নারী কিসে আটকায় : আজকে আমি আপনাদের সাথে খুব সুন্দর এবং মজাদার বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো যে বিষয়টি বর্তমান সময়ে অনেক বেশি সবার কাছে জনপ্রিয় করে তুলেছে। আর এর সাথে এই বিষয়
গুলো সবার মনে প্রশ্নের জাগ্রত হচ্ছে। তাই আজকে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করবো আপনি সেই আলোচনার মাধ্যমে জানতে পারবেন এই সকল প্রশ্নের উত্তর । তাই আপনার আকর্ষণীয় এই প্রশ্ন গুলো জানার জন্য প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত লেখাটি পড়তে থাকুন।
নারী কিসে আটকায় উত্তর
নারী কিসে আটকায় উত্তর : সবার কাছেই এই বিষয়টি খুবই উৎসাহের । কারণ বর্তমান নেট দুনিয়ায় ঝড় বইছে নারী কিসে আটকায়। কারণ হিসেবে দেখা গেছে বিল গেটস , হুমায়ুন ফরিদি, ঋত্বিক রোশন সহ
অনেক নামি দামি লোকের সংসার ভেঙ্গে যাচ্ছে । তাই সবার মনেই প্রশ্ন আজ নারী আসলে কিসে আটকায়। আমি আপনাদের সাথে এই বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো যাতে করে আপনি এই
বিষয়টি বুঝতে পারেন আর এর সাথে আমাদের সংসার সুখের করার জন্য আমরা বেশ কিছু বিষয় আমাদের মাঝে অনুধাবন করতে পারি। আর এই বিষয় গুলো জানার পর আপনার সংসারও হবে অনেক সুখের । আর তার জন্য নিচের এই বিষয় গুলো পড়তে থাকুন।
নারী তার স্বীকৃতি চায়
নারী তার স্বীকৃতি চায় : আমরা যখন পুরুষ শাসিত সমাজে নারীদেরকে অসন্মান করতে থাকি তখন তাদের মন অনেক খারাপ হয়ে থাকে। আর তার জন্য তারা দিন দিন পুরুষদেরকে ঘৃণা করতে থাকে। যার
ফলে এক সময তাদের মনে পুরুষের জন্য মনে ঘৃণার সঞ্চার হয়ে থাকে যার চুড়ান্ত ফল হলো সংসার পৃথক। তাই আমাদের জেনে রাখা ভালো আমাদের সংসার টিকিয়ে রাখার জন্য নারীদেরকে তার ভালো কাজের জন্য এবং তার সকল কাজে তাকে স্বীকৃতি দেয়া।
নারী তার সংঙ্গির কাছ থেকে আদর/ভালোবাসা চায়
নারী তার সংঙ্গির কাছ থেকে আদর চায় : প্রতিটি মানুষ চায় তাকে সবাই আদর যত্ন করুক । আর এই ক্ষেত্রে নারী আরো বেশি আবেগ প্রবন । কারণ হিসেবে দেখা যায় তাদের মন অনেকটা কাচেঁর মতন।
যেখানে অল্প একটু আঘাত দিলেই তা ভেঙ্গে যায়। তাই আমাদের সবসময় খিয়াল রাখতে হবে যাতে করে তাদের মন কোন ভাবেই না ভেঙ্গে যায়। তাদের প্রতি অল্প অল্প কষ্ট গুলোই এক সময় দেখা যায় বৃহত
আকার ধারণ করে আর যার ফল স্বরুপ হয় সংসার ভাঙ্গন। তাই আমাদের প্রয়োজন তাদের মনে যেন কোন আঘাত না পায় সেদিকে খিয়াল রাখা।
নারী সংসারে তার মর্যাদা চায়
নারী সংসারে তার মর্যাদা চায় : অনেক সময় দেখা যায় আমরা যারা সংসার পরিচালনায় থাকি বিশেষ করে পুরুষ শাসিত সমাজে । সেখানে দেখা যায় পরিবারে যে কোন ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে নারীদের
কোন প্রকারের গুরুত্ব দেয়া হয়না। আবার অনেক সময় দেখা যায় ছেলে মেয়েদের বিবাহ বা তাদের লেখা পড়া করানোর বিষয়েও তাদের গুরুত্ব দেয়া হয়না আর যার ফলে দেখা যায় সংসারে অশান্তি। তাই আমাদের
সকল সময় এই বিষয় গুলো লক্ষ্য রেখে তাদের সকল কাজে অংশগ্রহন নিশ্চিত করতে হবে । আর আমরা যদি তাদের অংশ গ্রহণ নিশ্চিত করতে পারি তবে দেখা যাবে সংসারে অশান্তি কম হবে।
নারী তার সঙ্গির কাছ থেকে উপহার আশা করে
নারী তার সঙ্গির কাছ থেকে উপহার আশা করে: ছোট ছোট ভালোবাসা প্রকাশ করার মধ্যেই নিহিত
রয়েছে দীর্ঘ সংসার জীবন এক সাথে কাটানোর মূল মন্ত্র । তাই আমরা যখন আমাদের সংসারে নারীদের প্রতি
ভালোবাসা প্রদর্শনের জন্য তাদের জন্য তাদের পছন্দনীয় উপহার তাদের প্রদান করবো তখন দেখা যাবে
সংসাদের শান্তি বিরাজ করছে।
নারীদের সবসময় খোঁজ খবর নেয়া
নারীদের সবসময় খোঁজ খবর নেয়া: সাধারণত দেখা যায় আমরা সংসার জীবনে অনেক সময় নারীদের খোঁজ খরন নেইনা । আর যার ফলে নারীগন মনে করে থাকে পুরুষ তাদের প্রতি অবহেলা করছে আর যার
ফলে দিন দিন সে মনের ভিতরে কষ্ট্য অনুভব করতে থাকে । আর যার চুড়ান্ত ফল হলো সংসার পৃথক
হওয়া। তাই আমাদের সংসার জীবন সুখের করে গড়ে তোলার জন্য প্রতিনিয়ত আমাদের প্রয়োজন নারীদের
খোঁজ খবর নেয়া। আর এতে করে সংসার জীবন অনেক বেশি সুখের হবে।
আশাকরা যায় উপরোক্ত বিষয় গুলো আমরা যদি নারীদের প্রতি খিয়াল রাখতে পারে তবে তাদের আটকানো যাবে। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে অনেক সময় দেখা যায় অনেক নারী আছে যারা অনেকটা উশৃংখল তাদের ক্ষেত্রে
ভিন্ন কথা। তবে সংসার সুখের করার জন্য নারী পুরুষ দুজনেরিই দায়িত্ব রয়েছে। তাই আমরা যদি আমাদের সংসার জীবন সুখের করতে চাই সকলেরই ছাড় দেয়ার মনমানসিকতা থাকতে হবে। যদি অনেক সময় মনে
করা হয় টাকা সংসার জীবনে শান্তি বয়ে আনে এই কথাটি সকল ক্ষেত্রে সঠিক নয়। তাই সংসার জীবনে স্বামী ও স্ত্রী দুজনেই মিলে মিশে বসবাস করার জন্য মিলে মিশে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
পুরুষ কিসে আটকায়
পুরুষ কিসে আটকায় : পুরুষ কিসে আটকায় অনেকেই এই প্রশ্নটি করে থাকে। আজকে আমি
আপনাদের সাথে এই বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো একজন পুরুষ কিসে আটকায়। আমাদের
সংসার জীবন সুখের করে গড়ে তোলার জন্য আমাদের কি করা প্রয়োজন। সংসারে পুরুষের পাশাপাশি
নারীদেরও অনেক ভুমিকা রয়েছে আর নারী গন যদি তাদের সেই দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে তবে দেখা
যায় সংসার জীবনে অনেক শান্তির হয়। আর তাই আজকে আমি সেই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা
করবো যাতে করে একজন নারী তাদের এই দায়িত্ব গুলো সুন্দর ভাবে পালন করতে পারে।
পুরুষের সাথে কথায় কথায় তর্ক না করা বা ভালো ব্যবহার করা
পুরুষের সাথে কথায় কথায় তর্ক না করা : অনেক নারীই দেখা যায় নারী তার স্বামীর সাথে কথায় কথায়
তর্ক করে থাকে। তাই তাদের উদ্দেশ্য বলতে চাই যদি আপনার স্বামী কোন কারণে বাহিরে থেকে কাজ করে
আসে তখন তাদের সাথে নরম ব্যবহার করা সে যদি তখন কোন কারনে উত্তেজীত হয় তখন তার সাথে
কোন প্রকার উত্তেজীব বা কথায় তর্ক না করে তাদের সাথে প্রথমে নরম ব্যবহার করা পরে সময় বুঝে তাকে
সেই বিষয়টি বুঝে বলা তাতে সে পরে তার নিজের বিষয়টি বুঝতে পারবে। আর এর সাথে তার খারাপ ব্যবহার
করার জন্য লজ্জিত হবে।
পুরুষের প্রতি যত্নবান হওয়া
পুরুষের প্রতি যত্নবান হওয়া : সাধারণত দেখা যায় নারীগন অনেক সময় পুরুষের প্রতি যত্নবান হয়না ।
তারা মনে করে থাকে এটা তার নিজের দায়িত্ব । বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় পুরুষ তাদের সংসার
পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে থাকে যার ফলে সংসারের খরচ পরিচালনার দায়িত্ব পুরুষগন নিয়ে থাকে। আর
তাই যদি এই সময় নারীগন তাদের স্বামীর প্রতি দায়িত্ববান না হয় তখন পুরুষগন তাদের মনে দিন দিন
খারাপ প্রবাব পড়ে যার ফলে সংসারে বিরুপ প্রবাব পড়ে থাকে। তাই নারীদের উচিৎ সংসারে পুরুষের প্রতি
যত্নবান হওয়া।
আরো কিছু বিষয় আছে যে বিষয় গুলো একজন পুরুষকে আটকিয়ে থাকে তাই সেই সকল বিষয়ে নারীদের
ভুমিকা পালন করতে হবে এতে করে সংসার জীবনে সুখ আসবে । আর সেই বিষয় গুলো হলো নারী তার
স্বামীকে তার প্রতি আকর্ষনীয় করে উপস্থাপন করা,সবসময় একত্রে বসবাস করার চেষ্টা করা, তার সুখে
দুঃখে তাকে পাশে থেকে সাপোর্ট করা । আর এই ভাবেই একটি সংসার সুখের হয়ে উঠে।
নারী কিসে আটকায় এর শেষ কথা
নারী কিসে আটকায় এর শেষ কথা : পরিশেষে বলা যায় একটি সংসার সুখের করে গড়ে তোলার জন্য
দুজনেরই বিশেষ ভুমিকা রয়েছে। তাই আমাদের সংসার জীবন সুখের করতে হলে সবাইকেই সচেতন
থাকতে হবে। আশাকরি স্বাম বা স্ত্রীর জন্য আমার এই আলোচনা গুলো অনেক উপকারে আসবে। সবার
সংসার জীবন সুখের হোক এই প্রত্যাশা নিয়ে আজকের মত এখানেই শেষ করতে যাচ্ছি আজকের এই
লেখা। এছাড়াও আমাদের এই সাইটে আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ লেখা আছে আপনি ইচ্ছে করলে সেই লেখা
গুলো পড়তে পারেন আশাকরি উপকারে আসবে। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আমার এই লেখাটি পড়ার জন্য
অনেক অনেক ধন্যবাদ।