ভালো বায়োডাটা, সিভি, রিজিউম লেখার কৌশল

ভালো বায়োডাটা সিভি রিজিউম লেখার কৌশল: বায়োডাটা, সিভি বা রিজিউম যাই বলি না কেন? এ সবই রিপ্রেজেন্ট করে আমাদেরকে ও এর সাথে আমাদের অর্জনগুলোকে। এখানে দেয়া থাকে সকল ব্যক্তিগত তথ্য। আর তাই এই সকল লেখার ক্ষেত্রে আমাদের থাকতে হবে খুবই সচেতন। কারণ আমরা অনেক সময়, অনেক জায়গায় এই তিনটি জিনিস সাবমিট করব আমাদের বিভিন্ন প্রয়োজনে।

হতে পারে সেটা উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে, বিবাহের ক্ষেত্রে অথবা চাকুরির ক্ষেত্রে। আর তাই যেহেতু এরা আমাদের কে রিপ্রেজেন্ট করবে। তাই অবশ্যই ভালো মানের সিভি,রিজিউমে বা বায়োডাটা আমাদের লিখতে হবে। তা না হলে আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হবে না। তাই আসুন কিভাবে আমরা ভালো মানের সিভি লিখতে পারি।

সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।  আপনারা যদি এই লিখাটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে তবে আপনি একজন দক্ষ বায়ো ডাটা লেখা পারদর্শী হবেন। আসুন আমরা এগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই, এবং জেনে নেই ভালো বায়োডাটা সিভি রিজিউম লেখার কৌশল।

সূচিপত্র

বায়ো ডাটা বা জীবন বৃত্তান্ত মানে কি ?

বায়ো ডাটা যার ইংরেজি  বায়ো গ্রাফিক্যাল ডাটা যার আসল বাংলা অনুবাদ জীবন সংক্রান্ত তথ্য। যেখানে আপনার বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ থাকে যেমন বিশেষে করে আপনার পরিবার বর্গের সকল সদস্যর যাবতীয় তথ্য পিতার নাম , মাতার নাম, তার বর্ণ পরিচয়, জন্ম জন্মস্থান, বসবাস বাসস্থান বা আদিনিবাস, ধর্ম, গোত্র, বর্ণপরিচয় সহ যাবতীয় ব্যক্তিগত তথ্য।

যদিও ৬০ থেকে ৮০ দশকে এটাকে চাকুরির জন্য ব্যবহার করা হত । কিন্তু বর্তমানে বায়োডাটাকে বিবাহের কাজের জন্য সবচেয়ে বেশি পরিমানে ব্যবহার করা হয়।

সিভি – কারিকুলাম ভিটা কি?

সিভি যার অর্থ কারিকুলাম ভিটা। এখানে সাধারণত যে বিষয়গুলো থাকে তাহলো আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা । শিক্ষাগত অবস্থায় যে সকল ছোট ছোট প্রশিক্ষন বা কাজ করেছে তার বিস্তারিত বর্ণনা। এখানে যে বিষয়ের উপর প্রাধান্য পায় । আমি যদি এই বিষয়টাকে উদাহরণের মাধ্যমে আপনাদের বুঝাতে চাই তাহলে বিষয়টি আপনাদের কাছে পরিষ্কার হবে।

যেমন একজন লোক তার শিক্ষাগত যোগ্যতা উপর কি কি কাজ করেছে? এখন কি কি কাজ করছেন? কোন কাজে নিয়োজিত ছিলেন? সেখানে থাকাকালীন সময়ে তার কি কি দায়িত্বে ছিল? এরপর আসে পরিচয় বিস্তারিত ইত্যাদি বিষয়।এখানে যে বিষয়টিকে বিশেষ গুরত্ব দেয়া হয়েছে তাহলো শিক্ষাগত যোগ্যতার বিস্তারিত এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার সময় কি কি বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছে সে বিষয়গুলো উল্লেখ থাকে।

সাধারণত উচ্চশিক্ষা বা বিদেশে শিক্ষা নেওয়ার ক্ষেত্রে সিভি বা কারিকুলাম ভিটা বহুল প্রচলিত। এছাড়াও অনেক সময় সিভিকে চাকরির জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে । সাধারনত এটা দুই পৃষ্ঠা হলেই ভালো তবে ১০ বছরের অধিক চাকুরির অভিজ্ঞতা হলে ৩ পৃষ্টা হতে পারে।

রিজিউম মানে কি?

রিজিউমের বঙ্গানুবাদ জীবনবৃত্তান্তের সারসংকলন তথ্য। যা নির্দিষ্ট চাকরি ক্ষেত্রে আবশ্যিক তথ্য। যা সম্পূর্ণ জীবন বৃত্তান্ত নয়। আমরা অনেক সময় এই সিভি এবং রিজিউমকে একই মনে করে থাকি। কিন্তু আসলে এ দুটো এক নয়।  বিশেষ করে আমরা যারা শিক্ষাজীবন শেষ করে, চাকরির জীবনে পদার্পণ করার জন্য যে কাগজটা তৈরি করি। অথবা চাকরির অভিজ্ঞতা অর্জনের পর বিভিন্ন জায়গায় চাকরির জন্য যে কাগজটা তৈরি করে থাকি।

সেই কাগজটাকেই মূলত বলা হয় রিজিউম। আর এখানে বিশেষ করে উল্লেখ থাকে। আপনি শিক্ষা কালীন সময়ে, অথবা চাকরি কালীন সময়ের কাজের অভিজ্ঞতাগুলো ও কাজ করার সময় যা অর্জন করেছেন সেই গুলো। আরো থাকে আপনার কি কি দায়িত্ব ছিল? সেগুলোর সার-সংক্ষেপ। এখানে যে বিষয়টি বিশেষ উল্লেখযোগ্য  তাহলো আপনার কাজের অভিজ্ঞতার সারসংক্ষেপ। রিজিউম সাধারণত চাকরির আবেদনের জন্য ব্যবহার করা হয়।

ভালো বায়োডাটা, সিভি,রিজিউম লেখার গুরুত্ব

বায়োডাটা, সিভি বা রিজিউম যাই বলুন না কেন? এরা প্রতিটাই রিপ্রেজেন্ট করে আপনাকে। তুলে ধরে আপনার পরিচয় কে। আর তাই আপনি বুঝে নিতে পারেন যেহেতু ,এই তিনটা জিনিস আমাদের জীবনের বিভিন্ন জায়গায়, বিভিন্নভাবে বিভিন্ন মানুষের কাছে তুলে ধরে আমাদের পরিচয় কে। আমাদের কাজের অভিজ্ঞতা কে ।

আমাদের ব্যক্তিগত জীবনকে। আর তাই আমরা যদি এই জিনিসগুলো লিখতে অবহেলা করি বা না বুঝেই লিখে ফেলি তাহলে একদিকে যেমন আমরা আমাদের কাঙ্খিত জায়গায় পৌঁছাতে পারবোনা, অন্যদিকে মানুষ আমাদেরকে আন্ডারএস্টিমেট করবে। অর্থাৎ তারা ভাববে আমার না হয় কোন কুয়ালিটি নেই অথবা আমাদের না হয় কোন কোয়ালিফিকেশন নেই।

অথবা আমরা ভালো সিভি,রিজিউম বা বায়োডাটা লিখতে পারি না। আর তাই এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে আপনাকে অবশ্যই ভালো মানের সিভি রেজিউম বা বায়োডাটা লিখতে হবে।

মজার ফেসবুক স্ট্যাটাস দেখতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন

 কখন লিখবো সিভি?

অনেকেই আমরা প্রশ্ন করে থাকি কখন লিখব আমাদের সিভি?  কারণ আমরা জীবনে কল্পনাই করিনা যে কখন আমাদের সিভি লিখতে  হবে। আর তাদের উদ্দেশ্যে বলতেছি । আপনি যখন একজন ছাত্র অথ্যর্ৎ যখন আপনি অনার্স  লেভেলে পড়েন তখনই আপনার সিভি লেখা দরকার। কারণ আপনার সিভিকে যখন আপনি প্রতিবছর আপডেট করবেন।

তখন আপনি বুঝতে পারবেন কতটুকু আপডেট হয়েছে আপনার শিক্ষা জীবন। আর এর দ্বারা সেটা প্রকাশ পাবে। তাছাড়া যখন আপনার প্রতি বছরই আপনার সিভি টাকে আপডেট করবেন তখন আপনার সেটা ‍ভুল  থাকার সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে যাবে।

একসময় দেখা যাবে যে আপনার সিভিটা সবচেয়ে ভালো মানের হয়েছে। আর তাই আপনি যখন ভার্সিটির অথবা অনার্স প্রথম বর্ষ ভর্তি হবেন তখনই লিখে ফেলুন আপনার সিভি টি।

ভালো বায়োডাটা,সিভি,রিজিউম লেখার জন্য কোথা থেকে সহযোগীতা নিতে হবে

অনেকেই আমরা প্রশ্ন করে থাকি। আমরা একটা ভালো সিভি,বায়োডাটা বা রিজিউম বানাতে চাই কিন্তু কোথা থেকে বানাবো? কিভাবে বানাবো? কেবা আমাদেরকে সাহায্য করবে? । আর তাই একটি ভালো সিভি বানানোর জন্য তাদের উদ্দেশ্যে বলতেছি । আপনারা যদি ভালো একটি বায়ো ডাটা, সিভি অথবা রিজিউম বানাতে চান।

তাহলে অবশ্যই আপনার সহযোগিতা নিতে পারেন আপনার কলেজের বা এলাকার বড় ভাইদের কাছ থেকে । অথবা যারা ভাল চাকরি করে তাদের কাছ থেকে। কারণ তারা তাদের ভাল সিভির কারণেই তারা ভালো চাকরি পেয়েছে । তাই ফলো করতে পারেন তাদের । আর একান্তই যদি এরকম কারো সহযোগিতা না পান।

সে ক্ষেত্রে আপনারা সহযোগিতা নিতে পারেন গুগলে সার্চ দিয়ে। আপনি গুগলে গিয়ে সার্চ দিলেই অসংখ্য বায়োডাটার ফরম পাবেন।যেখান থেকে যে কোন একটি দেখে আপনার পছন্দ মত সাজাতে পারেন আপনার সিভিটি। আর দেরি নয় আপনি যে কোন একটির সহযোগিতা নিয়ে তৈরী করে ফেলুন আপনার সুন্দর একটি বায়ো ডাটা।

এছাড়াও এখানে তো আপনাদের বলেই দিয়েছি কিভাবে আপনি একটি সুন্দর সিভি তৈরি করতে পারেন। এই নিয়ম গুলা দেখে আপনি সুন্দর একটা সিভি তৈরি করে নিতে পারবেন। আরো যদি কোন বিষয়ে আপনার জানার থাকে তাহলে আপনি আদের কমেন্স লিখে জেনে নিতে পারেন।

ভালো বায়োডাটা, সিভি,রিজিউম লেখার নিয়ম

আপনি ইচ্ছে করলেেই, খুবই সুন্দর করে লিখতে পারবেন আপনার সিভি বায়ো ডাটা বা রেজ্সিউম। তবে আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে আপনি আসলে কোন বিষয়টাকে লক্ষ করে আপনার কাগজ দিয়ে তৈরি করছে। অর্থাৎ আমি যদি আপনাদের একটি উদাহরণ দেই। ধরুন আপনি বিয়ের জন্য একটি কাগজ তৈরি করবেন। সে ক্ষেত্রে আমরা পূর্বেই বলেছি অবশ্যই সেটা হবে আপনার বায়ো ডাটা।

 যদি উচ্চশিক্ষা অথবা বিদেশে যাওয়ার জন্য কাগজ তৈরি করেন সেটা হবে আপনার সিভি। আর চাকরির জন্য হলে হবে রিজিউম।এখানে আমি আপনাদের মূল কথাটুকু বলে দিচ্ছি সেটা হল আপনি যে পারপাসে আপনার কাগজটি তৈরি করুন না কেন? আপনি মনে রাখবেন আপনার উদ্দেশ্য কি? সেই উদ্দেশ্যকে লক্ষ্য করে আপনি আপনার কাগজটা তৈরি করবেন।

যেমন আপনি যদি বায়োডাটা তৈরি করেন সেক্ষেত্রে আপনার পরিচয়, আপনার ভাই-বোন, আপনার বাবা মা. আপনার চাকরি .আপনার ঠিকানা যাবতীয় বিষয় সমূহ উল্লেখ থাকবে এখানে। আপনার পার্সোনাল বিষয় গুলো বেশি গুরুত্ব পাবে। যদি আপনি সিভি তৈরি করেন সেক্ষেত্রে আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা, শিক্ষাজীবনে আপনি কি কি করেছেন,

সে বিষয়গুলো বেশি উল্লেখ থাকবে। আপনি যদি একটি রিজিউম তৈরি করেন সেই ক্ষেত্রে সবচেয়ে যে বিষয়টাকে আপনি গুরুত্ব দিবেন। সেটা হচ্ছে আপনার চাকরি জীবনের অভিজ্ঞতা । আপনি সেখানে কি কি দায়িত্ব পালন করেছেন? কি কি অর্জন ছিল? সেখানে এই বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিয়ে আপনি আপনার রিজিউম তৈরি করবেন ।

মূল কথা সবগুলোর বিষয়বস্তু কিন্তু আপনি আপনার উদ্দেশ্য লক্ষ্য রেখে সেই জায়গাটা ভালোভাবে লিখবেন, এবং বিস্তারিত লিখবেন। যেন যে কেউ সহজেই আপনার এই লেখাটা পড়ে  বুঝতে পারে আপনার সম্পের্কে।

ইংরেজিতে বায়োডাটা,সিভি,রিজিউম লেখার নিয়ম

আপনি বাংলায় অথবা ইংরেজিতে লেখেন সেটা আসলে মূল কথা নয়। মূল কথা হচ্ছে আপনি যখনই আপনার এই কাগজটা তৈরি করবেন, তখনই খেয়াল রাখবেন যে আপনার সমস্ত বিষয় এখানে উল্লেখ আছে কিনা? বিশেষ করে আপনি যে উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে এটা তৈরী করছেন সে উদ্দেশ্যটা ।

এখানে পরিপূর্ণ হয়েছে কিনা? তবে একটি কথা থাকে যেহেতু ইংরেজি আমাদের মাতৃভাষা নয় সেক্ষেত্রে ইংরেজি লেখার ক্ষেত্রে আমাদের বেশ কিছু জিনিস ভালোভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে। আর তা হল গ্রামারের ভুল। আর সঠিক শব্দচয়ন ।

যদি সঠিক শব্দটি ব্যবহার না করেন, সেক্ষেত্রে আপনার ব্যাখ্যা অন্যরকম হয়ে যেতে পারে ।  সেক্ষেত্রে আপনার সম্পর্কে চাকরিদাতার ভুল ধারণা হতে পারে। আর তাই যখন আমরা এটা ইংলিশে তৈরি করব তখন অবশ্যই গ্রামার এবং শব্দচয়ন এই দুইটা বিষয় ভালভাবে লক্ষ রেখে আমাদের বায়োডাটা,সিভি.রিজিউম তৈরি করব।

রাজনৈতিক জীবন বৃত্তান্ত লেখার নিয়ম

আমরা অনেক সময় রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত থাকার কারণে, আমাদের রাজনৈতিক বায়োডাটা লেখার প্রয়োজন পড়ে। আর এর জন্য আমরা পড়ে যায় সমস্যায়। কারণ অনেকেই আমরা জানি না কিভাবে একটি ভালো মানের রাজনীতিক বায়োডাটা লিখতে হয়। আর তাদের জন্যে আমরা নিচে একটি রাজনৈতিক বায়োডাটা ফরমেট তুলে ধরা হলো ।

