24 Favor

Tips and Tricks
Menu
  • Home
  • Advertise
  • Visa Tips
  • Education
  • Greetings
  • Tips & Tricks
  • English

Home » গুরুত্বপূর্ণ মাসলা মাসায়েল কোরবানির গরু জবাই নিয়ম,দোয়া ও হাদিস

Education

গুরুত্বপূর্ণ মাসলা মাসায়েল কোরবানির গরু জবাই নিয়ম,দোয়া ও হাদিস

24 Favor February 12, 2024

কোরবানির মাসলা মাসায়েল: কোরবানির ঈদ সামনে, তাই অনেকেই বিপাকে পড়ে যাবেন বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল নিয়ে। কিভাবে গরু জবাই করতে হবে, গরু জবেহ করার নিয়ত, কাদের উপর কোরবানি ফরজ করা হয়েছে, কোরবানির মাংস কিভাবে বন্টন করা হবে এই সব বিষয় নিয়ে দেখা দিবে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বে। আর এর মূল কারণ হচ্ছে মাসলা-মাসায়েল সম্পর্কে আমাদের অজ্ঞতা ।

আর তাই যারা এরকম দ্বন্দ্বে জড়িয়ে আছেন, তাদের জন্য মূলত কোরবানির মাসলা মাসায়েল লেখা। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লে আপনি নিজেই জানতে পারবেন আপনার মনে জমে থাকা সকল প্রশ্নের উত্তর। আর তাই কুরবানীর সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আপনি এই লেখাটা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন । তাহলেই জানতে পারবেন কুরবানী সম্পর্কে বিস্তারিত বিষয়।

কোরবানির মাসলা মাসায়েল লেখাটি পড়ার পর আপনারা মনে আর কোন ধরনের দ্বন্ধ থাকবে না। তাহলে চলুন পড়ে নেয়া যাক কুরবানী সম্পর্কে বিস্তারিত মাসলা মাসায়েল জেনে নেই কোরবানির মাসলা মাসায়েল ।

কোরবানির মাসলা মাসায়েল

মুসলিম উম্মার জন্য কুরবানি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত । যাদের সামর্থ্য আছে তাদের জন্য কোরবানি করা ওয়াজিব। আর যারা কুরবানির দেয়ার সামর্থ্য থাকা সত্বেও  কুরবানি না দিবে তাদের জন্য রয়েছে  কঠিন হুসিয়ারি। আর সেই মাসলা মাসায়েল গুলো আমরা হাদিস কুরআনের আলোকে জানবো। নিচে কোরবানি দেয়া সম্পর্কে যে সকল মাসলা মাসায়েল রয়েছে তা বর্ণনা করা হলো।

কখন থেকে কোরবানী শুরু করা হবে?

যে সকল এলাকার লোকদের উপর জুমা ও ঈদের নামায ওয়াজিব তাদের জন্য ঈদের নামাযের আগে কুরবানী করা জায়েয নয়। যদি কোন কারণে প্রাকৃতিক দূর্যোগ বা অন্য কোন বড় ধরনের কারণে প্রথম দিন ঈদের নামায না হয় তাহলে ঈদের নামাযের সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পর প্রথম দিনেও করবানী করা জায়েয ( সহীহ বুখারী ২/৮৩২, কাযীখান ৩/৩৪৪ , আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩১৮)

রাতে কুরবানী করা যাবে কিনা?

যদি কেহ ১০ তরিখ  ও ১১ তরিখ দিবাগত রত্রে কুরবানী করে তবে তা জায়েয । তবে সবচেয়ে উত্তম দিনে কুরবানী করাই ভাল। ( মুসনাদে আহমাদ, হাদীস:১৪৯২৭ , মাজমাউয যাওয়াইদ ৪/২২ , আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩২০ , কাযীখান ৩/৩৪৫ , বাদায়েউস সানাায়ে ৪/২২৩)

 কোন কোন পশু কুরবানীর দেয়া যাবে?

যে সকল পশু আল্লাহতালা কুরবানীর জন্য জায়েয করেছেন সেগুলো হলো -উট, গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা দ্বারা কুরবানী করা। এগুলো ছাড়া অন্যান্য পশু যেমন হরিণ , বন্যগরু ইত্যাদি খাওয়া জায়েয থাকলেও এগুলো দ্বারা কুরবানী করা জায়েয নয়।যে সকল পশু কুরবানী করা জায়েয তার নর বা নারী উভয় শ্রেণীর পশু দ্বারা কুরবানী করা যায়।  ( কাযীখান ৩/৩৪৮, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৫)

কোন বয়সের পশু কুরবানী করতে হবে?

আমাদের অনেকেরই মনে প্রশ্ন আমরা কোন বষয়সের পশু কুরবানী দিব? আর তাদের জন্যই বলা যদি কেহ একটি উট কুরবানী দেয় তাহলে তার বয়স হতে হবে কমপক্ষে ৫ বছর তার উপরে যত হোক কোন সমস্যা নাই। যদি গরু অথবা হহিষ হয় তাহলে হতে হবে কমপক্ষে ২ বছর। আর ছাগল, ভেড়া ও দুম্বার জন্য ১ বছর।

তবে অনেক ক্ষেত্রে ভেড়া ও দুম্বার  ক্ষেত্রে যদি এক বছরের একটু কম হয় আর দেখতে এক বছরের দুম্বা বা ভেড়ার সমান দেখায় তাহলে সেটা কুরবানী দেয়া যাবে। তবে সেটা কোনভাবেই ৬ মাসের কম বয়সী হওয়া যাবে না। তবে ছাগলের ক্ষেত্রে ১ বছরের কম হলে কোন অবস্থাতেই জায়েয হবে না।  ( কাযীখান ৩/৩৪৮, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৫-২০৬)

কতজনে মিলে কুরবানী করা যায়?

যদি কেহ ছাগল, ভেড়া বা দুম্বা দিয়ে কুরবানী দিতে চায় তাহলে একজনেরই দিতে হবে সেক্ষেত্রে কোন ভাগে চলবে না।  কিন্তু যদি উট, গরু বা মহিষ দ্বারা কুরবানী করতে চায় তাহলে সর্বোচ্চ ৭ জন শরীক হতে পারবে। কোনভাবেই ৭ জনের অধিক কুরবানী জায়েয হবে না।( সহীহ মুসলিম ১৩১৮, মুয়াত্তা মালেক ১/৩১৯ , কাযীখান ৩/৩৪৯)

এক্ষেত্রে ভাগে কুরবানী দেয়ার শর্ত হলো যে কয়জনে মিলে কুরবানী দিবে কেউ অর্ধেক হওয়া যাবে না। বা দেড় ভাগ হওয়া যাবে না। উট, গরু ,মহিষ সাত ভাগে এবং এর কম যে কোন সংখ্যায় কুরবানী দেয়া যাবে। যেমন -২.৩.৪.৫.৬ ও ৭।( বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৭)

নিয়ত সহী না হলে বা কোন অংশীদারের নিয়ত সহী না হলে

কারো নিয়ত যদি থাকে শুধু কুরবানীর পশুর মাংস খাওয়ার । আল্লহকে রাজি খুসি করার উদ্দেশ্য না হয় তাহলে তার কুরবানী  সহীহ  হবে না। একাকী কুরবানীরে ক্ষেত্রেও । আর যদি অংশিদার যে কোন একজনের নিয়ত এই রকম হয় তাহলে কারোই কুরবানী সহীহ হবেনা তাই অংশীদার নির্বাচন করার সময় দেখে শুনে ভাল মনের মানুষের সাথে কুরবানী করতে হবে। যাদেরকে অংশিদার করা হবে তাদের আয় ‍যদি হারাম হয় তাহলেও কুরবানী সহীহ হবে না।( বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৮ কাযীখান ৩/৩৪৯)

কুরবানী ও আকীকা কি একই সাথে দেয়া যাবে?

কেউ যদি আকীকা ও কুরবানী শরীক বা অংশ হিসেবে গরু, মহিষ ও উট  দিতে চায় তাহলে তা দেয়া যাবে।  এক্ষেত্রে দুটোই সহীহ হবে। ( তাহতাবী আলাদ্দুর ৪ / ১৬৬ রদ্দুল মুহতার ৬/৩৬২)

কোন পশু কুরবানী করা উত্তম?

কুরবানীর জন্য সবসময় কোন প্রকার খুত ছাড়া হৃষ্টপুষ্ট হওয়া উত্তম পশু সবচেয়ে উত্তম।( মুসনাদে আহমদ ৬/১৩৬)

ল্যাংড়া বা খোড়া পশু কুরবানী দেওয়া চলবে কিনা?

যদি কোন কারনে কুরবানীর পশু তিন পায়ে চলে , এক পা মাটিতে রাখতে পারে না বা ভর করতে পারে না এমন পশু কুরবানী জায়েয নয়। (তিরমিযী ১/২৭৫)

রুগ্ন ও দুর্বল পশু কুরবানী করা যাবে কিনা?

যদি কোন পশু এমন দুর্বল ,রুগ্ন ও শুকনো যে হাটতে পারেনা বা হেটে জবাইয়ের স্থানে যেতে পারেনা তবে সেই পশু দ্বারা কুরবানী জায়েয নয়।( জামে তিরমিযী ১/২৭৫,আলমগীরী ৫/২৯৭)

দাঁত ছাড়া পশু কুরবানী দেওয়া যাবে কিনা?

যদি কোন পশুর একটি দাঁতও না থাকে  বা এত বেশি দাঁত পড়ে গেছে যে সে এখন ঘাস বা খাদ্য চিবাতে পারে না এমন পশু দ্বারাও কুরবানী জায়েয হবে না।( বাদায়েউস সানায়ে ৪/২১৫, আলমগীরী ৫/২৯৮)

শিং ভাঙ্গা বা ফাটা পশু দ্বারা কুরবানী হবে কিনা?

যদি কোন পশুর শিং গোড়া থেকে একেবারে ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে মস্তিস্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সে পশু কুরবানী জায়েয ;নয়। পক্ষান্তরে যে পশুর শিং অর্ধেক বা কিছু শিং ফেটে গেছে বা শিং একেবারেই উঠেনি সেই পশু দ্বারা কুরবানী জায়েয হবে।( জামে তিরমিযী ১/২৭৬ )

যদি কোন পশুর কান বা লেজ কাটা থাকে তবে তা কুরবানী করা যাবে কিনা?

আপনার কেনা বা পালন কৃত পশুটির যদি কান অথবা লেজ অর্ধেকেরও কাটা থাকে তবে সেই পশু কুরবানী করা জায়েয হবে না। তবে এক্ষেত্রে জন্মগতভাবেই যদি কান ছোট হয় তাহলে কোন অসুবিধা নেই ( জামে তিরমিযী ১/২৭৫, মসনাদে আহমদ ১/৬১০)

কানা বা অন্ধ পশু কুরবানী করা যাবে কিনা?

কোন কারনে যদি পশুর দুটো চোখই অন্ধ বা এক চোখ পুরো নষ্ট সে পশু কুরবানী দেয়া জায়েয নয়। ( জামে তিরমিযী ১/২৭৫)

নতুন কুরবানীর জন্য ক্রয়কৃত পশু হারানোর পর পাওয়া গেলে

ধরুন আপনি একটি পশু কুরবানীর জন্য ক্রয় করেছেন এবং  সেটা হারানো গিয়েছিল পরে আবার পাওয়া গিয়েছে তাহলে কুরবানী দাতা গরীব হলে ( যার উপর কুরবানী ওয়াজিব নয়) তার দুটো পশুই কুরবানী করা ওয়াজিব। আর কুরবানী দাতা যদি ধনী মানুষ হয় তাহলে তার জন্য একটা দিলেই চলবে তবে দুটো দেয়াই উত্তম।( বায়হাকী ৫/২৪৪, ইলাউস সুনান ১৭/২৮০)

গর্ভবতী পশু কুরবানী দেওয়া জায়েয কিনা?

গর্ভবতী পশু কুরবানী করা জায়েয তবে জবাইয়ের পর যদি বাচ্চা জীবিত পাওয়া যায় তাহলে সেটাও জবাই করতে হবে। তবে প্রসবের সময় আসন্ন হলে সে পশু কুরবানী করা মাকরুহ।( কাযীখান ৩/৩৫০)

পশু কেনার পর দোষ দেখা দিলে বা বন্ধ্যা পশু কুরবানী দেওয়া যাবে কিনা ?

