কানাডা ওয়ার্ক পারমিট আবেদন- সবাই কানাডা যেতে চায় কিন্তু প্রয়োজনীয় তথ্য না জানার অভাবে সেখানে যেতে পারে না।
আপনার সমস্যা যদি এরকম হয়ে থাকে তবে আমি আপনাকে নিশ্চিত করে বলতে পারি আজকের এই লেখা টি আপনার জন্য
অনেক গুরুত্বপূর্ণ হতে যাচ্ছে। এখান থেকে জেনে নিতে পারবেন কানাডায় কিভাবে ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করতে হয়
, কানাডা যেতে কত পয়েন্ট লাগে ? কানাডায় অভিবাসন যোগ্যতা, এই সকল বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। যাতে করে
কানাডা যাওয়া আপনার জন্য খুবই সহজ হয়, এবং বৈধ উপায়ে আপনি বিদেশে গমন করতে পারেন। আর এর জন্য প্রথম থেকে
শেষ পর্যন্ত কানাডা ওয়ার্ক পারমিট আবেদন লেখাটা পড়তে থাকুন। যাতে করে আপনার স্বপ্নের দেশে পাড়ি জমানোর জন্য সমস্ত
উপায়গুলো জেনে নিতে পারেন।
কানাডা ওয়ার্ক পারমিট আবেদন
কানাডা ওয়ার্ক পারমিট আবেদন- প্রতিটি দেশের সরকারই তার দেশের বাহিরের দেশ থেকে কাজ করতে আসা লোকদের ওয়ার্ক
পারমিট প্রদান করে থাকেন । আর তাই আপনি যদি কানাডায় আসতে চান সেক্ষেত্রেও আপনার ওয়ার্ক পারমিট প্রয়োজন হবে। আর
এই ওয়ার্ক পারমিট এর জন্য কিভাবে আপনার আবেদন করবেন, সে বিষয়টি নিয়ে আজকে আমরা এই পর্বে সুন্দরভাবে আপনাদের
সাথে আলোচনা করবো। যাতে করে আপনি খুব সহজেই আপনার ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদনটি করতে পারেন। আর এর জন্য
আপনাকে যা করতে হবে তা হল- আপনাকে প্রথমে কানাডার যে সকল বৈধ সাইট রয়েছে সেখানে দিয়ে চাকুরির জন্য আবেদন
করেতে হবে তার পরে সেই কম্পানি যদি আপনার আবেদন নির্বাচন করে তবে তারা আপনাকে ওয়ার্ক পারমিট দিবে একই সাথে
সেই কম্পানি আপনাকে এল.এম.আই প্রদান করবে। এর পর সেই কাগজ পত্র দিয়ে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। তবে
আপনাকে যদি কম্পানি ওয়ার্ক পারমিট ও এল.এম.আই দেয় তবে ধরে নেয়া যায় আপনার ৯৫ ভাগ ভিসা পাওয়ার সম্ভবনা আছে।
অনেকেই আমাদের কাছে প্রশ্ন করে থাকেন আমি যদি চাকুরির আবেদন করি তবে কোন সাইট থেকে করবো । এক্ষেত্রে দেখা যায়
কানাডায় চাকুরির আবেদন করার জন্য অনেক ভূয়া সাইট চালু আছে যেখানে আবেদন করলে আপনি প্রতরণার স্বীকার হতে
পারেন। নিম্নোক্ত আপনাদের সুবিধার জন্য লিংক শেয়ার করা হলো এখান থেকে আপনি ইচ্ছে করলে জবের জন্য আবেদ করতে
পারেন।
(কানাডায় জবের জন্য এখানে ক্লিক করুন)
কানাডা যেতে কত পয়েন্ট লাগে?
কানাডা যেতে কত পয়েন্ট লাগে?- বিশ্বের অন্যান্য দেশে ইমিগ্র্যান্ট হওয়া অনেকটা সহজ। কিন্তু কানাডিয়ান সরকার তাদের
দেশে যোগ্যতার মাপকাঠিতে যারা উত্তীর্ণ শুধু তাদেরকেই ইমিগ্র্যান্ট করে থাকে। আর এর জন্য তারা বিভিন্ন বিষয়ের উপরে পয়েন্ট
দিয়ে থাকে । আর এই পয়েন্ট দেয়া হয় সাধারণত কানাডার সরকার কতৃক বিভিন্ন প্রোগ্রামে। সেই ক্ষেত্রে যাদের পয়েন্ট বেশি হবে
তাদের কানাডা যাওয়া অনেকটা নিশ্চিত হয়। আপনি যদি সেই ক্ষেত্রে জানতে পারেন কোন কোন বিষয়ের উপরে তারা কত পয়েন্ট
দিয়ে থাকে, তাহলে আপনার জন্য কানাডা যাওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া অনেকটা সহজ হয়ে যায়। আর সেক্ষেত্রে আপনি খুব সহজেই
সেই বিষয় গুলোর উপরে যোগ্যতা অর্জন করতে পারবেন। যাতে করে পরবর্তীতে যখন আপনি কানাডা যাওয়ার জন্য আবেদন
করবেন সে ক্ষেত্রে আপনার আবেদন গ্রহণ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক গুণে বেড়ে যাবে। তাই নিচে কোন কোন বিষয়ের উপরে কত
পয়েন্ট দেওয়া হয়? কত পয়েন্ট হলে আপনার কানাডা যাওয়ার জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন সে বিষয়গুলো উপস্থাপন করা হলো।
এবার আপনি এই লিংকে গিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য দিন এবং আপনি দেখে নিন আপনার স্কোর কত আসে। যদিও অনেক সময় ৪৩৫
মোট স্করে লোকজনকে ইনভাইটেশন লেটার দিয়েছে কিন্তু বর্তমানে ৪৭০ নিচে লোক নেয়া হচ্ছে না। তবে সময়ে সময়ে এই নিয়মের
পরিবর্তন হতে পারে। তাই আশা হারাবেন না। ধৈর্য সহকারে স্কোর বাড়ানোর চেষ্টা করুন। দেখবেন একদিন সফল হয়ে গেছেন।
কানাডা অভিবাসন যোগ্যতা
কানাডা অভিবাসন যোগ্যতা- অযোগ্য লোক যেমন কোন দেশেই স্থান পায় না। তেমনি কানাডিয়ান সরকারও কোন ধরনের
অযোগ্য লোক গ্রহণ করেনা। তাই তারা যোগ্যতা যাচাই বাছাই করে তবে তাদের দেশে যাওয়ার জন্য অনুমোদন প্রদান করে থাকেন।
আর তাই আপনার যদি কানাডায় অভিবাসন গ্রহণ করতে চান তবে আপনাকে বেশ কিছু যোগ্যতার অধীকারি হতে হবে। আর এই
সকল যোগ্যতা যদি আপনার মধ্যে থাকে তবে আপনি খুব সহজেই সেই দেশে যাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। যেহেতু এই
দেশে যাওয়ার জন্য অনেক গুলো উপায় রয়েছে তাই একেক ধরনের ভিসায় একেক ধরনের যোগ্যতার প্রয়োজন পড়ে। তবে এখানে
যে যোগ্যতার কথা আলোচনা করবো তা কেবল সামগ্রিক দিক দিয়ে বিচার করা হবে। যদি আপনি ক্যাটগরি অনুসারে যোগ্যতা বিচার
করতে চান তবে নিচে দেয়া লিংক অনুসরণ করে সেখান থেকে দেখতে পারেন। কারণ আলোচনার সংক্ষিপ্ত করার জন্য এখানে শুধু
আপনাকে একটি সামগ্রিক ধারণা দেয়া হলো-
- ইংরেজী বা ফ্রেঞ্চ ভাষায় দক্ষতা থাকতে হবে।
- আপনার বৈধ নূন্যতম ৬ মাসের ( ১ বছরের থাকলে ভালো) মেয়াদ সহ পাসপোর্ট থাকতে হবে।
- আপনি যে কাজের উপর যাবেন সেই কাজে আপনাকে দক্ষ হতে হবে।
- শারীরিক ভাবে সুস্থ্য হতে হবে।
- করোনার ভ্যাকসিন নিতে হবে।
- ভোটার কার্ড বা জন্ম সনদ থাকতে হবে।
এছাড়াও ভিসার ধরণ ভেদে আরো বেশ কিছু কাগজ পত্র আপনার লাগতে পারে। তার জন্য আমার শেয়ার করা নিচের লিংক ক্লিক
করুন। সেখান থেকে সকল তথ্য জানতে পারবেন। কারণ সেখানে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। তবে সেই ক্ষেত্রে যদি ইংরেজী
বুঝতে অসুবিধা হয় তবে আমাদের কাছে কমেন্স করে লিখতে পারেন। আমি আপনাদের বুঝিয়ে দিব। যাতে করে আপনার জন্য বুঝার সুবিধা হয়।
( কানাডার তথ্যর জন্য এখানে ক্লিক করুন )
কানাডা ওয়ার্ক পারমিট আবেদন এর শেষ কথা
আশা করি উপরোক্ত কানাডা ওয়ার্ক পারমিট আবেদন লেখার তথ্যগুলো আপনাদের অনেক কাজে লাগবে। কারণ আমরা যে
তথ্যগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি সেগুলো ১০ ভাগ সত্যি । আপনি যদি এই প্রক্রিয়াগুলো অবলম্বন করেন তাহলে আপনি
খুব সহজেই এই দেশটিতে যেতে পারেন। এছাড়াও কানাডার বিষয়ে আমাদের আরো অনেকগুলো লেখা আছে, আপনি ইচ্ছে করলে
সেগুলো পড়ে দেখতে পারেন। আশা করি আপনাদের অনেক কাজে লাগবে। লেখাটি যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে সবার সাথে
শেয়ার করবেন। এছাড়াও আপনার যদি আরো কোন প্রশ্ন থাকে তবে আমাদের কাছে প্রশ্ন করতে পারেন। আমরা তার উত্তর দিব,
আর কোনো কারণে আমাদের সাহায্য প্রয়োজন হলে কমেন্ট করে জানিয়ে রাখুন। আপনাকে কানাডা যাওয়ার বিষয়ে সব সময়
আমরা সাহায্য সহযোগিতা করব। তবে সে সাহায্যর জন্য কোন প্রকারের টাকা নেয়া হয়না। এই সহযোগীতা একদম ফ্রিতে। প্রথম
থেকে শেষ পর্যন্ত কানাডা ওয়ার্ক পারমিট আবেদন লেখাটি পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আরো পড়তে পারেনঃ
কানাডায় নাগরিকত্বের প্রয়োজনীয়তা
কানাডায় নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায় বা সিটিজেনশিপ
One comment
Pingback: লিঙ্গ মোটা ও লম্বা করার উপায়