যেখানে আপনি আপনার যাবতীয় তথ্য প্রদান করার মাধ্যমে, তৈরি করে নিতে পারেন আপনার রাজনৈতিক বায়োডাটাটি। আপনি শুধু ফাঁকা জায়গায় আপনার যাবতীয় তথ্য দিবেন। তাহলে দেখবেন তৈরি হয়ে গেছে সুন্দর একটি রাজনৈতিক বায়ো ডাটা।

                             নিচে রাজনৈতিক বায়োডাটার ফরমেট  তুলে ধরা হলোঃ-

আল্লাহ সর্ব শক্তিমান

( আপনার দলের স্লোগানের প্রথম অংশ দিবেন)                                               ( দলের স্লোগানের দ্বিতীয় অংশ দিতে হবে)

 

( আপনার পূর্ণ নাম লিখবেন)

ঠিকানা হবে এই জায়গায়

মোবাইলঃ

রাজনৈতিক লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ

স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের স্থপতি ( আপনার দলের প্রতিষ্ঠাতার নাম ) স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে সর্বদা দৃঢ়ভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ। যোগ্য পিতা/স্বমী যোগ্য উত্তরসূরি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ( প্রক্তন অথবা বর্তমান) প্রধানমন্ত্রী, গণতন্ত্রের মানস কণ্যা মমতাময়ী মা,

দেশরত্ন(নেতার নাম) নেতৃত্বে ডিজিটাল/সোনার/উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে/স্তবায়নের জন্য সর্বদা বাংলাদেশ মুজিব (দলের প্রতিষ্ঠার নাম।  হিসেবে মাননীয়  প্রক্তন অথবা বর্তমান প্রধান মন্ত্রীর , হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে সর্বদা কাজ করে যাচ্ছি এবং যেতে চাই।

( নোট : এই জায়গাটায় আপনি অপনার ইচ্ছে মত দলের স্লোগান সহ আপনার রাজনৈতিক দলের প্রধানের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য এবং দলের দেশের প্রতি অঙ্গীকার উল্লখ করে সাজিয়ে নিতে পারেনÑ

রাজনৈতিক অবস্থানঃ

এই জায়গাটায় আপনি আপনার দলের যে সকল গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন বা দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন সেই সকল বিষয়গুলো উল্লেখ করবেন। সেই বিষয়গুলো আলাদা আলাদা ভাবে উল্লেখ করবেন। এক জায়গায় করা যাবেনা। সেখানে অবশ্যই সাল বা সময়টা উল্লেখ থাকতে হবে। আপনাদের বোঝার জন্য আমি নিচে একটি তথ্য দিলাম, ঠিক এই ভাবে আপনি আপনার তথ্যটি পূরণ করবেন।

নমুনা:

প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, বাংলাদেশ –দলের নাম—- রসুলপুর ইউনিয়ন শাখা, ১৯৬৮ইং

মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার,  বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সদর উপজেলা কমান্ড,   ১৯৮৭ইং হইতে অদ্যাবধি পর্যন্ত।

সিনিয়র সহ-সভাপতি,   বাংলাদেশ —দলের নাম— সদর উপজেলা শাখা,   ১৯৮৮ হইতে ২০১২ইং পর্যন্ত

সদস্য,  বাংলাদেশ  —দলের নাম—    ঢাকা  জেলা শাখা,    ১৯৭৭ইং

ক্রীড়া সম্পাদক,   বাংলাদেশ —- দলের নাম— সদর শাখা ,  ১৯৭৪ইং

ক্রীড়া সম্পাদক,   সদর উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা,    ১৯৮৯ ইং হইতে ১৯৯৫ইং

সভাপতি,   বাংলাদেশ —দলের নাম– সদর উপজেলা শাখা,   ২০১৯ ইং হইতে অদ্যাবধি পর্যন্ত।

রাজনৈতিক ভূমিকাঃ

রাজনীতিক ভূমিকা, এ জায়গাটি আপনি দেখবেন রাজনীতি করার সময়ে যে সকল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন সেটা। হতে পারে দেশের বড় কোন আন্দোলনের ক্ষেত্রে। সেটা হতে পারে দেশের বৃহত্তর স্বার্থে । এ সকল বিষয়গুলো আপনি উল্লেখ করবেন এছাড়া নিচের বিষয়গুলো দেখতে পারেন। আপনার বোঝার সুবিধার্থে এখানে আমরা একটি ছক উল্লেখ করলাম।

  • ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যূত্থানের সময় সুলতানপুর ইউনিয়ন -ৈ-দলের নাম– সভাপতি হিসেবে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেই।
  • ১৯৭০ইং এর নির্বাচনে সুলতানপুর ইউনিয়ন –দলের নাম– সভাপতি হিসেবে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করি।
  • ১৯৭১ইং মহান মুক্তিযুদ্ধে ১১নং সেক্টরে মুজিব বাহিনীর সদস্য হিসেবে অংশগ্রহণ করি।
  • ১৯৭৪ইং হইতে ১৯৭৬ইং দুইবার গণবাহিনীর আক্রমনের কবলে পড়ি।
  • স্বৈরাচার বিরুধি ৯০ এর আন্দোলনে পুলিশি নির্যাতনের শিকার হই।
  • ১/১১ মিছিল মিটিং এ জোড়ালো অগ্রণীভূমিকা পালন করি।

পারিবারিক রাজনৈতিক তথ্যাবলিঃ

আপনার যদি পরিবারের অন্যান্য সদস্য, একইভাবে আপনার মত একই দল করে । তারাও দলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে দলের দায়িত্ব পালন করেছে। তবে তাদের নাম সহ তাদের বিস্তারিত তথ্য দিবেন। যে তথ্যগুলো আপনার রাজনৈতিক দলে আপনার পরিচয়কে আরো শক্ত করে তুলবে। উদাহরণ হিসেবে নিচে একটি তথ্য দেওয়া হল। যেটা দেখে আপনি  আপনার তথ্য পূরণ করবেন।

পিতা                       :              মৃত আজিবর রহমান, সমাজসেবক।

চাচা                        :               শাহিন মিয়া , শিক্ষানুরাগী, সমাজসেবক, মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক, সভাপতি                                                                                   বাংলাদেশ — দলের নাম– রসুলপুর ইউনিয়ন শাখা ১৯৭৩ইং।

বড় ভাই                    :              মোঃ আক্কাস মিয়া, প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক,

বাংলাদেশ –দলের নাম— রসুলপুর ইউনিয়ন শাখা,

১৯৬৭ইং এবং ১৯৭১ইং মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক।

স্ত্রী                            :              মোছাঃ রানুয়ারা, মহিলা সম্পাদিকা, বাংলাদেশ –দলের নাম

রসুলপুর উপজেলা শাখা।

ছেলে                       :              মোঃ ফখরুল ইসলাম, সাবেক সহ-সম্পাদক, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ

বাংলাদেশ –দলের নাম— এবং সদস্য বাংলাদেশ ও নির্বাচন পর্যবেক্ষক

সমন্বয়ক উপ-কমিটি দায়িত্বপ্রাপ্ত ঢাকা, ২০১৯।

ব্যক্তিগত অর্জনঃ

এ পর্যায়ে আপনার ব্যক্তিগত যে অর্জনগুলো, অর্থাৎ আপনি শিক্ষা জীবনে যদি কোন সময় ভালো কিছু করে থাকেন। অথবা খেলা-ধুলায় ভাল কিছু করে থাকেন, অথবা রাষ্ট্রীয়ভাবে কোন ভাল কাজের জন্য সম্মাননা পেয়েছেন সে বিষয়গুলো উল্লেখ করবেন।

হাই জাম্পে দুইবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় চ্যাম্পিয়ন, ১৯৬৭ইং হইতে ১৯৬৮ইং।

ব্যক্তিগত তথ্যাবলীঃ

ব্যক্তিগত তথ্যাবলীতে আপনি আপনার যে ব্যক্তিগত তথ্য আছে, সেগুলো যাবতীয় বিস্তারিত ভাবে দিবেন। এখানে কোন ভাবেই ভুল করা যাবেনা। আপনাদের বোঝার সুবিধার জন্য আমি নিচে একটি নমুনা ছক প্রদান করলাম ।যেটা দেখে আপনি লিখতে পারবেন।

০১। নাম                              :

০২। পিতার নাম                   :

০৩। মাতার নাম                   :

০৪। বর্তমান ঠিকানা              :             গ্রামঃ ……, পোঃ ………

উপজেলাঃ ………., জেলাঃ ………..।

০৫। স্থায়ী ঠিকানা                :             গ্রামঃ ……, পোঃ ………

উপজেলাঃ ………., জেলাঃ ………..।

০৬। জন্ম তারিখ                 :

০৭। লিঙ্গ                            :             পুরুষ

০৮। ধর্ম                             :              ইসলাম (সুন্নী)।

০৯। জাতীয়তা                    :              বাংলাদেশী।

১০। শিক্ষাগত যোগ্যতা         :              এইচ.এস.সি।

১১। মুক্তিযোদ্ধার পরিচয়( যদি থাকে)       :

(আপনার নাম)

পদবী

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী।

বাংলায় শিক্ষাগত যোগ্যতা লেখার নিয়ম

যেহেতু আমাদের যাবতীয় শিক্ষা গত যোগ্যতা গুলো ইংরেজিতে লেখা। তাই আমরা অনেক সময় দ্বিধা দ্বন্দ্বে পড়ে যাই আমরা কিভাবে বাংলায় আমাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা লিখব। সে ক্ষেত্রে আমি আপনাদের একটি বিষয়ে ধারণা করে দিতে পারি, আমরা ইংরেজির সেই বিষয়গুলো হুবহু চেষ্টা করব বাংলায় উচ্চারণ করে লিখে দেওয়ার জন্য ।

কারণ আমরা সবাই ওই শব্দগুলোর সাথে পরিচিত ।এজন্য আপনি যদি বাংলায় আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা লিখেন সে ক্ষেত্রে আপনি হুবহু ইংরেজি কে বাংলা করে দিলেই চলবে।

(কৃষি বিষয়ক বিভিন্ন ভিডিও পেতে চাইলে, আপনি সাবস্ক্রাইব করতে পারেন আমাদের এই চ্যানেলটি। দেখতে পারেন কৃষি বিষয়ক সকল আপডেট ভিডিও)

শেষকথা:

আপনি যদি উপরের লেখাটি পড়ে ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি এটি আপনার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ আপনার বন্ধু বান্ধবের  মাধ্যমে শেয়ার করবেন। সবাই যেনো আমরা ভালো সিভি,রিজিউম, বায়োডাটা লিখতে পারি এবং এই জানতে পারি। আমি আমার লেখা যে ভাবে আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম আপনারাও চেষ্টা করবেন সেটা আরেকজনের সাথে শেয়ার করার।

এটাই হোক আমাদের মানবতা এটাই হোক আমাদের কর্ম। আমরা সবাই সবাইকে ভালোবাসবো, সবাই যেন ভালোভাবে থাকতে পারে সে চেষ্টা করব। ধন্যবাদ কষ্ট করে পড়ার জন্য।

আরো পড়তে পারেন-

১. বাজে অভ্যাস দূর করার উপায়

২. অলসতা বা অবসাদ দূর করার উপায়

৩. সফল হওয়ার কৌশল

About 24 Favor

Check Also

Meeting minutes writing format

Meeting minutes writing format: Who has engaged with NGO job maximum people need writings this …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *