হ্যালো বন্ধুরা, আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আজকে আমরা কথা বলবো দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাস
বিষয় টি নিয়ে। আপনারা যারা দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাস জানতে চান তারা অবশ্যই লেখা টি পড়বেন।
বাংলাদেশ থেকে বা অন্যান্য দেশ থেকে যারা দক্ষিণ কোরিয়া গিয়ে বসবাস করতে চান তাদের অবশ্যই
দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাস সম্পর্কে জানা থকতে হবে। কারণ আপনি যে দেশে বসবাস করবেন সেই দেশ
সম্পর্কে যদি না জানেন তাহলে আপনার সেই দেশে থাকতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। তাই
আপনারা যারা দক্ষিণ কোরিয়া বসবাস করতে চান তারা কোরিয়ার ইতিহাস ভালো মত জানুন। আর
আপনারা ইতিহাস জানতে চাইলে আমার এই দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাস লেখা টি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত
মনোযোগ সহকারে পড়ুন। নিম্নে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হল । আসুন তাহলে আমর ইতিহাস পড়ি-
দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাস
দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাস: ১৯৪৫ সালে সেপ্টেম্বরের ২ তারিখ জাপানীদের আত্মসমর্পণের মাধ্যমে
আনুষ্ঠানিকভাবে দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাস শুরু হয়। আবার কোরিয়া এমন দেশ নয় যে , দক্ষিণ কোরিয়া
আর উত্তর কোরিয়া সম্পূর্ণ আলাদা দেশ বরং তারা একই জনগণ এবং তাঁরা একই উপদ্বীপে আছে । কিন্ত
দ্বিতীয় বিশ্বযুওদ্ধর শেষ দিকে ১৯৪৫ সালে কোরিয়া প্রশাসনিক ভাবে ভাগ করা হয়েছিলো। যেহেতু দ্বিতীয়
বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে কোরিয়া ছিলো জাপানী শাসনের কর্তৃত্বে তাই জাপানী অঞ্চলের প্রভাবে কোরিয়া
আনুষ্ঠানিকভাবে মিত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধরত ছিল জাপানের নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ কোরিয়া কে বিভাজন
করে দুই টি পেশা অঞ্চল গঠন করে চালিত করে । আর এই বিভাজন মনে করা হয়েছিল ক্ষণস্থায়ী হবে (
যেমনটা জার্মানিতে হয়েছিল)। সরকার গঠন করার ব্যবস্থা করে তাঁদের জনগণের কাছে সমন্বিত কোরিয়া
ফিরিয়ে দেবে প্রথমে এমনই প্রবণতা ছিল। ১৯৪৫ সালে ২৫ শে জুন কোরিয়া যুদ্ধ শুরু হয়। অনেক
ধ্বংসযজ্ঞের পরে ১৯৫৩ সালের ২৭ শে জুলাই যুদ্ধ শেষ হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার পরবর্তী ইতিহাস
পর্যায়ক্রমিক গণতান্ত্রিক শাসনামল এবং স্বৈরতান্ত্রিক শাসন হিসেবে চিহ্নিত। বেসামরিক সরকার
প্রচলতিভাবেই হয়েছে সিন্গমান রিহ এর প্রথম প্রজাতন্ত্র হতে সমসাময়িক ষষ্ট প্রজাতন্ত্র পর্যন্ত। শুরু থেকেই
দক্ষিণ কোরিয়া শিক্ষা , অর্থনীতি ও সংস্কৃতিতে যথেষ্ট উন্নয়ন দেখিয়েছে। ১৯৬০ এর দশক হতে , এশিয়ার
দরিদ্রতম দেশ হতে উন্নয়ন করে এখন পৃথিবীর অন্যতম ধনী রাষ্ট্র হয়েছে। শিক্ষা বিশেষ করে তৃতীয় পর্যায়ে
, নাটকীয় ভাবে সম্প্রসারিত হয়েছে। সিঙ্গাপুর ,তাইওয়ান ও হং কং এর সাথে দক্ষিণ কোরিয়াকে এশিয়ার
গর্জে ওঠা “চার বাঘ” বলা হয়ে থাকে।
প্রজাতন্ত্র
১৯৪৮ সালের ১৫ ই আগস্ট সিন্গমান রিহ কে প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রজাতন্ত্রী কোরিয়া আনুষ্ঠানিক ভাবে
প্রতিষ্ঠিত হয় । রিহ’র সরকার প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে নতুন সরকারের আইনগত সার্বভৌমত্ব ও পাস হয় ।
১৯৪৮ সালে ৯ ই সেপ্টেম্বর কিম-ই-সাঙ এর নেতৃত্বে একটি সাম্যবাদী দল , ডেমোক্রাটিক পিপলস
রিপাবলিক অফ কোরিয়ার কে উত্তর কোরিয়া ঘোষনা করা হয়। ১৯৪৮ সালের ১২ ই ডিসেম্বরে তৃতীয়
অধিবেশনে এর রেজোলিউশন ১৯৫ অনুসারে জাতিসংঘ প্রজাতন্ত্রী সরকারকে কোরিয়া একমাত্র আইনসিদ্ধ
সরকার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ১৯৪৬ সালে উত্তর কোরিয়া ভূমি সংস্কার আইন বাস্তবায়ন করে বিশেষত
জাপানিরা মালিকানায় থাকা সুযোগ কারখানাসমূহ ও ব্যাক্তিগত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে এবং রাষ্ট্রীয়
মালিকানায় পরিবর্তন করে। দেশ ভাগ হওয়ার পর এখন সময় অতিবাহিত হওয়ার সাথে সাথে দুই কোরিয়ার
মাঝে সম্পর্কও নষ্ট হয়ে ওঠে। দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্র খবই কড়া গণতান্ত্রিক ছিলো তারপরেও এক বছরের কম
সময়ের মধ্যে তাঁকে উৎখাত করা হয় এবং আরেকজনকে বসানো হয় স্বৈরাচারী সামরিক শাসন কর্তৃক ।
তৃতীয় , চতুর্থ ও পঞ্চম প্রজাতন্ত্র নামে মাত্র গণতান্ত্রিক ছিলো কিন্ত ব্যপকভাবে মনে করা হতো চলমান
সামরিক শাসনই চলছে । ষষ্ঠ প্রজাতন্ত্রের মাধ্যমে দেশ টি ক্রমশ উদার গণতন্ত্র পাকাপোক্ত হয়।
উপসংহার
সবার সুস্থ্যতা কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাস লেখা টি। এটি
একটি জ্ঞান মূলক লেখা । আপনারা যারা অন্যান্য দেশ থেকে গিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া বসবাস করতে চান তারা
কোরিয়ার ইতিহাস টি পড়ুন। এছাড়াও আপনার যদি আরও কোনো বিষয় জানার থাকে তাহলে কমেন্ট করে
জানাবেন । আমরা তার উত্তর দিয়ে জানিয়ে দিবো। আমরা বিদেশের ব্যাপারে সব সময় সব ধরণের তথ্য
দিয়ে থাকি । আপনারা যারা বিদেশের ব্যাপারে জানতে ইচ্ছুক তার আমার এই সাইট থেকে জানতে পারেন।
নিম্নে আপনাদের সাথে কিছু লেখার লিংক শেয়ার করা হল । প্রয়োজন মনে করলে পড়তে পারেন। আশা
করি কাজে লাগবে। সবাইকে ধন্যবাদ আজকে আমার এই দক্ষিণ কোরিয়া ইতিহাস লেখা টি প্রথম থেকে
শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য । ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।