শেখ রাশেল সম্পর্কে কবিতা: শুক্রবার ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বাংলাদেশের জন্য এক কলঙ্কিত অধ্যায়। এই দিনকে বলা হয় বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কালো দিন। আর এই দিনেই সংঘটিত হয়েছিল নির্মম হত্যাকাণ্ড। ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাসায় সেদিন ঘাতকরা কেড়ে নিয়েছিলেন অনেকগুলো তাজা প্রাণ ।
আর সে খানেই নির্মম ভাবে হত্যা করে ছোট্ট একটি শিশু যার নাম শেখ রাসেল। পরিবারের সবার সাথে তাকেও হত্যা করা হয় নির্মমভাবে । আর এই হত্যা কান্ড জাতি কখনো মেনে নেয়নি আর মেনে নিবেও না। আর তাই এই হত্যা কান্ড জাতির জন্য কলঙ্কিত অধ্যায় হয়ে থাকবে ।
শেখ রাশেল সম্পর্কে কবিতা এই লেখাটিতে শেখ রাসেল সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হল এবং তার জন্মদিনকে ঘিরে বিভিন্ন কবিতা উপস্থাপন করা হলো যা তার জন্মদিনে আপনারা ব্যবহার করতে পারবেন।
শেখ রাসেলেরে জন্মদিন
রাসেলেরে জন্মদিন- পরিবারের সবাইকে খুসি করার জন্য মহান আল্লাহর রহমতে বাংলাদেশের মহানায়ক শেক মুজিবুরের ঘরে জন্ম ঘরে জন্ম নেয় এক সোনার ছেলে। আর সেদিন ছিল ১৮ই অক্টোবর ১৯৬৪ সালের রোজ রবিবার পরিবারের সর্বকনিষ্ট এক চাঁদ জন্মগ্রহণ করে। আর তার নামই রাখা হয় শেখ রাসেল।
শেখ রাসেলের পরিচয়
উড়ন্ত এক পাখির নাম শেখ রাসেল। যার ছুটা ছুটিতে মুখরিত থাকতো ধানমন্ডির ৩২ নং বাসাটি। শেখ রাসেল ছিল বাংলার
মহানায়ক শেখ মুুজিবরের পাঁচ সন্তানের মধ্যে সর্বকনিষ্ট সন্তান। আর তার বাকি চার ভাই বোনের মধ্যে হলো । বর্তমান
বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রী -শেখ হাসিনা , শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শেখ রেহেনা। ভাই বোন সবাই শেখ রাসেলের বড়
ছিল।
শেখ রাসেলের জীবনী/ শেখ রাসেল রচনা
১৮ অক্টোবর ১৯৬৪ সালে জন্মগ্রহণ করা রাসেল ধরনীর বুকে বেঁচেছিন মাত্র ১০ বছর কয়েক মাস। তার শৈশব কেটেছে
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার ধানমন্ডিস্থ ৩২ নং বাসায়। ছোট বেলাতে তিনি খুব কবুতর প্রেশি ছিল । শেখ রাসেল ছিল খুবই
হাসি খুসি এবং দূরন্ত। সবসময় সারা বাড়ী তার কলাহলে মুখরিত থাকতো। রাসেল ছিল সবার চোখেঁর মনি। সবার আদরের।
সবাই তাকে খুবই ভালবাসতো। সেই কালো রাতে সবাইকে যখন নির্মম ভাবে হত্যা করছিল তখন (ব্যক্তিগত কর্মচারী
এএফ এম মহিতুল ইসলামের ভাষ্যমতে) “রাসেল দৌড়ে এসে আমাকে জাপটে ধরে । আর বলতে থাকে ভাইয়া আমাকে
মারবে না তো? রাশেলের সে কন্ঠ শুনে আমার চোখ দিয়ে পানি এসেছিল। এর পর এক ঘাতক এসে আমার মাথায়
রাইফেলের বাট দিয়ে ভীষন জোরে আঘাত করলো। আমাকে মারতে দেখে রাসেল আমাকে ছেড়ে দিল ।
শেখ রাসেল তখন কান্নাকাটি করতেছিল আর বলতেছিল আমি মায়ের কাছে যাব। তখন আরেক শয়তান ঘাতক এসে বল্ল
চল তোর মায়ের কাছে দিয়ে আসি। আমি বিশ্বাস করতে পারিনি সেই ঘাতকরা এত নিষ্ঠুর ভাবে ছোট্র সেই শিশুটিকেও ব্রাশ
ফায়ার করে হত্যা করবে। আর এভাবেই নিভে গেল ছোট্র রাসেল সোনার প্রাণ প্রদীপ।
শেখ রাসেলের জন্মদিনের কবিতা
নিষ্পাপ ছোট্ট শিশু জন্ম নিয়েছিল বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা বীরশ্রেষ্ঠ শেখ মুজিবরের ঘরে। ১৮ ই অক্টোবর ১৯৬৪
সালে জন্ম নেয়া সেই শিশুটি অকালে পরিবারের সবার সাথে মৃত্যুবরণ করে। সে যেন আমাদের মাঝে বেঁচে আছে লাল
সবুজের পতাকায় । তার এই করুন মৃত্যু বাংঙ্গালী কখনো মেনে নেয়নি আর নেবেও না। আর তাই তার জন্মদিনটা আমরা
পালন করবো যতদিন বাংলাদেশ থাকবে।
রাসেল পাখির জন্মদিনের কবিতা
লিখেছেন কালের লিখন
আজ দিনটা অনেক খুশির মেঘ আদরে বূনা।
এমন দিনে জন্মেছিলো ছোট রাসেল সোনা
বাবার আদর মায়ের চুমু বুবুর ভালোবাসা
রাসেল ছিল স্বপ্নবালক সবার মনের আশা
পায়রা প্রেমে কাটতো সকাল-দুপুরে বল খেলা
বিকেলেতে লাল সাইকেল গড়িয়ে যেতে বেলা
সবার আদর সবার স্নেহ সবার ভালোবাসা
থাকতো ভরে উচ্ছ্বাসে ৩২ এর বাসা।
হঠাৎ একদিন মধ্যরাতে থমকে যায় সব
৩২ এর ছোট্র পাঁখি আর করে না রব।
এই বাংলার মাঠে ঘাটে স্কুলেতে রোজ
আজও বুবুর দু-চোখ করে রাসেল সোনার খোঁজ
স্বর্গ থেকেও রাসেল যেন বুবুর সাথে থাকে
কচিঁ শিশুর হৃদয় জুড়ে স্বপ্ন ছবি আঁকে
রাসেলের পাখির জন্মদিনে গান কবিতার ভিড়ে
রাসেল থাকুক অমর হয়ে মনের গহীন নীরে।
শেখ রাসেল ছোট কবিতা:
অনেক প্রতিযোগীতায় শেখ রাসেল সম্পর্কে কবিতা লিখতে হয় । তাছাড়া শেখ রাসেলের জন্মদিন পালন করার জন্য নেয়া
হয় বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্তা । আর তাই সেখানে আপনি ইচ্ছে করলে এই কবিতাটি ব্যবহার করতে পারেন।
শুভ হোক তুমার জন্মদিন
লেখক – সংগৃহীত
পাখির মত উড়ত সে যে
ফুলের মত হাসতো
কবুতরের সঙ্গি হয়ে
খুসির দেশে ভাসত।
হঠাৎ করে একটি কালো
রাত্রি এলো নেমে
ঘাতক নিল জীবন কেড়ে
স্বপ্ন গেল থেমে।
পঁচাত্তুরের আগষ্ট মাসে
নেকড়ে গুলোর দল
ছিড়লো সোনার জীবন প্রদীপ
বন্দুকেরই নল।
সে খানেতে একটি
ছিল ছোট্র শিশু হায়
পরিবারের সবার সাথে
জীবন গেল তার।
বড় হয়ে সেই ছেলেটি
দেশ কাঁপাতো ঠিক
তাকেও তারা মারলো যেন
হয়ে দিক বেদিক।
রাশেল নামের সেই ছেলেটি
স্বপ্ন বুকে বাঁচে
রাসেল আছে গান কবিতায়
লাল সবুজের মাঝে।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর পর্ব
আমারা আজকে এখানে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন করবো এবং এর উত্তর দিব । যে প্রশ্ন গুলো মানুষ সাধারনত করে থাকে।
এছাড়াও এই প্রশ্ন উ্ত্তর গুলো পড়লে আপনার সাধারণ জ্ঞান বৃদ্ধি পাবে। তাই চলুন কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিচে তুলে ধরি।
এছাড়াও এই তথ্য গুলো আপনি ইচ্ছে করলে শেয়ার করতে পারবেন বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও।
শেখ রাসেলের জন্মদিন কি বার ছিল?
উত্তর : শেখ রাসেলের জন্মদিনটি ছিল রোজ রবিবার।
শেখ রাসেলের জন্মদিন কত তারিখ ও কত সাল ছিল?
উত্তর: তার জন্মদিনটি ছিল ১৮ই অক্টোবর ১৯৬৪ সাল।
শেখ রাসেল এর কয় ভাই বোন ছিল?
উত্তর: তার দুই ভাই ও দুই বোন ছিল। সে সহ মোট পাঁচ ভাই বোন ছিল।
রাসেলের মৃত্যুর কি বার, কত তারিখ ও সাল কত ছিল?
উত্তর: তাঁর মৃত্যুর বার ছিল রোজ শুক্রবার তারিখ ছিল ১৫ই আগষ্ট আর সাল ছিল ১৯৭৫ ।
শেখ রাসেল কত বছর বয়সে মারা যান?
উত্তর: শেখ রাশেল ১০ বছর ৯ মাস ২৭ দিন বয়সে মারা যান।
শেখ রাসেল কোথায় কার সাথে বসবাস করতেন?
উত্তর: তিনি তার বাবা মা সহ পরিবারের সবার সাথে ধানমন্ডির ৩২ নং বাসায় বসবাস করতেন।
শেখ রাসেল দিবস কবে?
১৮ ই অক্টোবর শেখ রাসেল দিবস।
আমাদের ছোট রাসেল সোনা বইটি কার লেখা
এই বইটি আমাদের মহান নেতার প্রিয় ছোট ছেলের জীবন কাহিনীর ওপর লেখা বই। যার লেখক আমাদের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা তার এই বইটি প্রথম প্রকাশ করা হয় ২০১৯ সালে।
শেখ রাসেল অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতার ফলাফল
যারা কুইজ প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করেছেন এখন ফলা ফল দেখার জন্য অপেক্ষা করছেন তাদের জন্য এখানে আমরা
বলে দিব আপনি আপনার ফলা ফল কিভাবে পেতে পারেন। আর তার জন্য আপনি নিচের ধাপ গুলো অনুসরণ করে
আপনার ফলা ফলটি জানতে পারবেন। আর তার জন্য এখানে ক্লিক করুন। এছাড়াও আপনি নিচের ঠিকানাটি ব্যবহার
করতে পারেন।
www.sheikh russel.gov.bd 2022
শেখ রাসেল সম্পর্কে উক্তি
আমরা অনেকেই শেখ রাসেলকে ভালবেসে তার জন্মদিন সহ বিভিন্ন দলিয় বা অন্যান্য অনুষ্ঠানে তার প্রতি ভালবাসা প্রকাশ
করার জন্য বিভিন্ন ধরনের উক্তি প্রদানের চেষ্টা করি । কিন্তু অনেক সময় ভাল উক্তি গুলো খুঁজে পাইনা। আর যারা এই
ধরনের উক্তি খোঁজ করতেছেন তাদের জন্যই আমার এই লেখা। এখানে আজকে শেখ রাসেলকে নিয়ে খুবই সুন্দর এবং
অনকমন কিছু উক্তি দিব । যেগুলো আপনি শেয়ার করতে পারবেন বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও।
রাশেল হলো সবার সেরা
সবার নয়ন মনি।
রাসেলকে তাই দিব মোরা
ভালবাসার খনি।
ছোট্র রাসেল দোষ ছিলনা
মারল কেমন করে।
একটুও কি পাষাণ হৃদয়।
কাঁদলোনা তোর ওরে।
সবার ছোট রাসেল সোনা
করত ছুটা ছুটি
নর পশু মারলো ওরে
শক্ত হাতে ধরে টুটি
ছোট্র সোনা জাদুর কাটি
সুখেই স্বর্গে থাকো
সবার ভালবাসা নিয়ে
ভালবাসার ছবি আঁকো।
তুমি ছিলে সবার কাছে
অতি প্রিয় মুখ
তুমায় দেখে প্রণ জুড়াতো
পেতো সবাই সুখ।
শেখ রাসেল সেনানিবাস কোথায় অবস্থিত
অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন শেখ রাসেল সেনা নিবাস টি কোথায় অবস্থিত তাদের এই প্রশ্নের উত্তরের জন্য জানানো যাচ্ছে
যে এই শেখ রাসেল সেনানিবাস টি হলো বাংলাদেশের প্রখ্যাত শহর মুন্সিগন্জ ও শরীয়তপুর জেলায়। আপনাদের বুঝার
সুবিধার জন্য এই খানে ইংরেজীতে বিস্তারিত ঠিকানা দেয়া হলো-Sheikh Russel Cantonment is a Bangladeshi military
cantonment near Padma Bridge in Munshiganj and Shariatpur Districts, Bangladesh.
শেষ কথা:
আশাকরি উপরোক্ত শেখ রাশেল সম্পর্কে কবিতা লেখাটি পড়ে আপনার অনেক ভাললেগেছে। আর আমার এই লেখাটি
পড়ার পড় রাশেল সম্পর্কে আপনার ধারনাই পাল্টে গেছে। যদি লেখাটি পড়ে ভাললেগে থাকে। তবে অনুরোধ করছি
লেখাটি সবার সাথে শেয়ার করার জন্য কারন আপনার একটা শেয়ারের কারনে অন্যজনও এই সম্পর্কে জানতে পারবে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ কষ্ট করে লেখাটি পড়ার জন্য।
আরো যে বিষয় গুলো পড়তে পারেন তাহলো :
১. জীবন নিয়ে সেরা ২৫০ টি কথা .উক্তি
This information is halpfull to me