আসুন আজকে আমরা জানবো কিভাবে ভুট্টা চাষ (maize-cultivation) করতে হয়। ভূট্টা চাষ এবং এর বিভিন্ন রোগ বালাই
নিয়ে ব্যাপক ভাবে আলোচনা করবো যাতে করে যে কেউ সহজেই এটা পড়েই ভুট্টার চাষ করতে পারে। আর কারো কাছ
থেকে যেন কোন প্রকার সাহায্য নেয়া না লাগে। আমি আপনাদের গ্যারান্টি দিচ্ছিআপনি যদি আমার লেখা প্রথম থেকে শেষ
পর্যন্ত পড়েন তাহলে আপনি ভুট্টা (maize-cultivation) চাষ সহজেই করতে পারবেন।
ভুট্টা
আমরা জানি ভুট্টা হলো এক ধরনের দানাদার খাদ্য শস্য । এটি মানুষের কিংবা প্রাণী কূলের খাবার হিসেবে ব্যবহার হয়ে
থাকে। বর্তমানে খাবার হিসেবে ভুট্টার ব্যবহার ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে । আদি কাল থেকেই খাবার হিসেবে ভুট্টার প্রচলন
হয়ে আসছে । আমাদের দেশে বর্তমানে প্রচুর পরিমানে ভুট্টার চাষাবাদ হয়ে থাকে। তাছাড়া ভুট্টা চাষে ব্যাপক লাভ ,
বিশেষ করে বাংলাদেশের উত্তর অঞ্চলে ভুট্টার চাষ আরো ব্যাপক আকারে হয়ে থাকে।
ভুট্টা জাত /শ্রেণী/প্রকার ভেদঃ
এক সময় ভুট্টার তেমন বেশি জাতের প্রচল ছিলনা কিন্তু বর্তমানে বেশ কয়েক জাতের উদ্ভাবন হয়েছে। তাছাড়াও বাংলাদেশ
কৃষি গবেষনা ইন্সটিটিউট বেশ কয়েকিটি জাতের উদ্ভাবন করেছেন । বর্তমানে বাংলাদেশে নানা জাতের ভুট্টার চাষাবাদ
হয়ে থাকে। বাংলাদেশে যে সকল ভু্ট্টার (maize-cultivation) চাষাবাদ হয় তা নিম্নে উল্লেখ করা হলো।
ভুট্টার জাত সমূহ:
শুভ্রা, বর্ণালী, মোহর, খই ভুট্টা, বারি ভুট্টা-৫, বারি ভুট্টা-৬, বারি ভুট্টা-৭, বারি মিষ্টি ভুট্টা-১,বারি বেবী কর্ন -১.
উন্নত জাতের ভুট্টার নাম / হাইব্রিড ভুট্টার জাত :
বারি হাইব্রিড -১,বারি হাইব্রিড -২,বারি হাইব্রিড-৫,বারি হাইব্রিড ভুট্টা-৬,বারি হাইব্রিড ভুট্টা-৭,বারি হাইব্রিড ভুট্টা-৮,বারি
হাইব্রিড ভুট্টা-৯,বারি হাইব্রিড ভুট্টা-১০,বারি হাইব্রিড ভুট্টা-১১,বারি হাইব্রিড ভুট্টা-১২,বারি হাইব্রিড ভুট্টা-১৩,বারি টপ ক্রস হাইব্রিড -১.
