আমেরিকায় বাংলাদেশী খাবার হোটেল ও বাজার

আমেরিকায় বাংলাদেশী খাবার হোটেল ও বাজার: বাংলা ভাষাভাষী অনেক মানুষই বর্তমানে আমেরিকায় থাকে বা যেতে চাচ্ছে। সবাই প্রথমে আমেরিকা গিয়ে পড়ে যায় অনেক সমস্যায়। এছাড়াও যারা পুরাতন আছে তারাও অনেক সমস্যায় পড়ে কারণ এখান কার ইংরেজী ভাষা আঞ্চলিক ইংরেজি হাওয়াতে বোঝা অনেক কষ্টকর। যাব কারণে আমেরিকায় যারা বসবাস করে বা আমেরিকায় যারা যেতে চাচ্ছেন।

তাদের প্রথমত দোকানে গিয়ে ভালোভাবে মন খুলে বাজার করা, এবং হোটেলে গিয়ে মন খুলে খাবার খাওয়া অনেক কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে যায় । তাই যেহেতু আমরা বাংলা ভাষায় কথা বলি, যদি বাংলা ভাষায় দোকান এবং বাংলা ভাষায় খাওয়ার হোটেল থাকতো তাহলে আমাদের জন্য উপকার হতো।

যদি আপনি এমন সমস্যায় ভুগে থাকেন তবে এই লেখাটি আপনার জন্য। আজকে এখানে আমি অনেক প্রয়োজনীয় তথ্য দিব যেগুলো আপনাদের অনেক উপকারে লাগবে। তাই যদি আপনি আমেরিকা যেতে চান. বা আমেরিকায় বর্তমানে বসবাস করতেছেন, উভয়ের জন্যই এটা প্রয়োজন।

তাই জেনে রাখুন আমেরিকায় কোন কোন জায়গায় বাংলাদেশি হোটেল, এবং বাংলাবাজার আছে। যেখানে বেশিরভাগ লোকেই কেনাবেচা করে বাংলায় এবং বেশিরভাগ লোকই বাংলাদেশী।

আমেরিকায় বাংলাদেশী হোটেল এবং বাজার চেনা কেন প্রয়োজন?

মূলত আপনার প্রয়োজনেই এই জায়গা গুলো আপনার চেনা প্রয়োজন। কারণ আপনি যদি সস্তায় এবং দেশীয় জীনিস পত্র ক্রয় করতে চান তাহলে এই জায়গাগুলো না চেনার কারণে আপনি তা ক্রয় করতে পারবেন না। তাছাড়া এখানে আপনি পাবেন আপনার রুচি মত দেশীয় খাবার ও শাকসব্জি যা অনেকটা তরতাজা।

এখানে আসলে আপনি দেশী খাবারের স্বাদ পাবেন। এখানে আসলে আপনি হালাল খাবার পাবেন। সব মিলিয়ে খাবার হোটেল এবং বাজার চেনা খুবই প্রয়োজন।

আমেরিকার কোথায় কোথায় পাওয়া যায় এই হোটেল এবং বাজার গুলো?

আমেরিকার যেসব অঞ্চলে বাংলা ভাষাভাষী মানুষ তথা বাংলাদেশেী মানুষ বেশি বসবাস করে মূলত সেই সব অঞ্চলেই বাংলাদেশি হোটেল এবং বাংলাবাজার গড়ে উঠেছে। আর এই সকল দোকানের মালিক থেকে শুরু করে  এখানকার সবাই বাংলা ভাষায় কথা বলে ।

যে সকল অঞ্চলে বাজার এবং হোটেল গড়ে উঠেছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো আমেরিকার জ্যাকসন হাইটস ও ওয়াশিংটন ডিসিতে। এছাড়াও আরো বেশ কিছু বাংলা মার্কেট আছে যার বেশির ভাগ এখানে উল্লেখ করা হলো।

 বাজারের নাম : হাট বাজার গ্রোসারি
স্থান: জেকসন হাইটস।
আমেরিকা

হোটেলের নাম : হাটবাজার খাবার হোটেল
স্থান: জেকসন হাইটস
আমেরিকা

হোটেলের নাম : খাবার বাড়ী খাবার হোটেল
স্থান: জেকসন হাইটস
আমেরিকা

হোটেলের নাম : আপনা বাজার
স্থান: জেকসন হাইটস
আমেরিকা

বাজারের নাম : বিউফরড হাইওয়ে ফার্মাস মার্কেটা
স্থান: ডুরাবিদ
আমেরিকা

কি কি পাওয়া যায় আমেরিকার এই হোটেল এবং বাজার গুলোতে?

এই হোটেল গুলোতে আপনি যদি যান তাহলে সাধারণত বাংলাদেশী খাবার তা সবগুলোই পাবেন যেমন – ভাত, গরুর মাংস, বাংলাদেশী মাছ, বাংলাদেশী শাকসব্জী, সকল প্রকার ভর্তা প্রত্যেকটি হোটেলে প্রায় বাংলাদেশী ৫০ ধরনের রান্না করা খাবার পাওয়া যায়। এছাড়াও কেউ যদি বিশেষ ভাবে খাবারের অর্ডার করে তবে সেগুলো রান্না করে দেওয়া হয়।

 আপনি যদি বাংলাদেশী বাজারে যান বাজার করতে পারবেন খুব সহজেই ।আর আপনি যদি এখানে বাজার করতে আসেন তাহলে অনেকটা ফ্রেশ শাকসব্জি সহ বাংলাদেশের সকল প্রকার শাকসব্জি  পাওয়া যায়। আর অন্যান্য শপিংমলের তুলনায় এখানে দাম অনেকটা কম। তাই আপনার এখানে বাংলাদেশী সকল প্রকার জীনিস পাওয়া যায়।

কি ভাবে আমেরিকার বাংলাদেশী বাজার ও  হোটেল গুলোতে আসবেন?

আপনি যে কোন জায়গায়ই থাকেন না কেন । আপনি খুব সহজেই এই বাজার গুলোতে আসে পারবেন। এখানে আসার

জন্য আপনার শুধু প্রয়োজন এই দোকানের পূর্ণ ঠিকানা যা উপরে দেয়া আছে। এই ঠিকানা অনুযায়ী আপনি শুধু ট্যাক্সি

চালককে বলবেন দেখবেন আপনাকে ঠিক মত জায়গায় নিয়ে গেছে। আপনার আর চিন্তা করতে হবে না।এছাড়াও আপনি

যদি বাসে দূর থেকে আসতে চান তাও আসতে পারবেন।

শেষ কথা:

আশাকরি উপরের তথ্যগুলো আপনার উপকারে আসবে। তাছাড়াও যদি আপার আরো কোন প্রকার তথ্যের প্রয়োজন হয়

তাহলে আমাকে জানাতে পারেন। আমি পরবর্তিতে আপনাকে প্রদানের চেষ্টা করবো। লেখাটি কেমন লাগলো দয়া করে

কমেন্স করে জানাবেন। আর যদি উপকার না হয়ে থাকে তবুও জানাবেন। আরো তথ্য যোগ করার চেষ্টা করবো। অনেক

অনেক ধন্যবাদ কষ্ট্য করে আমেরিকায় বাংলাদেশী খাবার হোটেল ও বাজার লেখাটি পড়ার জন্য।

আরো যে বিষয় গুলো পড়তে পারেন তাহলো :

. জীবন নিয়ে সেরা ২৫০ টি কথা .উক্তি

২. মা নিয়ে কিছু কথা ছন্দ, উক্তি ও মেসেজ

. কিছু কথার পিঠে কথা গান

. বাপের বেটা কবিতা 

৫.নীরবতা নিয়ে উক্তি, কবিতা

About 24 Favor

Check Also

National human trafficking awareness day 2023

National-human-trafficking-day is an International celebration event. If anyone celebrates this day he can use our …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *