ধূমপান ছাড়ার উপকারিতা ও ধূমপান ছাড়ার কৌশল

ধূমপান ছাড়ার উপকারিতা ও ধূমপান ছাড়ার কৌশল: মরণনেশা ধূমপান। এটা একটি ভয়ানক নেশা জেনেও আমরা প্রতিনিয়ত আসক্তি হচ্ছি এই ধূমপানের দিকে। আর এই ধূমপানই আস্তে আস্তে আমাদের পরিণত করে অন্যান্য নেশায়। যদিও শুরুর দিকে এটা থাকে শুধু ইনজয় । কিন্তু দিন দিন পরিণত হয় মরণ নেশায় যার ফলা ফল মরণ।

তাই আমরা প্রতিদিনই ইচ্ছা পোষন করে থাকি ধূমপান পরিত্যাগ করব। কিন্তু এটা যেহেতু একটি আসক্তি বা নেশা সেই কারণে আমরা এই নেশা থেকে সহজেই দূরে সরে আসতে পারি না।

আমরা অনেকেই অনেকবার চেষ্টা করার ফলেও ছাড়তে পারিনি আমাদের এই বাজে অভ্যাস। তাই আসুন আজকে আমি আপনাদের এবং কিছু টিপস বলব যে টিপস গুলো অনুসরন করলে আপনি পরিত্যাগ করতে পারবেন. আপনার এই বাজে অভ্যাস কে।

জীবন-যাপন করতে পারবেন সুস্থ ভাবে। জীবনকে পারবেন উপভোগ করতে । তাই আসুন এই মরণ ফাঁদ নামক নেশা থেকে কিভাবে আমরা নিজেদের কে বাঁচাতে পারি, সুস্থ থাকতে পারি নিজে এবং সুস্থ্য রাখতে পারি পরিবারকে। সেই বিষয়টি লক্ষ্য রেখে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব।

সূচিপত্র

ধূমপান কি?

আমরা যদি ধূমপান শব্দটিকে ভেঙে ব্যাখ্যা করতে চাই, তাহলে এর শব্দ হচ্ছে ধূম এবং পান এই দুটি শব্দের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে ধূমপান । আর ধূমপার হল দোয়া যা পার করা হয় বা কোন কিছুতে আগুন লাগানোর ফলে যে বাষ্পের  তৈরী হয় তা মুখ দ্বারা টেনে শরীরের ভিতরে প্রবেশ করানোকে ধূমপান বলে। যেহেতু এটা করার জন্য তামাক জাতীয় পদার্থ ব্যবহার করা হয় তাই একে ধূমপান হিসেবে চিহ্নিত করা হয় ।

ধূমপান মূলত দুই ধরনের হতে পারে :-

সক্রিয় ধূমপান : সক্রিয়  হচ্ছে একজন ধূমপায়ী যখন তার নিজের ইচ্ছায় বিড়ি বা সিগারেট  টান দিয়ে ধোয়া ধোয়াকে তার শরীরের ভিতর নিজেই প্রবেশ করায় তখন তাকে সক্রিয় ধূমপান বলে।

 নিষ্ক্রিয় ধূমপান: এটা হচ্ছে মূলত আমাদের আশেপাশে যারা ধূমপান করে তাদের ধূমপান করার ফলে, যে পরিবেশে ধোঁয়ার সৃষ্টি এবং সেই দোয়া অন্যদের শরীরের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে থাকে তাকে মূলত নিষ্ক্রিয় ধূমপান বলে।

সিগারেট খাওয়ার উপকারিতা

যদি সিগারেট খাওয়া উপকারের থেকে ক্ষতিকর দিক বেশি থাকে। আমরা তাই বলব সিগারেট আমরা কখনই পানকরবোনা।  সিগারেট পানকরা কে কখনো উৎসাহিত করবো না। কারণ সিগারেট খাওয়ার ফলে তৈরী হতে পারে ভয়ানক অবস্থার। এরপরেও বলা যায় সিগারেট খাওয়া অল্প কয়েকটি ভালো দিক আছে। যেটা সিগারেট খাইলে আপনি একটু ভালো অনুভব করবেন। আর সেগুলো হলো নিম্নরুপ।

  • সিগারেট খেলে টেনসন কমে যেহেতু এটির মধ্যে নিকটিন থাকে।
  • সাময়িক ভাবে মনোবল চাঙ্গা।
  • প্রেমে ছেকা খেলে সাময়িকভাবে ভুলে থাকা যায়।
  • কিছু কিছু মেয়ে, সিগারেট খাওয়া কি স্মার্ট বলে থাকে। আর তাই তাদের কাছে হিরো সাজার যায়।

উপরোক্ত যে উপকারিতা গুলো বলাহয়েছে আসলে এগুলো আপনি অন্যভাবেও পেতে পারেন। তাই এই ভেবে কেউ সিগারেটা পান করবেনা।

কোন সিগারেট খাওয়া ভালো?

অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন কোন সিগারেট খাওয়া ভাল? অসলে কোন ধরনের সিগারেটই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী আপনি যদি ধূমপান ছেড়ে দিতে চান তাহলে ই-সিগারেট( ইলেকট্রিক সিগারেট) এর সহয়তা নিতে পারেন।

কারণ এতে রয়েছে-নিকোটিন, প্রোপাইল, গ্লাইকল অথবা ভিজিটেবল গ্লিসারিন এবং সুগন্ধি । পক্ষান্তরে  তামাকে রয়েছে বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ টার ও কার্বন মনোক্সাইড। তাই তামাক জাতীয় দ্রব্য দিয়ে বানানো সিগারেট খেলে ক্যান্সার এর ঝুঁকি বেশি থাকে।

অন্যদিকে নিকোটিন তুলনামূলকভাবে কম ক্ষতিকর তাই আপনি যদি আপনার ধূমপান ছাড়ার জন্য চেষ্টা করেন সেক্ষেত্রে ই-সিগারেটের সহায্য নিতে পারেন।

সিগারেট খাওয়ার স্টাইল

মানুষ ধূমপানকে বিভিন্ন স্টাইলে উদযাপন করে থাকে। তাদের ধূমপান করার উদ্দেশ্য ভিন্ন হওয়ার কারণে স্টাইলটাও ভিন্ন হয়ে থাকে। তাই নিচে কয়েকটি ইস্টাইল দেখানো হল যে সমস্ত স্টাইলে সচরাচর মানুষ ধূমপান করে থাকে।

বসস্টাইলে ধূমপান করা :

ধূমপান ছাড়ার উপকারিতা ও ধূমপান ছাড়ার কৌশল
ধূমপান ছাড়ার উপকারিতা ও ধূমপান ছাড়ার কৌশল

এই স্টাইলটা সাধারণত অফিসের বস, অথবা কোন মাস্তানদের বস তারা এই স্টাইলটা ধারণ করে থাকে। এই স্টাইলটা ধারণ করে তারা খুবই সিগারেট কাউকে ইনজয় করে থাকেন।

ছেকা খাওয়া স্টাইলে সিগারেট খাওয়া :

ধূমপান ছাড়ার উপকারিতা ও ধূমপান ছাড়ার কৌশল
ধূমপান ছাড়ার উপকারিতা ও ধূমপান ছাড়ার কৌশল

হিডিং দেখেই বুঝা যাচ্ছে এই স্টাইলটা মূলত যারা প্রেমে ছ্যাঁকা খায় বা প্রেমে ব্যর্থ হয়। অনেক সময় যারা প্রেম করতে পারে না তারা ওই স্টাইলটা দারুন উপভোগ করে থাকে। আর এই স্টাইলটা ধারণ করে তারা নিজেদেরকে খুব অসহায় ভাবে উপস্থাপন করে। যখন তারা সিগারেট খায় এবং ছেকা খওয়ার কারনটিকেই তার তারা সিগারেট খাওয়ার মূল কারণ হিসেবে দায়ী করে।

রিল্যাক্স মুডে সিগারেট খাওয়া:

ধূমপান ছাড়ার উপকারিতা ও ধূমপান ছাড়ার কৌশল
ধূমপান ছাড়ার উপকারিতা ও ধূমপান ছাড়ার কৌশল

এই স্টাইলে সাধারণত যারা একটু সৌখিন এবং সব সময় রিলাক্সে থাকতে চায়। তারা সাধারণত এই স্টাইলে সিগারেট খায়। আর তারা এটা খেয়ে অনেক ইনজয় করে থাকেন।

মেয়েদের স্টাইল:

ধূমপান ছাড়ার উপকারিতা ও ধূমপান ছাড়ার কৌশল
ধূমপান ছাড়ার উপকারিতা ও ধূমপান ছাড়ার কৌশল

ইদানিং মেয়েরাও ধূমপানের  দিক থেকে পিছিয়ে নেই।বর্তমানে মেয়েরা অনেক মেয়েই ধূমপান করে থাকেন। আর তাদের স্টাইল হয়ে থাকে ভিন্ন এক রকমের। উপরের ছবি দ্বারা সেই স্টাইলটি উপস্থাপন করার চেষ্টা হয়েছে।

এছাড়াও আরো অনেক স্টাইল আছে যেমন-

  • নতুন সিগারেট খাওয়ার স্টাইল।
  • চুরি করে সিগারেট খাওয়ার স্টাইল।
  • প্রেমিকার সাথে সিগারেট খাওয়ার স্টাইল।
  • পাড়ার বড় ভাইদের সাথে।
  • পাড়ার ছোট ভাইদের সাথে।
  • সরকারি অফিসারদের সাথে।
  • এলাকার মুরুব্বিদের সাথে। ইত্যাদি।

ধূমপান ছাড়ার উপকারিতা

ধুমপান বিষপান। তাই আমরা সব সময় ধুমপানকে না বলব। আমরা জেনে রাখবো ধূমপান ছাড়া বিকল্প নেই। তাই ধূমপান ছাড়তে হবে। আর এই ধূমপান ছাড়লে আপনি বেশ কিছু সরাসরি সুবিধা পাবেন । যে সুবিধাগুলো আপনার জীবনকে করবে আরো উন্নত। জীবনকে করবে আরো সম্মানজনক। তাই আসুন যে সকল সুবিধা ধূমপান ছাড়ার সরাসরি পাবো সেই সকল সুবিধা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি।

স্বাস্থ্যগত লাভবান

ধূমপান ত্যাগ করার ফলে আমাদের স্বাস্থ্য থাকে সুন্দর। আমাদের ফুসফুস থাকে সতেজ। কারণ আমরা যখন ধূমপান করি ধূমপানের ফলে আমাদের ফুসফুসের বায়ু নালী গুলো আস্তে আস্তে নষ্ট হতে থাকে । একসময় তা ব্যাপক আকার হয়ে ক্যান্সারের তৈরি করে। আর তাই আমরা যদি ধূমপান না করি সেগুলো ক্যান্সার থেকে মুক্ত থাকবে।

যার জন্য  যুক্তরাজ্যের ক্যান্সার রিসার্চ কেন্দ্রের ডক্টর রাচেল ওরিট বলেন, “ধূমপান ছাড়লে সুফল আসলে দ্বিগুণ, এটি খুবই অনুপ্রেরণাদায়ক একটি বিষয়। প্রথমত, ফুসফুসের কোষে ধূমপান সংম্লিষ্ট ক্ষয়ক্ষতি কমে যাবে, এবং দ্বিতীয়ত ফুসফুস নিজেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সুস্থ কোষ দিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ কোষের প্রতিস্থাপন শুরু করবে।”

আর্থিক লাভবান

সিগেরেট কিনতে আমাদের টাকা খরচ করতে হয়। আর এই টাকা আমাদের অনেক কষ্ট করে আয় করতে হয় । অনেক সময় দেখা যায় এই বাজে অভ্যাসের কারনে মাসিক বেতন বা আয় অনেক হওয়া সত্তেউ স মাস শেষে কোন সঞ্চয় থাকেনা। আর তাই আপনাদের উদ্দেশ্যে বলতেছি আপনারা যদি এই বাজে অভ্যাসটি ত্যাগ করতে পারেন তাহলে প্রতি মাসেই  টাকা সঞ্চয় করে আর্থীক লাভবান হতে পারবেন।

সময় অপচয় রোধ

যারা সাধারণত ধূমপান করে, তারা দিনের বা রাত্রের কিছুটা সময় এই ধূমপানের জন্য ব্যয় করে থাকে। অথবা ধূমপান করার জন্য সিগারেট সংগ্রহ করতে হয় সেখানেও তাদের একটা সময় ব্যয় করতে হয়। আর এইজন্য যারা ধুমপান করেনা তাদের এই সময়টা বেচেঁ যায়। এজন্য আপনি যদি ধূমপান ত্যাগ করতে পারেন আপনার অনেকটা সময় অপচয় থেকে বেঁচে যাবে।

সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি

ধূমপানকারীকে কেহই ভালো চোখে দেখেনা। বিশেষ করে আমরা যারা সমাজে বসবাস করি, সমাজের মুরুব্বিগণ এই ধূমপানকে খুবই খারাপ ভাবে দেখে । যেহেতু এটা সমাজের চোখে খারাপ । তাই ধূমপান যারা করেনা তাদেরকে সমাজের সবাই ভালবাসে এবং তাদেরকে সম্মান দেয়। আর আপনি যদি ধূমপান ত্যাগ করতে পারেন তাহলে সামাজিক ভাবে বেড়ে যাবে আপনার মর্যাদা।

ইসলামের দিক দিয়ে ভালো

ধূমপান বর্জন করা ইসলামের দিক দিয়েও নির্দেশ আছে । কারণ ইসলাম কখনই অপচয় কে পছন্দ করে না। অপচয়কারী শয়তানের ভাই বলে আখ্যা দেয় । তাই ধূমপান যেহেতু আমাদের সময়, অর্থ এবং স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে থাকে তাই ধূমপানকে ইসলামে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আরে সম্পর্কে নিম্নে একটি হাদীস বর্ণনা করা হলো।

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যখন রমজান মাস আসে, তখন বেহেশতের দরজা খুলে দেওয়া হয়, দোজখের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়; শয়তানকে শৃঙ্খলিত করা হয়। (বুখারি, খণ্ড ৩, পৃষ্ঠা: ২৪১, হাদিস: ১,৭৭৮)। রমজানের রোজা অবস্থায় দিনের বেলায় হালাল খাদ্য ও পানীয় গ্রহণ না করার শিক্ষা হলো বছরব্যাপী (জীবনভর) হারাম ও ক্ষতিকর খাদ্য ও পানীয় বর্জন করা।

ধূমপান ছাড়ার কৌশল

আপনি ইচ্ছে করলেই ধূমপান ছাড়তে পারবেন না। কারণ এই অভ্যাসটি যেহেতু আপনার একদিনে গড়ে ওঠেনি। তাছাড়া তামাকের মধ্যে রয়েছে নিকটিন যা আস্তে আস্তে নেশায় পরিণত করে। আর যার ফলে আপনি আস্তে আস্তে ধূমপানের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছেন। আর তাই এটা ছাড়ার জন্য আপনাকে বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে ।

সেটা হতে পারে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। সেটা হতে পারে স্বল্পমেয়াদী পরিকল্পনা। আপনার আসক্তির উপরেই নির্ভর করবে আপনি কোন ধরনের পরিকল্পনা নিয়ে আপনার ধূমপানকে ছাড়বেন। আমি আপনার সেই ধূমপান ত্যাগ করার লক্ষ্যে সহজ করার উদ্দেশ্যে আমরাবেশ কিছু টিপস এখানে আলোচনা করব।

যে টিপস গুলো ফলো করে আপনি আপনার ধূমপানকে ছেড়ে দিতে পারেন। আপনি হতে পারেন সুস্বাস্থ্যের অধিকারী ।সেই টিপস গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো এখানে।

ধূমপান ছাড়ার যুক্তি দাঁড় করান

আপনি যে কারণে ধূমপান পরিত্যাগ করতে চাচ্ছেন, অর্থাৎ আপনি যে কারণটিকে ধূমপান ছাড়ার জন্য যুক্তিযুক্ত মনে করছেন এরকম একটি যুক্তি আপনার নিজের মনের মধ্যে দাঁড় করান। নিজের মনে মনে চিন্তা করুন যে, এই ধূমপান করার ফলে আপনার কি কি ক্ষতি গ্রস্ত হচ্ছে।

এভাবে যদি আপনি আপনার মনের মধ্যে একটি যুক্তি দাঁড় করাতে পারেন এবং সেই যুক্তিটা যেন আপনার মনের মধ্যে গেঁথে যায়। তাহলেই কেবল আপনার দ্বারা ধূমপান পরিত্যাগ করা সম্ভব।

কোনভাবেই ঠান্ডা স্থানে যাওয়া যাবেনা

যারা ধূমপান করেন, তাদের শরীরে সবসময় নিকোটিনের চাহিদা বেশি থাকে। আর তাই আমরা যদি ঠান্ডা জায়গায় যাই তখন  শরীরের ঠান্ডা অনুভব হয়। আর এর জন্য শরীরে বেশি পরিমাণ নিকোটিনের চাহিদা হয়। ধূমপান যেহেতু নিকোটিন সরবরাহ করে তাই তখন ধূমপান করার জন্য আপনার প্রবল ইচ্ছে হয়।

আর এর জন্যই আপনি যদি ধূমপান পরিত্যাগ করতে চান? তাহলে তুলনামূলকভাবে যে জায়গাটা ঠান্ডা কম, সে জায়গায় বসবাস শুরু করুন। সবসময় ঠান্ডা জায়গা পরিত্যাগ করুন । তাহলে আপনি আপনার ধূমপানের মতো বাজে অভ্যাস ছাড়তে পারবেন।

ধূমপান করার পরিবর্তে লজেন্স বা চুইঙ্গাম চাবান।

এটা ধূমপান ছাড়ার এটি একটি কার্যকরী উপায় । বর্তমান বাজারে বিভিন্ন ধরনের লজেন্স বা চু্ইংগাম আছে যেগুলো ধূমপানের পরিবর্তে ব্যবহার করা যায়। যদিও এগুলোর ব্যবহার করা ঠিক না তবে অনেক ডাক্তারগণ পরামর্শ প্রদান করে থাকেন। তাৎক্ষণিক ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার জন্য আপনি এই লজেন্স খেতে পারেন যেটা আপনাকে সহযোগিতা করবে ধূমপান ছাড়তে। আপনি খুব সহজেই ধূমপান পরিত্যাগ করতে পারবেন।

 ধূমপান ছাড়ার জন্য প্রয়োজনে পরিপূরক ওষুধ গ্রহণ করুন

ধূমপানের পরিবর্তে আপনি কিছু ওষুধের শরণাপন্ন হতে পারেন । সেক্ষেত্রে হোমিও ওষুধ অনেক কার্যকরী । যে ওষুধগুলো আমি উপর বর্ণনা করেছি । ওষুধ গুলোর মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই আপনার ধুমপানকে পরিত্যাগ করতে পারেন। কারন এই ওষুধগুলো ব্যবহার করে বর্তমানে অনেকেই এই বাজে অভ্যাসকে পরিত্যাগ করতে সমর্থ হয়েছে। তাই আপনিও দেরি না করে ব্যবহার শুরু করে দিন উপরোক্ত ওষুধগুলো।

ধূমপান ছাড়ার জন্য আপনার আশেপাশের মানুষের সহায়তা নিন

এই বাজে অভ্যাস ছাড়ার জন্য আপনার আশেপাশের মানুষগুলোর সহযোগিতা নিতে পারেন। আপনি যখন ধূমপান ছেড়ে দিবেন তখন সবাইকে জানিয়ে দিবেন আপনি ধূমপান ছেড়েছেন । আর তাই যখন আপনি ধূমপান করতে যাবেন তখন তারা যেন আপনাকে স্মরণ করিয়ে দেয়।

এছাড়াও আপনার আশেপাশের মানুষ যদি ধূমপায়ী থাকে সে ক্ষেত্রে আপনি ধূমপান করার জন্য উৎসাহিত হবেন। এইজন্য আপনি এমন একটি পরিবেশে নিজেকে নিয়ে যান যেখানে আশেপাশের মানুষজন ধুমপান করেনা।

ধূমপান ছাড়ার জন্য মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে

এটা ছাড়ার জন্য আপনার মানসিক চাপকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আপনি যদি সব সময় মানসিক চাপে থাকেন তবে আপনি ধূমপান করার জন্য আগ্রহী হবেন। এইজন্যই নিজেকে সব সময় মানসিক চাপ থেকে দূরে রাখুন তাহলে সহজেই এটা পরিত্যাগ করতে পারবেন।

ধূমপান ছাড়ার জন্য  কোন ধরনের অ্যালকোহল নেওয়া যাবে না

আপনি যদি মনে করেন আপনি এটা ছেড়ে দিয়ে অন্য একটি অ্যালকোহল নিবেন। তাহলে কখনো আপনি এটাকে পরিত্যাগ করতে পারবেন না। তাই নিজের মনে মনে শপথ করে নিন আপনি ধূমপান এর পরিবর্তে কোন কিছুই গ্রহণ করবেন না ।তাহলে কেবল আপনি এটাকে পরিত্যাগ করতে পারবেন।

ধূমপান ছাড়ার জন্য একবারও না হলে বার বার চেষ্টা করুন

আপনি হয়তো একবারে ধূমপান পরিত্যাগ করতে পারবেন না। কারণ প্রথমবার আপনি ব্যর্থ হলেই ধরে নিবেন না আপনি ব্যর্থ হয়েছেন। আপনি আপনার ধৈর্য ধারণ করে বার বার চেষ্টা করুন। দেখবেন এক সময় আপনি এটাকে পরিত্যাগ করতে পারছেন।

ধূমপান ছাড়ার জন্য নিজে নিজেকে বোঝাতে চেষ্টা করুন অর্থ সঞ্চয় হচ্ছে

আপনি আপনার মনের মধ্যে একটি ধারণা তৈরি করুন, প্রতিদিন আপনি যে টাকা ধূমপান করতেন এখন সেই টাকাটা আপনার সঞ্চয় হচ্ছে। সেই টাকাটা দিয়ে আপনার পরিবারের অন্যান্য খরচ পরিচালনা করতে পারছেন । এটা ভেবে খুশি হন আপনার বাজে অভ্যাসের টাকাটা আপনার পরিবারের ভালো কাজে লাগছে।

ধূমপান ছাড়ার জন্য শরীর ভালো থাকবে এটা মনকে বোঝান

আপনি যদি আপনার মনকে বোঝাতে পারেন ধূমপানের ফলে আপনার শরীর খারাপ থাকে। আর এই বাজে অভ্যাস পরিত্যাগ করলে আপনার শরীর ভালো থাকবে,আপনি থাকবেন সুস্থ । আপনার ফুসফুস থাকবে সুস্থ । এভাবে নিজের মনকে বোঝাতে পারলে চিরতরে ধূমপান থেকে দূরে সরে থাকতে পারবেন।

হঠাৎ করে সিগারেট ছেড়ে দিলে কি হয়?

যারা আমরা চিন্তা করতেছি ধূমপান ছেড়ে দেবো । তাদের উদ্দেশ্যে বলা,আমরা যদি হঠাৎ করে ধূমপান ছেড়ে দেই আমাদের শরীরের বেশ কিছু উপসর্গ দেখা দিতে পারে। কিন্তু সে ক্ষেত্রে ভয়ের কোন কারণ নেই। আপনি ভাববেন না এটা আপনার ভয়ের কারণ।

আপনার উপসর্গগুলো সাময়িকভাবে দেখা দিলেও, কিছুদিনের মধ্যেিই সেটা স্বাভাবিক হয়ে যাবে। তাই আমরা সবসময় ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। সেটা হঠাৎ করেই হোক, আর লম্বা সময় পরিকল্পনা করেই হোক। আর যে সকল লক্ষণগুলো পরিলক্ষিত হয়, সে সকল নিচে আলোচনা করা হলো।

  • মাথায় ঝিমানোর ভাব আসতে পারে।
  • ঘুম কম হতে পারে ।
  • কষ্টোকাঠিনো হতে পারে ।
  • মন খারাপ থাকতে পারে।
  • মেজাজ খিটখিটে হতে পারে।

সিগারেট খাওয়ার ক্ষতিকর দিক

স্টেপ-০১

স্বাস্থ্যের উপর তামাকের প্রভাব বলতে তামাকের নিয়মিত ব্যবহারের ফলে মানব স্বাস্থ্যের উপর এর যে ক্ষতিকর কাজ রয়েছে সেগুলোকে বুঝায়। প্রাথমিকভাবে গবেষণা মূলত তামাক ধূমপান বিষয়ের উপর করা হয়েছে।

১৯৫০ সালে Richard Doll নামক বিজ্ঞানী ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে একটি গবেষণা প্রকাশ করেন যেখানে তিনি ধূমপান ও ফুসফুস ক্যান্সারের একটি সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন।

এর ঠিক চার বছর পর ১৯৫৪ সালে ব্রিটিশ ডক্টরস স্টাডি নামক আরেকটি গবেষণা প্রকাশ করা হয় যেটি চল্লিশ হাজার ডাক্তারের কুড়ি বছর ধরে করা গবেষণার ফলাফল। সেখানে ধূমপানের সাথে ফুসফুসের সম্পর্কের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয় যার উপর ভিত্তি করে সরকার ঘোষণা করে যে ধূমপানের ফলে ফুসফুস ক্যান্সারের হার বৃদ্ধি পায়।

যেসমস্ত বস্তুর ব্যবহার বাদ দিলে অকাল মৃত্যু ঝুঁকি হ্রাস করা যায় তামাক এর মধ্যে শীর্ষে। যত লোক তামাক ব্যবহার করে  তার প্রায় অর্ধেক এর ক্ষতিকর প্রভাবে মৃত্যুবরণ করে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব মতে প্রতিবছর সারাবিশ্বে প্রায় ৬০ লাখ লোক তামাকের ক্ষতিকর প্রভাবে মারা যায় । যেখানে সর্বমোট মৃত্যুর প্রায় ১০%। আর  প্রায় ৬ লাখ পরোক্ষ ধূমপানের স্বীকার। বিংশ শতাব্দীতে তামাক প্রায় দশ কোটি ব্যক্তির মৃত্যু ঘটিয়েছে।

একইভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন (CDC) সেন্টারও এটাকে সারাবিশ্বব্যাপী অকাল মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে বর্ণনা করেছে।

তামাক মূলত হৃৎপিণ্ড, লিভার ও ফুসফুসকে আক্রান্ত করে। ধূমপানের ফলে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (COPD) (এমফাইসিমা ও ক্রনিক ব্রংকাইটিস সহ), ও ক্যান্সার (বিশেষত ফুসফুসের ক্যান্সার, প্যানক্রিয়াসের ক্যান্সার, ল্যারিংস ও মুখগহ্বরের ক্যান্সার) এর ঝুঁকি বহুগুণ বাড়ায়।

তামাক উচ্চ রক্তচাপ ও প্রান্তীয় রক্তনালীর রোগ করতে পারে। এর প্রভাব নির্ভর করে একজন ব্যক্তি দৈনিক কতটি ও কয় বছর ধরে ধূমপান করে তার উপর। অল্পবয়স থেকে এবং অধিক তামাকের ঘনত্বসম্পন্ন সিগারেট খাওয়ার ফলে ঝুঁকি আরো বাড়তে পারে।

স্টেপ-০২

পরিবেশ থেকে প্রাপ্ত তামাকজাত ধোঁয়া ও পরোক্ষ ধূমপানও সকল বয়সী ব্যক্তির ক্ষেত্রে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। গর্ভবতী নারীদের উপর তামাকের ব্যাপক ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে। ধূমপায়ী নারীদের ক্ষেত্রে গর্ভপাত ঘটার হার বেশি। এছাড়া গর্ভস্থ ভ্রূণেরও অনেক ক্ষতি করে যেমন অকালে শিশুর জন্ম হওয়া (প্রিম্যাচুর বার্থ),

জন্মের সময় নবজাতকের ওজন আদর্শ ওজনের তুলনায় কম হওয়া (LBW) ও সাডেন ইনফ্যান্ট ডেথ সিনড্রোম (SIDS) এর হার ১.৪-৩% বেড়ে যায়। অধূমপায়ীদের তুলনায় ধূমপায়ীদের ক্ষেত্রে জীবনি অক্ষমতার সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার হার ৮৫% বেশি।

কিছুকিছু দেশ তামাকের ব্যবহার ও বিক্রয় কমানোর জন্য পদক্ষেপ নিচ্ছে। এছাড়া তামাকজাত পণ্যের মোড়কে সতর্কীকরণ বার্তা লেখার নিয়ম বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অধিকন্তু তামাকের উপর অতিরিক্ত কর আরোপ করে এর মূল্য বৃদ্ধির প্রয়াস চালানো হচ্ছে যা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে কাজে আসবে বলে মনে করা হয়।

সিগারেটে প্রায় ৬৯টির বেশি রাসায়নিক পদার্থ রয়েছে যারা মানব শরীরে ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে। তামাকে নিকোটিন নামে আরেকটি উপাদান আছে যা আসক্তি সৃষ্টির জন্য দায়ী। ধূমপান করলে নিকোটিন শারীরিক ও মানসিক নির্ভরশীলতা তৈরি করে। অনুন্নত দেশগুলোতে যে সিগারেট বিক্রয় করা হয় তাতে তামাকজাত উপাদান অনেক বেশি থাকে ফলে ঐসব অঞ্চলে ধূমপানজনিত ক্ষতি বা রোগসমূহ অনেক বেশি।

এছাড়াও ধূমপানের ফলে হতে পারে-

  • ফুসফুসে ক্যন্সার শরীরের অন্যান্য যায়গায় ক্যান্সার।
  • কার্ডিওভাস্কুলার রোগ।
  • ক্রনিক ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক।
  • ইনফ্লুয়েঞ্জাতে আক্রান্ত হয় বেশি।
  • মুখগহ্বরের ক্যান্সারের প্রধান কারণ হলো তামাক।
  • ধূমপান ডিম্বাশয়ের জন্য ক্ষতিকর এবং বন্ধ্যত্বের অন্যতম কারণ।
  • ধূমপায়ীরা অপেক্ষাকৃত বেশি মানসিক চাপে ভুগেন।
  • ধূমপায়ীদের বিবাহ বিচ্ছেদের সম্ভাবনা প্রায় ৫৩% বেশি।
  • ভ্রূণের স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করে।

ধূমপান ছাড়ার ঔষধ /ধূমপান ছাড়ার হোমিও ওষুধ

ধূমপান থেকে দূরে থাকতে আমরা সাহায্য নিতে পারে কিছু হোমিও ঔষধের। যে ঔষুধগুলো সেবন করলে আপনি সহজেই ধূমপান থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন। আসুন জেনে নেওয়া যাক সেই হোমিও ঔষধ গুলোর নাম এবং কি পরিমানে কখন খেতে হবে।

১. টেবাকাম: এই ঔষধটি নেশা দূর করতে সাহায্য করে। এটি তামাক পাতার রস থেকে তৈরি করা । এই ঔষধটি তামাকের নেশা দূর করার একটি সেরা ওষুধ।

২. খেতে পারেন চায়না সেনসিটিভ লোক বলে দেখবেন আপনার সহ্য হচ্ছে না এটি q336 ইত্যাদি যে কোন শক্তিতে খেতে পারেন তবে যত নিম্ন শক্তিতে খাওয়া-দাওয়া করে সকাল-সন্ধ্যা দুবার বিড়ি সিগারেটের নেশা ছাড়তে স্টেফিসেগ্রিয়া একটি শ্রেষ্ঠ সন্তানের প্রতি আকর্ষন কমে দিয়ে সেটি বন্ধ করতে সাহায্য করে এটি ইত্যাদি খেতে পারেন তবে খাওয়া-দাওয়া করে সকাল সন্ধ্যার দোয়া।

ধূমপান ছাড়ার প্রকৃতিক উপায়

ধূমপানের ক্ষতিকর সম্পর্কে জেনে, অনেকেই চিন্তা করেন ধূমপানকে ছেড়ে দিবেন। কিন্তু ধূমপান ছাড়ার জন্য যে প্রক্রিয়ায় সিটি সেটা না জানার বা ধূমপান ছাড়তে পারেনা। এটা ছাড়ার জন্য যে জন্য সুখবর হলো, আপনি প্রাকৃতিক ভাবে বা আপনার আশেপাশে যে খাবার গুলো আছে সেগুলো খেয়েও আপনি খুব সহজেই ধূমপান থেকে দূরে থাকতে পারেন। আর এই ধূমপান থেকে দূরে থাকার জন্য নিম্নোক্ত উপায়সমূহ আপনি বেছে নিতে পারেন।

পানি খাওয়া মাধ্যমে নেশাকে দূর করা

ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার জন্য আপনি বেশি করে পানি খেতে পারেন কারণ। পানি আপনার ধূমপানের নেশা কে দূর করবে। যারা বেশি পানি পানকরে তাদের ধূমপান নেশা কম থাকে। আর তাই আপনি ধূমপান ছেড়ে দিয়ে বেশি করে পানি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন, তাহলে দেখবেন আস্তে আস্তে আপনার মাঝখান থেকে  ধূমপানের নেশা চলে গেছে।

মধু খাওয়া মাধ্যমে নেশাকে দূর করা

মধু হচ্ছে অনেক রোগের মহাঔষধ । এই মধু দ্বারা আপনি আপনার ধূমপানের নেশাকে দূর করতে পারবেন । বিশেষ করে মধুর সাথে যদি আপনি আদা মিশিয়ে খান তাহলে দেখবেন আস্তে আস্তে আপনার এই নেশা কেটে যাবে। পরবর্তীতে আপনারা ধূমপান করতে ইচ্ছে করবে না।

আদা খাওয়া মাধ্যমে নেশাকে দূর করা

যখনই আপনার ধূমপানের নেশা দেখা দিবে। তখন আপনি আদা খেতে পারেন। অনেক সময় বাজে এই নেশা না করে আপনি শুকনা আদাও খেতে পারেন যেটা বাজারে খুব সহজেই পাওয়া যায়। যেটা আপনি মুখে রাখতে পারেন সব সময় এবং সব সময় এটি ইউজ করলে আপনার  নেশা কেটে যাবে।

চুইংগাম খাওয়া মাধ্যমে নেশাকে দূর করা

চুইংগাম খাওয়ার দ্বারা আপনি আপনার নেশাকে দূর করতে পারেন। কারণ বর্তমানে এক ধরনের চুইংগাম বের হয়েছে যে গুলো খেলে নিশার কেটে যায় । বিশেষ করে এই  জীনিসটা নেশার বা সিগারেটের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা হয়। যা আস্তে আস্তে নেশাকে দূর করতে সাহায্য করে। তাই আজই আপনি আপনার নিকটস্থ বাজারে ওষুধের দোকান গুলো থেকে সংগ্রহ করে শুরু করে দিন, এবং আপনার নেশাকে দূর করুন।

জিংসিং খাওয়া মাধ্যমে নেশাকে দূর করা

জিংসিং খাওয়া হচ্ছে নেশা দূর করার একটি অন্যতম উপায় । আপনি এটা খাওয়ার মাধ্যমে আপনার সহজেই  নিশাকে দূর করতে পারেন। কারন এটা নেশা দূর করার জন্য অনেক কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। বিভিন্ন ভাবে দেখা গেছে অনেকেই এই জিংসিং নিশাকে দূর করতে পেরেছে।

 ওটস খাওয়া মাধ্যমে নেশাকে দূর করা

অনেকেই পূর্বে জানতোনা ওটস খাওয়ার মাধ্যমে নেশাকে দূর করা যায়। কিন্তু বর্তমানে অনেকেই এটি ব্যবহার করছেন এবং খাচ্ছেন নেশা ছাড়ার জন্য। তাই আপনিও আপনার নেশাকে ছাড়ার জন্য এটা খেতে পারেন। এই জীনিসটা নেশা ছাড়ার জন্য খুবই একটি প্রাকৃতিক কার্যকরী উপায়।

শাখ সব্জি বা ফল মূল খাওয়া

আমরা অনেকেই শাকসবজি ও ফলমূল খাই, কিন্তু সেই শাকসবজি পর্যাপ্ত খাই না। আমরা শুধু একটু শাকসবজি খাই যেটা আমাদের শরীরের চাহিদার তুলনায় খুবই কম। আর তাই আপনি যদি নেশাকে না করে থাকেন, আজ থেকেই আপনি শুরু করে দিন প্রচুর শাকসবজি এবং ফলমূল খেতে।

কারণ শাকসবজি এবং ফলমূল আপনার নেশাকে দূরে সরিয়ে দিবে। যারা অত্যাধিক পরিমাণে শাকসবজি এবং ফলমূল খায় তাদের নেশা করার প্রবণতা থাকে না, আস্তে আস্তে তাদের নেশা কেটে যায়। তাই আর দেরি নয় আজ থেকে শুরু করে দিন শাকসবজি, এবং ফলমূল খাওয়ার অভ্যাস। সরিয়ে ফেলুন আপনার  নেশার মতো বাজে অভ্যাস কে।

 ধূমপান নিয়ে ইসলামি হাদিস বা এটা কি ইসলামে হারাম?

 পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘(তোমরা) নিজের হাতে নিজেকে ধ্বংসের মুখে নিক্ষেপ করো না। ’ (সুরা বাকারা, আয়াত ১৯৫)

এই আয়াতে সরাসরি ধূমপানের কথা উল্লেখ না থাকলেও ধূমপান এমন একটি কাজ, যার মাধ্যমে মানুষ নিজ হাতে নিজেকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়। অনেকে যুক্তি দিয়ে থাকেন, ধূমপান করে সবাই তো আর মারা যায় না।   হ্যাঁ, সব ধূমপায়ী ধূমপানের প্রথম পুরস্কার মৃত্যু উপহার না পেলেও এর পরের পুরস্কারগুলো ঠিকই পান।

এ কারণে ইসলামী আইনজ্ঞরা ধূমপান করাকে মাকরুহ বলে থাকেন। (ফাতাওয়ায়ে ফকীহুল মিল্লাত : ১১/৪০৬)। তা ছাড়া এটি সর্বজনস্বীকৃত বিষয় যে, ধূমপান কোনো ভালো কাজ নয়। ইউরোপ আমেরিকাসহ বিশ্বের অনেক দেশেই জনসম্মুখে প্রকাশ্যে ধূমপান কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।

কারণ এর দ্বারা অধূমপায়ী ও শিশুদের যেমন কষ্ট হয়, তেমনি তারাও পড়ে যান স্বাস্থ্যঝুঁকিতে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘হে ঈমানদারগণ! যে সমস্ত পাক-পবিত্র (উত্কৃষ্ট) জিনিস আমি তোমাদের রিজিক হিসেবে দিয়েছি সেগুলো খাও এবং আল্লাহর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো। যদি তোমরা তাঁরই ইবাদত করে থাকো। ’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৭২)।

এই আয়াত দ্বারা বোঝা যায়, ধূমপান করা কোনো মুমিনের জন্য শোভা পায় না। কোনো মুমিন ধূমপান করে অন্যকে কষ্ট দিতে পারে না। রাসুল (সা.) বলেছেন, কেউ অপরের ক্ষতি করলে আল্লাহ তার ক্ষতিসাধন করবেন। (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৬৩৫)

(কৃষিবিষয়ক ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক করুন)

শেষকথা:

অনেক কথা বলেছি ধূমপান পরিত্যাগ করার জন্য। আশা করি উপরের টিপসগুলো আপনাদের ১০০ ভাগ কাজে লাগবে। আর তাই আপনি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করে আপনার বন্ধু-বান্ধবদেরকে পরিত্যাগ করার জন্য উৎসাহিত করুন। আমরা চাই ধূমপান মুক্ত পরিবেশ ।

ভালো কাজে আপনিও আপনাকে সম্পর্কিত করুন। অবশ্যই কমেন্ট সেকশনে লিখবেন আপনি আপনার এই বাজে অভ্যাটি  পরিত্যাগ করতে পারছেন কিনা ? ধন্যবাদ লেখাটি পড়ার জন্য।

আরো পড়তে পারেন-

১. বাজে অভ্যাস দূর করার উপায়

২. অলসতা বা অবসাদ দূর করার উপায়

৩. সফল হওয়ার কৌশল

About 24 Favor

Check Also

Meeting minutes writing format

Meeting minutes writing format: Who has engaged with NGO job maximum people need writings this …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *