নিজস্ব প্রতিবেদন লেখার নিয়ম- প্রতিবেদন হচ্ছে এমন একটি বিষয়, যেটা একটি ঘটনা বা বিষয়কে বিস্তারিতভাবে বর্ণনা
করে থাকে, অর্থাৎ আপনি একটি বিষয় সম্পর্কে না দেখিও শুধু প্রতিবেদন দেখেই যেস সেই বিষয় সম্পর্কে সম্যক ধারণা
লাভ করতে পারেন। আর এই প্রতিবেদন অনেক ধরনের হতে পারে। এর মধ্যে নিজস্ব প্রতিবেদন হচ্ছে অন্যতম
উল্লেখযোগ্য । আমরা অনেক সময় নিজের ব্যাপারে ব্যাখ্যা প্রদান করার জন্য বা অন্য কোন অফিসিয়াল বা নন
অফিসিয়াল প্রয়োজনে নিজস্ব প্রতিবেদন লিখে থাকি। আর নিজের ব্যাপারে ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য যে প্রতিবেদন লেখা হয়
সে প্রতিবেদনকেই মূলত আমরা নিজস্ব প্রতিবেদন বলে থাকি। আসলে আজকে নিজস্ব প্রতিবেদন সম্পর্কে বিস্তারিত
আলোচনা করব, যাতে করে আপনারা খুব সহজেই নিজস্ব প্রতিবেদন লিখতে পারেন, এবং নিজস্ব প্রতিবেদন কি সেটা
সম্পর্কে বুঝতে পারেন।
প্রতিবেদন লেখার নিয়ম ও নমুনা
সাধারণত প্রতিবেদন হলো এক প্রকার প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বর্পূূর্ নথি। যা কোন একটি উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে একটি
নিদিষ্টি কাঠামোতে রচিত হয়। অনেক সময় কোন প্রতিবেদনের সারাংশ মৌখক ভাবে প্রকাশ করা হলেও পূর্ণ প্রতিবেদন
সাথারণত নথি আকারে প্রাকাশ করা হয়ে থাকে। এখানে সাধারণত সব জায়গায় যে প্রতিবেদন গুলো লেখা হয় এই রকম
একটি নমমুনা প্রতিবেদন দেখবো । আর এই নমুনা দেখে বুঝার চেষ্টা করবো। সকল প্রতিবেদনই প্রয়ই একই অল্প একটু শুধু
পরিবর্তন করার হয়ে থাকে। আর তাই নিচে বুঝার সুবিধার জন্য একটি নমুমা প্রতিবেদন দেয়া হলো আপনার সুবিধা মত
এখান থেকে নমুনা নিয়ে আপনার প্রতিবেদনটি লিখতে পারেন।
নিচে প্রতিবেদনের নমুনা দেয়া হলো :
প্রতিবেদনের প্রকৃতি: এটা কোন ধরনের প্রতিবেদন তা স্পষ্ট করে এখানে লিখতে হবে। ।
প্রতিবেদনের বিষয়: যে বিষয়ে আপনি প্রতিবেদন লিখতে চাচ্ছেন সেই বিষয়টি পরিস্কার ভাবে লিখা
প্রতিবেদন তৈরীর সময়: আপনি যে সময়ে এই প্রতিবেদনটি তৈরী করতেছেন সেই সময়টি পরিস্কার করে লিখে রাখতে হবে।
প্রতিবেদনের তারিখ: এই অংশে প্রতিবেদনের তারিখ লিখতে হবে।
প্রতিবেদনের স্থান: আপনি কোন জায়গার জন্য প্রতিবেদন করছেন বা কোন স্থানে এই ঘটনাটি তা সবাই যেন বুঝতে পারে তা লিখা।
ঘটনার বিবরণ: এইখানে আপনি আপনার ঘটনার বিবরণ তুলে ধরতে হবে। তবে আপনাদের জন্য একটি পরামর্শ আর তা হলো প্রতিবেদন লেখার সময় কোন পক্ষ্য বা আবেগের তাড়নায় লেখা যাবেনা। এই প্রতিবেদন লেখার সময় সবসয় যে ঘটনাটি ঘটেছে হুবহু সেটাই বর্ণনা করতে হবে। যতটুকু সম্ভব পরির্পূর্ণ বিষয় তুলে ধরতে হবে।
প্রতিবেদনের সময়কাল: এখানে কোন সময় থেকে কোন সময়ের জন্য প্রতিবেদনটি তৈরী করা হয়েছে তা বর্ণনা করতে হবে।
প্রতিবেদকের স্বাক্ষর: যে প্রতিবেদনটি তৈরী করেছে তার স্বাক্ষর এখানে দিতে হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদন লেখার নিয়ম
অনেকেই নিজস্ব প্রতিবেদন লেখার জন্য বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করে থাকেন । তাদের জন্য এখানে নিজস্ব প্রতিবেদন
লেখার জন্য কিছু পরামর্শ দেয়া হলো ।আর তা হলো আপনি যদি এই ধরনের প্রতিবেদন তৈরী করেন তবে আপনাকে
উরোক্ত নমুনা ছকটি ব্যবহার করে শুধু প্রয়োজনীয় জায়গায় আপনার না ও তথ্য ব্যবহার করবেন। এতে করে দেখবেন খুব
সুন্দর একটি প্রতিবেদন তৈরী হয়ে গেছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন লেখার নিয়ম এর শেষ কথা
নিজস্ব প্রতিবেদন লেখার নিয়ম- একজন মানুষ কতটুকু সৃজনশীলতার তা প্রকাশ পায় তার কথা ও কাজের মাধ্যমে।
আর তাই আমাদের দ্বারা কত সুন্দর করে প্রতিবেদন লিখা হয়, সেটা আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদন লেখার মাধ্যমে ফুটে
উঠবে। আর যে যত সুন্দর করে প্রতিবেদন লিখতে পারে তার প্রতি মানুষ বেশি আস্তা রাখতে পারে। একই সাথে তাকে মানুষ
বেশি সম্মান করে । তাই আসুন আমাদের প্রতিবেদনগুলো যেন সুন্দর হয়, মানুষের কাছে যেন আর বেশি আকর্ষনীয় হয়।
আমাদের প্রতিবেদন দেখে যেন মানুষ সহজেই পড়তে পারে। আর আমাদের প্রতিবেদন যেন নিরপেক্ষ হয়। এই প্রত্যাশা
নিয়ে আজকের মত এখানে শেষ করছি। ভালো থাকবেন সুন্দর থাকবেন। ধন্যবাদ কষ্ট করে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত লেখা
টি পড়ার জন্য।