আসসালামু আলাইকুম, আশা করি সকলেই ভালো আছেন । বুলগেরিয়া দেশ কেমন আজকের
আলোচনা। আপনারা যারা এই দেশ সম্পর্কে জানতে চান তারা আমার এই লেখার মাধ্যমে বিস্তারিত ভাবে
জানতে পারবেন। আপনারা যারা বিভিন্ন ধরনের ভিসা নিয়ে বুলগেরিয়া যান তারা অনেকেই জানার আগ্রহ
প্রকাশ করে থাকেন। তাই আপনাদের জন্য আজকে এই বিষয় টি নিয়ে এসেছি। আপনারা এই লেখার
মাধ্যমে জানতে পারবেন বুলগেরিয়ার আয়তন কত , বুলগেরিয়ার জনসংখ্যা কত এবং বুলগেরিয়া রাজধানীর
নাম কি। এই সকল বিষয় আপনাদের জন্য নিম্নে আলোচনা করব। আপনারা যারা এই বিষয় গুলো বিস্তারিত
ভাবে জানতে চান তারা আমার এই পোষ্ট টি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আপনি যদি
সম্পূর্ণ লেখা না পড়েন তাহলে বুঝতে পারবেন না বুলেগেরিয়া দেশ সম্পর্কে। তাই আপনাদের জন্য ইউরোপ
এর দেশ বুলগেরিয়া সম্পর্কে জানুন –
বুলগেরিয়া দেশ কেমন
বুলগেরিয়া দেশ কেমন : যারা বুলগেরিয়া সম্পর্কে জানতে চান তাদের সাথে আজকে বুরগেরিয়ার দেশ
কেমন এই বিষয় টি নেয়ে আলোচনা করব। বুলগেরিয়ার সরকারি নাম হল বুলগেরিয়া প্রজাতন্ত্র। দক্ষিণ –
পূর্ব ইউরোপ মহাদেশের একটি রাষ্ট্র। আর এই দেশটি বলকান উপদ্বীপের পূর্ব পাশে ইউরোপ এবং এশিয়ার
সঙ্গমস্থলে অবস্থিত। আর এই দেশটির দক্ষিণে গ্রিস ও তুরস্ক , পশ্চিমে রয়েছে সার্বিয়া ও মন্টিনেগ্রো এবং
ম্যাসিডেনিয়া, রোমানিয়া আর পূর্বে রয়েছে কৃষ্ণ সাগর। আর এই দেশটিতে প্রয় ৭৭ লক্ষ লোকের বসবাস।
বুলগেরিয়ার বৃহত্তম শহর ও রাজধানী হল সোফিয়া। বুলগেরিয়া হল পর্বত , নদনদী এবং সমভূমির দেশ।
বলকান পর্বতমালা উত্তর বুলগেরিয়া ও পূর্ব – পশ্চিম বরাবর প্রসারিত। আর এই পর্বতমালার নামেই দেশটির
নাম হয়েছে বলকান। কিন্ত এই পর্বতমালাকে বুলগেরিয়া প্রাচীন পর্বতমালা নামে ডাকে। বুলগেরিয়ার উত্তর
সীমান্তে ইউরোপ এর দ্বিতীয় দীর্ঘতম দানিউব নদী গঠন করেছে। আর পশ্চিমে সোফিয়া ও পূর্বে কৃষ্ণ সাগর
পর্যন্ত নিম্নভূমিটি গোলাপের উপত্যকা নামে পরিচিত। আর এখানকার কৃষকেরা কাজালনুক পোলাপের চাষ
তিন শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে চাষ করে আসতেছে। গোলাপের তৈল নির্যাস ও অত্যন্ত দুর্লভ এবং
বুলগেরিয়ার অন্যতম রপ্তানি পণ্য। বালুকাময় সৈকত বুলগেরিয়ার পূর্ব কৃষ্ণ সাগরের উপকূল উত্তরে খাড়া
পার্বত্য ঢাল থেকে দক্ষিণে নেমে এসেছে। আর এই দেশের পর্যটন কেন্দ্র গুলিতে সারা বিশ্ব থেকে লোক
ঘুরতে আসেন। উত্তরে যে পর্বত মালা আসে সেখানে শীত কালে ভারী বরফ পড়ে। আর তাই এখানে
শীতকালের ক্রীয়ার জমজমাট আসর বসে ।
বুলগেরিয়া দেশ সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য সমূহ-
বহু শতাব্দী ধরে এটি একটি স্বাধীন রাজ্য ছিল। আর এটি মধ্যযুগে এসে দীর্ঘ সময় ধরে একটি প্রধান শক্তি
ছিল। আর প্রথম বুলগেরিয়া সাম্রাজ্যের সময় এখান কার শাসকেরা বলকান উপদ্বীপের অধিকাংশ এলাকা
শাসন করেন। আর এখান কার খ্রিস্টান অর্থডক্স ধর্ম সংস্কৃতি দাক্ষিণ ও পূর্ব ইউরোপ এর বহু স্লাভীয় জাতিকে
প্রভাবিত করেছেন। আর বুলগেরিয়াতেই উদ্ভাবিত হয় পূর্ব ইউরোপ এর ভাষা গুলির লিখন পদ্ধতিতে
প্রচলিত সিরিলীয় লিপি। আর ১৩৯৩ সালে দেশটি উসমানীয় সাম্রাজ্যের অধীনে আসে দ্বিতীয় বুলগেরিয়
সাম্রাজ্যের অবক্ষয়ের শেষে। আর প্রায় ৫০০ বছর উসমানীয় সাম্রাজ্যের অধীনে শাসিত হওয়ার পরে ১৮৭৮
সারে সান স্তেফানোর চুক্তির মাধ্যমে বুলগেরিয়া একটি সাংবিধানিক রাজতন্ত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেন।
আবার ১৯১২ – ১৯১৩ সালের প্রথম বলকান যুদ্ধে জয়ী হলেও দ্বিতীয় বলকান যুদ্ধে দেশটি হেরে এবং
সার্বিয়া, গ্রিস ও রোমানিয়ার কাছে। ২ য় বিশ্বযুদ্ধের পর সোভিয়েতে ইউনিয়নের সেনারা দেশিটির দখলে ছিল
। আর এই সময় সোভিয়েত সরকারের সমর্থনে একটি সাম্যবাদী সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। তবে সাম্যবাদী
শাসনের সময় বুলগেরিয়ার নেতারা প্রধানত কৃষিভিত্তিক দেশটির অর্থনীতির আধুনিকায়নের লক্ষ্যে একটি
শিল্পায়ন প্রকল্প শুরু করেন। আর ১৯৮৯ সালে গণতান্ত্রিক সংস্কারের আগ পর্যন্ত বুলগেরিয়া একটি সাম্যবাদী
রাষ্ট্র ছিলেন। আর ১৯৯০ সালে বুলগেরিয়াতে যুদ্ধের পর প্রথমবারের মত বহুদলীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়
আর এর নাম গণপ্রজাতন্ত্রী বুলগেরিয়া থেকে বদলে বুলগেরিয়া প্রজাতন্ত্র রাখা হয়। আর সব শেষে দেশটি
২০০৪ সালের মার্চে নেটোর এবং ২০০৭ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হয়।
বুলগেরিয়া দেশ কেমন এর শেষ কথা
আজকে আপনাদের একটি দেশ সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি । আশা করি আপনারা এই লেখার
মাধ্যমে বুলগেরিয়া দেশ সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য জানতে পেরেছেন । আর আপনাদের যদি আরও
কোন দেশ সম্পর্কে জানার থাকে তাহলে কমেন্ট করে জানাবেন আমরা তার উত্তর দিয়ে আপনাকে জানিয়ে
দিব। আমরা বিদেশের ব্যাপারে সব সময় তথ্য দিয়ে থাকি । তাই আপনারা যারা বিদেশের ব্যাপারে তথ্য
জানতে চান তারা আমার এই ওয়েবসাইট থেকে জানতে পারবেন। আর আপনাদের জন্য নিম্নে কিছু লেখার
লিংক শেয়ার করলাম। প্রয়োজন হলে পড়তে পারেন । আশা করি কাজে লাগবে। আজকে আমার এই
বুলগেরিয়া দেশ কেমন লেখাটি যারা পড়েছেন তাদের সকলকে জানাই ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকুন সুস্থ্য
থাকুন এই কামনায় এখানেই শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ।