আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা,আশাকরি সকলেই ভালো আছেন। আজকে আমরা কথা বলবো জার্মানির
ইতিহাস ও পূর্ব নাম কি সম্পর্কে। আপনারা যারা জার্মানি ইতিহাস জানতে ইচ্ছুক তারা এই লেখাটি
পড়তে থাকেন। আপনারা এই লেখা থেকে আরো জানতে পারবেন জার্মানির ইতিহাস, জার্মানির পূর্ব নাম
কি এবং পূর্ব জার্মানির রাজধানী। এই সকল বিষয়ে আপনারা জানতে চাইলে জার্মানির ইতিহাস ও পূর্ব
নাম কি এই লেখা টি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত লেখা টি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকেন। নিম্নে বিস্তারিত
দেওয়া হল।
জার্মানির ইতিহাস
জার্মানির ইতিহাস: ধারণা করা হয় সুপ্রাচীন নর্ডীয় ব্রোঞ্জ যুগ অথবা প্রাক- রোমান লৌহ যুগে জার্মানিতে
আদি জাতিগোষ্ঠীগুলোর বসবাস শুরু হয়েছে। দক্ষিণ স্ক্যান্ডিনেভিয়া এবং উত্তর জার্মানি থেকে এই
গোষ্ঠীগুলো দক্ষিণ, পূর্ব ও পশ্চিম দিকে বসতি স্থাপন শুরু করে খ্রিস্টপূর্ব প্রথম শতাব্দীতে।এই
সম্প্রসারণের ফলে তারা গলের কেল্টীয় গোষ্ঠী এবং পূর্ব ইউরোপের ইরানীয়, বাল্টিক ও স্লাভিক
গোষ্ঠীগুলোর সান্নিধ্যে আসে। জার্মানির সেই প্রাচীন ইতিহাস সম্বন্ধে খুব অল্পই জানা গেছে। এখন পর্যন্ত
মানুষ যা জানতে পেরেছে তা হল ওই জাতি গুলোর সাথে রোমান সাম্রাজ্যের কিছু লিখিত যোগাযোগের
দলিল প্রমাণাদির মাধ্যমে। তান্ত্রিক প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণায় এই তথ্যগুলোর অনেক অংশই উদঘাটিত
হয়েছে।
জার্মানির অঞ্চল সমূহ
বর্তমানে জার্মানি অঞ্চল টি ৮৪৩ অব্দে ক্যারোলিঙ্গিয়ান সাম্রাজ্যের বিভাজনের ফলে সৃষ্টি হয়।
সাম্রাজ্যটিতে ফ্রান্স ও অন্তর্ভুক্ত ছিল। এরপর বহু শতাব্দী যাবত জার্মানি ছিল দুর্বল ভাবে একত্রিত জমিদারি
ভিত্তিক কতগুলি দেশের সমষ্টি। ১৬শ শতকের পর থেকে জার্মান রাষ্ট্রগুলি ইউরোপের যুদ্ধ ও ধর্মীয়
সংঘাতে ক্রমশ বেশি করে জড়িয়ে পড়তে শুরু করে।১৯শ শতকের শুরুতে ফ্রান্স ,জার্মান রাষ্ট্রগুলি দখল
করলে জাতিগতভাবে একত্রিত এক জার্মানির জন্য জনমত প্রবল হয় এবং ১৮১৫ সালে প্রুশিয়ার নেতৃত্বে
জার্মান রাষ্ট্রগুলি একটি কনফেডারেশন গঠন করে, যা ১৮৬৭সাল পর্যন্ত স্থায়ী ছিল।১৮৭১ সালে অটো ফন
বিসমার্কের অধীনে একত্রিশ হবার পর জার্মানিতে দ্রুত শিল্পায়ন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটে ।বিংশ শতাব্দীর
শুরুতে জার্মানি ইউরোপে আধিপত্য চেষ্টা চালালে প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের সূত্রপাত হয়। ১৯১৮ সালের যুদ্ধে
জার্মানির পরাজয় ঘটলে রাজনৈতিক অর্থনৈতিক বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। এর উগ্র জাতীয়তাবাদী প্রতিক্রিয়ার
ফলে নৎসি পার্টি আবির্ভাব ঘটে।নৎসি পার্টি ১৯৩০এর দশকে আডলফ হিটলারের নেতৃত্বে ক্ষমতায়
আসে।১৯৩৯ সালে জার্মানির আগ্রাসনের ফলে দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বযুদ্ধ হয়।১৯৪৫ সালে মিত্রশক্তি
যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন জার্মানিকে দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধে পরাজিত করে।
মিত্র দেশগুলো দেশটিকে চারটি অঞ্চলে ভাগ করে: ব্রিটিশ, ফরাসি, মার্কিন ও সোভিয়েত সেনারা এক
একটি অঞ্চলের দায়িত্বে ছিলেন। সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং পশ্চিমা শক্তিগুলোর মধ্যকার মিত্রতা ১৯৪০-
দশকের শেষে ভেঙে গেলে সোভিয়েত অঞ্চলটি জার্মান গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র তথা পূর্ব জার্মানি তে পরিণত
হয়। পশ্চিম নিয়ন্ত্রিত বাকি তিন অঞ্চল একত্রিত হয়ে পশ্চিম জার্মানি গঠন করে। যদিও জার্মানির
ঐতিহাসিক রাজধানী বার্লিনে পূর্ব জার্মানি অনেক অভ্যন্তরে অবস্থিত ছিল,তা সত্ত্বেও এটিকে দুই দেশের
মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়।কিন্তু বহু লক্ষ পূর্ব জার্মান অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ ও গণতান্ত্রিক পশ্চিম
জার্মানিতে অভিবাসী হওয়া শুরু করলে ১৯৬১ সালে পূর্ব জার্মানি সরকার বার্লিনে একটি প্রাচীর তুলে দেয়
এবং দেশের সীমান্ত জোরদার করে।
জার্মানির পূর্ব নাম কি
জার্মানির পূর্ব নাম কি: জার্মান এর পূর্ব নাম ছিল পূর্ব জার্মানি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর ইউরোপে জার্মানির
সোভিয়েত ইউনিয়ন আকৃত এলাকা নিয়ে গঠিত একটি সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র। ১৯৪৯ সালে থেকে ১৯৯০ সাল
পর্যন্ত রাষ্ট্র হিসেবে এর অস্তিত্ব ছিল। ১৯৯০ সালে এটি পশ্চিম জার্মানির সাথে একটি ভূত হয়ে বর্তমানের
জার্মানি রাষ্ট্র গঠন করে। এই দুই জার্মানির জনগণ নিজেরাই বিভক্ত করে রাখা বার্লিন দেয়াল বা প্রাচীর
ভেঙে ফেলে। সমাজতান্ত্রিক পূর্ব জার্মানি ও পুঁজিবাদী পশ্চিম জার্মানি আবার একীভূত হয়। অর্থাৎ জার্মানি
ফের ঐক্যবদ্ধ হয় পূর্ব-পশ্চিম বলতে আরো কিছু থাকলো না। বার্লিন প্রাচীর ভেঙে ফেলার মধ্য দিয়ে
ইউরোপের বুকে জার্মান একত্রিত হয়। পূর্ব জার্মানির রাজধানী ছিল বার্লিন শহর পূর্বাংশ।
পূর্ব জার্মানির রাজধানী
পূর্ব জার্মানির রাজধানী: পূর্ব জার্মানি ও পশ্চিম জার্মানি বিভাগের সাথে বার্লিন শহর সম্পূর্ণ পূর্ব জার্মানি
দ্বারা বেষ্টিত পূর্ব বার্লিন পশ্চিম বার্লিন এবং বিভক্ত হয়ে যায়, এটি বার্লিন প্রাচীর দ্বারা বিভক্ত। যেহেতু
পশ্চিম বার্লিন পশ্চিম জার্মানির জন্য একটি কার্যকর রাজধানী হিসেবে কাজ করতে পারেনি, তাই বনকে
বিকল্প হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছিল। একটি রাজধানী শহর হিসেবে বন নির্মাণের প্রক্রিয়া প্রায় আট বছর
এবং ১০ বিলিয়ন ডলারে চেয়েও বেশি। পূর্ব জার্মানির রাজধানী ছিল বন শহর।
জার্মানির ইতিহাসের শেষ কথা
সবশেষে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শেষ করছি আজকের জার্মানির ইতিহাস ও পূর্ব নাম কি লেখাটি।
এটি সুন্দর একটি তথ্যমূলক লেখা। আশা করি উপরোক্ত তথ্যগুলো অনেকের উপকারে আসবে। এর পর
যদি আপনাদের আরো কোন বিষয়ে জানার থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাবেন। আমরা তার
উত্তর দিয়ে আপনাকে সে বিষয়টি জানিয়ে দিবো। কারণ আমরা সবসময় বিদেশের ব্যাপারে তথ্য দিয়ে
থাকি। তাই বিদেশের ব্যাপারে তথ্য পেতে আমাদের সাথে থাকুন। নিচে আরও কিছু লেখার লিংক দেওয়া
হল। প্রয়োজন মনে করলে সেগুলো পড়তে পারেন। আশা করি কাজে লাগবে। ধন্যবাদ সবাইকে আমার
আজকের এই জার্মানির ইতিহাস ও পূর্ব নাম কি লেখাটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে
পড়ার জন্য।
একই জাতীয় আরো লেখা :
- দুবাই ড্রাইভিং ভিসা বেতন কত?
- দুবাই হাউজ ড্রাইভার নিয়োগ ২০২৩
- দুবাই সিকিউরিটি গার্ড কোম্পানি ২০২৩
- দুবাই যেতে কত টাকা লাগে?
- দুবাই যেতে কত বছর বয়স লাগে ২০২৩?
- দুবাই কাজের সন্ধান
- দুবাই কাজের ভিসা ২০২৩
- দুবাই সর্বনিম্ন বেতন কত?
- দুবাই বা আরব আমিরাতে কোন কাজের চাহিদা বেশি
- কুয়েত খাদেম ভিসা।
- কুয়েত কোম্পানি ভিসা ২০২২।
- কুয়েত জব ভিসা।
- কুয়েত হোটেল ভিসা।
- কুয়েত মসজিদের হারেজ ভিসা।
- কুয়েত কোন কাজের চাহিদা বেশি।
- মালয়েশিয়া কলিং ভিসা এজেন্সি
- মালয়েশিয়া কাজের ভিসা-২০২২
- মালয়েশিয়া যেতে কত টাকা লাগে
- সৌদি ভিসা প্রসেসিং
- সৌদি আরব ভিসা চেকিং
- সৌদি আরবে কোন কাজের বেতন বেশি
- কাতারে কোন কাজের চাহিদা বেশি।
- সিংঙ্গাপুরে কোন কাজের চাহিদা ও বেতন বেশি।
- কানাডায় কোন কাজের চাহিদা বেশি।
- মালয়েশিয়ায় কোন কাজের চাহিদা বেশি
- সৌদি আরব ভিসা কত প্রকার
- কুয়েত মাজরা ভিসা।