Skip to content

ভাত খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা– আমরা আমাদের খিদে নিবারণের জন্য অনেক সময় ভাত খেয়ে

থাকি। কিন্তু এই ভাত আমাদের শরীরে অনেক সময় উপকারী হয়ে থাকে আবার অনেক সময় ক্ষতির

কারণ হয়ে দাড়াঁয়। আসলে আমরা বুঝতেই পারিনা এটা আমাদের জন্য ককন ক্ষতির কারন আর কখন

উপকারি তাই আজ আমি বিস্তারিত আলোচনা করবো ভাত কি ভাবে বা কতটুকু পরিমাণে খেলে তা

আমাদের জন্য উপকারী হবে। সে বিষয়টি পড়ার জন্য নিচের লেখাটি বিস্তারিত পড়তে হবে। তাই প্রথম

থেকে শেষ পর্যন্ত খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা  লেখাটি পড়ুন।

ভাত কি?

ভাত কি?- বিশেষ করে বাংলাদেশ ও ইন্ডিয়ার মানুষ এই দ্রব্যটির সাথে বেশি পরিচিত । কারণ হিসেবে বলা

যায় মাছে ভাতে বাংঙ্গালী। তাই ভাত না হলে এই দেশ দুটো মানুষের চলেইনা। কিন্তু পৃথিবীর অনেক দেশের

মানুষ  আছে যারা ভাত কি জীনিস চিনেনা। তাই ভাত বলতে বুঝায় চাউল সিদ্ধকরার পর যে বস্তুটি দেখা

যায় তাকে ভাত বলে এটা বিভিন্ন ধরনের হতে পারে যেমন পোলাও ভাত ও চাল ভেদে নানা প্রকার হয়ে

থাকে। আপনার বুঝার সুবিধার জন্য নিচে ভাতের ছবি দেয়া হলো।

ভাত খাওয়ার উপকারিতা

ভাত খাওয়ার উপকারিতা- আমরা জানি ভাতের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট যা শরীরে

তাপ দেয় বা কাজের জন্য শক্তি দিয়ে থাকে। আর তাই দেখায় যে সকল মানুষ দৈহিক পরিশ্রম করে থাকে

তাদের শরীরে শক্তির প্রয়োজন হয় আর তখন তাদের খিদে লাগে বেশি। আর যারা তুলনা মূলক কম

পরিশ্রম করে তাদের খিদে কম লাগে। তাই আমরা যারা নিয়মিত প্রচুর পরিমাণে দৈহিক পরিশ্রম করে থাকি

তাদের জন্য ভাতে বিকল্প নাই । আপনি যদি ভাত খেতে পারেন তবে আপনার শরীরে তাপ উৎপাদন হবে

সাথে সাথে আপনি কাজের জন্য শক্তি পাবেন। তবে একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে ভাতের সাথে সাথে

শাক সব্জিও ও মাছ মাংস খেতে হবে ।

ভাত খাওয়ার অপকারিতা

ভাত খাওয়ার অপকারিতা- ভাত সমসময় শুধু উপকারই করে না । মাঝে মাঝে এটা মানুষের জন্য

ক্ষতির কারণও হয়ে দাঁড়ায়। তাই আজ কোন অবস্থায় এটা মানুষের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায় তা

বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করবো যাতে করে আপনি এই ধরনের ক্ষতির হাত থেকে বাঁচতে পারেন।

যদি কারো  শরীরে অতিক্ত চর্বি জমা থাকে তবে ভাত খেলে তা আরো বৃদ্ধি পাবে কারণ আমরা জানি

ভাতের মধ্যে থাকে প্রচুর কর্বোহাইড্রেট যা ভেঙ্গে চর্বি তৈরী হয়। সহজ কথায় আপনি যদি অতিরিক্ত ভাত

খান বা আপনার দৈহিক চাহিদার চেয়ে বেশি ভাত খান তবে অতিরিক্ত কার্বোহাড্রেট চর্বিতে রূপান্তরিত হয়ে

শরীরের মেদ ভুরি তৈরী করবে । যা আপনার শরীরের গঠন নষ্ট সহ বিভিন্ন রোগের কারণ হয়ে দাড়াবে।

আর এর ফলে যে সকল রোগ হয়ে থাকে তার মধ্যে ডায়াবেটিস অন্যতম। তাই আমাদের অতিরিক্ত ভাত

পরিহার করা খুবই প্রয়োজন।

ভাত খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা শেষ বক্তব্য

পরিশেষে বলা যায় আপনি যাই খাননাকেন তা যেন আপনার শরীরের পুষ্টির দিকে লক্ষ রেখে খাওয়া হয় ।

তা নাহলে আপনার উপকার না হয়ে তা ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। তাই আশাকরি উপরোক্ত খাওয়ার

উপকারিতা ও অপকারিতা লেখাটি আপনাদের অনেক কাজে লাগবে। সবাই ভালো থাকুন সুস্থ্য থাকুন

এই কামনায় আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি।

আরো যে বিষয়ে পড়তে পারেনঃ

মধু ও কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social Share Buttons and Icons powered by Ultimatelysocial