সহজে ভালো চাকরি পাওয়ার উপায়: ভালো একটা চাকরি আমরা সবাই চাই। আমরা চাই ভালো একটা চাকরি করে আমাদের সংসারকে স্বচ্ছলতা এনে দিতে । কিন্তু সেই চাকরি নামের সোনার হরিণ টি আমরা কেউ কেউ ধরতে পারিনা। আর এর মধ্যে যদি হয় সরকারি চাকরি তাহলে তো কোন কথাই নেই। এ যেন কঠিনতম একটি বস্তু।
কথায় বলে টাকা হলে বাঘের চোখ মিলানো যায়, কিন্তু সরকারি চাকরি মেলানো তার থেকেউ কঠিন। তাই আসুন আমরা কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করব, যে বিষয়গুলো আপনি ফলো করলে সহজেই সরকারী ও বেসরকারি ভালো চাকরি পেয়ে যাবেন । আশা করি আমাদের এই টিপসগুলো আপনার অনেক কাজে লাগবে।
আপনি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের টিপস গুলো পড়ুন, আমি আপনাকে নিশ্চিত বলে দিতে পারি আপনি যেকোনো চাকরি পাবেন ইনশাল্লাহ । তো চলুন কথা না বাড়িয়ে আলোচনা করা যাক।
সহজে ভালো চাকরি পাওয়ার উপায়/ কিভাবে ভালো চাকরি পাওয়া যায়
সহজেই ভালো চাকরি পাওয়া, আসলে কথাটি যত সহজ চাকরি পাওয়াটা তত সহজ নয়। কিন্তু আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে তাহলে কেন আপনি সহজেই ভালো চাকরি পাওয়ার উপায় বলেছেন। আমি এইজন্য বলেছি মানুষের অসাধ্য কিছুই নেই। কিন্তু আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় গাইডলাইনের অভাবে কাঙ্খিত স্থানে পৌঁছাতে পারি না।
বিশেষ করে আমরা যারা ছাত্রজীবনে লেখাপড়া করি তাদের গাইডেন্সের অভাব খুবই বেশি থাকে ।আর আমি আমার এই লেখা দ্বারা চেষ্টা করব আপনাদের সেই গাইডেন্সের অভাবটা দূর করার জন্য যাতে করে আপনি আপনার জীবনের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেন, এবং আপনি পেয়ে যেতে পারেন একটি সুন্দর চাকরি। যে চাকরিটা আপনি সব সময় মনে মনে খুঁজছেন।
আর তাই আপনি যদি আমার এই টিপসগুলো অনুসরণ করেন, তাহলে আপনার কাঙ্ক্ষিত চাকরি পাওয়াটা খুবই সহজ হবে। আর এই জন্যই আমি আমার এই টাইটেল দিয়েছি। তাই আসুন আমরা এই টিপসগুলো কাজে লাগিয়ে আমাদের কাঙ্ক্ষিত চাকরিটা নিয়ে নেই।
সুন্দর করে একটি পরিকল্পনা তৈরি করুন
যখন একজন ছাত্র লেখাপড়া করে তখন সে আসলে বুঝতে পারেনা যে, আমি যে বিষয়ে পড়তেছি এই বিষয়ে পড়ার পরে আমি কি ধরনের চাকরি পেতে পারি? কোন চাকরি আমার জন্য উপযুক্ত? আর তার জন্যই আমরা বিভিন্ন দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগে থাকি। আর এই সমস্যা সমাধানের জন্য আপনার প্রয়োজন আগে থেকেই আপনার একটি সুন্দর পরিকল্পনা তৈরি করা।
অর্থাৎ আপনার কোন ধরনের চাকরি পছন্দ, এবং সে চাকরি পেতে গেলে আপনার কি ধরনের লেখাপড়া প্রয়োজন? কতদিন পরে আপনি চাকরি পাবেন? এর জন্য আপনার কি কি পড়তে হবে? কি কি দক্ষতা অর্জন করতে হবে ? কোথায় কোথায় আবেদন করতে হবে?
এই সমস্ত বিষয় নিয়ে যদি আপনি সুন্দর একটি পরিকল্পনা তৈরী করেন। আপনি সেই পরিকল্পনা মাফিক আগান তাহলে আমি আপনাকে নিশ্চিত করে বলে দিতে পারি আপনি পেয়ে যাবেন আপনার কাঙ্খিত চাকরিটি। সে ক্ষেত্রে কেউ আপনাকে আটকাতে পারবেনা। সেটা হোক যত বড় ধরনের চাকরী।
ছাত্রজীবন থেকেই প্রস্তুতি নিন
আমাদের কাঙ্খিত চাকরির জন্য চেষ্টা করতে হবে ছাত্রজীবন থেকেই। কারণ ছাত্র জীবন হচ্ছে চাকরি পাওয়ার প্রশিক্ষণের সময়। তাই আমরা যদি আমাদের কাঙ্ক্ষিত চাকরির জন্য ভালো তবে প্রশিক্ষণ নেই তাহলেই শুধু আমরা আমাদের কাঙ্খিত চাকরিটি পেতে পারি। সহজভাবে আমি যদি আপনাদের একটি উদাহরণ দিই তাহলে বুঝতে পারবেন ।
একজন সৈনিক প্রশিক্ষণের সময় যদি সে প্রশিক্ষণ না নিয়ে, যুদ্ধের সময় প্রশিক্ষণ নিতে চায়। তাহলে তার গুলি খেয়ে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি হয়। ঠিক একই রকম আমাদের ছাত্র জীবনে চাকরি পাওয়ার জন্য জ্ঞান অর্জন না করে, লেখাপড়া শেষ করে আমরা জ্ঞান অর্জন করতে চাই। সে ক্ষেত্রে আমরা আমাদের কাঙ্খিত চাকরিটি পাবো না।
আর তাই যারা আমার এই লেখা পড়েছেন তাদের উদ্দেশ্যে বলতেছি, আপনারা অবশ্যই ছাত্রজীবন থেকেই আপনার কাঙ্খিত চাকরিকে লক্ষ্য করে সেই কাঙ্খিত জ্ঞান অর্জন করার জন্য সবসময় সচেষ্ট থাকেন। সে চাকরি পাওয়ার জন্য কি কি বিষয় আপনার জানা প্রয়োজন সেই বিষয়গুলো জেনে নিন।
এখন যেহেতু অনলাইনের যুগ তাই আপনি সহজে অনলাইন থেকে আপনার সেই কাঙ্খিত জ্ঞান অর্জন করে নিতে পারবেন।
সুন্দর করে জীবন বৃত্তান্ত তৈরি করুন
একটি ভাল মানের জীবনবৃত্তান্ত রিপ্রেজেন্ট করবে আপনার যাবতীয় অভিজ্ঞতা, শিক্ষা, এবং জ্ঞানকে। সর্বোপরি একটি ভালো মানের জীবন বৃত্তান্ত এনে দিতে পারে আপনাকে, আপনার কাঙ্খিত চাকরিটি। আর তাই আপনাদেরকে আমি অনুরোধ করছি, আপনারা ছাত্রজীবন থেকেই চেষ্টা করবেন ভালো মানের একটি জীবন বৃত্তান্ত তৈরি করে রাখতে।
আর এর জন্য আপনি সহায়তা নিতে পারেন বড় ভাইদের বা বিভিন্ন ওয়েবসাইটের।
(লাভজনক ব্যবসা খুঁজছেন? তাহলে ধারনা নিয়ে নিন এখান থেকে যেখানে দেখানো হয়েছে পাঁচটি লাভজনক ব্যবসা।)
ভালো মানের জব সাইটে নিজের অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন
বর্তমানে ইন্টারনেটে অনেকগুলো জব সাইট আছে। যেখানে নিজের অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট করে একটি প্রোফাইল তৈরি করতে হয়। আর সেই প্রোফাইল জমা দিতে হয় অনলাইনে। আপনি যদি সেই জব সাইট গুলোতে নিজের প্রোফাইল তৈরী না করেন তাহলে আপনি চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন না ।
আর তাই আপনি দেখে নিবেন কোন জব সাইট গুলো উপযোগী সেই জব সাইটে নিজের অ্যাকাউন্ট তৈরি করে ফেলুন। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় বাংলাদেশের জন্য বিডিজবস খুবই জনপ্রিয় জব সাইট। এখানে আপনার অ্যাকাউন্ট তৈরি করে রাখতে পারেন।
প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করুন
আপনি যে পেশায় নিজেকে দেখতে চান বা চাকরি করতে চান। সেই পেশার জন্য যে প্রয়োজনীয় দক্ষতা প্রয়োজন। সেই দক্ষতা গুলো আপনি লেখাপড়ার পাশাপাশি অর্জন করে নিতে পারেন। এর জন্য ভর্তি হতে পারেন বিভিন্ন ইনস্টিটিউটে। কারণ আপনি লেখাপড়া শেষ করার পর, আবার যদি এই কোর্সটি করতে চান সে ক্ষেত্রে আপনার সময়ের অপচয় হবে। এইজন্য আপনি চেষ্টা করবেন লেখাপড়ার পাশাপাশি কিছু চাকরির জন্য দক্ষতা অর্জন করার।
(আমরা বিভিন্ন কাজ করতে গেলে আমাদের শরীরে চলে আসে অবসাদ বা অলসতা । আমরা চাই অলসতাকে দূরে সরাতে। কিন্তু সেটা আমাদের পক্ষে সম্ভব হয় না আর আপনি সেই কঠিন কাজটি করতে চান তাহলে আপনার দরকার আমাদের এই পেইজটি যে খানে আপনি পাবেন অলসতা দূর করার সহজ টিপস।)
শক্ত যোগাযোগ মাধ্যম গড়ে তুলুন
আমাদের সবারই কমবেশি যোগাযোগ মাধ্যম থাকে । কিন্তু আমি আপনাকে এখানে বলেছি শক্ত যোগাযোগ মাধ্যম গড়ে তোলার । কারণ আপনি যখন কারো সাথে যোগাযোগ করবেন আপনার চাকরির ব্যাপারে, সেই ক্ষেত্রে তার সাথে যদি আপনার ভালো সম্পর্ক না থাকে। সে ক্ষেত্রে সে আপনাকে চাকরির ক্ষেত্রে সহযোগিতা করবে না।
আর এর জন্য আপনার প্রয়োজন চাকরি শুরু করার বা চাকরিতে আবেদন করার আগে থেকেই ভালো যোগাযোগ রক্ষা করা। বিশেষ করে আপনি যে চাকরি খুঁজছেন বা করতে চাচ্ছেন সেই চাকরিতে, যেই সকল লোক গুলো নিয়োজিত আছে তাদের সাথে আপনার গড়তে হবে ভালো মানের সম্পর্ক ।
তবেই কেবল তারা আপনাকে চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করবে।
বিভিন্ন জায়গায় দরখাস্ত করুন
আমরা অনেকেই চাকরি পাওয়ার জন্য দরখাস্ত করতে চাই না। দরখাস্ত করাকে বিরক্তিকর বিষয় মনে করি। আপনি মনে রাখবেন আপনি যদি আপনার কাঙ্খিত চাকরির জন্য দরখাস্ত না করেন কখনোই আপনাকে তারা চাকরি দিবে না । কারণ আপনার যে চাকরির প্রয়োজন এই জিনিসটা তাদের কাছে আপনার উপস্থাপন করতে হবে।
আরেকটা বিষয় আমরা যখন ছাত্র থাকি তখন আমরা দরখাস্ত করিনা। কারন আমরা চিন্তা করি লেখাপড়া শেষ করে চাকরির জন্য দরখাস্ত করব। এটা ভুল ধারণা, আপনি যদি ছাত্রজীবনে বিভিন্ন চাকরির জন্য দরখাস্ত করেন।সেখান থেকে আপনি বুঝতে পারবেন আপনাকে যারা চাকরি দিবে তাদের কি ধরনের লোক প্রয়োজন ।
আপনার কোন কোন অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। সে চাকরির জন্য যাবতীয় বিষয় আপনি জানতে পারবেন চাকরির নিয়োগপত্র দেখে। আপনি দরখাস্ত করলে বুঝতে পারবেন আপনাকে তারা যোগ্য মনে করতেছে কি না? এবং আপনার কোন দক্ষতাগুলো অর্জন করা প্রয়োজন । সেই চাকরির জন্য যাবতীয় বিষয় আপনার সামনে স্পষ্ট হবে এই দরখাস্ত করার মাধ্যমে।
বিভিন্ন জায়গায় ইন্টারভিউ দিন
আমরা যারা ছাত্র অথবা সদ্য লেখাপড়া শেষ করে বের হয়েছি। বিভিন্ন জায়গায় ইন্টারভিউ দিতে ভয় পাই। কিন্তু এটা আমাদের ভালো মানের চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে বড় অন্তরায়। এই জায়গাটিতে আমি আপনাকে পরামর্শ দিব, আপনি চাকরি করেন কিংবা না করেন। আপনি কোন জায়গা থেকে চাকরির ইন্টারভিউর জন্য কল পেলে অবশ্যই সেই ইন্টারভিউতে অংশগ্রহণ করবেন।
এতে করে একদিকে যেমন আপনি বুঝতে পারবেন, আপনার কে কোন ধরনের প্রশ্ন তাড়া করে? এবং কোন ধরনের যোগ্যতা প্রয়োজন। দ্বিতীয়তঃ আপনার মনের মধ্যে আত্মবিশ্বাস তৈরি হবে একটি চাকরি পাওয়ার জন্য।
(আপনি যদি নতুন করে ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে এখানে ক্লিক করুন)
সবসময় নিজেকে তৈরী রাখুন
সুন্দর চাকরির জন্য নিজেকে ভালো মানের যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে এটাই হচ্ছে ভাল চাকরি পাবা মূলকথা । আর বর্তমানে এরই ধারাবাহিকতায় নিজেকে আপডেট বা তৈরী রাখতে হবে। যেমন লেখা পড়া করার পাশাপাশি কম্পিউটার শেখা ইংরেজী শেখা ইত্যাদি । বিষয় গুলো শিখে সবসময় নিজেকে তৈরী রাখতে হবে। অন্যথায় আপনি ভাল মানের চাকরি পাবেনা।
ভালো চাকরি পাওয়ার আমল বা ভালো চাকরি পাওয়ার দোয়া
আমাদের যাবতীয় রিযিক বা সিদ্ধান্তর মালিক পরম করুনাময় আল্লাহ। তার কাছ থেকেই আসে আমাদের ভাগ্যের উন্নয়ন। তিনিই একমাত্র করে দিতে পারেন ভাগ্যর উন্নয়ন। আল্লাহর হুকুম ছাড়া কিছুই হয় না। আর তাই আপনি ভাল চাকরির জন্য নিজের আমল বা দোয়া ব্যবহার করতে পারেন । আমরা শুধু একমাত্র আল্লাহর শরণাপন্ন হব।
সাহয্য চাব আল্লাহর কাছে। আর নিচের দোয়া দরুদ পড়ে অর্জন করে নিতে পারেন একটি ভালো চাকরি বা উত্তম রিজিকের ব্যবস্থা।
হজরত শাহ আবদুল আজিজ রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, যে ব্যক্তি রিজিকের প্রশস্ততার জন্য (ভালো কাজ বা চাকরির প্রত্যাশায়) চাশতের নামাজের সময় ১২ রাকাআত নামাজ পড়ে সিজদায় গিয়ে (يَا وَهَّابُ) ইয়া ওয়াহ্হাবু পবিত্র গুণবাচক নামের জিকির ১০০ বার অথবা ৫০ বার পাঠ করে। তবে অবশ্যই তার রিজিকের অভাব থাকবে না।
এই ব্যাপারে আল্লাহর শেখানো উত্তম দোয়া হলো-
رَبِّ إِنِّي لِمَا أَنزَلْتَ إِلَيَّ مِنْ خَيْرٍ فَقِيرٌ
উচ্চারণ : ‘রাব্বি ইন্নি লিমা আংযালতা ইলাইয়্যা মিন খাইরিং ফাক্বির। ’
অর্থ : ‘হে আমার প্রতিপালক! তুমি আমার প্রতি যে কল্যাণ নাজিল করবে, নিশ্চয় আমি তার মুখাপেক্ষী। ’ (সুরা কাসাস : আয়াত ২৪)
দোয়ার উৎস: পবিত্র কুরআনে আল্লাহপাক বলেছেন, এ কথা শুনে মূসা তাদের জানোয়ারগুলোকে পানি পান করিয়ে দিল। তারপর সে একটি ছায়ায় গিয়ে বসলো এবং বললো, হে আমার প্রতিপালক! যে কল্যাণই তুমি আমার প্রতি নাজিল করবে আমি তার মুখাপেক্ষী। (সুরা কাসাস, আয়াত- ২৪)
এছাড়া রাসূলের সা. বিভিন্ন হাদিসে বিপদকালীন ধৈর্যধারণ করা এবং হতাশ না হয়ে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহ মহানের কাছে প্রার্থনা করার বিশেষ দিক-নির্দেশনা এসেছে।
উপরোক্ত দোয়া এবং দূরুদের মাধ্যমে সবাই ভাল মানের একটি চাকরি পায় এই প্রত্যাশা পরম করুনাময় আল্লাহ তালার কাছে করি। আল্লাহ যেন সবাইকে উত্তম রিযিক দান করেন।
দ্রুত চাকরি পাওয়ার উপায়
কোন কিছুই আসলে দ্রুত পাওয়া সম্ভব নয়। তারপরেও আপনি একটু বেশি পরিশ্রম করলে আপনার কাঙ্ক্ষিত চাকরি টি পেতে পারেন খুব অল্প সময়ের মধ্যে। আর তার জন্য আপনার প্রয়োজন পরিকল্পনা করে অধিক সময় সেই চাকরির জন্য জ্ঞান অর্জন করা।
এক্ষেত্রে বলিউডের নায়ক শাহরুখ খান একটি উক্তি আছে আর তা হলো ‘’ যখন কোন একটি কাজকে পাগলের মত করবো, তখনই কেবল সে কাছ থেকে ভাল ফল আশা করা যায়’’
ঠিক একই ভাবে আমি আপনাদের বলতে চাই। আপনি যদি খুবই তাড়াতাড়ি একটি চাকরি পেতে চান। তবে আদাজল খেয়ে সে চাকরির জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান অর্জন করা শুরু করে দিন, এবং আপনার ধ্যান খেলা শুধু সেই লক্ষ্যটাকে স্থির করুন। তাহলে আপনি খুব কম সময়ের মধ্যে পেয়ে যাবেন আপনার চাকরিটি।
(আপনি কি ভালো মানের সিভি তৈরি করতে চান? তাহলে দেখে নিন আমাদের এই পেজটি। কিভাবে আপনি একটি ভাল মানের সিভি তৈরি করতে পারেন)
বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো সরকারি চাকরি
অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন বাংলাদেশে সবচেয়ে ভালো সরকারি চাকরি কোনটি? তাদের উদ্দেশ্যে আমি প্রশ্ন করতে চাই আপনার কাছে কোন সরকারি চাকরি টি সবচেয়ে ভাল মনে হয়? কারণ আমাদের একেক জন মানুষের রুচি পছন্দ একেকরকম। আমরা একেক জন একেক ধরনের চাকরি বেশি পছন্দ করে থাকি।
তাই এখানে আপনার স্পষ্ট করে বলা সম্ভব নয় কোন সরকারি চাকরিটি সবচেয়ে ভালো।
তার পরেও কিছু সরকারী চাকরি থাকে যে চাকরি গুলো সচারাচর সকল লোকে পছন্দ করে থাকে, এর মধ্যে বিসিএস ক্যাডার হচ্ছে সবচেয়ে ভাল সরকারি চাকরি। আবার এই বিসিএস ক্যাডার এর মধ্যেই প্রশাসন বিভাগ হচ্ছে সবচেয়ে সবার পছন্দসই চাকরি। তাই সবার উদ্দেশ্যে বলতে চাই আপনারা যে বিষয়টি ভাল লাগে আপনার জন্য সেটাই সবচেয়ে ভালো সরকারি চাকরি।
প্রাইমারিতে চাকরি পাওয়ার উপায় বা সরকারি চাকরি পাওয়ার উপায়
আমাদের সবারই লক্ষ্য থাকে একটি সরকারি চাকরি বা প্রাইমারি স্কুলের চাকরি। কিন্তু প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির অভাবে আরা সেই পছন্দের চাকরিটি পাইনা। আর তাই আমরা কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস নিয়ে আলোচনা করবো, যে টিপসগুলো ফলো করলে আপনি পেয়ে যাবেন আপনার পছন্দের চাকরিটি।
- চাকরির জন্য ভালো মানের নিয়োগ গাইড পড়া। সে ক্ষেত্রে আমি আপনাকে পড়ার সহজ করার জন্য বলতে পারি। আপনি যখন একটি চাকরির জন্য নিয়োগ গাইড পড়া শুরু করবেন, সেখান থেকে প্রথমে পড়ে নিবেন যে বিষয়গুলো পরিবর্তন হয় না। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, যেমন আপনি যদি বাংলা ব্যাকরণ, ইতিহাস, অংক এ বিষয়গুলো আগেই পড়ে নেন তাহলে দেখবেন এ বিষয়গুলো কখনোই পরিবর্তন হয়না । একবার কষ্ট করে পড়লেই আজীবন একই থাকবে। সবার শেষে পড়বেন সাম্প্রতিক বিষয়ে। অর্থাৎ যে বিষয়গুলো সবসময় পরিবর্তন হয়। এ বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে হবে সবার শেষে যাতে করে আপনি সর্বশেষ তথ্য জানা থাকে।
- সরকারি চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সাথে সাথে নিজের দরখাস্ত করে ফেলুন।
- দরখাস্ত করার সময় আপনি যে মোবাইল নাম্বার এবং ইমেইল এড্রেস দিবেন সেটা যেন অবশ্যই সচল থাকে।
- আপনাকে অবশ্যই লিখিত পরীক্ষায় সর্বাধিক নাম্বার পাওয়ার যোগ্যতা থাকতে হবে। সে ক্ষেত্রে আপনি বিভিন্ন মডেল কোশ্চেন সমাধান করে দেখতে পারেন সেখানে আপনার কতগুলোর সঠিক উত্তর হয়।
- অনেক আগে থেকেই আপনাকে প্রস্তুতি নিতে হবে। দরখাস্ত করে কিংবা পরীক্ষার আগে প্রস্তুতি নিলে চলবে না। কারণ আপনি যদি অনেক আগে থেকেই টার্গেট করে চাকরির জন্য প্রস্তুতি নেন। তাহলে আপনার চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি হবে।
(আপনি যদি কৃষিবিষয়ক সব নতুন তথ্য দেখতে চান। দেখতে চান কৃষির আপডেট সংবাদ । তাহলে ভিজিট করুন আমাদের চ্যানেলটি যেখানে পেয়ে যাবেন কৃষি বিষয়ক তথ্য)
শেষকথা:
উপরের টিপসগুলো পড়ে আপনার কেমন লেগেছে? অবশ্যই আমাকে জানাবেন কমেন্ট সেকশনে। আর উপরোক্ত বিষয়ে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করবেন আপনার বন্ধু বান্ধবের সাথে । অথবা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এই লেখাটি পড়ে তারাও যেন উপকৃত হতে পারে ।
এছাড়াও আপনার যদি কোন বিষয়ে জানার ইচ্ছে থাকে বা জানতে ইচ্ছে করে। তাহলে লিখতে পারেন আমার কাছে। আমি আমার পরবর্তী লেখায় আপনার লেখার উত্তর। দিব ধন্যবাদ আপনাকে এই লেখাটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য।
One comment
Pingback: বাজে অভ্যাস দূর করার উপায়