যদি কোন কারণে ভাল পশু কেনার পর দেখা যায় পশুটি কোন দোষ দেখা যায় যে কারণে কুরবাণী জায়েয হয় না তাহলে ওই পশুর কুরবানী সহীহ হবেনা। এর পরিবর্তে আরেকটি পশু কুরবানী করতে হবে। তবে কুরবানী দাতা গরীব হলে ত্রুটিযুক্ত পশু দ্বারাই কুরবানী দিতে পারবে। বন্ধ্যা পশু কুরবানী জায়েয  ( খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৪/৩১৯ , বাদায়েউস সানায়ে ৪/২১৬, রদ্দুল মুহতার ৬/৩২৫ )

কুরবানীর পশু বাড়ীর কাজে ব্যবহার করা যাবে কিনা?

যদি কোন পশু কুরনবানীর জন্য নির্দিষ্ট করার পর তা দিয়ে কোন প্রকার কাজ করানো জায়েয নয় । যেমন হালচাষ করা ,আরোহণ করা পশম কাটা ইত্যাদি। যদি কোন কাজ করা হয় কাজের মসমপরিমান মূল্য বা টাকা সদকা করে দিতে হবে।( মুসনাদে আহমদ ২/১৪৬, নায়লুল আওতার ৩/১৭২, ইরাউস সুনান ১৭/২৭৭)

কুরবানীর পশুর দুধ পান করা যাবে কিনা?

কুরবানীর পশুর দুধ পান করা যাবে না । যদি জবাইয়ের সময় আসন্ন হয় আর দুধ দোহন না করলে পশুর কষ্ট হবেনা বলে মনে হয় তাহলে তাহলে দুধ দহন করা যাবেনা। প্রয়োজনে ওলানে ঠান্ডা পানি দেয়া যেতে পারে।আর যদি কোন কারনে দুধ দহনের প্রয়োজন হয় বা করে ফেলে তাহলে তা সদকা করে দিতে হবে। নিজে পান করলেও তার দাম সদকা করতে হবে।( মুসনাদে আহমদ ২/১৪৬ ইলাউস সুনান ১৭/২৭৭)

ভাগে কুরবানীর সময় কোন অংশিদারের মৃত্যু ঘটলে

একের অধিক বা কয়েক জনে মিলে কুরবানী দেয়ার জন্য পশু ক্রয় করা হয় আর জবাই করার আগে যদি অংশীদারের মৃত্যু ঘটে তাহলে তার ওয়ারিসরা যদি মৃতের পক্ষে থেকে কুরবানী করার অনুমতি দেয় তবে তা জায়েয হবে। নতুবা ওই শরীকের টাকা ফেরত দিতে হবে। তবে তার স্থলে অন্যজনকে শরীক করা যাবে।( বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৯ , আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩২৬)

যদি কুরবানীর পশুর বাচ্চা হয়

যদি কোন কুরবানীর পশুর বাচ্চা দেয় তবে সেই পশু জাবাই না করে জীবিত সদকা করা দেয়া উত্তম। আর যদি সদকা না করে তাহলে কুরবানীর পশুর সাথে বাচ্চাকেউ জবাই করতে হবে এবং এর গোশত সদকা করে দিতে হবে।( কাযীখান-৩/৩৪৯, আলমগীরী ৫/৩০১ ,রদ্দুল মুহতার ৬/৩২৩)

কুরবানীর গোশত জমিয়ে রাখা জায়েয কিনা?

আমাদের অনেকেরই ধারনা কুরবানীর গোশত তিনদিনের বেশি জমিয়ে রেখে খাওয়া যায় না । এট ভুল ধারনা যে কেউ ইচ্ছে করলে তিনদিনের অধিক জমিয়ে রেখে খাওয়া যায়। ( সহীহ মুসলিম ২/১৫৯, মুয়াত্তা মালেক ১/৩১৮)

কুরবানীর গোশত বা চর্বি বিক্রি করা যাবে কিনা?

কোন ভাবেই কুরবানীর পশুর গোশত বা চর্বি বিক্রি করা জায়েয নয়। যদি কোন কারনে কেউ বিক্রি করে তাহলে সব মূল্যই সদকা করে দিতে হবে।( ইলাউস সুনান ১৭/২৫৯, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৫)

কুরবানীর পশু জবাই কারীকে চামড়া গোশত দেয়া যাবে কিনা?

যদি কেউ কুরবানীর পশু জবাই করার জন্য লোক ভাড়া করে তবে তাদের পারিশ্রমিক হিসেবে গরুর চামড়া বা গোশত দেয়া জাবেনা তাহলে তা জায়েয হবেনা। তবে যদি কেহ ন্যায্য পারিশ্রমিক দেয়ার পর  হাদিয়া হিসেবে গোশত বা রান্না করা তরকারী দেয় তাহলে তা জায়েয হবে।

কুরবানীর পশু যদি চুরি হয়ে যায় বা মারা যায় তখন করনীয় কি?

যদি কোন ব্যাক্তির উপর কুরবানী ওয়াজিব হয় আর তার গরু হারায় বা চুরি হয়ে যায় তাহলে আরেকটি পশু কুরবানী দিতে হবে তার জন্য কুরবানী দেওয়া ওয়াজিব । আর যদি এমন ব্যাক্তির পশু হারানো বা চুরি হয় যার উপর কুরবানী ওয়াজিব ছিলনা তহলে তার জন্য আরেকটি কুরবানী ওয়াজিব নয়। ( বাদায়েউস সানায়ে ৪/২১৬ , খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৪/৩১৯)

পাগল পশু করবানী দেয়া যাবে কিনা?

স্বাভাবিকভাবে পাগল পশু কুরবানী করা জায়েয তবে যদি এমন হয় পাগল হয়ে ঘাস ,পানি না খায় সেটা কুরবানী জায়েয হবেনা। (আননিহায়া ফী গরীবিল হাদীস ১/২৩০)

ঋণ করে কোরবানী করা যাবে কিনা?

যদি কোন কারনে কারও উপর কুরবানী ওয়াজিব হয় তবে সে ঋনের টাকা দিয়েও কুরবানী করতে পারবে। তবে কোনভাবেই সুদের উপর ঋন নেয়া টাকা দ্বারা কুরবানী জায়েয হবেনা।

কুরবানীর পশুর চামড়া বিক্রি কিভাবে করতে হবে?

কুরবানী করা পশুর চামড়া কুরবানীদাতা নিজেও ব্যবহার করতে পারবে। তবে যদি কেউ নিজে ব্যবহার না করে বিক্রি করে তবে বিক্রিলব্ধ টাকা পুরটা সদকা করতে হবে। যদি চামড়া বিক্রি করতে চান তাহলে এটা সদকার নিয়তে বিক্রি করতে হবে। এর পুরটাই সদকা করতে হবে। (ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/৩০১ কাযীখান ৩/৩৫৪)

কুরবানীর গোশত খাওয়ার নিয়ম

ঈদুল আযহার দিন নামাজের পরে কুরবানীর গোশত দিয়ে খানা শুরু করা সুন্নত। সকাল থেকে কিছু না খেয়ে প্রথমে কুরবানীর গোশত খাওয়া সুন্নত।  আর এটা শুধু ১০ যিলহজ্বের জন্য অন্য দিনের জন্য নয়। ( শরহুল মুনয়া ৫৬৬ , আদ্দুররুল মুখতার ২/১৭৬)

বাড়ীর কাজের লোককে বা কুরবানীর কাজের লোককে গোশত দেওয়ার নিয়ম

কুরবানী দেওয়া পশুর কোন কিছুই পারিশ্রমিক হিসেবে দেওয়া জায়েয নয়। তবে ঘরের অন্যান্য সদস্যর মত গোশত খাওয়ানো যাবে। ( আহকামুল কুরআন জাস্সাস ৩/২৩৭)

জাবাই কারীকে পারিশ্রমিক দেওয়ার নিয়ম

কুরবানীর পশু জবাই কারীকে পারিশ্রমিক দেওয়া বা কাজ করে দেওয়ার জন্য পারিশ্রমিক নেওয়া জায়েয । কিন্তু পশুর কোন কিছুিই পারিশ্রমিক হিসেবে নেওয়া যাবেনা। ( কিফায়াতুল মুফতী ৮/২৬৫)

কার উপর কোরবানি করা ওয়াজিব

আমরা যা কিছুই করিনা কেন তাহতে হবে এক মাত্র আল্লাহকে রাজি খুসি করার জন্য। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই আমাদের সব করা উচিত। তবেই পাবে আমাদের ইবাদতের পূর্ণতা । মানব দেখানো ইবাদত আল্লাহ পছন্দ করেন না। আর তাই আমাদের যাদের উপর কোরবানি ওয়াজিব তারা যেন এক মাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই কোরবানি করি।

কোরবানির ওয়াজিবের মাসআলা :

একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ ও মহিলা যাদের রয়েছে সুস্থমস্তিস্ক এই রকম সকল নর-নারী যাদের  ১০ যিলহজ্ব ফজর থেকে ১২

যিলহজ্ব সূর্যাস্ত পর্যন্ত প্রয়োজনের অতিরিক্ত নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হবে তার উপর কুরবানী করা ওয়াজিব।

নেসবা পরিমাপের বিষয় গুলো হলো- টাকা-পয়সা,সোনা-রুপা, অলঙ্কার, বসবাস ও খোরাকির প্রয়োজন আসে না এমন

জমি, প্রয়োজন অতিরিক্ত বাড়ি, ব্যবসায়িক পণ্য ও অপ্রয়োজনীয় সকল আসবাবপত্র কুরবানীর নেসাবের ক্ষেত্রে

হিসাবযোগ্য ।

নেসাব পরিমাপ কিভাবে করা হয় ?:

নেসাব যেভাবে পরিমাপ করা হয় তাহলো স্বর্ণের ক্ষেত্রে সাড়ে সাত (৭.৫ৃ) ভরি আর রুপার ক্ষেত্রে সাড়ে বায়ান্ন (৫২.৫্র০) ভরি

। এই দুটোর যে কোন একটির বর্তমান সময়ের বাজার মূল্য  পরিমাণ সম্পদ থাকলে তাকে নিসাব পরিমান সম্পদ বলা হয়।

আবার যদি কোন একটি সম্পদ নেসাব পরিমান না হয়ে কয়েকটি সম্পদ মিলে নেসাব পরিমাণ হয় তবুও কুরবানী ওয়াজিব

হবে। (লমুহীতুল বুরহানী ৮/৪৫৫; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১৭/৪০৫)

কোরবানি ওয়াজিব হবার জন্য কতদিন নেসাবের মেয়াদ হতে হবে?

কুরবানি ওয়াজিব হওয়ার জন্য নেসাব পরিমাণ সম্পদ পুরো বছর থাকা জরুরী নয়। কুরবানির তিন দিনের মধ্যে যে কোন

দিন থাকলেই কোরবানি ওয়াজিব হবে।( বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯৬ , রদ্দুল মুহতার ৬/৩১২০।

কয়দিন কুরবানী দেয়া যায়?

আমাদের যাদের উপর কুরবানী ওয়াজিব হয়েছে তারা তিন দিনের যে কোন দিন কোরবানী করতে পারবে। আর সেই তিন

দিন হলো যিলহজ্বের ১০ তারিখ ১১ তারিখ ও ১২ তারিখ এর সূর্যাস্ত পর্যন্ত। তবে সবচেয়ে উত্তম হয় ১০ তারিখেই কুরবানী

করা।( ময়াত্তা মালেক ১৮৮, বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯৮,২৩ , ফাতাওয়া নিন্দিয়া ৫/২৯৫)

গুরুত্বপূর্ণ কোরবানির মাসলা মাসায়েল

নাবালেগ শিশু-কিশোরের কোরবানী: যারা নাবালেগ শিশু – কিশোর তদ্রুপ যে সুস্থমস্তিস্কসম্পন্ন নয় । নেসাব পরিমাণ

সম্পদের মালিক হলেও তাদের উপর কুরবানী ওয়াজিব নয়। এক্ষেত্রে তার অভিভাবক যদি চায় তাদের নিজ সম্পদ দ্বারা

তাদের পক্ষে কুরবানী করলে তা সহীহ হবে। ( বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯৬, রদ্দুল মহতার ৬/৩১৬)

নাবালেহের পক্ষ থেকে কুরবানী দেওয়া অভিভাববের উপর ওয়াজিব নয়, বরং মস্তাহাব। ( রদ্দুল মুহতার ৬/৩১৫ ,ফাতাওয়া

কাযীখান ৩/৩৪৫)

মুসাফিরের কুরবানী: কোন ব্যক্তি কুরবানীর দিনগুলোতে যদি  ‍মুসাফির থাকে ( ৪৮ মাইল বা ৭৮ কিলোমিটার বা তার

অধিক ) দূরে যাওয়ার নিয়তে নিজ এলাকা ত্যাগ করেছে তার উপর কুরবানী ওয়াজিব নয়। ( ফাতাওয়া কাযীখান ৩/৩৪৪ ,

বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯৫ আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩১৫)

দারিদ্র ব্যাক্তির কুরবানী করার নিয়ম সম্পর্কে মাসাআলা

যে কোন দারিদ্র ব্যক্তির উপর কুরবানী করা ওয়াজিব নয় । কিন্তু সেই ব্যক্তি যদি কোন পশু কোরবানীর নিয়তে ক্রয় করে

তাহলে তার উপর কোরবানী করা ওয়াজিব হয়ে যায়।( বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯২)

কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার পরেও যদি কোন কারনে কুরবানী করতে না পারে

যদি কোন ব্যক্তির উপর কুরবানী ওয়াজিব কিন্তু কোন কারনে সেই ব্যক্তি কুরবানী দিতে পারলনা।  সেই ক্ষেত্রে কুরবানীর

পশু ক্রয় না করে থাকলে তার উপর কুরবানীর উপযুক্ত একটি ছাগলে মূল্য সদকা করা ওয়াজিব। আর যদি পশু ক্রয় করে

ছিল কিন্তু কোন কারণে কুরবানী দেওয়া হয়নি তাহলে সেই জীবিত পশুটি সদকা করে দিবে। ( বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৪,

ফাতাওয়া কাযীখান ৩/৩৪৫)

কোরবানির গরু জবাই করার নিয়ম

যে কুরবনী দিবে তার নিজের জন্যই কুরবনীর পশু জবাই করা উত্তম। তবে নিজে না পারলেও অন্যকে দিয়েও জবাই

করাতে পারবে। তবে কুরবানী দাতা পুরুষ হলে জবাইস্থলে তার উপস্থিত থাকা ভাল। ( মুসনাদে আহমদ ২২৬৫৭)

যদি জবাইয়ে একাধিক ব্যাক্তি শরীক হয় বা অন্যকেউ জবাইয়ের কাজ সম্পন্ন করে তাবে উভয়কেই বিসমিল্লাহি আল্লাহু

আকবার পড়তে হবে । যদি একজন না পড়ে তবে ওই কুরবানী সহীহ হবে না এবং জবাইকৃত পশুও হালাল হবে না। ( রদ্দুল

মুহতার ৬/৩৩৪।

এছাড়াও আরো কিছু নিয়ম আছে যেমন- 

  • ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করা।
  • পশু নিস্তেজ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা।
  • অন্য পশুর সামনে জবাই না করা।
  • কুরবানীর গোশত বিধর্মীকে দেওয়া
  • পশুকে কষ্ট না দেওয়া।

কোরবানির সম্পর্কে হাদিস

আনাস ইবনে মালিক (রা) বলেন আল্লাহর রাসুল (সা) দুইটি সাদা কালো বর্ণের ( বড় শিং বিশিষ্ট) নর দুম্বা কোরবানি করেছেন

। আমি দেখেচি তিনি দুম্বা দুটির গর্দানে পা রেখে- বিসমিল্লাহি ওয়াল্লাহু আকবার বললেন । অতঃপর নিজ হাতে জবেহ

করলেন। ( বুখারি হাদিস :২/৮৩৪)

শাদ্দাদ ইবনে আওছ( রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল(সা.) বলেন আল্লাহ তাআলা সবকিঝুর ওপর অনুগ্রহ অপরিহার্য

করেছেন। অতএব যখন তোমরা জবাই করবে – তো উত্তম পদ্ধতিতে জবাই করো। প্রত্যেকে তার ছুরিতে শান দেবে এবং

তার পশুকে শান্তি দেবে।( সহিহ মুসলিম হাদিস :২/১৫২)

জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে নবী করিম সো.) তিনরাত পর কোরবানির গোশত খেতে নিষেধ করেছিলেন। এরপর (অবকাশ দিয়ে) বলেন খাও,পথেয় হিসাবে সঙ্গে নাও এবং সংরক্ষণ করে রাখ। ( সহিহ মুসলিম হাদিস : ২/১৫৮)

কোরবানির পশু জবাইয়ের দোয়া

যেহেতু আমরা বাংলাদেশী তাই কুরবানীর পশু জাবাই করার দোয়া টি শিখতে পাড়ি আমরা বাংলায় তার জন্য নিচে বাংলায়

দেওয়া হলো জবাই করার দোয়াটি তাহলে আপনিও জবাই করতে পারবেন আপনার কুরবানীর পশুটি।

বাংলায় উচ্চারণ: ইন্নি ওয়াজ জাহতু ওয়াজ হিয়া লিল্লাযি ফাতারাছ ছামাওয়াতি ওয়াল আরদা হানিফাও ওয়ামা আনা-মিনাল

মুশরিকিন। ইন্না সালাতি ওয়া নুসুকি ওয়া মাহ ইয়ায়া ওয়া মামাতি লিল্লাহি রাবিবল আলামিন। লা শারিকা লাহু ওয়া বিজলিকা

উমিরতু ওয়া আনা মিনাল মুসলিমিন। আল্লাহুম্মা মিনকা ওয়ালাকা বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার।

কোরবানির মাংস বন্টন মাসলা মাসায়েল

যদি অংশিদার নিয়ে কুরবানী দেওয়া হয় তাহলে ওজন করে গোশত বন্টন করতে হবে। অনুমান করে ভাগ করা জায়েয নয়।

তার পর গোশত এক তৃতীয়াংশ গরীব মিসকীনকে এবং এক তৃতীয়াংশ আত্মীয় -স্বজন ও পাড়া -প্রতিবেশীকে দেওয়া উত্তম ।

অবশ্য পুরো গোশত যদি নিজে রেখে দেয় তাতেও কোন অসুবিধা নেই। ( বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৪, আলমগীরী ৫/৩০০)

কুরবানী না করার শাস্তি

যে ব্যক্তির ‍উপর কুরবানী ওয়াজিব হওয়া সত্বেও কুরবানী না করল সে যেন আমাদের ঈদগাহে না আসে।( মুস্তাদরাকে

হাকেম হাদীস : ৩৫১৯ আত্তারগীব ওয়াত্তারহীব ২/১৫৫)  এছাড়াও ওয়াজিব তরফ করার মত কঠিন গুনাহ্ হবে।

(কৃষি বিষয়ক বিভিন্ন ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক করুন)

শেষ কথাটিও অনেক সুন্দর

পরিশেষে বলব আপনাদের কোরবানির মাসলা মাসায়েল লেখাটি অনেক কাজে দিবে। আপনি যদি প্রথম থেকে শেষ

পর্যন্ত লেখাটি পড়ে থাকেন তাহলে  কুরবানীর সবকল মাসলা মাসায়েল  ও হাদিস বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পেরেছেরন। তাই

আপনাদের কাছে অনুরোধ করছি যদি আপনার বিষয়টি পড়ে উপকার হয়ে থাকে তাহলে লেখাটি শেয়ার করবেন। আর

আমপনার মূল্যবান মতামত কমেন্টসেকশনে দিবেন। আমি আপনাদের কমেন্টস্  এর উত্তর দিব। ধন্যবাদ কোরবানির

মাসলা মাসায়েল কষ্ট্য করে পড়ার জন্য।

আরো পড়তে পাড়েন :

১.  কুরবানীর ঈদ সম্পর্কে বিস্তারিত

২. ঈদ মোবারক ছন্দ

৩. ঈদে ভালবাসার মানুষের  শুভেচ্ছা

৪..ঈদের সুন্নত

৫ .ঈদে ভালোবাসার মানুষের জন্য এসএমএস।

৬.  ঈদে ফানি স্ট্যাটাস

৭.ঈদে মজার ফেসবুক স্ট্যাটাস

Share
Tweet
Email
Prev Article
Next Article

Related Articles

H.S.C Results 2023pdf
H.S.C Results 2023: Higher Secondary School Certificate ( H.S.C) examination …

H.S.C Results 2023pdf

ভার্মি কম্পোস্ট তৈরী পদ্ধতি
ভার্মি কম্পোস্ট তৈরী পদ্ধতি : বাংলাদেশ নদী-মাতৃক দেশ প্রতি বছরই …

ভার্মি কম্পোস্ট তৈরী পদ্ধতি

About The Author

24 Favor

Leave a Reply Cancel Reply

Search

Archives

  • February 2025
  • September 2024
  • August 2024
  • March 2024
  • February 2024

Meta

  • Log in

24 Favor

Tips and Tricks
Copyright © 2025 24 Favor

Ad Blocker Detected

Our website is made possible by displaying online advertisements to our visitors. Please consider supporting us by disabling your ad blocker.

Refresh