রোমানিয়া যাওয়ার উপায় : অনেকরই মনে স্বপ্ন যদি একবার ইউরোপের যেকোন একটি দেশে যেতে পারতাম । তাহলে হয়তবা জীবনটা একে বারে
বদলে যেত। আসলেই কথাটি ঠিক। আপনি যদি কোন ভাবে একবার সেখানে যেতে পারেন তবে যে কোন ভাল একটি দেশে
নিজেকে নিয়ে যেতে পারবেন। কারণ ঐ সকল দেশ থেকে ইতালি, কানাডা, পোলান্ড,আয়ার ল্যান্ড সহ সকল ইউরোপের
দেশে যাওয়া অনেকটাই সহজ। তাই সবাই বর্তমানে রোমানিয়া যাওয়ার জন্য এত আগ্রহী। আর তাদের কথা মাথায় রেখে
আমার দুই পর্বের লেখা যে লেখা গুলো পড়লে আপনার রোমানিয়া যাওয়ার বিষয়ে পরিপূর্ণ একটা ধারণা তৈরী হয়ে যাবে।
তাই প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত দুটো লেখা পড়ুন তাহলে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
রোমানিয়ার ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি
সাধারণত যারা রোমানিয়া যেতে চান তাদের জন্য এম্বাসি নির্বাচন করা হচ্ছে সবচেয়ে বড় একটি সমস্যা । কারণ
বাংলাদেশের অনেক এজেন্সি আছে যারা আসলে কাজ করে না । অন্যের ভায়া হয়ে কাজ করে। আবার অনেকেই আছে
যারা মানুষজনের সাথে প্রতারণা করে থাকে। বিভিন্ন মিথ্যা কথা বলে মানুষকে হয়রানি করেন, এবং অনেক এজেন্সি আছে
যারা টাকা মেরে দেয়। যদি আপনি ভায়া এজেন্সি দ্বারা রোমানিয়া যেতে চায় তাদের অনেক বেশি খরচ পড়ে যায়। আমি
যদিও এখানে কিছু এজেন্সির নাম দিচ্ছি, কিন্তু তারপরও আপনাদের কাছে অনুরোধ রইলো আপনারা কাগজ পত্র ও টাকা
জমা দেয়ার আগে তাদের অভিজ্ঞতা আছে কিনা দেখে তারপরে আপনার কাগজপত্র ও টাকা জমা দেবেন। কোন কিছু না
জেনে টাকা জমা দিয়ে অনেক হয়রানির শিকার হতে পারেন। আমি যাদের নাম বলতেছি আমার কথার উপরে বিশ্বাস করে
তাদের কাছে টাকা জমা দিবেন সেটা করার আগে অবশ্যই তাদের সম্পর্কে ভালো করে যাচাই বাছাই করে নিবেন।
VISAThing
ভিসাথিং এরা মূলত কনসালটেন্সি ফার্ম । এর আপনার কাছ থেকে কোনো ধরনের টাকা নিবে না। শুধু কনসালটেন্সি চার্জ
হিসেবে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা নেবে। যেটা অফেরৎ যোগ্য। তারা যে কাজটা করবে সেটা হচ্ছে আপনাকে ভিসা
পাওয়ার ব্যাপারে সাহায্য করবে। তারা সমস্ত কাগজ পত্র প্রসেস করে দিবে, এবং আপনাকে রুমানিয়ার কোম্পানির সাথে
ইন্টারভিউর ব্যবস্থা করে দেবে। পরবর্তীতে আপনি যদি ইন্টারভিউ দিয়ে পাশক করতে পারেন তবে আপনি আপনার
খরচেই রোমানিয়া যেতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আপনার খরচ অনেক কম হবে। শুধুমাত্র আপনার নিজের যতটুকু খরচ লাগে
যেমন পুলিশ বেরিফিকেশন, সহ অল্প কিছু খরচ। এক্ষেত্রে আমি আপনাদের একটি ধারণা দিতে পারি সর্বোচ্চ এক থেকে
দেড় লাখ টাকার মধ্যে আপনার রোমানিয় যেতে পারবেন। আমি আপনাদের জন্য এদের বিস্তারিত সাইট দেখতে পারবেন
এবং এদের সাথে যোগাযো করতে পারবেন তার জন্য উপরে ইংরেজীতে লেখা সেখানে ক্লিক করুন আর তাদের সাইটে
গিয়ে বিস্তারিত দেখুন । আপনি সহজেই সবকিছু বুঝতে পারবেন।
রোমানিয়ার ভিসা আবেদন ফরম
আজকে আমি আপনাদেরকে সুন্দর একটি প্রসেস দেখিয়ে দেবো । যে প্রসেস এর মাধ্যমে আপনি নিজেই আপনার ভিসার
আবেদন ফরম পূরণ করে রোমানিয়ান এম্বাসিতে সরাসরি জমা দিতে পারবেন। তবে আপনাদের খুব সর্তক থাকতে হবে
যেন কোন ভাবেই ভুল না হয়। আপনার একটি ভুলের কারণে আপনার ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যেতে পারে । তাই অল্প কিছু টাকার
জন্য আপনারা জীবনের অনেক বড় রিস্ক না নিয়ে একজন দক্ষ্য লোক দিয়ে পুরণ করােতে পারেন। তবে আপনি যদি
নির্ভুলভাবে সম্পন্ন করতে পারেন তবে কারও কাছে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। নিচের দেওয়া এই লিংকের মাধ্যমে আপনি
ফরমটি পেয়ে যাবেন। এর সাথে আমি আরো একটি ভিডিওর লিংক দিব যেখানে দেখানো হয়েছে আপনি কিভাবে ফর্মটি
পুরণ করবেন।
Ministry of Foreign Affairs
উপরে ইংরেজি Ministry of Foreign Affairs নাম দেওয়া আছে । সেখানে আপনি ক্লিক করলে পেয়ে যাবেন তাদের সাইট ।
আর সেখানে গেলে রোমানিয়া ভিসার জন্য ফরম টি পেয়ে যাবেন। আর সেটা আপনি ডাউনলোড নিয়ে। সেখান থেকে
ফর্মটি নির্ভুলভাবে পূরণ করে আবার তাদের কাছে জমা দিবেন। যদি সেই ক্ষেত্রে বুঝতে কষ্ট হয় তার জন্য নিচে Romania
visa application লিংক দিয়ে দিলাম যেটা দেখে আপনি পরিস্কার ভাবে বুঝতে পারবেন।
Romania visa application ফর্ম পুরণ করার ভিডিও দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন
রোমানিয়া যেতে কত বয়স লাগে
সাধারণত ২২ থেকে ৪০ বছর বয়সের যে কোন বৈধ নাগরিক তার যদি কোন ধরনের শারীরিক সমস্যা এবং পুলিশ কেইস না
থাকে তাহলে কাজের জন্য আবেদন করতে পারবে। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ১৮ থেকেও ভিসার জন্য আবেদন করা
যায়। এ ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য যদি আপনার পরিবারের কারো সাথে আপনি রোমানিয়ায় যান সেই ক্ষেত্রে আপনার বয়সের
কোনো ধরা বাধা নিয়ম নাই। আপনারা যেকোনো বয়সেও রোমানিয়া যেতে পারবেন।
রোমানিয়ার ভিসার দাম কত
আপনাকে এখান থেকে বলে দেয়া যাবেনা আপনার ভিসার দাম কত হবে। কারণ অনেক গুলো বিষয় নির্ভর করবে ভিসার
দাম। আপনি যদি উপরে দেয়া ভিসাথিং এর মধ্যমে যেতে চান তবে অনেক কম পড়বে। আবার আপনি যদি কোন
এজেন্সির মাধ্যমে যেতে চান তখন অনেক বেশি খরচ পরে যাবে। তাই বর্তমানে অনেক লোক যারা ইতি মধ্যে রোমানিয়া
কাজের জন্য গেছে তাদের সাথে আলোচনা করে যে তথ্য জানা গেছে সেটা মুটামুটি ৬.৫ থেকে ৮.৫ লক্ষ। এই রেট অনেক
গুলো বিষয়ের উপর নির্ভর করে। তাই পাসপোর্ট জমাদেয়ার আগে সবকিছু ভালবাবে আলোচনা করে নিবেন। যাতে করে
পরে আপনাদের সাথে কোন প্রকার ঝামেলা না হয়। উপরের আমার দেয়া দাম একটা ধারণা মাত্র ।
রোমানিয়া ওয়ার্ক পারমিট ২০২২
যদি আপনার বয়স ১৮ থেকে ৪০ এর মধ্যে হয়ে থাকে। আর আপনি যদি ইউরোপের কোন দেশে প্রবেশের ইচ্ছা প্রকাশ
করে থাকেন তবে রোমানিয়া হচ্ছে আপনার জন্য সবচেয়ে ভাল একটি মাধ্যম। আপনি খুব সহজেই রোমানিয়া যেতে
পারবেন। বর্তমানে ঐদেশের সরকার ২০২২ সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশীদের জন্য রোমানিয়ান ওয়ার্ক পারমট দিচ্ছে। তাই
সামনে যখন এই দেশটি সেনজেন অন্তর্ভুক্ত হবে তখন হয়তবা রোমানিয়া যাওয়া অনেক বেশি কঠিন হয়ে যাবে। তাই
যেহেতু এখন যাওয়ার সুযোগ রয়েছে তাউ যারা রোমানিয়া যেতে চান আমি মনে করি তাদের জন্য এটা একটা দারুন
সুযোগ।
বাংলাদেশ থেকে রোমানিয়া যাওয়ার উপায়
আপনি ইচ্ছে করলে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্নভাবে রোমানিয়া যেতে পারেন। এক্ষেত্রে অনেক এজেন্সি সরাসরি কাজ করছে।
আবার আপনি যদি ইচ্ছে করেন নিজে নিজেও আবেদন করে রোমানিয়া এম্বাসি মাধ্যমে দিল্লি থেকে ভিসা সংগ্রহ করে
সরাসরি চলে যেতে পারবেন। তাই আপনি যদি রোমানিয়া যেতে চান তাহলে আপনি নির্বাচন করুন কোন মাধ্যমটি আপনার
জন্য ভাল । আপনি কোন মাধ্যমটিকে সঠিক বলে মনে করেন। আর এর সাথে আপনি অবশ্যই সেই এজেন্সি সম্পর্কে
ভালোভাবে যাচাই বাছাই করে নিবেন। যাতে করে প্রতারণার স্বীকার না হতে হয়।
আরো যে বিষয় গুলো আপনার জানা দরকার তাহলে :
|
সরকারী ভাবে রোমানিয়া যাওয়ার উপায়
সাধারণত বাংলাদেশ সরকার এই ধরনের লোক প্রেরণ করে না। তবে আপনি যদি রোমানিয়ার সরকারী এম্বাসি থেকে
সরাসরি যোগাযোগ করে যেতে পারেন তবে আপনি অনেক কম রেটে রোমানিয়া যেতে পারবেন। আপনি যদি তাদের সাথে
যোগাযোগ করতে চান তবে নিচে তাদের লিংক দেয়া হলো আপনি ইচ্ছে করলে তাদের সাতে যোগাযোগ করতে পারেন।
(রোমানিয়ার সরকারী অফিসের ঠিকানা)
রোমানিয়া ভিসা আবেদন ২০২২
বর্তমানে এই দেশে যাওয়ার জন্য যে ২০২২ সালে ভিসা আবেদন করা হয় সেখানে অনেক পরিবর্তন এনেছে। পূর্বের ফর্ম
অনুয়ায়ী তথ্য পুরণ করলে তা ভূল হবে। আপনাদের সুবিধার জন্য এখানে নিচে আপডেট ফর্মটির সাইট দেয়া হলো যেখান
থেকে আপডেট ফর্মটি ডাউলোড করে নিয়ে তা পুরণ করতে পারবেন।
রোমানিয়ার ভিসা চেক
যে কেউ খুব সহজেই তার হাতে পাওয়া ভিসাটি চেক করে নিতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে আপনাকে আপনার ভিসা ও
পাসপোর্ট এর ফটোকফি দিয়ে ওদের নিউ দিল্লি এম্বাসিতে ভিসা চেক করার জন্য ইমেল লিখতে হবে। তাহলে তারা দেখবেন
। আপনার ভিসাটি চেক করে উত্তর দিয়েছে। এভাবে খুব সহজেই আপনি আপনার ভিসাটি চেক করে নিতে পারেন। তার
জন্য যদি আপনাদের তাদের এম্বাসির ইমেল ঠিকানা লাগে তবে আমাদের কাছে লিখতে পারেন আমরা আপনাকে সংগ্রহ
করে দিতে পারবো।
রোমানিয়া যাওয়ার উপায় শেষ কথা
আশা করি উপরোক্ত রোমানিয়া যাওয়ার উপায় লেখাটি পড়ে আপনদের রোমানিয়া যাওয়ার বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা তৈরী
হয়েগেছে। এই লেখার আরেকটি অংশ আছে যেটা আপনার পড়া প্রয়োজন সেটা পড়ার জন্য এখানে ক্লিক করুন। তাহলে
দুটো লেখা পড়লে সব বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা তৈরী হয়ে যাবে। আমাদের সাথে থাকে আর এই লেখাটি ভাললাগলে
সবার সাথে শেয়ার করুন। আমাদের ইউরোপ যাওয়ার উপায় নিয়ে আরো অনেক লেখা আছে যেগুলো আপনার কাজে
লাগতে পারে। তার জন্য আমাদের সাইটে প্রবেশ করুন। লিংক 24favor.com। সবাই ভাল থাকবেন । আল্লাহ হাফেজ।
একই আরো যে বিষয় গুলো পড়তে পাড়েন:
১. বাংলাদেশ থেকে রোমানিয়া যাওয়ার উপায়।
security supervisor 10 year experience in g4s compnay ltd bangladesh
md syed hasan
mob.+8801710583813
email – hsyed0943@gamil.com
county — Bangladesh
Dear sir/ madam.
My name is Mohammad Abu bakar
I’m driver light & havey.
I like to Romania
I need to job for work permit.
You can get change easily for entry Romania you need to go good agency. But very careful
ভাইয়া পোল্যান্ড যাবও কি ভাবে তার একটা পদ্ধতি দেন ভাইয়া এবং সরকারি এজেন্সির সাথে কিভাবে যোগাযোগ করবও
পোল্যান্ডের বিষয়ে আমাদের সাইটে লেখা আছে আপনাদের প্রয়োজনে সেই লেখা গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি আপনার প্রয়োজন হলে এই লেখাটি পড়তে পারেন অনলাইনে পোল্যান্ড ভিসা আবেদন ও বাংলাদেশে পোল্যান্ড দূতাবাস