আজকে আমরা কথা বলবো , পর্তুগাল ভিসা আপডেট ও যেতে কত টাকা লাগে এই বিষয় টি নিয়ে।
আশা করি আপনারা সকলেই ভালো আছেন । আপনারা যারা পর্তুগাল ভিসা নিয়ে যেতে চান তারা আমার
এই লেখা টি অবশ্যই মনোযোগ সহকারে পড়ুন।আমার এই লেখা থেকে আরও জনতে পারবেন , পর্তুগাল
ভিসা, পর্তুগাল ভিসা আপডেট,পর্তুগাল ওয়ার্ক ভিসা ফর বাংলাদেশি, পর্তুগাল ভিসার দাম কত, পর্তুগাল
যেতে কত টাকা লাগে এবং পর্তুগাল যেতে কি কি লাগে। এ সকল বিষয় নিম্নে আলোচনা করা হলো।
আপনারা যারা এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে চান তারা আমার এই পর্তুগাল ভিসা আপডেট ও যেতে
কত টাকা লাগে লেখা টি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা
হলো-
পর্তুগাল ভিসা
পর্তুগাল ভিসা: পর্তুগাল সাধারণত চার ধরনের ভিসা বেশি দেওয়া হয়। সেগুলো হলো- টুরিস্ট ভিসা,
স্টুডেন্ট ভিসা ,ওয়ার্ক পারমিট ভিসা এবং মেডিকেল ভিসা আর এই চার ধরনের ভিসা গুলোতে বাংলাদেশ
থেকে সাধারণত বেশি মানুষ গিয়ে থাকেন। তবে সাধারণভাবে বাংলাদেশ থেকে স্টুডেন্ট ভিসা এবং ওয়ার্ক
পারমিট ভিসায় আবেদন বেশি করে থাকেন। পর্তুগালের এই চার টি ভিসার মধ্যে টুরিস্ট এবং মেডিকেলে এই
দুটি ভিসা সহজে পাওয়া যায়। তবে স্টুডেন্ট এবং ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়া একটু কঠিন। আপনি
পর্তুগলে যাওয়ার জন্য কয়েক ভাবে ভিসা পেতে পারেন। যেমন-আপনি যে কোন এজেন্সির মাধ্যমে যেতে
পারেন আবার আপনি নিজে নিজে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করে যেতে পারেন। এছাড়াও আপনার
যদি কোন আত্মীয়-স্বজন পর্তুগালে থাকেন তাহলে তার মাধ্যমেও আপনি যেতে পারবেন।
পর্তুগাল ভিসা আপডেট
পর্তুগাল ভিসা আপডেট: আপনারা যারা পর্তুগাল ভিসর জন্য আবেদন করতে চান তাদের উদ্দেশ্যে বলছি
যে, একটি ফরম আছে, এ ফরম টি বাংলাদেশ থেকে পেতে চাইলে সরাসরি পর্তুগালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া যাবে। ওই খান থেকে পর্তুগাল ভিসা ফরম ডাউনলোড করে নিতে পারবেন অথবা
সরাসরি পর্তুগাল দূতাবাস থেকেও নিতে পারেন। এছাড়াও পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা
এবং চিকিৎসার জন্য ভিসা সহ যাবতীয় সব বিষয় গুলো সরাসরি পর্তুগাল দূতাবাস থেকে জেনে নিতে
পারবেন।
পর্তুগাল ওয়ার্ক ভিসা ফর বাংলাদেশি
পর্তুগাল ওয়ার্ক ভিসা ফর বাংলাদেশি: আমরা সাধারণত বেশির ভাগ মানুষ বাংলাদেশ থেকে ওয়ার্ক
পারমিট ভিসা নিয়ে ভিবিন্ন দেশে গিয়ে থাকি । তাই আপনারা যদি বাংলাদেশ থেকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
নিয়ে পর্তুগাল যেতে চান তারা অবশ্যই ভালো করে জেনে শুনে যাবেন। আপনি যদি পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট
ভিসা পেতে চান, তাহলে আপনাকে যেকোন একটি কাজের উপর দক্ষতা থাকতে হবে। আপনার যদি
কাজের দক্ষতা থাকে তাহলে পর্তুগাল এ আপনাকে প্রাধান্য দিবে বেশি। তাই কাজের দক্ষতা নিয়ে যাওয়াই
ভালো। ইউরোপ কান্ট্রির মধ্যে বাংলাদেশিদের জন্য পর্তুগাল যাওয়াটাই সব চেয়ে সহজ। পর্তুগালে সহজে
বসবাস করার জন্য অনুমতি পাওয়া যায় । তাই আপনারা যারা ইউরোপ এর অন্য দেশ গুলোতে যেতে
পারছেন না তারা পর্তুগাল যাওয়ার চেষ্টা করতে পারেন। তাতে আপনারা ভালো ফলাফল পাবেন আশা করি।
পর্তুগাল ভিসার দাম কত?
পর্তুগাল ভিসার দাম কত: আমরা সাধারণত কোনো দেশে যাওয়ার আগে সেই দেশের ভিসার দাম সম্পর্কে
জানতে চাই । তাই আপনি যদি ভিসার দাম জানতে চান তাহলে আপনাকে আগে ঠিক করতে হবে যে
আপনি কোন ভিসা নিয়ে যাবেন। কারণ বিভিন্ন ধরণের ভিসা হয়ে থাকে তাই একেক ভিসার একেক রকমের
দাম। আমরা আপনাদের একটু ভিসার দাম সম্পর্কে নিম্নে ধারণা দিয়ে দিলাম । তাহলে চলুন পর্তুগালের
কোন ভিসার কোন দাম একটু জেনে নিই-পর্তুগালের ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আপনার খরচ হবে ৮
থেকে ১০ লক্ষ টাকা,স্টুডেন্ট ভিসা করতে খরচ হবে ৫ লক্ষ টাকা,টুরিস্ট ভিসার জন্য খরচ হবে আনুমানিক
৩ লক্ষ টাকার মত এবং মেডিকেল ভিসা করতে খরচ হবে ৪ লক্ষ টাকা। আশা করি আপনারা মোটামোটি
একটা ধারণা পেয়েছেন।
পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে?
পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে: আমরা কোন দেশে যাওয়ার আগে জানতে চাই যে কত টাকা লাগবে ।
তাই আপনাদের এই লেখার মাধ্যমে আমরা জানিয়ে দিবো যে পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে। আপনারা
পর্তুগাল কোন ভিসা নিয়ে যাবেন তার উপর বৃত্তি করে আপনার টাকা কম -বেশি হতে পারে। তাই আপনি
আগে ঠিক করেন যে আপনি কোন ভিসা নিয়ে পর্তুগাল যাবেন । আপনাদের এর আগেই বলেছি যে পর্তুগাল
কোন ভিসার দাম কত । তাই আপনারা পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগবে আবার জিগাস করতে পারেন তাই
আপনাদের জন্য বলছি যে পর্তুগাল যেতে টাকা লাগবে । আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসা বা কাজের ভিসা নিয়ে
যেতে চান তাহলে আপনার আনুমানিক ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকা লাগতে পারে। আশা করি যে আপনারা
বুঝতে পেরেছেন যে পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগবো।
পর্তুগাল যেতে কি কি লাগে?
পর্তুগাল যেতে কি কি লাগে: আপনারা যারা পর্তুগাল ভিসা নিয়ে পর্তুগালে যাবেন তাদের অবশ্যই যাওয়া
আগে আপনাকে জানন্তে হবে যে পর্তুগাল যেতে কি কি লাগে । তাই আপনারা যারা জানেন না, যে পর্তুগাল
যেতে কি কি লাগে তাদের জন্য আজকের এই লেখায় আমরা আপনাদের জানাবো।বাংলাদেশ থেকে
পর্তুগাল যেতে কি কি লাগে তা নিম্নে দেওয়া হলো-
- পাসপোর্ট থাকতে হবে
- সদ্য তোলা রঙিন ছবি লাগবে
- আপনার নিকট অনলাইনে আবেদন করার কপি থাকতে হবে
- জাতীয় পরিচয় পত্র থাকতে হবে
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট
- আগে কোথাও ট্রাভেল করলে তার প্রমাণপত্র
আর এছাড়াও আপনার কি কি কাগজ পত্র লাগবে তা নির্ভর করবে আপনি কোন ভিসায় যাবেন তার উপর।
শেষ কথা
আজকের মত, পর্তুগাল ভিসা আপডেট ও যেতে কত টাকা লাগে লেখা টি শেষ করছি। এটি সুন্দর
একটি তথ্য মূলক লেখা। আশা করি এই লেখা টি আপনাদের অনেকের উপকারে আসবে।আমরা বিদেশের
ব্যাপারে সব সময় সব ধরণেন তথ্য দিয়ে থাকি । তাই আপনারা যারা বিদেশের ব্যাপারে তথ্য জানতে চান
তারা আমার এই লেখা থেকে জানতে পারবেন। নিম্নে আপনাদের জন্য আরো কিছু লেখার লিংক দেওয়া
হলো । প্রয়োজন মনে করলে পড়তে পারেন। আশা করি উপকারে আসবে। ধন্যবাদ সবাইকে আজকে
আমার এই পর্তুগাল ভিসা আপডেট ও যেতে কত টাকা লাগে লেখা টি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত
মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য
একই বিষয়ে পড়তে পারেনঃ
- সৌদি আরব ভিসা কত প্রকার
- সুইজারল্যান্ড সংবিধান ও জনপ্রিয় স্থান
- সুইজারল্যান্ড ভাষা এবং প্রশাসন
- সুইজারল্যান্ড কোন মহাদেশে অবস্থত
- সুইজারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
- সুইজারল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা
- সুইজারল্যান্ড ভ্রমণ ভিসা
- সুইজারল্যান্ড নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায়
- নিউজিল্যান্ড দেশের পরিচিতি ও জনসংখ্যা কত?
- নিউজিল্যান্ড ভিসা ও বেতন কত?
- নিউজিল্যান্ডের মুদ্রার নাম ও মান কত?
- পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ও কোন কাজের চাহিদা বেশি
- নিউজিল্যান্ড নাগরিকত্ব ও স্থায়ী বসবাসের সুবিধা
- বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যাওয়ার নিয়ম ও আবেদন
- পর্তুগাল দেশ কেমন
- পর্তুগাল স্টুডেন্ট ভিসা
- পর্তুগাল টুরিস্ট বা ভিজিট ভিসা এবং কি কি কাগজপত্র লাগে
- সোনার খাদ চেনার উপায় ও কেনার কৌশল
- নিউজিল্যান্ড বনাম বাংলাদেশ