ভার্মি কম্পোস্ট তৈরী পদ্ধতি : বাংলাদেশ নদী-মাতৃক দেশ প্রতি বছরই বন্যার পানি ও অত্যধিক বৃষ্টির ফলে জমির
উপরিভাগের মাটি ধুয়ে জমির উরর্বরতা হ্রাস পায়। আজ কাল আমরা রাসায়নিক সারের উপর এত নির্ভরশীল যে রাসায়নিক
সার না হলে আমাদের চাষাবাদ চলেই না । তাছাড়া রাসায়নিক সার ক্রয় করার জন্য প্রচুর অর্থের ব্যায় করতে হয়।
আর তার জন্যই আমাদের বিকল্প হিসেবে জৈব সার আমাদের জমিতে ব্যবহার করা খুবই জরুরী। আজ আপনাদের আমি
এমন একটি জৈব সারের ধারনা দিব যে সার জমিতে কিংবা চাষাবাদের যে কোন জায়গায় ব্যবহার করলে আপনার জমির
উর্বরতা বৃদ্ধি সহ ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। তাই আজ এই ভার্মি কম্পোস্ট তৈরী পদ্ধতি আলোচানায় আমি বিষয়টি
ব্যাখা করবো যাতে করে খুব সহজেই বাড়িতে যে কেউ এই সার তৈরী করতে পারে।
ভার্মি কম্পোস্ট তৈরী পদ্ধতি এর ভার্মি কম্পোস্ট কী?
কেঁচো সার বা ভার্মি কম্পোষ্ট বলতে আমরা বুঝি এক ধরনের কেঁচো গোবর বা লতা পাতার আর্বজনা খাওয়ার ফলে তারা যে
পায়খানা করে অথবা কেঁচো মরা বা তাদের পায়খানার অংশকে আমরা কেঁচোসার বা ভার্মি কম্পোষ্ট বলি।
ভার্মি কম্পোস্ট এর উপাদান
মাটির জন্য ১৬ প্রকারের খাদ্য উপাদান প্রয়োজন আর এই খাদ্য উপাদানের ১০ টি কেঁচো সার বা ভার্মি কম্পোরষ্টে
বিদ্যমান। তাই কেঁচো সার বা ভার্মি কম্পোষ্টকে গাছের আর্দশ খাদ্য উপাদান বলে । কেঁচো সার বা ভার্মি কম্পোষ্টে যে
পরিমান খাদ্য উপাদান আছে তা নিম্নে বর্ণনা করা হলে।
- কেঁচো সার বা ভার্মি কম্পোষ্ট জৈব কার্বন আছে ১৮ ভাগ।
- পটাশের পরিমান আছে ২.৬ ভাগ ।
- ক্যালসিয়ামের পরিমান আছে ২ ভাগ।
- নাইট্রোজেন এর পরিমান আছে ১.৫৭ ভাগ হারে।
- কেঁচো সার বা ভার্মি কম্পোষ্টে ফসফরাসের পরিমাণ আছে ১.২৬ %।
- সালফারের পরিমান .৭৪ %।
- ম্যাগনেশিয়াম এর পরিমান আছে .৬৬ ভাগ।
- কেঁচো সার বা ভার্মি কম্পোষ্টে অল্প পরিমানে বোরন আছে যার পরিমান .০৬ ভাগ।
- সামান্য পরিমান পানি ও হরমোন কেঁচো সার বা ভার্মি কম্পোষ্ট রয়েছে।
ভার্মি কম্পোষ্ট সার কেন দরকার
আমরা জানি মাটি থেকে গাছ বিভিন্ন ধরনের খাদ্য উপাদান গ্রহণ করে থাকে । আর আমরা এই খাদ্য উপাদানের ঘাটতি
পূরনের জন্য মাটিতে বিভিন্ন প্রকার জৈব /অ-জৈব সার প্রদান করে থাকি। গাছ বড় হওয়ার জন্য, ফুল বা ফল আসার
জন্য গাছকে সুষম খাদ্য প্রদান করতে হয়। আর আমরা যারা গাছকে সুষম খাদ্য প্রদান করতে সক্ষম হই তারাই কেবল গাছ
থেকে আশানুরুপ ফুল বা ফল পেয়ে থাকি।
গাছ মাটি থেকে যে কয় প্রকার খাদ্য গ্রহণ করে থাকে তার বেশির ভাগ খাদ্য উপাদান ভার্মি কম্পোষ্টের মধ্যে বিদ্ধমান আর
তাই মাটির উর্বরতা তথা গাছের খাদ্য সরবরাহের জন্য ভার্মি কম্পোষ্ট এক অন্যতম উপাদান। তাছাড়া প্রতিবছরই
আমাদের সার ক্রয় করার জন্য অর্থ ব্যায় করতে হয় । আমরা যদি জমিতে পরিমান মত ভার্মি কম্পোষ্ট করি তাহলে
রাসায়নিক সারের খরচ অনেকাংশে কমে যেত।
ভার্মি কম্পোস্ট এর বৈশিষ্ট্য
আমরা জৈব সার তৈরী করার জন্য যে সকল ধাপ অনুসরন করবো মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো – গোবর প্রস্তুত পদ্ধতি ,পানি
প্রদান, কতদিন পর সার সংগ্রহ করতে হবে, কেঁচোর পরিমান ,কিভাবে আমরা সার সংগ্রহ করবো, সার সংরক্ষন ও
প্যাকেটিং পদ্ধতি, সার প্রস্তুত প্রণালী, সার পরিচর্যা ইত্যাদি । আসুন আমরা কথা না বাড়িয়ে ধাপে ধাপে জৈব সার তৈরীর
বর্ণনা করি। যদি আমার লেখা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েন তাহলে আপনি ১০০ ভাগ ভার্মি কম্পোষ্ট তৈরী সম্পের্কে
জানবেন।
ভার্মি কম্পোস্ট কিভাবে তৈরি হয়
ভার্মি কম্পোষ্ট তৈরীর জন্য যে সকল উপকরণ প্রয়োজন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো কেঁচো ,গোবর, পানি, গোবর রাখার
জন্য রিং অথবা পাকা করা হাউস অখবা পাকা করা গর্ত। সার কেঁচো থেকে আলাদা করার জন্য চালনা বা বড় আকারের
ছাকনি। গোবর নেয়ার জন্য বস্তা ,গামলা, গোবর উঠানোর জন্য কোদাল, পানি দেয়ার জন্য ঝাঝরি, গাম বুট, হাত মোজা
ইত্যাদি।
ভার্মি কম্পোস্ট কিভাবে তৈরি হয়
স্থান নির্বাচন কেঁচো সার তৈরীর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারন আমরা যদি অধিক শুকনো জায়গা নির্বাচন করি তাহলে গোবর
বার বার শুকিয়ে যাবে তাতে করে কেঁচো মরে যাবে অথবা কেঁচো ঠিক মত গোবর খেতে না পেরে উৎপাদন কমে যাবে
অন্য দিকে যদি বেশি স্যাঁত স্যাঁতে জায়গা নির্বাচন করি তাহলে গোবর ঝর ঝরে হবেনা, কেঁচো থেকে সার আলাদা করা
যাবেনা।
তাছাড়া আমরা যদি আমাদের চোখের আড়ালে বা বাড়ি থেকে অনেক দূরে ভার্মি কম্পোষ্ট প্লান্ট করি তাহলে দেখা-শুনা করা
আমাদের জন্য কষ্টকর হবে।
ভার্মি কম্পোষ্ট তৈরীর প্রধান প্রধান অন্তরায়
এ সার তৈরীর বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে তার মধ্যে প্রধান হলো গোবরের অপর্যাপ্ততা কারন হাল চাষে গরুর বদলে কলের
লাঙ্গল আসায় কৃষক গরু পালনে নিরুসাহিত তাছাড়া প্রতি বছর কোরবানির সময় ভারত থেকে গরু আসায় গরুর দাম কম
থাকার কারনে কৃষক গরু পালনে নিরুসাহিত হয়। যার ফলে সার করার জন্য পর্যাপ্ত গোবর পাওয়া যায়না।
পাখি ভার্মি কম্পোষ্ট এর কেঁচো খেয়ে থাকে তাই পাখিও ভার্মি কম্পোষ্ট উৎপাদনের জন্য ক্ষতিকর , হাঁস অথবা মুরগী ও
কেঁচো খায় যার ফলে ভার্মি কম্পোষ্ট উৎপাদন ব্যহত হতে পারে। পিপঁড়ে ও ইঁদুর কেঁচো চাষের অন্যতম অন্তরায়।
ভার্মি কম্পোষ্ট তৈরীর কৌশল
আমরা যদি ভার্মি কম্পোষ্ট তৈরী করতে চাই তাহলে আমাদের বেশ কিছু ধাপ অনুসরণ করে প্রস্তুত করতে হবে। একটি ধাপে
ভুল করলে অথবা অবহেলা করলে আপনার ভার্মি কম্পোষ্ট ভাল হবেনা বা আশানুরুপ পুষ্টিগুন থাকবেনা। তাছাড়াও
আমাদের ভার্মি কম্পোষ্ট থেকে আমরা লাভবান হতে পারবোনা । তাই আসুন আমরা ধাপে ধাপে ভার্মি কম্পোষ্ট কি ভাবে
তৈরী করতে হবে তা বিস্তারিত বর্ণনা করবো।
গোবর প্রস্তুত পদ্ধতি:
প্রথমেই আমরা আমাদের ভার্মি কম্পোষ্ট এর জন্য যে গোবর নির্বাচন করবো তা যেন পচাঁ গোবর হয় কোন ভাবেই তাজা
গোবর কেঁচোর খাদ্য হিসেবে দেয়া যাবেনা। সবচেয়ে ভাল হয় আপনার যদি বায়ো-গ্যাসের প্লান্ট থাকে আর বায়ো-গ্যাসের
প্লান্ট থেকে যদি গোবর সংগ্রহ করেন তাহলে সবচেয়ে ভাল হয় কারণ বায়ো-গ্যাসের প্লান্ট থেকে যে গোবর আনা হয় তার
মধ্য কোন প্রকার গ্যাস থাকেনা।
আমাদের যদি বায়ো-গ্যাসের প্লাান্ট না থাকে তাহলে ছায়া যুক্ত জায়গায় উপরে চালা দিয়ে গর্ত করে গোবর ২৫ থেকে ৩০
দিন সংগ্রহ করতে হবে এবং গোবর যখন পচেঁ মিথেন গ্যাস বের হয়ে যাবে তখন কেঁচোর খাবার বা ভার্মি কম্পোষ্ট এর জন্য
ব্যবহার করতে হবে। গোবর যদি রোদ্রে শুকায় বা বৃষ্টিতে ভেজে তাহলেও জৈবসারের গুনাগুন অনেক কমে যায়।
পানি প্রদান:
ভার্মি কম্পোষ্ট এর গোবর মাঝে মাঝে শুকিয়ে গেলে আমাদের পানি দিয়ে ভিজিয়ে দিতে হবে । তা নাহলে গোবর শুকিয়ে
যাবে । গোবর যদি শুকিয়ে যায় তাহলে কেঁচো সেই গোবর খেতে পারবেনা এবং আস্তে আস্তে কেঁচো মারা যাবে যার ফলে
আমরা আশানুরুপ ফল পাবো না। আমাদের সাধারণত শুষ্ক মৌসুমে ৩ থেকে ৪ বার এবং অন্যান্য মৌসুমে ২বার পানি
প্রদান করতে হবে।
কতদিন পর সার সংগ্রহ করতে হবে:
একটি ১২০ কেজি গোবরের রিং এ যদি আমরা হাফ (১/২) কেজি কেঁচো দেই এবং সব ধরনের পরিচর্যা ঠিক থাকে তাহলে
আমরা ৩০ থেকে ৩৫ দিনের মধ্যেই সার সংগ্রহ করতে পারবো বলে আশাকরি। আমরা যদি ১২০ কেজি গোবর দেই তাহলে
ধরা যায় আমরা যখন সার সংগ্রহ করবো তখন ৬০ থেকে ৬৫ কেজির মত সার সংগ্রহ করতে পারবো।
সার সংগ্রহের সময় আমাদের খেয়াল রাখতে হবে কোন ভাবেই যেন সারের সাথে কেঁচো অত্যাধিক হারে না যায়, তাহলে
পরবর্তীতে কেঁচোর সংকট দেখা যাবে।
কিভাবে আমরা সার সংগ্রহ করবো:
সকল গোবর যখন ঝুর ঝুরে হয়ে যাবে তখন বুঝা যাবে আমাদের গোবর কেঁচোর খাওয়া শেষ গোবর সারে পরিণত হয়েছে।
তখন রিং এর উপরিভাগ হতে নেড়ে চেড়ে আস্তে আস্তে সার সংগ্রহ করতে হবে । এতে করে কেঁচো নিচের দিকে চলে যাবে
এবং সহজেই সার সংগ্রহ করা যাবে। নিচের দিকের সার সংগ্রহের জন্য চালনা দিয়ে চেলে সার এবং কেঁচো আলাদা করতে হবে।
ভার্মি কম্পোস্ট ব্যবহারের নিয়ম
ভার্মি কম্পোষ্ট আমরা বিভিন্ন জায়গায় যেমন খেতে পুকুরে বা বস্তায় টবে ছাদে সহ সকল গাছ বা মাছ চাষের জন্য আমরা ব্যবহার করতে পারি।
ভামি কম্পোষ্ট হলো ফসলের জন্য আর্দশ জৈব সার যার কোন বিকল্প নেই। এই সার ব্যবহার করলে উৎপাদন অনেকগুন বেড়ে যায়।
মাছের পুকুরে ভার্মি কম্পোষ্টের ব্যবহার:
আমরা মাছের পুকুরে মাছের খাদ্য হিসেবে ভামি কম্পোষ্ট ব্যবহার করতে পারি । তাতে করে একদিকে যেমন মাছের খাদ্যর
পরিমান কম দিতে হবে অন্য দিকে মাছের উৎপাদন অনেকগুনে বেড়ে যাবে। আমরা যদি মাছ চাষকে লাভজনক ব্যবসায়
নিতে চাই তাহলে আমাদের মাছের পুকুরে অবশ্যই ভার্মি কম্পোষ্ট ব্যবহার করতে হবে। পুকুরে প্রতি হেক্টর ৩.৫ থেকে ৪
টন হারে দেয়া যেতে পারে।
ফসলের জমিতে ভার্মি কম্পোষ্টের ব্যবহার:
আমরা যদি জমিতে ভার্মি কম্পোষ্ট ব্যবহার করতে চাই তাহলে সকল জমিতেই আমরা ভার্মি কম্পোষ্ট ব্যবহার করতে
পারবো । তবে ফসল ভেদে ভার্মি কম্পোষ্ট পরিমান কম বেশি হতে পারে। সাধারনত প্রতি হেক্টর জমিতে ৪.৫ টন থেকে ৫
টন ভার্মি কম্পোষ্ট ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু যে সকল ফসলের জন্য সারের পরিমান বেশি লাগে যেমন ভুট্টা চাষের
জমিতে এটাকে বাড়িয়ে হেক্টর প্রতি ৫ থেকে ৬ টন দেয়া যেতে পারে ।
ছাদ কৃষির জন্য ভার্মি কম্পোষ্ট ব্যবহার:
আজকাল ছাদ কৃষি অনেক জনপ্রিয় একটি চাষাবাদ ব্যবস্থা শহর কিংবা গ্রামে যেখানেই ছাদ দেখা যায় সেখানেই কিছু না
কিছু চাষবাদ দেখা যায় । আর এই ছাদ কৃষির জন্য ভার্মি কম্পোষ্ট খুবই প্রয়োজন। আমরা যখন ছাদ কৃষির জন্য মাটি তৈরী
করবো তখন ৭:৩ হারে অর্থাৎ ১০০ কেজি মাটি তৈরী করার জন্য আমার ৭০ কেজি মাটি এবং ৩০ কেজি ভার্মি কম্পোষ্ট
লাগবে। এই অনুপাতে আমরা যদি ভার্মি কম্পোষ্ট দেই তাহলে আমরা আশানুরুপ ফুল বা ফল পাবো।
টবে বা বস্তায় চারা লাগানোর জন্য:
বাড়ীর সৌন্দর্য বৃদ্ধি তথা বাড়তি ফসলের বা ফুল চাষের করার জন্য আমরা অনেকেই টবে বা বস্তায় আদা সহ অন্যান্য
যেমন মরিচ, বেগুন,শসাঁ ,সহ বেশ কিছু চাষাবাদ করে থাকি । আর আমরা যদি এই চাষাবাদে ভার্মি কম্পোষ্ট সার ব্যবহার
করতে পারি একদিকে যেমন মাটিতে পানি ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে অন্যদিকে মাটির উর্বরতা অনেক বৃদ্ধি পাবে ।
তাই আমরা যখন টবে বা বস্তায় চারা লাগানোর জন্য মাটি তৈরী করবো তখন ৭:৩ ( সাত ভাগ মাটি তিন ভাগ ভার্মি কম্পোষ্ট
) ব্যবহার করবো।
ভার্মি কম্পোস্ট তৈরী পদ্ধতি এর ভার্মি কম্পোস্ট এর উপকারিতা
আমরা যেকোন ব্যবসা বা কাজ করিনা কেন তা লাভজনক কিনা তা আমাদের আগে বিবেচনা করতে হবে। আমাদের যারা
গ্রামে বসবাস করি তাদের বেশির ভাগ বাড়িতেই হাল চাষ বা বিক্রি করার উদ্দেশ্য গরু পালন করে থাকে তাছাড়া দুধ বিক্রি
বা খাবার উদ্দেশ্যও অনেকেই গরু পালন করে থাকেন। যেহেতু আমরা বিভিন্ন কারনে গরু পালন করে থাকি তাই বলা চলে
ভার্মি কম্পোষ্ট করার জন্য যে গোবর লাগে সেই গোবর আমরা বিনা টাকায় সংগ্রহ করতে পারবো ।
তাছাড়াও যদি আমাদের গোবর কিনতে হয় তার জন্য খুবই কম টাকা আমাদের খরচ করতে হয়। যার ফলে আমাদের ভার্মি
কম্পোষ্ট করে আমরা লাভবান হতে পারবো। ১ কেজি ভার্মি কম্পোষ্ট ১৫ থেকে ২০ টাকা হারে খুচরা এবং ১০ থেকে ১৫
টাকা হরে পাইকারী বিক্রি করা যায়। এবং বাজারে ভার্মি কম্পোষ্ট এর বেশ চাহিদাও রয়েছে।
ভার্মি কম্পোষ্ট সংরক্ষণ পদ্ধতি
এই সার সংরক্ষণ করার সময় আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যেখানে আমরা ভার্মি কম্পোষ্ট সংরক্ষণ করছি সেই জায়গাটি
ছায়াযুক্ত কিনা ? ভার্মি কম্পোষ্ট এর আদ্রতা ঠিক আছে কি না ? জায়গা বা ঘরটি স্যাঁত স্যাঁতে কিনা? মাটি বা ভেজা জায়গায়
ভার্মি কম্পোষ্ট সংরক্ষন করা যাবেনা। সব বিষয় ঠিক থাকলে ১ থেকে ১.৫ বছর পর্যন্ত সংরক্ষন করে ভার্মি কম্পোষ্ট ব্যবহার
করা যায়।
কেঁচো সারের দাম /জৈব সারের দাম /ভার্মি কম্পোস্ট কোথায় পাওয়া যায়
অনেকেই প্রশ্ন করেন আমরা ভার্মি কম্পোষ্ট কোথায় পাবো তাদের জন্য বলছি আপনি যদি ভার্মি কম্পোষ্ট জমিতে বা যে
কোন চাষাবাদের জন্য বা পুকুরের জন্য প্রয়োজন হয় তাহলে আপনার এলাকার কৃষি অফিসারের সাথে যোগাযোগ করতে
পারেন সে ভার্মি কম্পোষ্ট চাষি সম্পর্কে ভালভাবে জানে। তাছাড়া আমাদের কাছেও আপনি চাইলেও ভার্মি কম্পোষ্ট পাবেন
সেক্ষেত্রে আপনি আমাদেরে ইমেল syeful.islam@yahoo.com অথবা Mobile 01878205807 যোগাযোগ করলে ভার্মি
কম্পোষ্ট পাবেন।
এছাড়াও আপনি আমাদের ভিডিও দেখতে পারেন। ( ভিডিও দেখার জন্য ক্লিক করুন)
আমি আশাকরি আপনি যদি আমার ভার্মি কম্পোস্ট তৈরী পদ্ধতি লেখা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে থাকেন তাহলে কেঁচো সার বা ভার্মি কম্পোষ্ট
সম্পর্কে আপনার আর কোন জানার বাকি নাই । তার পরেও আপনাদের যদি কেঁচো সার বা ভার্মি কম্পোষ্ট কিছু জানার
থাকে তাহলে কমেন্টস বক্সে লিখতে পারেন পরবর্তী লেখায় আপনার মূল্যবান মতামত এর ভিত্তিতে উত্তর প্রদান সহ
আপনার চাহিদা মত লেখা প্রদান করবো। আর আমার লেখা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক
ধন্যবাদ।
একই জাতীয় লেখা:
১. কেন ভার্মি কম্পোষ্ট ব্যবহার করবো।
One comment
Pingback: কেন অ্যাডভান্স ভার্মি কম্পোস্ট সেরা- Why Advance Vermicompost Best