চায়না ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ও খরচ

চায়না ওয়ার্ক পারমিট ভিসা : হ্যালো বন্ধুরা , আশা করি আপনারা সকলেই ভালো আছেন। আপনারা যারা

চায়না যেতে চান কাজের ভিসা নিয়ে তাদের জন্য এই লেখায় দিক নির্দেশনা দেওয়া হল। যেমন, আপনি কি

ভাবে কাজের ভিসা নিয়ে চায়না যেতে পারেন এবং কত দিন যাবৎ সেখানে কাজ করতে পারবেন। আপনারা

আরো জানবেন যে চায়না ভিসা প্রসেসিং করতে কত দিন সময় লাগবে। চায়না আপনারা কয়েক টি মাধ্যমে

যেতে পারবেন তার মধ্যে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে আপনি যদি চায়না যেতে চান তাহলে আপনাকে কিছু

রিকোয়ারমেন্ট আছে আর সেই অনুযায়ী আপনাকে যেতে হবে। তাই আজকে আপনাদের এই লেখার

মাধ্যমে সব কিছু  সব কিছু জানিয়ে দিবো যে আপনারা কি ভাবে ওয়র্ক পারমিট ভিসা নিয়ে চায়না যেতে

পারবেন। তাহলে চলুন আজকে আমরা জেনে নেই চায়না কাজের ভিসা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা –

চায়না ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

চায়না ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

চায়না ওয়ার্ক পারমিট ভিসা : আমরা সকলেই জানি যে , বর্তমান সময়ে সব থেকে প্রভাবশালী ও

উন্নয়নশীল দেশ হল চায়না। তাই আপনারা যারা ওয়র্ক পারমিট ভিসা নিয়ে চায়না যেতে চান তারা

বাংলাদেশের বোয়েসেল অথবা বিএমইটির মাধ্যমে যোগাযোগ করে যেতে হবে। বর্তমানে বিভিন্ন সরকারি ও

বেসরকারি কোম্পানি এসমস্ত এজেন্সির মাধ্যমে নিয়োগ দিয়ে থাকেন। তারা কখনো সরাসরি নিয়োগ

বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে না। এজেন্সি গুলোর মাধ্যমে তারা কিছু রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি

প্রকাশ করে থাকেন। যে রিকোয়ারমেন্ট গুলো থাকে তাহল ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ার এবং মেকানিক্যাল

ইঞ্জিনিয়ার । আপনাদের আরও একটি বিষয় মনে রাখতে হবে যে চায়নাতে সাধারনত গ্রাজুয়েশন

সার্টিফিকেট ছাড়া ভিসা পাওয়া অনেকটাই কঠিন । আর এছাড়াও আপনি যদি চায়নাতে কাজের ভিসা নিয়ে

যেতে চান তাহলে আপনাকে বিভিন্ন পার্সোনাল কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করতে হবে । আর পার্সোনাল

কম্পানির সাথে যোগাযোগ করে আপনাকে তার মেন শোরুমে কাজ নিতে হবে । তাহলেই আপনারা ওয়ার্ক

পারমিট ভিসা নিয়ে সহজেই  চায়নাতে যেতে পারবেন। বর্তমানে চায়না ভিভো এবং রিয়েলমি

কোম্পানিগুলোতে ক্যামেরা অ্যাক্সেসরিজ এবং অন্যান্য প্যাকিটিং এর জন্য বোয়েসেল এর মাধ্যমে একটি

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিলেন। আর তখন তারা ২ থেকে ৩ হাজার লোক নিয়েছেন । কিন্ত এখন সেই

কার্যক্রম বন্ধ আছে । আবার চালু হলেই আমরা আপনাদের জানাবো।

চায়না ভিসা খরচ

চায়না ভিসা খরচ: আপনারা যারা চায়না যেতে চান তারা যাওয়ার আগে অবশ্যই জেনে নিন যে চায়না

ভিসা খরচ কত। আর আপনারা ভিসা খরচ জানতে চাইলে আমার এই লেখার মাধ্যমে জানতে পারবেন।

আসুন আমরা চায়না ভিসা খরচ সম্পর্কে জেনে নিই । আপনি যদি চায়নাতে ২ বছরের মাল্টিপল ভিসা নিতে

চান তাহলে খরচ হবে ৩২ হাজার টাকা । আর আপনার ভিসা প্রসেসিং এর সময় লাগবে সাধারণত ৫ থেকে

১০ দিন এর মত। আপনার সেই সাথে এম্বাসি ফ্রী হিসেবে এবং ভিসা প্রসেসিং ফ্রী হিসেবে ১০০০০ টাকা খরচ

করতে হবে।

চায়না কোন কাজের চাহিদা বেশি

চায়না কোন কাজের চাহিদা বেশি: আপনারা যারা কাজের ভিসা নিয়ে চায়না যাবেন তার যাওয়ার আগে

জেনে যান যে চায়না কোন কাজের চাহিদা বেশি রয়েছে। বর্তমান সময়ে চায়নাতে মোবাইল কোম্পানি ও

কনস্ট্রাকশন কম্পানি এবং কিছু বিশেষ ফ্যাক্টরি আছে আর এই বিভিন্ন ধরণের কাজ গুলোতে নিয়োগ

বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছেন । তাবে এই সমস্ত কোম্পানিতে ভিসা পেতে হলে বা জবের জন্য এপ্লাই করতে হলে

আপনাকে অবশ্যই বোয়েসেল বা বিএমআইটির মাধ্যমে যোগাযোগ করে তার পরে চায়নাতে কাজের ভিসা

নিতে হবে।

চায়না কাজের বেতন কত?

চায়না কাজের বেতন কত?: আপনারা জানেন যে , চায়না ইলেকট্রিক কোম্পানি সহ কয়েক টি আদর্স

কোম্পানি আছে যে সমস্ত কোম্পানিতে বেতন ক্যাটাগরি হয়ে থকে ২৮০০ আরএমবি থেকে ৩০০০

আরএমবি এর মধ্যে । তবে এটি সাধারণত ব্যাসিক ক্যাটাগরিতে । আপনার ব্যাসিক ক্যাটাগরিতে ডিউটি

করা লাগে ৮ ঘণ্টা এবং ওভারটাইম বাধ্যতামূলক সেখানেও আপনাকে ৩ ঘণ্টা এক্সটা করতে হবে। তাই

আপনার বেতন এবং ওভার টাইম সহ ৪০০০ পর্যন্ত হয়ে থাকে।

চায়না ভিসা পেতে কি কি লাগবে

চায়না ভিসা পেতে কি কি লাগবে: আপনারা যারা চায়না ভিসা পেতে চান তারা জেনে নিন চায়না ভিসা

পেতে হলে কি কি লগবে। চায়না ভিসা পেতে হলে তাদের কিছু রিকোয়ারমেন্ট আছে সেই গুলো অনুযায়ী

আপনাকে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। আর তার পাশাপাশি এডুকেশন কোয়ালিফিকেশন সহ কিছু

তথ্য দেখাতে হতে পারে। আর তাছাড়াও বিভিন্ন কোম্পানির শর্তসাপেক্ষে লোক নিয়ে থাকেন।

  • এডুকেশন সার্টিফিকেট
  • পাসপোর্ট যার মেয়াদ থকতে হবে ছয় মাস
  • এনআইডি কার্ডের ফটোকপি
  • চায়না ভাষা শিক্ষার সার্টিফেকেট
  • চায়নাতে আপনার জব ইনভাইটেশন লেটার
  • আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা

আপনারা উপরোক্ত নিয়ম মেনে চায়না ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

শেষ কথা

চায়না ওয়ার্ক পারমিট ভিসা  নিয়ে যারা যেতে চান তারা এই লেখা থেকে সব কিছু জানতে পারবেন । এটি

একটি তথ্য মূলক লেখা । আপনাদের এই লেখা টি একটু হলেও উপকারে আসবে আশা করি । তাই

আপনাদের লেখা টি পড়া অত্যান্ত জরুরি। নিম্নে আপনাদের সাথে আরো কিছু লেখার লিংক শেয়ার করা হল

। আপনারা লেখা গুলো পড়তে পারেন আশা করি কাজে লাগবে। লেখা  টি পড়ার জন্য সবাই কে ধন্যবাদ।

আজকের মত এখানেই শেষ করছি । ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

আরো একই বিষয়ে পড়তেঃ

About 24 Favor

Check Also

Scholarship Application Dos and Don’ts: A Comprehensive Checklist

Scholarships are a gateway to educational opportunities, providing financial support to deserving individuals. As you …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *