বাজে অভ্যাস দূর করার উপায়: আমরা প্রতিদিনই আমাদের চালাচল বা আচার-ব্যবহার এর মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন কার্য সম্পাদন করে থাকি। আর এর মধ্যে কিছু কার্য থাকে ভালো। আর কিছু কাজকর্ম থাকে খারাপ। আসলে সকল কাজ সংঘটিত হয় আমাদের অভ্যাস এর মাধ্যমে। আমাদের যেমন কিছু ভালো দিক থাকে।
আবার থাকে কিছু খারাপ দিক । আর এই খারাপ দিক গুলোকে আমরা বাজে অভ্যাস বলে থাকি। তাই আসুন আজকের এই লেখা দ্বারা, আমরা জেনে নিব আমাদের কোন স্বভাব গুলোকে আমরা ভালো বলব আর কোন অভ্যাসগুলো বাজে অভ্যাস বলবো। আর সেই বাজে অভ্যাস থেকে আমরা কিভাবে সরে আসতে পারি সেই টিপস গুলো আমি জানিয়ে দেবো বাজে অভ্যাস দূর করার উপায়।
বাজে অভ্যাস দূর করার উপায় লেখাটা আপনারা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন, আর জেনে নিন আপনার বাজে অভ্যাস গুলো। এর সাথে জেনে নিন বাজে অভ্যাস দূর করার সহজ টিপস। যেগুলো দিয়ে আপনি সহজেই দূর করে নিতে পারবেন আপনার বাজে অভ্যাস গুলো । কারন আমরা সবাই জানি, আমাদের বাজে অভ্যাস কেউই পছন্দ করে না। তাই এই অভ্যাসগুলো দূর করা আমাদের জন্য অত্যন্ত জরুরি।
অভ্যাস কি? বা অভ্যাস অর্থ কি?
আমরা প্রত্যাহিক জীবনে কিছু কাজ নিজের অজান্তেই করে ফেলি। সেটা হোক ভালো কাজ। হোক সেটা খারাপ কাজ। আর যেই কাজ গুলো আমরা নিজের অজান্তেই করে ফেলি সেই কাজগুলো হলো অভ্যাস। নিজের অজান্তে কাজ করাই হল আমাদের অভ্যাস আর এই অভ্যাস এর অর্থ হল স্বভাব অর্থাৎ সেটা ভালো হতে পারে খারাপ হতে পারে।
সু-অভ্যাস কি? বা ভাল অভ্যাস কি?
অনেক সময় আমরা নিজের অজান্তেই অনেক খারাপ অভ্যাসের কাজ করি না। আর যে খারাপ অভ্যাসের কাজগুলো আমরা না করি, সেগুলো কেই আমরা বলে থাকি ভাল অভ্যাস। আমরা যদি কিছু ভাল অভ্যাসের উদাহরণ দেই তাহলো
- খুব সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠা ও যোগ ব্যায়াম করা।
- সকাল বেলা ব্রাস করা।
- বই পড়া।
- মানুষের উপকার করা।
- মানুষকে কথা দিয়ে কথা রাখা।
- নিয়মিত ধর্ম চর্চা করা।
- অধিক পানি পান করা। ইত্যাদি।
বাজে অভ্যাস কি?
যে স্বভাব গুলো মানুষের কাছে দেখতে দৃষ্টিকটু, অথবা মানুষ সেই অভ্যাসটা কে ভালোভাবে নেয় না। তাদের কাছে খারাপ লাগে, বা বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সেই অভ্যাসগুলোকে মূলত আমরা বাজে অভ্যাস বলে থাকি। আমাদের অনেকেরই অনেক ধরনের বাজে অভ্যাস আছে। তারমধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য গুলো নিচে উল্লেখ করা হলো।
- মুখ দ্বারা হাতের নখ কাটা।
- যে কোন জীনিস দ্বারা কান খোঁচানো।
- নাকের ভিতরে নখ দেওয়া।
- অন্যের গায়ে হাত দিয়ে কথা বলা।
- কথা বলার সময় থুতু ছিটানো।
- ব্রাশ না করে খাবার খাওয়া।
- হাত দ্বারা মাথায় আঘাত করা। ইত্যাদি।
- মানুষের সামনে হাত নেড়ে কথা বলা।
- অল্প কথায় রেগে যাওয়া।
বাজে অভ্যাস দূর করার উপায়
যেহেতু বাজে অভ্যাসগুলো আমাদের কাম্য নয় । এটা এক ধরনের মানসিক বা নিজের অজান্তে রোগের সমতুল্য। এটাকে আমরা একটি বাজে রোগ বলে আখ্যায়িত করতে পারি। তাই একটি শরীরে যে রকম রোগ থাকা কাম্য নয়। ঠিক তেমনি আমাদের মাঝে বাজে স্বভাব গুলো থাকা কাম্য নয় । আমরা একটু সচেতন হলেই এই বাজে স্বভাব গুলোকে আমাদের কাছ থেকে দূরে সরিয়ে ফেলতে পারি। আসুন সেই টিপস গুলো নিয়ে আলোচনা করি। যেগুলো ব্যবহার করে আপনি আপনার বাজে স্বভাব গুলোকে দূর করতে পারেন।
বাজে অভ্যাস দূর করার জন্য লক্ষ্য নির্ধারণ
আমরা যদি আমাদের বাজে অভ্যাস গুলো বুঝে, একটি লক্ষ্য নির্ধারণ করি। তাহলে আমরা আমাদের বাজে স্বভাব গুলোকে খুব সহজেই সরিয়ে ফেলতে পারি। কারণ আপনি যদি আপনার লক্ষ্য নির্ধারণ করতে না পারেন, তাহলে আপনি কখনো আপনার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবেন না।
আর এই জন্যই বাজে স্বভাব গুলোকে দূর করার জন্য আপনার বাজে স্বভাব বা বাজে অভ্যাস পরিবর্তনের একটি লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে। তবেই আপনি আপনার বাজে স্বভাব গুলোকে দূর করতে পারবেন।
আপনার বাজে অভ্যাস কে আগে বুঝুন
অনেক সময় আসলে আমরা নিজেরাই বুঝিনা,আসলে আমার মঝে কোন অভ্যাসটি বাজে। আর এর কারণে সেই বাজে অভ্যাসটি আপনার মধ্যে রয়ে যায় দীর্ঘদিন যাবত। এই জন্য আমাদের প্রথমেই বুঝে নেওয়া দরকার আমার মধ্যে যে স্বভাব গুলো আছে, সেই স্বভাবের মধ্যে কোন গুলো বাজে অভ্যাস।
কারণ কথায় আছে আপনি যদি রোগ না ধরতে পারেন, তাহলে চিকিৎসা নিবেন কিভাবে। এইজন্য আমার মধ্যে যে বাজে স্বভাব গুলো আছে সেটাকে আগে আমার বুঝতে হবে। তবে আমি আমার মধ্যে থেকে বাজে সভাপতি দূর করতে পারবো।
অভ্যাস পরিত্যাগ এর জন্য পরিকল্পনা তৈরি করুন
আমাদের মধ্যে বাসা বাঁধা বাজে অভ্যাস গুলো, ইচ্ছে করলেই সহজেই পরিত্যাগ করতে পারবোনা। যেহেতু এই অভ্যাসগুলো একদিনে গড়ে ওঠেনি। তাই একদিনে পরিত্যাগ করা সম্ভব নয়। আমরা শত চেষ্টা করলেও হঠাৎ করেই পরিবর্তন করতে পারব না। এই অভ্যাসগুলো কে আমাদের পরিবর্তন করতে হবে ধীরে ধীরে।
আর তার জন্য দরকার একটি সুন্দর পরিকল্পনার, অর্থাৎ আমার মাঝে যে বাজে অভ্যাস গুলো আছে, সেগুলো আমি কত দিনের মধ্যে পরিবর্তন করতে চাই? কিভাবে পরিবর্তন করতে চাই? পরিবর্তন করার জন্য আমার কি কি করা প্রয়োজন? এসব বিষয়গুলো সুন্দরভাবে লিখে রেখে এবং সেই মতো নিজেকে পরিচালিত করে বাজে অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে।
আর এজন্য বলা হয় আপনি যদি সুন্দর একটি পরিকল্পনা করেন আপনার বাজে অভ্যাস গুলো পরিবর্তন হতে বাধ্য।
ধৈর্যশীল হয় নিজে নিজেকে মোটিভেশনাল কথা বলেন
ধৈর্য ধারণ করা হচ্ছে সবচেয়ে বড় একটি গুণ। আর এই গুন দিয়েই আপনার বাজে অভ্যাস গুলো পরিবর্তন করার চেষ্টা করতে হবে। কারণ আপনি যদি ধৈর্যশীলা না হলে বাজে অভ্যাস গুলো কে পরিবর্তন করতে পারবেন না। কারণ এই বাজে অভ্যাস গুলো কে পরিবর্তন করতে আপনার সময় লেগে যেতে পারে অনেক দিন বা মাস।
এক্ষেত্রে আরো প্রয়োজন নিজেই নিজেকে মোটিভেশনাল কথা বলতে হবে। যেমন আপনাকে কি দিয়ে সম্ভব, আপনি পারবেন ইত্যাদি। এই কথাগুলোকে নিজেই, নিজেকে বারবার বলতে থাকুন। দেখবেন আপনার মধ্যে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাস তৈরি হবে । যে আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান হয়ে আপনি দূর করতে পারবেন আপনার মধ্যে থাকা সেই ভাজে স্বভাব গুলো।
আপনার সফলতার কথা চিন্তা করুন
আমাদের বিভিন্ন বিফলতার কারণে হতাশায় ভোগে থাকি। আর এই হতাশা একসময় সৃষ্টি করে আমাদের বিভিন্ন বাজে অভ্যাসে । আর এজন্য আমাদেরকে চিন্তা করতে হবে, সব সময় পজিটিভ মাইন্ডে। আমরা অনেক সময় সফলতা পেয়ে থাকি। কিন্তু সেই সফলতা কে আমরা নিজেদের মধ্যে উদযাপন করি না।
যার জন্য আমাদের বাজে স্বভাব কোনদিন দূর হয়না। তাই বাজে স্বভাব গুলো দূর করার জন্য আপনার ছোট ছোট সফলতাকে উৎযাপন করেন। তাহলে দেখবেন আস্তে আস্তে আপনার বাজে অভ্যাস গুলো দূর হয়ে যাচ্ছে।
(আপনি কি ভালো মেয়ে চিনতে চান? সম্পর্কে জড়ানোর আগেই বা বিয়ের করার আগেই জেনে নিতে চান ভালো মেয়ের বৈশিষ্ট? তাহলে পড়ুন আমাদের এই লেখা টি এখান থেকে জানতে পারবেন কিভাবে একটি ভালো মেয়ে চেনা যায়?)
পারিপশ্বিকতায় পরিবর্তন আনুন
পরিবেশ-পরিস্থিতি অনেক সময় নির্ভর করে আমাদের গতিপ্রকৃতি কে পরিচালনার কাজে । আর তাই আপনার যদি এমন কোনো বাজে স্বভাব থাকে, যে অভ্যাসগুলোর জন্য আপনার পারিপার্শ্বিকতা দায়ী । তাহলে আপনি বদলে ফেলুন আপনার পারিপার্শ্বিকতাকে । উদাহরণ হিসেবে আমি আপনাদেরকে বলতে পারি,
আপনি যদি দেখেন আপনার পাশের সবাই মদ পান করে, আর আপনিও সেখানে তাদের সাথে মদপানে ব্যস্ত থাকেন। তাহলে অবশ্যই আপনার এই মদপানের পরিবেশ ত্যাগ করা দরকার। আপনাকে যদি ভালো পরিবেশে স্থানান্তর করা হয় তাহলে, আপনার সেই বাজে অভ্যাস পরিবর্তন করতে সহজ হবে। অন্যথায় আপনার জন্য বাজে অভ্যাস পরিবর্তন করা খুবই কঠিন হবে।
(সহজে চাকরি পেতে চান? তার জন্য জানতে হবে আপনাদের কিছু গুরুত্ব পূর্ণ টিপস। যে টিপস গুলো কাজে লাগিয়ে আপনি পেতে পারেন আপনার কাঙ্খিত চাকরি্টি। আর তার জন্য ভিজিট করতে হবে আমাদের এই পেজটি। যেখান থেকে জানতে পারলাম আপনি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস। তার জন্য ক্লিক করুন আমাদের এই পেইজ)
বাজে অভ্যাস গুলোকে ভাগ ভাগ করে নিন
আপনি যদি আপনার মধ্যে থাকা বাজে অভ্যাসগুলোকে একসাথে সব পরিবর্তন করতে চান। তাহলে আপনার জন্য হবে দুরূহ ব্যাপার। তাই আপনি আগে দেখে নিন আপনার মধ্যে কতগুলো বাজে অভ্যাস আছে। আর সে অভ্যাসগুলোকে চিহ্নিত করে, একটি একটি করে অভ্যাস দূর করার চেষ্টা করুন।
দেখবেন আপনার জন্য দূর করা খুব সহজ হয়েছে, এবং একসময় আপনার মধ্যে একটি বাজে অভ্যাস নাই।
(আপনি কি চান ঈদের আনন্দকে ভাগাভাগি করে নিতে। চান ঈদের মজার ফেসবুক স্ট্যাটাস দিতে। তাহলে আপনার জন্যই সাজিয়েছে আমাদের এই পেজটি। যেখানে পাবেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করার জন্য, সকল মজার ফেসবুক স্ট্যাটাস। আর তার জন্য ক্লিক করুন আমাদের এই পেজটি)
বদ অভ্যাস দূর করার আমল
আপনি যদি আপনার মধ্যে থাকা বাজে স্বভাব গুলো পরিবর্তন করতে চান, কিন্তু কোনভাবেই পরিবর্তন করতে পারতেছেন না। তাহলে আপনি নিচের দেওয়া আমল পালন করে খুব সহজেই আল্লাহতালার কাছে প্রার্থনা করে আপনার সেই বাজে অভ্যাস গুলোর পরিবর্তন করে নিতে পারেন। পরিবর্তন করতে পারেন আপনার মধ্যে থাকা বাজে অভ্যাস গুলো
আল্লাহ তাআলার গুণবাচক নাম সমূহের মধ্যে (اَلْحَمِيْدُ) ‘আল-হামিদু’ একটি। এ পবিত্র নামের আমলের মাধ্যমে মানুষ তার খারাপ বা বদ স্বভাব থেকে মুক্ত থাকতে পারবে।
ফজিলত
>> যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার পবিত্র গুণবাচক নাম (اَلْحَمِيْدُ) ‘আল-হামিদু’-এর জিকির অধিক পরিমাণে পাঠ করে; ওই ব্যক্তির সব কাজ-কর্মই সুন্দর এবং পছন্দীয় হয়।
>> যদি কোনো ব্যক্তির মুখ থেকে সব সময় খারাপ বা মন্দ কথা প্রকাশ পায় কিংবা পরস্পরের সঙ্গে মন্দ আচরণ করে; যা তার অনিচ্ছায় হয়ে থাকে। ওই ব্যক্তি যদি আল্লাহ তাআলার পবিত্র গুণবাচক নাম (اَلْحَمِيْدُ) ‘আল-হামিদু’ কোনো পাত্রের লিখে তা পানিতে মিশিয়ে পান করে তবে আল্লাহর ইচ্ছায় সে ব্যক্তির বদ স্বভাব বা মন্দ আচরণ দূর হয়ে যাবে।
অভ্যাস পাল্টানোর উপায় বা নিজেকে পরিবর্তন করার উপায়
আমরা আমাদের অভ্যাস গুলো পাল্টাতে চাই। কিন্তু আমি আপনাদেরকে বলে রাখছি, আপনাদের যদি ভালো অভ্যাস থাকে সেটা পাল্টানোর দরকার নাই। খারাপ অভ্যাসগুলোকে শুধু পাল্টিয়ে ফেল্লেই চলবে। খারাপ স্বভাব গুলোকে পরিণত করতে হবে ভাল অভ্যাসে। আর তাহলে আপনি সমাজের কাছে হয়ে উঠবেন একটি আদর্শ মানুষ।
একজন ভালো মানুষ। আমরা সবাই চাই আমাদের মধ্যে খারাপ অভ্যাসগুলো পরিবর্তন হয়ে ভালোয় পরিণত হোক। আর এ জন্যই আমাদের বেশ কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। যে বিষয়গুলো খেয়াল রেখে আমাদের পরিবর্তন করতে হবে। সে বিষয়গুলো নিচে উল্লেখ করা হবে হল।
- কথা কাজে মিল রাখতে হবে।
- আপনার মধ্যে যে বাজে স্বভাব আছে সব সময় তা স্মরণ রাখতে হবে।
- কারো সাথে চলার সময় বা কথা বলার সময়, নিজের বাজে অভ্যাস গুলো দিকে খেয়াল রেখে কথা বলব বলতে হবে।
- প্রতিদিন কতটুকু আপনার অগ্রগতি হচ্ছে, সেটাকে মূল্যায়ন করতে হবে।
- একই ধরনের বাজে স্বভাবের যেন, পুনরাবৃত্তি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
অভ্যাস নিয়ে কিছু কথা
আমাদের অভ্যাসগুলো এমন ভাবে আমাদেরকে আঁকড়ে ধরে থাকে। যা সহজে ছাড়তে চায় না। আর তাই বহুকাল ধরেই অভ্যাসকে নিয়ে প্রচলিত আছে কিছু কথা । যে কথাগুলো আমাদের সমাজে বহুল প্রচলিত। আর তাই সেই কথা গুলো কে নিচে দেয়া হলো যা আপনি শেয়ার করতে পারবেন বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা ফেসবুকে।
এছাড়াও শেয়ার করতে পারবেন আপনার বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে। আসুন বাজে অভ্যাস নিয়ে যে কথা গুলো আছে সেগুলো নিচে আলোচনা করি।
জনম বাঁকা কুত্তার লেজা
ঘি মাখলে হয়না সোজা।
শকুন কি আর হয়রে তাজা
মরা গরু যতই খায়।
যা হয়না নয়ে
তা হয়না নব্বই বছরে।
কাঁচায় না নোয়ালে বাঁশ
পাকলে করে ঠাস ঠাস।
ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও বারা বানে।
জাতের স্বভাব
জায়না বাইচা থাকতে।
স্বভাব যার খারাপ
যায় কি করা তাকে ভালো
সে কখনোই জ্বালাতে পারে না
সমাজেতে আলো।
খারাপ স্বভাব পাল্টাও
না হয় দুঃখ আসবে।
ভালো স্বভাব থাকলে
সবার জীবনটা সুখে হাসবে।
(আপনি যদি কৃষি বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য পেতে চান । দেখতে চান বিভিন্ন ভিডিও। তাহলে ভিজিট করতে পারেন আমাদের এই ইউটিউব চ্যানেলটি। যেখানে পাবেন আপনি, সকল আপডেট কৃষি বিষয়ক তথ্য এবং ভিডিও)
শেষকথা:
দূর হোক আমাদের বাজে স্বভাব গুলো । আমরা সবাই যেন ভালো মানুষের পরিণত হতে পারি। আমরা সবাই যেন সমাজে আমাদেরকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারি, আমাদের ভালো স্বভাব গুলো দিয়ে। আর তাই আমরা যেন আমাদের ভালোব অভ্যাস দিয়ে একজন অপরজনকে সহযোগিতা করতে পারি। আর আপনার যদি উপরের টিপসগুলো কাজে লাগে।
তাহলে আপনি দূর করে নিন আপনার বাজে স্বভাব। আর এই টিপসগুলো যদি কাজে লেগে থাকে অবশ্যই আমাকে কমেন্ট সেকশনে জানাবেন, এবং শেয়ার করবেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এই লেখাটিতে যেন আমাদের সবারই বাজে স্বভাব গুলো দূর কাজে লাগে।
আপনার যদি এই বিষয়ে আরো কোন কিছু জানার থাকে তাহলে অবশ্যই আমাকে কমেন্ট সেকশনে লিখবেন। তাহলে পরবর্তী লেখায় আমি উত্তর দিব। ধন্যবাদ আপনাকে কষ্ট করে এই লেখাটা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য।
এই বিষয় পড়তে পারেন
২. ঈদে ভালবাসার মানুষকে শুভেচ্ছা।
2 comments
Pingback: ভালো বায়োডাটা সিভি রিজিউম লেখার কৌশল
Pingback: ধূমপান ছাড়ার উপকারিতা ও ধূমপান ছাড়ার কৌশল