আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা, আজকে আমরা কথাগুলো সুইজারল্যান্ড সম্পর্কে অজানা তথ্য বিষয় টি নিয়ে। আপনারা যারা
সুজারল্যান্ড এর সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক তারা আমার এই লেখা টি পড়ুন। আপনারা এই লেখা থেকে আরো জানতে পারবেন
সুইজারল্যান্ড জীবনযাত্রার মান ও সুইজারল্যান্ড ভ্রমণ। এর সকল বিষয় নিম্নে আলোচনা করা হল। তাই আপনারা সুজারল্যান্ড এর
তথ্য সম্পর্কে জানতে চাইলে আজকে আমার এই সুইজারল্যান্ড সম্পর্কে অজানা তথ্য লেখা টি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনযোগ
সহকারে পড়ুন। নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
সুইজারল্যান্ড সম্পর্কে অজানা তথ্য
সুইজারল্যান্ড সম্পর্কে অজানা তথ্য: পৃথিবীর বুকে এক টুকরো স্বর্গ বলা হয় সুইজারল্যান্ডকে ।বিশ্বজুড়ে ভ্রমণপিপাসু মানুষদের
কাছে স্বপ্নের মতো সত্যিই অপূর্ব এক দেশ।অনেকেই মনে করেন সুইজারল্যান্ড মানেই হচ্ছে রোলেক্স ঘড়ি, দামি সব লোভনীয়
চকলেট আর ব্যাংকের দেশ।কিন্তু অনেকের মত যদি আপনিও এমন কিছু মনে করেন তাহলে ভুল ভাবছেন। কারণ এসবের বাইরেও
সুইজারল্যান্ড এর মধ্যে অনেক কিছুই আছে যা অনেকেরই অজানা।সুইজারল্যান্ড মধ্যে ইউরোপে অবস্থিত হলেও কিন্তু ইউরোপীয়
ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত না।দেশটির প্রাতিষ্ঠানিক নাম সুইস কনফেডারেশন।সুইজারল্যান্ডে প্রশাসনিক রাজধানী বার্ন হলেও সবচেয়ে
পরিচিত শহরগুলো হল জেনেভা এবং জুরিখ। সুইজারল্যান্ডের প্রশাসনিক বিভাগ গুলো কে বলা হয় কেন্টন।এই দেশে মোট ২৬ টি
কেন্টন আছে।এগুলি সবগুলোই অতীতে আলাদাভাবে স্বাধীন রাষ্ট্র ছিল। ২৬ টি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র স্বাধীন রাষ্ট্র একত্রিত হয়ে সুইজারল্যান্ড
গড়ে উঠলেও দেশটি আয়তনে খুব ছোট।কিন্তু ছোট হলেও দেশটির রাজনৈতিক পরিবেশ খুব সুস্থির।যদিও বেশিরভাগ দেশে রাষ্ট্রপতি
৪ থেকে ৫ বছরের জন্য দায়িত্ব পালন করে থাকেন। কিন্তু জানলে অবাক হবেন যে এই দেশে প্রতিবছর জানুয়ারি মাসের ১ তারিখে
দেশটির রাষ্ট্রপতি পরিবর্তিত হয়। ছয় বছরের জন্য নির্বাচিত মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা পালাক্রমে একবছর করে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন
করেন। এখানকার নাগরিকরা রাষ্ট্রীয় সকল কাজে সরাসরি অংশগ্রহণ করার জন্য সুযোগ পায়। তাই দেশটির যেকোনো বিষয় সিদ্ধান্ত
গ্রহণের প্রক্রিয়া অত্যন্ত ধীর গতিতে চলে ।সুইজারল্যান্ডের নাগরিকরা চাইলে আইনেরও পরিবর্তন করতে পারে। যদি তারা সংশ্লিষ্ট
আইন এর বিরুদ্ধে ১০০ দিনের মধ্যে ৫০ হাজার স্বাক্ষর গ্রহণ করতে পারেন তবে এটি জাতীয় ভোট অনুষ্ঠিত এবং ভোটাররা আইন
টি গ্রহণ করবেন নাকি প্রত্যাখ্যান করবে তা সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা দ্বারা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সুইজারল্যান্ডের জীবনযাত্রার মান
সুইজারল্যান্ডের জীবনযাত্রার মান: বিশ্বের সর্বোচ্চ জীবনযাত্রার মানের বিচারে সুইজারল্যান্ড বরাবরই শীর্ষ তিনের মধ্যে থাকে ।
দেশ টি পৃথিবীর ধনী রাষ্ট্র গুলির মধ্যে অন্যতম। সুইজারল্যান্ডের এক সুইস ফ্রাঙ্ক বাংলাদেশের ১১৪.১২ টাকার সমান ।সবচেয়ে অবাক
করা ব্যাপার হচ্ছে সব দেশে যদি অর্থনৈতিক মন্দায় মুদ্রার মান কমে যায় সুইজারল্যান্ড এর মুদ্রার মান কখনো কমে না। এদেশের
ব্যাংক গুলো কালো টাকা নিরাপদে রাখার জন্য বিখ্যাত। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের অসাধু ব্যবসায়ীরা তাদের অবৈধ সম্পদ
সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে অনায়াসে রাখতে পারেন। বিশ্ব বাণিজ্য এবং শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য সুইজারল্যান্ড অত্যন্ত সহজ ব্যবস্থা
গড়ে তুলেছে।এছাড়াও সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরে রয়েছে জাতিসংঘ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে গুরুত্বপূর্ণ সংগঠন এর সদর দপ্তর।
সুইজারল্যান্ডের সুন্দর সুবর্ণ গ্রাম গুলিতে বেশি মানুষ থাকে না। এ দেশের প্রায় ৮৫ শতাংশ মানুষ শহরে বসবাস করে। আর এই
দেশের একাধিক শহর পৃথিবীর সবচেয়ে ব্যয়বহুল নগরীর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে ।পৃথিবীর শীর্ষ দশ টি বসবাসযোগ্য শহরের তালিকার
মধ্যে সুইজারল্যান্ডেরি রয়েছে তিন টি শহর।এই দেশের মানুষের গড় মাসিক বেতন প্রায় ৫ থেকে ৭ লক্ষ টাকা। এই খানে বেকারত্বের
হার খুবই কম। উন্নত জীবন আর অধিক বেতনের আশায় বহু বিদেশি নাগরিক এই দেশে পাড়ি জমান।এই দেশের চার ভাগের এক
ভাগ হলো বহিরাগত।
সুইজারল্যান্ড ভ্রমণ
সুইজারল্যান্ড ভ্রমণ: আপ্লস পর্বতমালার অপরূপ সৌন্দর্য এবং অসংখ্য নয়নাভিরাম হ্রদ এ দেশকে করে তুলেছে অনন্য।
এ দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এতটাই বিখ্যাত যে বিভিন্ন দেশের সুন্দর অঞ্চল গুলোকে বর্ণনা করতে গেলে সুজারল্যান্ড এর
সাথে তুলনা করা হয়।সুউচ্চ পর্বতশ্রেণী গভীর আলপাইন এবং সবুজ ঘাসের গালিচা বিছানো উপত্যকা এখানকার চিরচেনা প্রাকৃতিক
উপাদান। নিসর্গ বহু লেখক-সাহিত্যিক কবি চিত্র শিল্পকে অনুপ্রাণিত করেছে তাদের শিল্পকর্ম সৃষ্টিতে বিশ্ব ভ্রমণ পিয়াসীদের কাঙ্খিত
ভ্রমনের তালিকায় সুইজারল্যান্ড নেই এমন লোক খুব কম আছে। সুজারল্যান্ড সাত হাজারের অধিক লেক রয়েছে। প্রতি দশ মাইলে
একটি লেক পাওয়া যায়। অধিক পরিমাণে পানির মজুদ থাকার কারণে সুইজারল্যান্ড প্রায় ৬০% বিদ্যুতের চাহিদা হাইড্রয়েলেক্ট্রিক
পাওয়ার অর্থাৎ জলবিদ্যুৎ থেকে আসে।সুজারল্যান্ড এ কোন সমুদ্র নেই চারদিকে থেকে স্থলবেষ্টিত দেশ। সমুদ্র না থাকলেও
সুজারল্যান্ড ইউরোপের বেশ কয়েক টি প্রধান নদীর উৎস রোন এবং রাইন নদী এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য।প্রকৃতির
আরেক টি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো দেশটিতে প্রায় ৭০০০ লেক আছে। এ দেশের প্রাকৃতিক জলাশয় গুলোর পানি এতটাই স্বচ্ছ আর
পরিষ্কার যে সুইজারল্যান্ডের প্রায় সকল নদী এবং লেক এর পানি সরাসরি পান করা যায়।
সুইজারল্যান্ড সম্পর্কে অজানা তথ্য এর শেষ উক্তি
সবশেষে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শেষ করছি আজকের সুইজারল্যান্ড সম্পর্কে অজানা তথ্য লেখা টি। এটি সুন্দর একটি
তথ্যমূলক লেখা। আশাকরি এই লেখা টি থেকে আপনারা অনেকেই উপকৃত হইবেন। আপনাদের যদি আরো কোনো বিষয় জানা
থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাবেন। আমরা তার উত্তর দিয়ে আপনাকে সেই বিষয় টি জানিয়ে দিব। আমরা বিদেশের
ব্যাপারে সব সময় সব ধরনের তথ্য দিয়ে থাকি।তাই যারা বিদেশের ব্যাপারে তথ্য জানতে ইচ্ছুক তারা আমার এই সাইট থেকে জানতে
পারবেন। নিচে আরও কিছু লেখার লিংক আপনাদের সাথে শেয়ার করা হল। প্রয়োজন মনে করলে সেগুলো পড়তে পারেন। আশা
করি কাজে লাগবে। ধন্যবাদ সবাইকে আজকে আমার এই সুইজারল্যান্ড সম্পর্কে অজানা তথ্য লেখা টি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত
মনযোগ সহকারে পড়ার জন্য। ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
একই জাতীয় আরো লেখা :
- দুবাই ড্রাইভিং ভিসা বেতন কত?
- দুবাই হাউজ ড্রাইভার নিয়োগ ২০২৩
- দুবাই সিকিউরিটি গার্ড কোম্পানি ২০২৩
- দুবাই যেতে কত টাকা লাগে?
- দুবাই যেতে কত বছর বয়স লাগে ২০২৩?
- দুবাই কাজের সন্ধান
- দুবাই কাজের ভিসা ২০২৩
- দুবাই সর্বনিম্ন বেতন কত?
- দুবাই বা আরব আমিরাতে কোন কাজের চাহিদা বেশি
- কুয়েত খাদেম ভিসা।
- কুয়েত কোম্পানি ভিসা ২০২২।
- কুয়েত জব ভিসা।
- কুয়েত হোটেল ভিসা।
- কুয়েত মসজিদের হারেজ ভিসা।
- কুয়েত কোন কাজের চাহিদা বেশি।
- মালয়েশিয়া কলিং ভিসা এজেন্সি
- মালয়েশিয়া কাজের ভিসা-২০২২
- মালয়েশিয়া যেতে কত টাকা লাগে
- সৌদি ভিসা প্রসেসিং
- সৌদি আরব ভিসা চেকিং
- সৌদি আরবে কোন কাজের বেতন বেশি
- কাতারে কোন কাজের চাহিদা বেশি।
- সিংঙ্গাপুরে কোন কাজের চাহিদা ও বেতন বেশি।
- কানাডায় কোন কাজের চাহিদা বেশি।
- মালয়েশিয়ায় কোন কাজের চাহিদা বেশি
- সৌদি আরব ভিসা কত প্রকার
- কুয়েত মাজরা ভিসা।