -৪২৫০০ বাংলাদেশী টাকা।
  • ব্যাংকে ডিপোজিট দেখাতে হবে -২২,০০০০০ বাংলাদেশী টাকা।

উপরোক্ত খরচ সমূহ আমার এক ভাইয়ের হয়েছে সেটা এখানে উপস্থাপন করা হলো। তবে আপনার ক্ষেত্রে এর কম বা বেশি হতে

পারে। এটা শুধু আপনাদের ধরনা দেয়ার জন্য। এখানে আমি কিছু জায়গায় বাংলাদেশী টাকা ও অনেক জায়গায় পাউন্ড উল্লেখ

করার কারণ হলো কিছু খরচ করা হবে টাকায়, আর কিছু খরচ করতে হবে পাউন্ডে হিসেবে। কারণ হিসেবে দেখা গেছে অনেক সময়

পাউন্ডের মূল কম বা বেশি হয়।

ইংল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসায়  কত টাকা আয় করা যায়?

ইংল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসায়  কত টাকা আয় করা যায়?-কমবেশি অনেকরই উদ্দেশ্য থাকে সেখানে গিয়ে আয় রোজগার করে

সেই টাকা দিয়ে পড়াশুনার খরচ পরিচলনা করবে। তাই অনেকেই জানতে চান আমি যদি স্টুডেন্ড ভিসায় সেখানে যাই তবে কি

পরিমাণে আয় রোজগার করতে পারবো। মাসিক কত টাকা হিসেবে বেতন প্রদান করা হবে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় যারা

স্টুডেন্ড ভিসায় আসে তারা সাধারণত অড জব বেশি করে থাকে। কারণ প্রথম প্রথম তাদের চাকুরি পেতে অনেক বেশি বেগ পেতে

হয় । আর এর জন্য তারা এই ধরনের অড জব গুলো করে থাকে। আর সেই ক্ষেত্রে দেখা যায় তারা প্রতি ঘন্টা ৭ থেকে ৯ পাউন্ড

রোজগার করতে পারে। যা হিসাব করলে মাসে লেখা পড়ার করার পর গড়ে ৭২০ থেকে ৯০০ পাউন্ড আয় রোজগার করা যায়। আর

আপনার খরচ হবে ৫৫০ থেকে ৬৫০ পাউন্ড।  কিন্তু অনেকাংশে এই রোজগার দিয়ে কলেজের টিউশন ফি দিয়ে লেখা পড়া চালানো

সম্ভব হয়না। তবে আপনি যদি ভালো কাজ করতে পারেন অনেক সময় ব্যায় মিটানো সম্ভব হয়। আবার কখনও তা সম্ভব হয়না।

ইংল্যান্ড স্টুডেন্ড ভিসায় যেতে কত দিন লাগে

ইংল্যান্ড স্টুডেন্ড ভিসায় যেতে কত দিন লাগে- ভিসা প্রসেসিং হচ্ছে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। একটি ভিসা হাতে পেতে যে

সময়টা লাগে, বা আবেদন করার পরে যত দিন সময় লাগে, সে সময়টাকে ভিসা প্রসেসিং সময় বলা হয়ে থাকে। তবে সবকিছু মিলিয়ে

কেউ যদি ইংল্যান্ডে লেখাপড়া করার জন্য যেতে চায় তবে তার বেশ কিছুদিন সময় লাগে। সাধারণত সে ক্ষেত্রে দেখা যায় আপনি যে

স্কুল বা কলেজে যাচ্ছেন লেখাপড়া করতে তাদের উপরেও অনেকাংশে নির্ভর করে। এছাড়াও আপনি যদি আপনার কাগজ পত্রে

কোন  ভুলভ্রান্তি থাকে তার ওপর সময়ের বিষয়টি নির্ভর করে । তবে আমরা বলতে পারি, যদি আপনার সব কিছু ঠিক থাকে তবে

সাধারণত দেখা যায় ১৫ থেকে ২০ কর্ম দিবসের মধ্যেই আপনি ভিসা পেয়ে যাবেন।

ইউকে স্টুডেন্ট ভিসা খরচ যোগ্যতা এর শেষ কথা

ইউকে স্টুডেন্ট ভিসা খরচ যোগ্যতা  লেখার সবশেষে সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে শেষ করতে যাচ্ছি আজকের এই লেখা। আশা

করি আপনারা ইউকে স্টুডেন্ট ভিসা সম্পর্কে পর্যাপ্ত তথ্য পেয়েছেন, এবং আপনাদের লেখাপড়া শুভ হোক সুন্দর হোক এই প্রত্যাশা

রাখি। এছাড়াও আমাদের আরো অনেকগুলো বিষয়ে লেখা আছে ,আপনি ইচ্ছে করলে লেখাগুলো পড়তে পারেন। কারন প্রতিটা

লেখাই অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিদেশে যাওয়ার বিষয়ে। আপনাদের সুবিধার জন্য সেই লেখা গুলোর লিংক নিচে দেওয়া হল। সেখান

থেকে পড়ে নিবেন, আর এই লিখাটি ভাল লেগে থাকলে অথবা খারাপ লেগে থাকলে আমাদের সাথে শেয়ার করে আমাদের কে

জানাবেন। আমরা যেন পরবর্তীতে আপনার প্রশ্নের উত্তর দিতে পারি। যদি এছাড়াও আরো কোন বিষয়ে জানার থাকে তবে

আমাদেরকে লিখতে পারেন । আমরা চেষ্টা করব আপনার সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত এই ইউকে স্টুডেন্ট

ভিসা খরচ যোগ্যতা  লিখাটি পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ।

আরো পড়তে পারেনঃ

যুক্তরাজ্য যাওয়ার উপায়/ইউকে/লন্ডন যাওয়ার উপায়

যুক্তরাজ্য বা ইউকের মুদ্রার নাম কি?

লন্ডনে নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায়/নিয়ম

যুক্তরাজ্য বা ইউকের  জনসংখ্যা কত?

যুক্তরাজ্য বা ইউকের আয়তন কত?

কানাডায় নাগরিকত্বের প্রয়োজনীয়তা

কানাডায় স্থায়ী বসবাস

কানাডার জীবন যাপন

কানাডায় নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায় বা সিটিজেনশিপ

কানাডায় বৈধ হওয়ার উপায়

কানাডা জব ব্যাংক

কানাডা জব সার্কুলার ২০২৩

কানাডায় চাকরির আবেদন

কাতারে কোন কাজের চাহিদা বেশি

কানাডা যাওয়ার যোগ্যতা

কানাডায় যাওয়ার খরচ কত

কানাডা যেতে কতদিন লাগে

কাতার থেকে পর্তুগাল যাওয়ার উপায়

কানাডায় ইমিগ্রেশন ভিসা

About 24 Favor

Check Also

কাতারে কর্মী নিয়োগ

কাতার চাকরি এর জন্য কর্মী নিয়োগ

কাতার  চাকরি এর জন্য কর্মী নিয়োগ : আজকে আরো একটি সু-খবর নিয়ে আপনাদের সাথে হাজির …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *