সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পোল্যান্ড জব ভিসা লেখায়। আশা করি আজকের লেখা
টি আপনাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ হতে যাচ্ছে। বিশেষ করে যারা ইউরোপের সেনজেন ভুক্ত
দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি দেশ পোল্যান্ড সেখানে যাওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করছেন তাদের জন্য
এই লেখাটি হবে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাই আজকে এই লেখার মাধ্যমে আপনাদের সাথে তুলে ধরব এখানে
আপনি কিভাবে নাগরিকত্ব পাবেন। চাকুরির জন্য আপনাকে কি করতে হবে? আপনি জব ভিসায় যেতে
চান তাহলে সেই ক্ষেত্রে আপনার করণীয় কি? এই বিষয়গুলো আজকে আপনাদের সামনে তুলে ধরব। এর
জন্য প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পোল্যান্ড জব ভিসা লেখাটি পড়তে হবে। তাহলেই উপরোক্ত বিষয় গুলো
সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা পাবেন।
পোল্যান্ডের নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায়
পোল্যান্ডের নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায়- অনেকেই আমাদের কাছে প্রশ্ন করে থাকে, আমি যদি
পোল্যান্ড যাই, বা বর্তমানে এই দেশটিতে বসবাস করতে চাই তবে আমি কিভাবে এই দেশটিতে স্থায়ী বসবাস
করার জন্য অনুমোধন পাবো। যারা এই ধরনের প্রশ্ন আমাদের কাছে করে থাকেন তাদের জন্য বলা,
আপনি যদি এই দেশটিতে বসবাস করে থাকেন, বা করার জন্য আবেদন করতে চাচ্ছেন তবে নিম্নোক্ত
বিষয়ে আপনার পূর্ণ ধারণা থাকা বাধ্যতামূলক। আর তাহলো আপনাকে এই দেশটিতে নাগরিকত্ব নিতে
হলে নিম্নোক্ত তিন শ্রেনীর যে কোন একটিতে নিতে হবে আর তাহলো –
- জন্মগত ভাবে নাগরিকত্ব লাভ।
- ন্যাচারালাইজেশন দ্বারা স্থায়ী নাগরিকত্ব লাভ।
- বিবাহ বন্ধনে আব্ধ হওয়ার দ্বারাও এই দেশটিতে নাগরিকত্ব পাওয়া যায়।
যদিও তিন ধরনের পদ্ধতি প্রচলিত আছে তার মধ্যে দ্বিতীয় পদ্ধতি বা ন্যাচারালিাইজেশন হচ্ছে অন্যতম।
বিশেষ করে আমরা যারা সেখানে গিয়ে থাকি তাদের জন্য প্রযোজ্য । বাকি দুটোর জন্য তেমন কোন বেগ
পোহাতে হয়না। তাই আজকে আমি দ্বিতীয় পদ্ধতিটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করাবো এবং এর জন্য যাযা
প্রয়োজন তা আমি উল্লেখ করবো।
পোল্যান্ডে নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য যে কাগজ লাগে
পোল্যান্ডে নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য যে কাগজ লাগে- আপনি যদি এই দেশটিতে মোটামুটি ৫ থেকে
৬ বছর বসবাস করে থাকেন। আর আপনার যদি নিম্নোক্ত কাগজ পত্র থাকে তবে আপনি খুব সহজেই এই
দেশটিতে নাগরিকত্ব লাভের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
- পোল্যান্ডে কাজ করার ওয়ার্কপারমিট। যে কাগজটি এই দেশের সরকার কতৃক দেয়া হয়।
- আর দ্বিতীয় যে কাগজটি প্রয়োজন হয় তা হলো কম্পানি দেয়া ওয়ার্ক কন্ট্রাক্ট।
- এর পর যে কাগজটি লাগবে তাহলো আপনি এই দেশের সরকারকে যে ট্যাক্স প্রদান করেছেন তার প্রমান পত্র বা (TRC)।
- শেষ যে কাগজটি প্রয়োজন হয় তাহলো আপনাকে কম্পানি আপনাকে থাকতে দিয়েছে তার চুক্তি পত্র বা প্রমান পত্র ।
আর উপরোক্ত বিষয় গুলো নিয়ে সেই দেশের সরকার কতৃক মনোনিত অফিসে গিয়ে সেখানে স্থায়ীভাবে
বসবাস করার জন্য আবেদন করতে হবে। তখন তারা প্রথম অবস্থায় আপনাকে ১ বছর মেয়াদী কাগজ
দিবে যা পরবর্তীতে আবার ২ বছর মেয়াদ দেয়া হবে এভাবে তৃতীয় বার অবার ২ বছরের জন্য ও বসবাসের
জন্য অনুমোধন দেয়া হবে। আর এই ভাবে যখন ৫ বছর হয়ে যাবে তখন আপনি স্থায়ী বসবাসের জন্য
আবেদন করতে পারবেন। সাধারণত দেখা যায় যাদের নিয়মিত ট্যাক্স প্রদানের কাগজ আছে তাদের এই ৫
বছর সময়ের মধ্যেই হয়ে যাবে। তবে একটি বিষয় আপনার যদি এই ট্যাক্স প্রদানের কাগজ থাকে তবে
আপনি পারমানেন্ট বসবাসের সুযোগ পাবেন। অন্যথায় আপনার আবেদনটি বাতিল হয়ে যাবে। তবে
চিন্তার কোন কারণ নেই পুঃনরারয় আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে আবেদন করার জন্য।
পোল্যান্ড জব ভিসা ২০২৩
পোল্যান্ড জব ভিসা ২০২৩- সাধারণত দেখা যায় এই দেশটিতে আসার জন্য অনেকেই দালাল বা
এজেন্সির কাছে গিয়ে থাকে। আর এই সুযোগ গ্রহণ করে একশ্রেণীর দালাল হাতিয়ে নেয় মোটা অংকের
টাকা। তাই আজ আমি আপনাদের সাথে এমন কিছু বিষয় শেয়ার করবো যা শুনার পরে আপনাকে আর
কারো কাছে যেতে হবেনা। আপনি ঘরে বসেই খুব সহজেই নিজের চাকুরির ভিসার জন্য নিজেই আবেদন
করতে পারবেন। আর সেই ওয়ার্কপারমিট দ্বারা ভিসা আবেদন করে পোল্যান্ডে যাওয়ার জন্য ভিসা সংগ্রহ
করতে পারবেন।
পোল্যান্ডে জব ভিসা পাওয়ার জন্য করনীয় কি?
পোল্যান্ডে জব ভিসা পাওয়ার জন্য করনীয় কি?-আপনাকে এই দেশে জব ভিসা পাওয়ার জন্য যা
করতে হবে তাহলো আপনি আত্নীয়, এজেন্সি বা সরাসরি যে ভাবেই হোক প্রথমে আপনাকে একটি
ওয়ার্কপারমিট সংগ্রহ করতে হবে। তার পরে আপনাকে সেই ওয়ার্কপারমিটের সাথে আপনার বৈধ মেয়াদ
সহ পাসপোর্ট, জন্ম সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র, কভার লেটার , সিভি, করনার টিকার সনদ, মেডিকেল
রিপোর্ট, ইন্সুরেন্স এর কাগজ, বিমানের টিকেট,হোটেল বুকিং এর কাগজ সহ নির্দিষ্ট ফি জমা দিয়ে
বাংলাদেশ গ্লোবাল অফিস থেকে সময় নিয়ে ইন্ডিয়া পোল্যান্ড এম্বাসিতে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।
যদি তারা আপনার সকল বিষয় ঠিক মনে করে তবে আপনাকে সেখানে যাওয়ার জন্য ভিসা প্রদান করবে।
পোল্যান্ডে জবের আবেদন করার উপায়
পোল্যান্ডে জবের আবেদন করার উপায়– অনেকেই পোল্যান্ডে জবের জন্য দালালের মাধ্যমে আবেদন
করে থাকে। সেই ক্ষেত্রে দেখা যায় অনেক বেশি টাকা নিয়ে থাকে। অথচ আপনি যদি একটু সচেতন হয়ে
নিজেই নিজের আবেদন করতে পারেন তবে খুব সহজেই সেখানে যাওয়ার জন্য বা চাকুরি পাওয়ার জন্য
আবেদন করতে পারেন। আর সেই দেশে চাকুরীর আবেদন করার জন্য নিচের লিংকে অনুসরণ করে
তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী আপনার আবেদন জমা দিবেন। আর তারা যদি আপনাকে যোগ্য মনে করে
থাকে তবে ওয়ার্কপারমিট পেয়ে যাবেন।
Info@tsve.pl
উপরোক্ত ঠিকানায় ইমেল করে তাদের সাথে কথা বলে বাংলাদেশী টাকায় মাত্র ২ লাখ টাকার নিনিময়ে ওয়ার্কপারমিট পেতে পারেন।
পোল্যান্ড জব ভিজিট ভিসা এর শেষ বক্তব্য
পরিশেষে আপনাদের কে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি উপরোক্ত পোল্যান্ড জব ভিসা লেখাটির
মাধ্যমে। যারা লেখাটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েছেন আশা করি উপরোক্ত বিষয় সম্পর্কে আপনার
বিস্তারিত তথ্য পেয়েছেন। এছাড়াও যদি আপনাদের আরো কোন বিষয়ে জানার ইচ্ছা থাকে, বা এই সকল
বিষয়ে যদি কোন প্রশ্ন থাকে তবে আমাদের কাছে কমেন্ট করে জেনে নিতে পারেন। আমরা আপনার
প্রশ্নের উত্তর খুব তাড়াতাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করবো। এই সাইটে আমাদের আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ লেখা
আছে, যে লেখা গুলো আমরা এই সাইটে শেয়ার করে থাকি। তাই আপনি যদি প্রয়োজন মনে করেন
লেখাগুলো পড়তে পারেন । আপনাদের সুবিধার জন্য সেই লেখা গুলোর লিংক নিচের শেয়ার করা হল।
প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ধৈর্য সহকারে পোল্যান্ড জব ভিসা লেখাটি পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।
একই বিষয়ে পড়তে পারেনঃ
পোল্যান্ড কোন কাজের চাহিদা বেশি
ইতালির ভ্রমণ ভিসার জন্য খরচপোল্যান্ড মুসলিম
পোল্যান্ডের টাকার নাম কি? / পোল্যান্ড মুদ্রা
পোল্যান্ড ভিসা ফ্রম বাংলাদেশ জন্য পোল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা