আজকে আমরা কথা বলবো , সোনা পরীক্ষা করার উপায় ও ক্যারেট মানে কি ? এই বিষয় সম্পর্কে।
আমরা অনেকেই সোনা ব্যবহার করে থাকি ,বিশেষ করে যারা মহিলা আছেন তাদের মধ্যে সোনা ব্যবহারের
চাহিদা বেশি। কিন্তু অনেক সময় সোনা সম্পর্কে ধারণা না থাকার কারণে আমরা প্রতারিত হই। আপনারা
যদি আমার এই লেখা টি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েন তাহলে অবশ্যই সোনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে
পারবেন খাটি সোনা চেনার উপায়, ক্যারেট মানে কি?, সোনার ক্যারেট চেনার উপায়, সবচেয়ে ভালো
সোনার ক্যারেট কত, সোনা পরীক্ষা করার উপায়, যন্ত্রের সাহায্যে সোনা পরীক্ষা করার উপায় , সোনা
পরীক্ষা করার ঘরোয়া উপায় এবং কোন ক্যারেট এর সোনার গহনা জন্য ভালো জানতে পারবেন। আমার
এই লেখাটিতে বিস্তারিত দেওয়া আছে অবশ্যই আপনারা মনোযোগ সহকারে পড়বেন। চলুন তাহলে আমরা
জেনে নেই-
ক্যারেট মানে কি ?
ক্যারেট মানে কি : ক্যারেট হল ভরির একক যা প্রতি 200 মিলিগ্রাম এর সমান (0.2 গ্রাম সমান 0.00 7055
)আউন্স। আগে শুধু মূল্যবান পাথর , হীরা রত্ন এসব ক্ষেত্রে ক্যারেট এর একক ব্যবহার করা হতো । তবে
এখন অন্যান্য মূল্যবান রত্ন পাথর এমন কি সোনা পরিমাপক হিসেবেও এটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
সোনার ক্যারেট চেনার উপায়
সোনার ক্যারেট চেনার উপায় : আপনি যে সোনার গহনা, বাট বা কয়েন কিনছেন সেটা খাটি কিনা
বোঝার সবচেয়ে সহজ উপায় হল হলমার্ক । আর বেশিরভাগ সময়েই হলমার্ক চিহ্ন গহনার ভিতরের দিকে
দেওয়া হয়ে থাকে। সোনার রেট অনুযায়ী নিচের এই নম্বরগুলি অনুসরণ করা হয় যথা ২৪,২২,১৮,১৬,১৪,১০
তবে নম্বর গুলো যত উপরের দিকে দেওয়া থাকবে বুঝতে হবে সেই সোনা গুলোই হল খাটি সোনা বা সেই
সোনার গুণগত মান অনেক বেশি ভালো। আশা করি আপনারা সোনার ক্যারেট চেনার উপায় বুঝতে
পেরেছেন।
খাঁটি সোনা চেনার উপায়
খাঁটি সোনা চেনার উপায় : সোনার মূল্য ,স্থায়িত্ব, ব্যবহার, এবং সোনার বর্ণের উপর সোনার ক্যারেটের
মান নির্ভর করে। বর্তমানে বাজারে সোনা যাচাই করার জন্য স্পেকট্রোমিটার যন্ত্র আছে , যে যন্ত্রের মাধ্যমে
আমরা খাঁটি সোনা চিনে নিতে পারি। তাছাড়া সবচেয়ে সহজ উপায় হল হলমার্ক যুক্ত সোনা কেনা ।সোনার
ক্যারেট অনুযায়ী সাধারনত সোনার হলমার্ক হল ২৪, ২২, ২০, ১৮, ১৬, ১৪ এবং ১০এই নম্বরগুলো দিয়ে
সহজেই খাঁটি সোনা চেনা যায়।আপনারা যদি উপরের দিক নির্দেশনা মেনে চলেন তাহলে ঠকার কোন
সম্ভবনা নাই।
সবচেয়ে ভালো সোনার ক্যারেট কত ?
সবচেয়ে ভালো সোনার ক্যারেট কত : বাজারে অনেক রকমের ক্যারেটের সোনা পাওয়া যায় ,তবে
আমরা জানি যে সবচেয়ে ভালো সোনা হলো ২৪ ক্যারেট এর সোনা। তবে অলংকার তৈরির জন্য ভালো
সোনা হল ২২ ক্যারেট ।যেহেতু ২৪ ক্যারেট সোনা তুলনামূলক নরম হয়ে থাকে সেজন্য ২৪ ক্যারেট সোনার
অলংকারের জন্য ব্যবহারের অনুপযোগী।২৪ ক্যারেট সোনায় রয়েছে ৯৯.৯৯% সোনা।
সোনা পরীক্ষা করার উপায়
সোনা পরীক্ষা করার উপায় : সোনা কেনার আগে আমাদের অবশ্যই যাচাই করে কিনতে হবে । সোনা
যাচাই করার জন্য কিছু উপায় আছে । যেমন- যন্ত্রের সাহায্যে স্পেকট্রোমিটারের সাহায্যে পরীক্ষা করা এবং
ঘরোয়া কিছু উপায় আছে যেগুলো দ্বারা আমরা সহজেই খাটিসোনা চিনতে পারি। আপনারা যদি আমাদের
নিয়মগুলো অনুসরণ করেন তাহলে অবশ্যই কোনভাবে ঠকার সম্ভাবনা থাকবে না।
যন্ত্রের সাহায্যে সোনা পরীক্ষা করার উপায়
যন্ত্রের সাহায্যে সোনা পরীক্ষা করার উপায় : আজকাল সোনায় ভেজাল থাকার কারণে আমরা
দুশ্চিন্তায় ভুগে থাকি। সোনা কেনার আগে আমাদের নানান ধরনের চিন্তা হয়ে থাকে । তবে আমরা এই
চিন্তার অবসান ঘটাতে পারি পরীক্ষা কড়ার মাধ্যমে। আর স্পেকট্রোমিটার দিয়ে পরীক্ষা করা হলে আমরা
ভালভাবে বুঝতে পারি সোনার আসল কিংবা নকল সম্মন্ধে। স্পেকট্রোমিটার যন্ত্রটি দিয়ে পরীক্ষা করার
মাধ্যমে আমরা সুনিশ্চিত হতে পারি।
সোনা পরীক্ষা করার ঘরোয়া উপায়
সোনা পরীক্ষা করার ঘরোয়া উপায় : যদিও আমরা অনেক সময় সোনার গহনা কিনে থাকি । কিন্তু
আমাদের আসল সোনা সম্পর্কে ধারণা না থাকার কারণেই দোকানদার যা বলে সেটাকে খাঁটি সোনা হিসাবে
বিবেচনা করতে হয়। তবে ঘরোয়া কিছু উপায় আছে যেগুলো আমরা যাচাই করার মাধ্যমে পরিক্ষা করতে
পারি । যেমন- সোনায় যদি লোহা মেশানো থাকে তবে আমরা চুম্বক এর মাধ্যমে পরীক্ষা করতে পারি ।
তাছাড়া ও যদি একটি চীনা মাটির পাত্রে সোনার গহনা ঘষা দেই তাহলে যদি সেখানে কালো দাগ পড়ে তাহলে
বুঝতে হবে সোনায় লোহা মেশানো আছে, আর যদি সোনালী রং দাগ পড়ে তাহলে বুঝতে হবে এটা খাঁটি
সোনা। আশা করি আপনারা সোনার পরীক্ষ সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন।
কোন ক্যারেট এর সোনার গহনা জন্য ভালো
কোন ক্যারেট এর সোনার গহনা জন্য ভালো : আমরা জানি ২৪ ক্যারেটের সোনা হল সবচেয়ে ভালো
এবং খাঁটি সোনা । কিন্তু ২৪ ক্যারেটের সোনা নরম থাকার কারনে এই সোনা দিয়ে গহনা তৈরি করা হয় না ।
মূলত গহনা ভালো হয় ২২ ক্যারেটের বা ২১ ক্যারেট এর সোনা দিয়ে । তাছাড়া আরো একটি কথা বলে রাখি
, মনি- মুক্তা বসানো গহনা তৈরী করলে যদিও গহনা সুন্দর দেখা যায় কিন্তু পরে প্রয়োজনে বিক্রি করার সময়
ভাল দাম পাওয়া যায় না। তাই আপনারা গহনা তৈরীর সময় ভালো করে ভেবে চিন্তে গহনা তৈরী করবেন।
শেষ কথা
আপনারা যারা আজকের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমার এই সোনা পরীক্ষা করার উপায় ও ক্যারেট
মানে কি ? লেখা টি পড়েছেন ,তাদের অসংখ্য ধন্যবাদ। আর এই পড়াটা পড়ে নিশ্চয়ই আপনাদের সকল
প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেছেন। তারপরও যদি আপনাদের আরো কিছু জানার থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের
কমেন্ট করে জানাবেন । নিম্নে আপনাদের জন্য আরও কিছু লেখার লিংক দেওয়া হলো। প্রয়োজন মনে
করলে পড়তে পাড়েন। আশা করি কাজে লাগবে ।
একই বিষয়ে পড়তে পারেনঃ
- সৌদি আরব ভিসা কত প্রকার
- সুইজারল্যান্ড সংবিধান ও জনপ্রিয় স্থান
- সুইজারল্যান্ড ভাষা এবং প্রশাসন
- সুইজারল্যান্ড কোন মহাদেশে অবস্থত
- সুইজারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
- সুইজারল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা
- সুইজারল্যান্ড ভ্রমণ ভিসা
- সুইজারল্যান্ড নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায়
- নিউজিল্যান্ড দেশের পরিচিতি ও জনসংখ্যা কত?
- নিউজিল্যান্ড ভিসা ও বেতন কত?
- নিউজিল্যান্ডের মুদ্রার নাম ও মান কত?
- পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ও কোন কাজের চাহিদা বেশি
- নিউজিল্যান্ড নাগরিকত্ব ও স্থায়ী বসবাসের সুবিধা
- বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যাওয়ার নিয়ম ও আবেদন
- পর্তুগাল দেশ কেমন
- পর্তুগাল স্টুডেন্ট ভিসা
- পর্তুগাল টুরিস্ট বা ভিজিট ভিসা এবং কি কি কাগজপত্র লাগে
- সোনার খাদ চেনার উপায় ও কেনার কৌশল
- নিউজিল্যান্ড বনাম বাংলাদেশ
- পর্তুগাল ভিসা আপডেট ও যেতে কত টাকা লাগে