হাইব্রিড ভুট্টা চাষ পদ্ধতি
ভাল ফলন পেতে হলে ভুট্টা চাষের জন্য উত্তম মাটি হচ্ছে বেলে দো-আঁশ মাটি। তবে খেয়াল রাখতে হবে ভুট্টার জমিতে যেন পানি জমে না থাকে।
জমি গভীর ভাবে ৪ থেকে ৫ টা চাষ দেয়ার পর মই দিয়ে সমান করে ভুট্টার বীজ লাগাতে হবে। প্রতি হেক্টর জমির জন্য
বারি জাতের ২৫ থেকে ৩০ কেজি বীজ প্রয়োজন। এবং সারি থেকে সারির দূরত্ব হবে ৭৫ সেন্টিমিটার, সারিতে ২৫
সেন্টিমিটারে একটি অথবা ৫০ সেন্টিমিটারে ২ টি চারা রাখতে হবে।
ভুট্টার সার ব্যবস্থাপনাঃ
কথায় আছে ভাল ফসল পেতে চাও সুষম চার প্রয়োগ করো। আমরা জানি চাষাবাদ প্রক্রিয়ায় জৈব এবং রাসায়নিক সার
হচ্ছে অপরিহার্য । আমরা যদি সঠিক নিয়মে সঠিক পরিমান সার ভুট্টার জমিতে প্রয়োগ না করি তাহলে আমরা ভুট্টা চাষ
করে লাভবান হতে পারবো না।
তাই ভুট্টার জমিতে যে পরিমান সার প্রয়োগ করতে হবে তা প্রতি হেক্টরের জন্য ছক আকারে দেখানো হলো।
হেক্টর প্রতি সারের পরিমান:
ক্রমিক নং | সারের নাম | পরিমান ( দেশী জাত) | পরিমান (হাইব্রিড জাত) |
০১ | ইউরিয়া | ১৭২ থেকে ৩১২ কেজি | ৫০০ থেকে ৫৫০ কেজি |
০২ | টিএসপি | ১৬৮ থেকে ২১৬ কেজি | ২৪০ থেকে ২৬০ কেজি |
০৩ | এমওপি | ৯৬ থেকে ১৪৪ কেজি | ১৮০ থেকে ২২০ কেজি |
০৪ | জিপসাম | ১৪৪ থেকে ১৬৮ কেজি | ২৪০ থেকে ২৬০ কেজি |
০৫ | জিংক সালফেট | ১০ থেকে ১৫ কেজি | ১০ থেকে ১৫ কেজি |
০৬ | বোরিক এসিড | ৫ থেকে ৭ কেজি | ৫ থেকে ৭ কেজি |
০৭ | গোবর সার | ৪ থেকে ৫ টন | ৪ থেকে ৫ টন |
ভুট্টার সেচ ব্যবস্থাপনাঃ
সেচ ব্যবস্থাপনা ভুট্টা চাষের জন্য খুবই গুরত্বপূর্ণ । বিশেষ করে রবি মৌসুমে ভুট্টার জমিতে সেচ না দিলে আশানুরুপ ফলন
পাওয়া যাবেনা।
প্রথম বার ভুট্টার জমিতে সেচ দিতে হবে:
বীজ বপনের ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে।
দ্বিতীয় বার ভুট্টার জমিতে সেচ দিতে হবে:
ভুট্টার জমিতে দ্বিতীয় বার আবার পুঃনরায় সেচ ব্যবস্থা করতে হবে ৩০ থেকে ৩৫ দিনেরে মধ্যে।
তৃতীয় বার সেচ ব্যবস্থাপনা:
জমিতে আগাছা থাকলে তা পরিস্কার করে আবার পুঃনরায় তৃতীয়বার সেচ দিতে হবে ৬০ থেকে ৭০ দিনের মধ্যে।
চতুর্থ বার সেচ ব্যবস্থাপনা:
৮৫ খেকে ৮৯ দিনের মধ্যে আবার সেচ ব্যবস্থা করতে হবে।
ভুট্টার বীজ পচা বা চারা পচা রোগঃ
নানা ধরনের বীজ বাহিত ছত্রাক বা মাটি বাহিত ছত্রাকের কারনে এই রোগ হয়ে থাকে। তাছাড়া একই জমিতে পর পর
কয়েক বছর ভুট্টা রোপন করলে এই রোগের পরিমান বেশি হয়ে থাকে। এ রোগ দেখা দিলে সাধারনত বীজ বা চারা গাছ
পচে মরে যায়। চারা গাছ মরে গিয়ে জমিতে গাছের সংখ্যা কমে যায়।
ভুট্টার বীজ পচা বা চারা পচা রোগের প্রতিকারঃ
এ রোগ থেকে প্রতিকারের জন্য মোহর জাতের ভুট্টা লাগানো যেতে পারে কারণ এ জাত এই রোগ প্রতিরোধী জাত। তাছাড়া
জমিতে পরিমিত রস ও তাপমাত্রা (১৩ সেলসিয়াসের বেশি) বর্জায় রেখেও এ রোগ প্রতিরোধ করা যায়। এ ছাড়াও বীজ
শোধনের জন্য থিরাম বা (ভিটাভেক্স .০২৫% ) ২.৫ থেকে ৩.০ গ্রাম/কেজি হারে মিশিয়ে নিতে হবে। তাতে করে এ
রোগের প্রতিরোধ করা যাবে।
ভুট্টার কাটুই পোকাঃ
কাটুই পোকা ভুট্টার অন্যতম শত্রু । কাটু্ই পোকা হলো এক ধরণের পোকা যা ভুট্টা গাছ ছোট থাকা কালীন সময়ে আক্রমণ
করে থাকে। সাধারণত এ পোকা ভুট্টা গাছের গোড়া থেকে খেয়ে মাঝ পর্যন্ত খেয়ে থাকে । আমাদের জমিতে যদি কাটুই
পোকার আক্রমণ দেখা যায় তাহলে দ্রুত বালাইনাশক/দমন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অন্যথায় জমিতে চারার সংখ্যা কমে
যাবে। যদি ব্যাপক হারে আক্রমণ হয় তাহলে আস্তে আস্তে জমির সব চারা খেয়ে ফেলতে পারে।
কাটুই পোকা দমন ব্যবস্থাপনাঃ
ভুট্টা গাছ যখন ছোট থাকে তখন পোকার আক্রমণ দেখা দিলে পোকার কীড়াগুলো হাত দিয়ে মেরে ফেলতে হবে।ভোর
বেলায় কাটা গাছের গোড়া খুড়ে এ পোকা মেরে আক্রমণ দমন করা যায়। যদি সেচ দেয়ার ব্যবস্থা থাকে তাহলে জমিতে সেচ
দিয়ে এ পোকার আক্রমণ দমন করা যায়। এ পোকার জন্য বালাইনাশক হিসেবে প্রতিলিটার পানির সাথে ৫ লিটার
ডারসবান /পাইরাস ২০ ইসি মিশিয়ে চারা গাছের গোড়ায় স্প্রে করে মাটি ভিজিয়ে দিতে হবে। তাহলে এ পোকার হাত
থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
ভুট্টার মাজরা পোকাঃ
মাজরা পোকা হলো ভুট্টা চাষের আরেক বড় ধরনের সমস্যা । এই রোগ সাধারণত ভুট্টা গাছ বড় হলে দেখা যায়। মাজরা
পোকা সাধারণত ভুট্টা গাছের শক্ত কান্ডে আক্রমণ করে থাকে। আমরা যদি মাজরা পোকার আক্রমণ দেখা যাবার সংঙ্গে
সংঙ্গে ব্যবস্থা গ্রহণ না করি তাহলে এ রোগের আক্রমনের কারনে উৎপাদন অনেক কমে যেতে পারে।
ভুট্টার মাজরা পোকা দমন ব্যবস্থাপনাঃ
ভুট্টা গাছে মাজরা পোকা আক্রমণ দেখা যাবার সাথে সাথে বালাইনশক মার্শাল ২০ ইসি বা ডায়াজিনন ৬০ ইসি প্রতি ১
লিটার পানির সাথে ২ মিলি হারে মিশিয়ে পাতা সহ কান্ডে ভালভাবে ভিজিয়ে দিতে হবে/স্প্রে করতে হবে। তাহলে ভুট্টার
মাজরা পোকার দমন হবে।
ভুট্টার কান্ড পচা রোগঃ
কান্ড পোচা রোগ সাধারণত ভুট্টা গাছের কান্ডে সংগঠিত হয়ে থাকে । এ রোগ দেখা দিলে ভুট্টা গাছের কান্ড পচে মাটিতে
পরে যায়। যার ফলে দিন দিন এ রোগ ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেলে ফসলের উৎপাদন অনেক কমে যায়। এ রোগ সাধারণত
ভিবিন্ন প্রকার ছত্রাক জনীত কারনে হয়ে থাকে।
ভুট্টার কান্ড পোচা রোগের প্রতিকার:
ভুট্টা(maize-cultivation) চাষ করার সময় বীজ ছত্রাক নাশক দিয়ে শোধন করে লাগিয়ে এবং নাইট্রোজেন ও পটাশ পরিমিত
মাত্রায় প্রয়োগ করে এ রোগের প্রদুভার্ব কমানো যায়।
ভুট্টার মোচা পচা বা দানা পচা রোগঃ
দানা পচা বা মোচা পচা রোগ হলো যখন ভুট্টার মোচা আসে এবং দানা বড় হয় তখন ভুট্টার মধ্যে এক ধরনের ছত্রাক
আক্রমন করে। এই রোগ সাধারনত গাছ মাটিতে পড়ে গেলে বা বৃষ্টিপাতের পরিমান বেশি হলে এই রোগের পরিমান বেশি
দেখা যায়। রোগের পরিমান বেশি হলে ছত্রাক খালি চোখেই দেখা যায়। সাধারনত ভুট্টার মোচা আসা থেকে দানা বড় হওয়া
পর্যন্ত এই রোগ হয়ে থাকে।
ভুট্টার মোচা পচা বা দানা পচা রোগের প্রতিকারঃ
একই জমিতে বার বার ভুট্টা (maize-cultivation) চাষ থেকে বিরত থাকা। আক্রান্ত গাছ মাটিতে পুড়িয়ে ফেলা। পরিপক্ক ভুট্টা
সংগ্রহ করে গাছ মাটিতে পুড়িয়ে ফেলা।
ভুট্টার পাতা ঝলসানোে রোগঃ
ভুট্টা গাছের যে সকল রোগ ছত্রাক জনীত কারনে হয়ে থাকে তার মধ্যে এটি আরেকটি । এ রোগ গাছে দেখা দিলে গাছের
পাতা সাধারনত মরে শুকিয়ে যায়। আক্রান্ত গাছের নিচের দিকের পাতা ধূসর বর্ণের হয়ে থাকে। প্রথমে পাতার নিচের অংশ
থেকে শুরু করে পরে উপরের অংশে ছড়িয়ে পড়ে। রোগের প্রকোপ বেশি হলে পাতা সময়ের আগেই শুকিয়ে যায় এবং
শেষ পর্যন্ত গাছ মরে যায়।
ভুট্টার পাতা ঝলসানোে রোগের প্রতিকারঃ
ভুট্টার পাতা ঝলসানো রোগের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আমরা মোহর জাতের ভুট্টা লাগাতে পারি। আক্রান্ত গাছ
মাটিতে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। রোগের আক্রমণ দেখা দিলে অনুমোধিত ছত্রাক নাশক ১৫ দিন পর পর ২ থেকে ৩ বার
স্প্রে করা যেতে পারে। তাতে করে এ রোগের প্রতিকার করা সম্ভব হবে।
ভুট্টা সংগ্রহ প্রক্রিয়াঃ
আমরা যখন দেখবো ভুট্টা পরিপক্ক বা দানা পুষ্ট হয়েছে তখন সাধারণত আমরা ভুট্টা সংগ্রহ করবো। অথবা আমরা খেয়াল
রাখবো ভুট্টার গাছ যখন পাতা মরে শুকিয়ে যাবে তখন আমরা বুঝবো ভুট্টা পেকে গেছে বা পরিপক্ক হয়েছে। তখন ভুট্টার
মোচা গাছ থেকে আলাদা করে , উপরের খোসা ছাড়িয়ে ভাল ভাবে রোদ্রে শুকিয়ে নিতে হবে। তার পর হাত অথবা মাড়াই
যন্ত্র দিয়ে ভুট্টা মোচা থেকে ভুট্টা আলাদা করতে হবে। মাড়াই করার সময় খেয়াল রাখতে হবে যাতে করে কোন প্রকার রোগ
জীবানু ওয়ালা ভুট্টা সাথে না থাকে। পরবর্তীতে আমরা ভুট্টা গুদাম জাত করবো।
ভুট্টার বীজ সংগ্রহঃ
এর সংগ্রহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ আপনার বীজ নির্বাচনের মধ্যেই নিহিত রয়েছে আগামী ভুট্টা চাষের সফলতা বিফলতা।
আমরা যদি ভাল মানের বীজ সংগ্রহ করতে পরি তবেই ভাল মানের ভুট্টা উৎপাদন করা সম্ভব হবে। ভুট্টার বীজ সংগ্রহের
সময় আমরা মোচার মাঝা মাঝি অংশের ভুট্টা সংগ্রহ করবো যাতে করে ছোট বা বড় বীজ যেন না থাকে। ভুট্টা গুদাম
জাত করার সময় এর আদ্রতা খেয়াল রাখতে হবে। এ ভাবে ভুট্টার বীজ সংগ্রহ করে গুদামজাত করতে হবে।
বিঘা প্রতি ভুট্টার ফলন
আমাদের যদি সব চাষাবাদ পদ্ধতি ঠিক থাকে এবং প্রাকৃতিক কোন প্রকার দূর্যোগ দেখা না দিলে গড়ে ফলন প্রতি হেক্টর
কম্পোজিট জাতের ৪ থেকে ৫.৫ মেট্রিক টন হবে। আবার যদি ভূট্রার জাত যদি হাইব্রিড জাতের হয় তাহলে এ উৎপাদন
বেড়ে ৮ থেকে ১১ মেট্রিক টন হবে। খই জাতের ভুট্টার ক্ষেত্রে এ উৎপাদন হেক্টর প্রতি গড়ে ৩ থেকে ৪ মেট্রিক টন
সাধারণত হয়ে থাকে।
ভুট্টার দামঃ
সারা বছরই ভুট্টার দাম বেশ ভাল পাওয়া যায়। তবে রবি মৌসুমে ভুট্টার দাম একটু কম থাকে গড়ে ৮০০ থেকে ১০০০
হাজার টাকা প্রতি মন। এবং অন্যান্য সময় দাম বেড়ে ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
(আপনি কি ভুট্টা চাষ সম্পর্কে ভিডিও দেখতে চান? তাহলে ভিজিট করতে পারেন আমাদের এই চ্যানেলটিকে । এখানে
দেখানো হয়েছে কিভাবে ভুট্টা চাষ করা হয়)
ভুট্টার ব্যবহার উপকারীতাঃ
প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় আমরা ভুট্টাকে রাখতে পারি। ভুট্টা নানা ভাবে খাওয়া যায়, যদি আমরা খাবার তালিকায় ভুট্টার
পরিমান বৃদ্ধি করি তাহলে প্রতি বছর আমাদের যে খাদ্য ঘাটতি আছে তা অনেকাংশে পূরণ হবে।
তাছাড়া ভুট্টা খেলে নানা প্রকার রোগ ব্যাধি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। যেমন এতে রয়েছে ভিটামিন এ যা দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করে
থাকে। রক্ত স্বল্পতা দূর করে থাকে। ভুট্টা খেকে আমরা আমাদের দেহে প্রয়োজনীয় আয়রন ও ভিটামিন পেয়ে থাকি তাছাড়া
ভুট্টা ভিটামিন বি -১২ এর ভাল উৎস। ভুট্টার ভিটামিন এ, সি ও লাইকোপিন ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সহায়তা করে ।
ভুট্টার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমান ফাইবার যার ফলে আমরা যদি ভুট্টা খাই তাহলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করে।
ভুট্টার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমানে কার্বোহাইড্রেট যা শরীরে কাজের জন্য প্রচুর শক্তি যোগায়। আমরা যদি নিয়মিত ভুট্টা
খাই তাহলে ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্ত চাপ কমায় ক্যানসারের ঝুকি হ্রাস করে।
পরিশেষে আমি বলতে পারি আপনি যদি আমার এই লেখা সম্পূর্ণ পরে থাকেন তাহলে আপনি ভুট্টা(maize-cultivation) চাষ
সম্পর্কে ভালভাবে জানেন। তাই আর বসে না থেকে ভুট্টা(maize-cultivation) চাষ করুন আপনার এবং আপনার পরিবারের
ভাগ্যর চাকা সচল রাখুন ও পরিবার পরিজন নিয়ে সুস্থ্য থাকুন।
আপনার যদি আরো কোন বিষয়ে জানার থাকে তাহলে আমাদের লিখুন আমরা পরবর্তীতে আপনার সেই বিষয়ে লিখে
আপনাকে সাহায্য করবো।
লেখাটি পরার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
11 comments
Pingback: গুগল অফিস, কাজ, আয়, মালিক,গুগলের প্রডাক্ট, গুগলপ্লেক্স - গুগলের সব A to Z
Pingback: দেশি মুরগি পালন ব্যবস্থাপনা(local variety chicken rearing management)
Pingback: ব্লাক সোলজার মাছির চাষ - Black Solder/Hermetia Illucens A to Z
Pingback: কক্সবাজারে থাকা ,খাওয়া ও বাজার করা বিস্তারিত- All benefits at Cox's Bazar
Pingback: রোজা ভঙ্গের কারণ- Reasons for breaking the fasting
Pingback: ভার্মিকম্পোষ্ট তৈরীর পদ্ধতি A to z
Pingback: ছাগল পালন জাত খাদ্য বাসস্থান চিকিৎসা- Goat Rearing A to Z
Pingback: ভার্মি কম্পোস্ট সার তৈরির পদ্ধতি
Pingback: ভার্মি কম্পোস্ট এর উপকারিতা
Pingback: টাঙ্গাইল টু কক্সবাজার- How to go Tangail to Cox'sBazar
Pingback: পায়খানা ক্লিয়ার করার ঘরোয়া উপায়