আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা, আজকে আপনাদের সাথে ওমান ড্রাইভিং ভিসার দাম ও প্রসেসিং এ বিষয়
টি নিয়ে আলোচনা করব । আপনারা যারা ওমান ড্রাইভিং ভিসা নিয়ে কাজ করতে যেতে চান তারা এই লেখা
টি একবার হলেও পড়ুন। আমরা জানি যে কনস্ট্রাকশন সাইটে এর কাজ এবং গার্মেন্টসের কাজের চেয়ে
ড্রাইভিং এর কাজ তুলনা মূলক অনেক সহজ। আর অন্যান্য কাজের চেয়ে ড্রাইভিং এর কাজের বেতন
বেশি । আর এই কারনে মানুষ ওমান ড্রাইভিং ভিসা নিয়ে বেশি যেতে চায়। বাংলাদেশ থেকে যারা অন্য দেশে
যায় তারা বিভিন্ন ধরণের কাজ করে থাকেন। কারণ বিভিন্ন দেশ থেকে বিভিন্ন কাজের জন্য বাংলাদেশ থেকে
কর্মী নিয়োগ দিয়ে থাকেন বিদেশিরা। আর এই সকল কাজের মাধ্যে একটি সহজ এবং বেতন বেশির কাজ
হল ড্রাইভিং এর কাজ। তাই আপনারা যারা বিদেশ যাওয়ার চিন্তা ভাবনা করেন তারা অবশ্যই অর্থ উপার্জন
করার জন্য গিয়ে থাকেন তাই যাওয়ার আগে জেনে শুনে যাবেন যে কোন কাজের বেতন বেশি। আর তাই
আপনারা চাইলে ওমান ড্রাইভিং ভিসা নিয়ে যেতে পারেন। আর আপনারা যারা এই সকল বিষয় বিস্তারিত
ভাবে জানতে চান তারা আমার এই লেখা টি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন। চলুন যারা
জানতে চান তারা লেখা টি তাড়াতারি পড়ে দেখুন –
ওমান ড্রাইভিং ভিসার দাম
ওমান ড্রাইভিং ভিসার দাম : আপনারা যারা ড্রাইভিং ভিসা নিয়ে ওমান যেতে চান তারা যাওয়ার আগে দাম
সম্পর্কে ভালো করে জেনে তারপরে যাবেন। কারণ আপনি যাওয়ার আগে আপনাকে অবশ্যই ভিসার দাম
সম্পর্কে জানতে হবে। তাই আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করবো ড্রাইভিং ভিসা নিয়ে যেতে কত
টাকা লাগে। আপনারা যারা ড্রাইভিং ভিসা নিয়ে ওমান যাবেন তাদেন টাকা লগবে প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার
থেকে ৩ লাখ টাকার মত। আর আপনি যদি অনলাইন এর মাধ্যমে নিজে সব কিছু করতে পারেন তাহলে
আপনার খরচ হবে মাত্র ৭০ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার মত। আর আপনি যদি এজেন্সির
মাধ্যমে যান তাহলে আপনার খরচ হবে প্রায় ৩ লখা টাকা। আর আপনি যদি দালাল এর মাধ্যমে যান তাহলে
আপনার খরচ হবে ৩ থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকার মত। তবে আর একটি কথা হল আপনার টাকা নির্ভর
করবে আপনি কোন এজেন্সির মাধ্যমে যাচ্ছেন তার উপর। তাই আপনি যাওয়ার আগে কয়েক টি এজেন্সির
সাথে যোগাযোগ করে জেনে নিবেন যে কে কত টাকা চায় । তারপরে সিদ্ধান্ত নিবেন যে কার মাধ্যমে
যাবেন।
ওমান ড্রাইভিং ভিসা প্রসেসিং
ওমান ড্রাইভিং ভিসা প্রসেসিং : আপনি যদি ড্রাইভিং ভিসা নিয়ে ওমান যেতে চান তাহলে আপনার জন্য
প্রসেসিং করা একেবারে সহজ বিষয়। কারণ ওমান ড্রাইভিং ভিসা বর্তমানে সরকার অনলাইন ভিত্তিক করে
নিয়েছে। তাই আপনারা যেখান থেকে ইচ্ছা অনলাইন এর মাধ্যমে খুব সহজে এবং নিরাপদে আবেদন
করতে পারবেন। আর আপনি যদি অনলাইন এর মাধ্যমে আবেদন করতে চান তাহলে আপনাকে
বাংলাদেশের প্রবাসি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকে করতে হবে। আর যদি আপনি আবেদন করে ব্যর্থ হন
তাহলে আপনি বাংলাদেশের যে কোনো এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। তবে এজেন্সির
মাধ্যমে যাওয়ার আগে ভালো করে জেনে যেতে হবে কারন অনেক বেসরকারি এজেন্সি রয়েছে যারা শুধু
হয়রানি করে। বাংলাদেশের অনেক মানুষ অনেক এজেন্সির মাধ্যমে প্রতারিত হয়েছে। তাই অবশ্যই আপনি
কোন এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করছেন তা আগে ভালো করে জেনে নিবেন।
ওমান ড্রাইভিং ভিসায় যেতে কি কি লাগে
ওমান ড্রাইভিং ভিসায় যেতে কি কি লাগে : আপনারা যারা ওমান ড্রাইভিং ভিসায় যাবেন তারা যাওয়ার
আগে অবশ্যই আন্তর্জাতিক লাইসেন্স বানিয়ে নিতে হবে। আপনি যদি আন্তর্জাতিক লাইসেন্স ছাড়া ড্রাইভিং
ভিসা জন্য আবেদন করেন তাহলে আপনার আবেদন বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই আপনারা যারা
ড্রাইভিং ভিসা নিয়ে যেতে চান তারা আগে আইডিপি লাইসেন্স বানিয়ে নিবেন। আর শুধু এই আইডিপি
লাইসেন্স নয় এর পাশাপাশি আপনাদের আরও কিছু রিকোয়ারমেন্ট রয়েছে। আর এই রিকোয়ারমেন্ট এর
মধ্যে সবচেয়ে অন্যতম হল দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা । কারণ ওমান প্রচুর পরিমাণে সড়ক দুর্ঘটনার রেকর্ড করা
হয়। আর এই কারণে ওমান সরকার আইন পদক্ষেপ এর মাধ্যমে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছেন। তাই আপনি যদি
ওমান ড্রাইভিং ভিসা পেতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই আন্তর্জাতিক লাইসেন্স এবং দক্ষতা তৈরি করে
নিতে হবে।
ওমান ড্রাইভিং ভিসার বয়স
ওমান ড্রাইভিং ভিসার বয়স : সব দেশেই যেতে চাইলে একটি নির্দিষ্ট বয়স লাগে তেমনি ওমান ড্রাইভিং
ভিসায় যেতে চাইলে আপনারো একটি বয়স লাগবে । আজকে এই খান থেকে জানতে পারবেন যে কত বয়স
লাগে। আপনি যদি ওমনি ড্রাইভিং ভিসায় যেতে চান তাহলে আপনার বয়স লাগবে ২১ থেকে ৪০ বছরের
মধ্যে । কারন ওমান বেশি সড়ক দুর্ঘটনার কারনে বয়সকো কর্মীদের নেয় না। আর তার সাথে ২১ বছর এর
কম বয়সীদেরও যোগদান করার সুযোগ নেই। আর আপনারা যারা ড্রাইভিং ভিসা নিয়ে যাবেন তাদের
সবচেয়ে জরুরি হল দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা।
ওমান ড্রাইভিং ভিসার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
ওমান ড্রাইভিং ভিসার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র : আপনারা যারা ড্রাইভিং ভিসা নিয়ে যেতে চান তাদের
জন্য নিম্নে উল্লেখ করা হল যে কি কি লাগবে। আসুন আমরা জেনে নেই কি কি লাগে –
- আপনার একটি পাসপোর্ট লাগবে।
- ভিসা আবেদন ফরম লাগবে।
- একটি ইন্টারন্যাশনাল লাইসেন্স লাগবে।
- আপনার ছবি লাগবে।
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট প্রয়োজন হবে।
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট লাগবে।
- আপনার মাতা – পিতার এনআইডি কার্ডের ফটো কপি লাগবে।
- আর আপনার ড্রাইভিং কোম্পানির বিস্তারিত তথ্য লাগবে।
উপরোক্ত তথ্য গুলো ছাড়া আর যা যা লাগবে তা এজেন্সির মাধ্যমে জেনে নিয়ে সংগ্রহ করে নিতে পারবেন।
উপসংহার
আজকে আপনারা এই লেখা থেকে জানলেন ওমান ড্রাইভিং ভিসার দাম ও প্রসেসিং সম্পর্কে । আশা
করি আপনাদের উপকারে আসবে । কারণ এটি একটি তথ্য মূলক লেখা। আপনাদের জন্য এছাড়াও আরও
কিছু লেখার লিংক নিচে শেয়ার করা হল । প্রয়োজন মনে করলে পড়তে পারেন। সবাই ভালো থাকুন সুস্থ্য
থাকুন এই কামনায় এখানেই শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ।