হ্যালো বন্ধুরা , আজকে আমরা কথা বলবো জাপানের কিছু তথ্য সম্পর্কে । আপনারা যারা জাপান
সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক তারা আমার এই লেখা টি অবশ্যই পড়ুন। আপনারা এই লেখা থেকে আরো জানতে
পারবেন জাপানের উন্নতির কারণ , জাপানের সম্রাটের নাম কি? । এ সকল বিষয় নিম্নে আলোচনা করা হল
। আপনারা আমার এই জাপানের কিছু তথ্য লেখা টি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
আশা করি অনেক কিছু জানতে পারবেন। নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হল-
জাপানের কিছু তথ্য
জাপানের কিছু তথ্য : আপনাদের জানাবো আজকে জাপান সম্পর্কে । জাপান হলো পূর্ব এশিয়ার প্রশান্ত
মহাসাগরের তীরে অবস্থিত একটি দেশ। জাপানি ভাষায় জাপান শব্দকে নিহন বা নিপুন নামে ডাকা হয়।
এক সময় মনে করা হতো সকালে পূর্ব দিকে সূর্য উঠাকে জাপান থেকে সব থেকে আগে দেখা যায় । এ
জন্য জাপান কে বলা হয় ল্যান্ড অফ দি রাইসিং সান । জাপানের রাজধানীর নাম হলো টোকিও । জাপানের
জাতীয় ভাষা হল জাপানি। জাপানের জনসংখ্যা আনুমানিক ১২৬,৯১৯,৬৫৯ ( ২০১৫ সালে)। জাপানের
সরকার এককেন্দ্রিক সংসদীয় সাংবিধানিক রাজতন্ত্র । জাপানের জলবায়ু নাতিশীতোষ্ণ প্রকৃতির।
জাপানের জাতীয় খেলা সুমো এবং জুডো । জাপান দেশের দ্বীপের সংখ্যা ৬৮৫২ টি । জাপানের জাতীয়
ফুল হল চেরি ফুল ( শাকুরা )। জাপানকে ভূমিকম্পের দেশ বলা হয় কারণ দেশটি প্রশান্ত মহাসাগরের
নিকট অবস্থিত হওয়ায় জাপানে খুবই ভূমিকম্প হয়। জাপানের বেশির ভাগ দ্বীপ গুলোই ভূমিকম্প প্রবন
এলাকা পেসিফিক রিং অফ ফায়ারে অবস্থিত । পেসিফিক রিং অফ ফায়ার হলো প্রশান্ত মহাসাগরের
একটি এলাকা যেখানে ছোট বড়ো অনেক আগ্নেয়গিরি রয়েছে। সেখানে প্রায় ১০৮ টি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি
রয়েছে । ১৯২৩, ১৯৯৫ এবং ২০১১ সালের ভূমিকম্পে অনেক মানুষ মারা গিয়েছে। জাপানে প্রায় প্রতিদিন
গড়ে ৫/৬ বার ভূমিকম্প হয়। জাপানের প্রায় ৭০ শতাংশ জায়গা ই বসবাসের অযোগ্য । সেখানে রয়েছে
ঘন ঘন জঙ্গল , পাহাড় পর্বত তাই দেশের অধিকাংশ জনসংখ্যাকে উপকূলবর্তী এলাকায় দেখা যায়।
জাপানের উন্নতির কারণ
জাপানের উন্নতির কারণ : জাপানে এ শতাব্দীর আগেও সামন্তবাদী সমাজ ব্যবস্থা অনেক দিন ধরে
প্রচলিত ছিল অথাৎ রাজা বাদশার শাসন ব্যবস্থা প্রচলিত ছিল। জাপান সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয় দ্বিতীয়
বিশ্বযুদ্ধের পরে, যুদ্ধে লিপ্ত হয় জার্মানি ও আমেরিকার বিরুদ্ধে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পৃথিবীর যে কয়টি
দেশ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অগ্রগতি সাধন করেছে জাপান নিসন্দেহে তাদের অন্যতম। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের
কারণে জাপানের শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহের যে বিপুল পরিমাণ ক্ষয় ক্ষতি হয় , তা কাটিয়ে উঠে মাত্র দু‘দশকের
মধ্যেই পৃথিবীর অন্যতম শিল্পোন্নত দেশ হিসাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। তবে শিল্পোন্নয়নের প্রথম দিকে
ব্যক্তিগত প্রচেষ্টার অপ্রতুলতার কারণে সরকারই সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং ক্রমান্বয়ে
ব্যক্তিগত প্রচেষ্টাকে ত্বরান্বিত করার প্রয়াস চালানো হয়। জাপানের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১০% লোক যুদ্ধে
জড়িয়ে গিয়েছিল। মোট জনসংখ্যার ২% লোক যুদ্ধে মারা যায় এবং বাকী ৮% লোক বিফল মনোরথে ফিরে
আসে অথচ তাদের জন্য যুদ্ধ বিধ্বস্ত জাপানে ছিল না কর্মসংস্থানের সুযোগ । যুদ্ধে পরাজিত হওয়ার
কারণে মনোবল ছিল শুন্য। জাপানের মোট আয়তন ১,৪৭,০০০ বর্গমাইল। এ জমির মাত্র এক অষ্টমাংশ
চাষাবাদযোগ্য দুই তৃতীয়াংশ বনাঞ্চল, জনসংখ্যা প্রায় ১৪ কোটির ও বেশী। প্রতি বর্গমাইলে প্রায় আটশতর
ও বেশী মানুষ বসবাস করে। তেমন কোন প্রাকৃতিক সম্পদও নেই । দেশের মোট চাহিদার ৯৯% তৈল,
৮২% কয়লা , ৯১% প্রাকৃতিক গ্যাস, ৯৯% লৌহা এবং ৬৭% কাঠ বিদেশ থেকে আমদানী করতে হয়। এমন
অবস্থা সত্ত্বেও জাপান বিশ্বের মোট জাতীয় আয়ের শতকরা ১০ ভাগ একাই উৎপাদন করে। ধারণা করা হয়
এধারা বজায় রাখতে পারলে এ শতাব্দীর কয়েক দশকের মধ্যে জাপান বিশ্বের শিল্পোন্নত দেশসমূহের
তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করবে।
জাপানের সম্রাটের নাম কি?
জাপানের সম্রাটের নাম কি?: জাপানের সম্রাট হলেন জাপান রাষ্ট্রের প্রধান। ১৯৪৭ সালের সংবিধান
অনুযায়ী , তিনি “রাষ্ট্র ও জনগণের ঐক্যের প্রতীক” সরকার সম্পর্কিত কোন ক্ষমতা” নেই।ঐতিহাসিক
ভাবে তিনি শিন্তৌ ধর্মের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ ।জাপানি ভাষায় সম্রাট কে তেন্নো বল হয় যার অর্থ “স্বর্গীয়
সার্বভৌম”। জাপানের সম্রাটের নাম ছিল আকিহিতো তিনি সিংহাসন ছেড়ে দেওয়ার পরে নতুন সম্রাট
হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন তার পুত্র যুবরাজ নারুহিতো।
উপসংহার
আজকের মত এখানেই শেষ করছি জাপানের কিছু তথ্য বিষয় টি নিয়ে লেখা । আপনারা এই লেখা থেকে
অনেক কিছু জানতে পারবেন আশা করি । তাই জারা জানতে ইচ্ছুক তারা অবশ্যই এই লেখা টি প্রথম
থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। আপনাদের জন্য আরো কিছু লেখার লিংক নিম্নে দেওয়া হলো ।
প্রয়োজন মনে করলে পড়তে পারেন। আশা করি কাজে লাগবে। আজকের মতো এখানেই শেষ করছি
লেখা টি । সবাই ভালো থাকুন সুস্থ্য থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।
আরো একই বিষয়ে পড়তেঃ
সরকারিভাবে জাপান যাওয়ার উপায়
জাপান স্টুডেন্ট ভিসা ফ্রম বাংলাদেশ