খেজুর খাওয়ার উপকারিতা: আজকে আমি আপনাদের সাথে অনেক ইন্টারেস্টিং একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। যে আলোচনাটি আমাদের সবারই জানা প্রয়োজন। আমরা যদি সুস্থ সবল থাকতে চাই, এবং জীবনকে আরো বেশি উপভোগ করতে চাই, তাহলে এই বিষয়টি অত্যাধিক গুরুত্বপূর্ণ আপনার জন্য। আর আজকের বিষয়টি হচ্ছে খেজুরের উপকারিতা নিয়ে।
আমরা খেজুর খেলে আমাদের শরীরে কি কি উপকার হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। যদি আপনি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত খেজুর খাওয়ার উপকারিতা পড়েন, তাহলে আমি আপনাকে গ্যারান্টি দিচ্ছি এটা আপনার জীবনে অনেক উপকারে আসবে। আজকের এই আলোচনায় আর দেরি না করে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন এবং জেনেনিন খেজুরের বিভিন্ন উপকারিতা।
খেজুর কি?
যদিও উন্নত জাতের খেজুর আমাদের দেশে জন্মায় না তবুও এর ইংরেজি নাম ডেট(Date) এটা এক ধরনের তালজাতীয় শাখাবিহীন বৃক্ষের ফল। এটা মানব সভ্যতার ইতিহাসে সুমিষ্ট ফল হিসেবে এর গ্রহণযোগ্যতা পাওয়া যায়। আদিকাল হতেই এর চাষাবাদ হয়ে আসছে। ভাল জাতের খেজুর সাধারণত মরু এলাকায় ভাল জন্মে।
খেজুর হচ্ছে গাছের ফল। এক সময় আরব দেশ সমূহের লোক জন খেজুর খেয়ে দিন যাপন করত। যদিও এটা মরু অঞ্চলের ফল কিন্তু বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এর বানিজ্যিক চাষাবাদ হচ্ছে।
সারা পৃথিবীতে কিছু জনপ্রিয় খেজুর আছে আর সেগুলো হলো – আজুয়া, আনবারা, সাগি,সাফাওয়ি,মুসকানি, খালাস,ওয়াসালি,রেহি, শালাবি,ডেইরি,মাবরুম,ওয়ন্নাহ,সেফরি,সুক্কারি,খুদরি ইত্যাদি।
কোথায় পাওয়া যায়?
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে খেজুর পাওয়া গেলেও সব দেশেই খেজুর জন্মায় না। সবচেয়ে খেজুর ভালো জন্মায় মধ্যপ্রাচ্যের মরুভূমি দেশগুলোতে । মরুভূমিতে সবচেয়ে ভাল খেজুর হয়। এছাড়াও বিভিন্ন স্থান এবং অঞ্চল ভেদে বিভিন্ন ধরনের খেজুর পাওয়া যায়, তবে সবচেয়ে ভাল খেজুর জন্মায় মরুভূমি অঞ্চলে। যে সকল দেশে ভালমানের খেজুর জন্মায় সে দেশগুলোর নাম উল্লেখ করা হলো।
- সৌদি আরব
- মিশর
- জর্ডান
- তিউনিশিয়া
- ভারত
- পাকিস্তান ।
খেজুরের পুষ্টি উপাদান সমূহ
পুষ্টিগুণ বিবেচনা করলে খেজুরের জুড়ি মেলা ভার। খেজুরের মধ্যে রয়েছে বহু পুষ্টিগুণ। যে পুষ্টি গুন গুলো মানবদেহের জন্য অতীব প্রয়োজনীয়। আর এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে নিম্নোক্ত যেমন- ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও জিঙ্ক যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই দরকারি।
খেজুরের পুষ্টি সম্পের্কে পরিস্কার ধারনা দেয়ার জন্য বলা হয় ৩০ গ্রাম পরিমা খেজুরে আছে ৯০ ক্যালোরি, এক গ্রাম প্রোটিন,১৩ মি.লি গ্রাম ক্যালসিয়াম,২ দশমিক ৮ গ্রাম ফাইবার ।
খেজুর খাওয়ার নিয়ম
খেজুর আপনি যে কোন সময় খেতে পারেন । এতে করে পুষ্টির কোন ঘাটতি হবে না। তবে বেশি পরিমাণে পুষ্টি পেতে গেলে কিছু নিয়ম করে খেজুর খেতে হবে । আর তাহলো আপনি যদি অধিক পরিমাণ পুষ্টি পেতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে সকালে খালি পেটে খেজুর খেতে হবে। এতে করে আপনি সারা দিন কাজের জন্য দেহে শক্তি পাবেন।
এছাড়াও যদি আপনি সকালবেলায় ব্যায়াম করেন তার আধঘন্টা আগে খালি পেটে যদি খেজুর খান তাহলে সহজেই শরীরে ক্লান্তি আসে না। পাশাপাশি পেটের ভিতরে থাকা দূষিত পদার্থও বেরিয়ে আসে । আবার যদি আপনি সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালবেলা খেজুর খান তাহলে খেজুরের পুষ্টিগুণ আরো বেড়ে যায়।
এভাবে আপনি প্রতিদিন নিয়ম করে খেজুর খেলে পুষ্টির পরিমাণ বেশি পাবেন।
ইসলামে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা
খেজুর খাওয়ার উপকারিতা সম্পের্কে পবিত্র কোরআন শরিফে ২৬ বার বলা হয়েছে। এছাড়াও সূরা মরিয়মে এর উপকারিতা বর্ণনা করা হয়েছে। বিবি মরিয়ম (রা.) যখন প্রসব বেদনায় কষ্ট পাচ্ছিলেন তখন তিনি একটি খেজুর গাছের নিচে বসেছিলেন , তিনি গাছকে নড়তে বলেছিলেন এবং গাছ নড়ার ফলে যে খেজুর নিচে পড়েছিল তা তিনি খেয়েছিলেন প্রসব বেদনার উপশমের জন্য।
আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) প্রিয় ফল ছিল খেজুর। যার কারনে তিনি প্রতিদিন সকালে ৭ টি খেজুর দিয়ে নাস্তা করতেন।
প্রিয় নবীজী সবাইকে রমজান মাসে খেজুর এবং পানি দিয়ে ইফতারি করার জন্য উপদেশ দিতেন । এথেকে
খেজুরের গুরত্ব কতটুকু তা বুঝা যায়। আর তাই তিনি বলেন যাদের বাড়ীতে অল্পকিছু খেজুর গাছ আছে
তাদেরকে গরীব বলা যাবে না। কারণ পবিত্র কোরআন শরীফ প্রথম লেখা হয়েছে এর পাতা দিয়ে।
খেজুরের বর্ণনা দিতে গিয়ে আল্লাহ্তায়ালা তার পবিত্র কুরআনশরীফের সূরা-আবাসা ,আয়াত:২৭ এ বলেন যার বাংলা অর্থ
’’আমি জমিনে উৎপন্ন করেছি শস্য-দ্রাক্ষী , শাক-সবজি,জয়তুন ও খেজুর বৃক্ষ’’
খেজুর সম্পের্কে সূরা -নাহাল ,আয়াত:৬৭ আরেকটি আয়াতের বাংলা অর্থ
’’খেজুর ও আঙ্গুর ফল থেকে তোমরা সাকার ও উত্তম খাদ্য তৈরি কর। নিঃসন্দেহে বুদ্ধিমান লোকদের জন্য এতে নিদর্শন রয়েছে’’
হযরত সায়ীদ (রা.) বর্ণনা করেন একদা আমি অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রিয় নবী আমাকে দেখতে তাশরিফ নিয়ে
এলেন। রাসুলে পাক (সা.) পবিত্র শীতলতা আমার অন্তর পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল। অতঃপর রাসুলে
আকরাম (সা.) এরশাদ ফরমান-তুমি অন্তরে কষ্ট অনুভব করছ। তুমি হারেস ইবনে কালাদাহ সাক্কিফীর
কাছে যাও । কারণ সে একজন চিকিৎসক। সে যেন মদিনার সাতটি আজওয়া খেজুর নিয়ে বীজসহ পিশে
তোমার মুখে ঢেলে দেয়। আবু দাউদ, শিকাত
ইবনে ওয়াক্কাস (রা.) বর্ণনা করেন রসুলে পাক (সা.) এরশাদ করেন যে ব্যক্তি প্রতিদিন সকালে সাতটি
আজওয়া খেজুর খাবে সে দিন বিষ এবং জাদু তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। বুখারি শরিফ।
খেজুর খাওয়ার উপকারিতা
খেজুরের মধ্যে রয়েছে নানাবিধ পুষ্টিগুণ। আর এই জন্যই মানুষ বহু আগে থেকেই খেজুর খেয়ে আসছে।
বিভিন্ন হারবাল চিকিৎসাও খেজুরের ব্যবহারের প্রচলন আছে। এছাড়াও শারীরিক দুর্বলতা বা অবসাদ দূর
করার জন্য অনেকেই খেজুর খেয়ে থাকেন । তাই খেজুরের মধ্যে যেসকল গুন গুলো রয়েছে তা নিম্নে
আলোচনা করা হল।
খেজুর বাড়তি কোলেস্টেরল এবং ফ্যাট মুক্ত রাখে
এই ফলের মধ্যে কোন বাড়তি কোলেস্টেরল এবং চর্বি থাকে না । যার ফরে আপনি যে কোন সময়ে
সহজেই খেজুর খাওয়া শুরু করে দিতে পারবেন। আর আপনি যখন খেজুর খাওয়া শুরু করে দিবেন তখন
দেখবেন শরীরের অন্যান্য ক্ষতিকর ও চর্বি জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকতে পারবেন।
খেজুর শরীরে প্রোটিনের অভাব দূর করে
মানব দেহের জন্য প্রোটিন খুবই প্রয়োজনীয় উপাদান । আর খেজুর হলো প্রোটিন সমৃদ্ধ ফল। ফলে
আমাদের পেশী গঠন করতে সহায়তা করে। বিশেষ করে যাদের শরীরে প্রোটিনের অভাব আছে তাদের
জন্য খেজুর খওয়া খুবই প্রয়োজন।
ভিটামিনের অভাব পুরণ করতে খেজুর
নানান ধরনের ভিটামিন সমৃ্দ্ধ হচ্ছে খেজুর । আর এর মধ্যে রয়েছে বিভন্ন ধরনের ভিটামিন যেমন বি১,বি২,বি৩, এবং বি৫ এছাড়াও ভিটামিন এ১ি এবং ভিটামিন সি পাওয়া যায়। এর সাথে সাথে খেজুর খেলে আরো কিছু উপকার হয়ে থাকে আর তাহলো এটা চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক ভুমিকা পালন করে থাকে।
আয়রনের অভাব পুরণ করে খেজুর
খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। আর এই উপাদানটি মানব শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। আয়রন জাতীয় খাবার খেলে হৃৎপিণ্ডের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। তাই যাদের দুর্বল হৃৎপন্ড তাদের জন্য খেজুর হতে পারে সবচেয়ে নিরাপদ ওষুধ। তাই কেউ যদি তার হৃৎপিণ্ড ভাল রাখতে চায় সে যেন নিয়ম করে খেজুর খায়।
ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পুরণ করে খেজুর
খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম যেখানে মাত্র ৩০ গ্রাম খেজুরেই পাওয়া যায় ১৩ মি.গ্র ক্যালসিয়াম এ থেকেই বুঝা যায় খেজুরে কি পরিমাণে
ক্যালসিয়াম রয়েছে। ক্যালসিয়াম শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজন। কারণ এটা শরীরের হাড়কে মজবুত ও শক্ত করতে সহায়তা করে।
ক্যানসার প্রতিরোধ করে এই খেজুর
পুষ্টি গুনের দিক দিয়ে খেজুর অনেক এগিয়ে । এটি প্রকৃতিক আঁশে পূর্ণ । এক গবেষণায় দেখা যায় , খেজুর পেটের ক্যানসার প্রতিরোধ করে। আর যারা
নিয়মিত খেজুর খান তাদের বেলায় ক্যানসারে ঝুঁকিটাও কম থাকে। খুব সম্প্রতি একটি গবেষণায় উঠে এসেছে খেজুর Abdominal ক্যান্সার রোধে কার্যকর
ভূমিকা পালন করে এবং অবাক করা বিষয় হচ্ছে এটি অনেক সময় ওষুধের চেয়েও ভাল কাজ করে।
শরীরের ওজন কমাতে খজুর / ওজন কমাতে খেজুর
খেজুর খাবার ফলে দূর হয় ক্ষধার ভাব। আর তাই পাকস্থলী খাবার কম গ্রহন করতে চায়। পক্ষান্তরে মাত্র কয়েকটি খেজুরই শরীরের জন্য প্রয়োজনীয়
শর্করা ঘাটতি পূরণ করতে পারে। এতে করে খেজুর খাওয়ার ফলে আস্তে আস্তে শরীরের ওজন কমতে থাকে।
খেজুর দূর করে কোষ্ঠকাঠিন্য
এই ধরনের সমস্যা সমাধানের জন্য দরকার আঁশ বা ফাইবার জাতীয় খাবার । আর খেজুরের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য
দূর হবে খুব সহজেই। তাই যাদের এই জাতীয় সমস্যা আছে তাদের জন্য আজ হতেই খেজুর খাওয়া প্রয়োজন তাহলে আপনিও মুক্ত থাকতে পারবেন
এজাতীয় সমস্যা থেকে।
খেজুর সংক্রমণ রোগ থেকে দূরে রাখে
মানব শরীরের যকৃতের সংক্রমণে খেজুর উপকারী। এছাড়া গলা ব্যথা, বিভিন্ন ধরনের জ্বর, সর্দি, এবং ঠাণ্ডায় খেজুর উপকারী। খেজুর অ্যালকোহল জনিত
বিষক্রিয়ায় বেশ উপকারী। ভেজানো খেজুর খেলে বিষক্রিয়ায় দ্রুত কাজ করে। তাই আপনি নিয়ম করে খেজুর খেতে পারেন এতে করে আপনি বেশ
কয়েকটি সমস্যা থেকে দূরে থাকতে পারবেন।
খেজুর রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ করে
এতে রয়েছে প্রচুর মিনারেল সঙ্গে আয়রন থাকার কারণে খেজুর রক্তশূন্যতা রোধ করে। তাই যাদের হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কম তারা নিয়মিত খেজুর
খেয়ে দেখতে পারেন। এতে করে আপনার শরীরে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বেড়ে যাবে।
খেজুর কর্মশক্তি বাড়ায়
এটাকে বলা হয় শর্করার উৎস কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক চিনি থাকার কারণে খেজুর খুব দ্রুত শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। সারাদিন
রোজা রাখার পর রোজাদাররা যদি মাত্র ২টি খেজুর খান তবে খুব দ্রুত কেটে যাবে তাদের ক্লান্তি। আর তাই আপনি যদি আপনার শরীরের কর্মশক্তি
বাড়াতে চান তাদের খেজুর খাওয়া প্রয়োজন।
স্নায়ূতন্ত্রের কর্মক্ষমতা বাড়ায় খেজুর
খেজুর নানা ভিটামিনে পরিপূর্ণ থাকার কারণে এটি মস্তিষ্কের চিন্তাভাবনার গতি বৃদ্ধি রাখে, সঙ্গে স্নায়ুতন্ত্রের কর্মক্ষমতা বাড়ায়। একটি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ছাত্র-ছাত্রী যারা নিয়মিত খেজুর খায় তাদের দক্ষতা অন্যদের তুলনায় ভাল থাকে।
হৃদরোগ প্রতিরোধ করে খেজুর
খেজুরে রয়েছে পটাশিয়াম যা বিভিন্ন ধরণের হৃদরোগ প্রতিরোধ করে এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, খেজুর শরীরের খারাপ
ধরণের কোলেস্টেরল কমায় (LDL) এবং ভাল কোলেস্টেরলের (HDL) পরিমাণ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।। খেজুরের উপকারিতাগুলো তো জানলেনই, তাই শুধু
রমজান মাসেই নয়, আমাদের খেজুর খাওয়া উচিত সারাবছর, প্রতিদিন।
(আপনি যদি কৃষি বিষয়ক নতুন নতুন ভিডিও দেখতে চান তাহলে আমাদের এই চ্যানেলটি দেখতে পারেন । এখানে আপনি কৃষি বিষয়ক সকল ভিডিও দেখতে পাবেন)
মরিয়ম খেজুর খাওয়ার উপকারিতা
মরিয়ম খেজুর হচ্ছে পুষ্টিতে ভরপুর একটি খাবার । তাই একে বলা হয় প্রাকৃতিক পুষ্টি ক্যাপসুল। গবেষকদের মতে শুকনা খাবারের মধ্যে মরিয়ম খেজুরেই সবচেয়ে বিশি পলিফেনল থাকে। যা বিপজ্জনক অনেক রোগ থেকে রক্ষা করে থাকে। নিচে মরিয়ম খেজুরের উপকারিতা তুলে ধরা হলো।
- এতে থাকা বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান গুলো সেরোটোনিন নামক হরমোন উৎপাদন করে যা মানুষিক প্রফুল্লতা দেয়।
- আমাদের শরীরে যদি গ্লুকোজ এর ঘাটতি থাকে তাহলে মরিয়ম খেজুর এই ঘাটতি পূরণ করে থাকে।
- মরিয়ম খেজুরে থাকা আয়রন শরীরের রক্ত শূন্যতা দূর করে।
- ফুসফুসের সুরক্ষার পাশাপাশি মুখের ভিতরের ক্যান্সার রোধ করতে সাহায্য করে।
- মরিয়ম খেজুরের ডায়েট ফাইবার শরীরের কলেস্টোরেল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।
- পেটের বিভিন্ন পিরা যেমন পেটের গ্যাস,শ্লেষ্মা,কফ ,শুস্ক কাশি যা কলেস্টোরেল নিয়ন্ত্রন রাখতে সহায়তা করে।
- এ খেজুর মস্তিস্ককে প্রাণবন্ত রাখে।
- এটায় প্রচুর পরিমানে থাকে বিধারয় দূর্বল লোকের জন্য এটা খুবই কার্যকরী।
- মরিয়ম খেজুর পানিশূন্যতা বা ডিহাইড্রেশন দূর করতে সাহায্য করে ।
- এই খেজুরের ক্যালসিয়াম দেহের হাড় ও দাঁতের মাড়ি মজবুত করে।
- মরিয়ম খেজুরে থাকা ভিটামিন-এ এবং ভিটামিন-সি দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সহায়তা করে।
- খাদ্যে অরুচি দূর করতে মরিয়ম খেজুর ব্যাপক সহায়তা করে।
- খেজুরে আছে স্যলুবল এবং ইনস্যলুবল ফাইবার এবং বিভিন্ন অ্যামিনো এসিড যা খাবার হজমে সাহায্য করে থাকে। তাই বদ হজম থেকে বাঁচতে মরিয়ম খেজুর খুবই উপকারী।
- মরিয়ম খেজুরে থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করে। তবে শর্ত হচ্ছে খেজুর খাওয়ার সাথে প্রচুর পানিও পান করতে হবে। তাহলেই উপযুক্ত ফল পাওয়া যাবে।
- খেজুরে থাকা নানা পুষ্টি উপাদান ত্বকের সুস্বাস্থ্য বজায় রেখে দীর্ঘদিন তারুণ্য ধরে রাখতে সহায়তা করে।
শেষকথা:
আশাকরি সকলেই খেজুরের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। একই সাথে খেজুরের বিভিন্ন জাত সহ অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত
ধারণা পেয়েছেন। যেহেতু খেজুরে অনেকগুলো গুন আছে তাই আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এটাকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। যাতে করে আমরা সুস্থ-সবল ভাবে জীবন যাপন করতে পারি।
জীবনে সুন্দর ভাবে বসবাস করতে চাইলে খেজুর খাওয়ার অভ্যাস তৈরী করতে হবে। ধন্যবাদ সবাইকে কষ্ট করে পড়ার জন্য । লেখাটি ভালো লাগলে
দয়াকরে আপনার বন্ধু বান্ধবীদের সাথে শেয়ার করবেন। তারাও যেন খেজুর খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারে।