Skip to content

দুবাই থেকে পর্তুগাল যাওয়ার উপায় ভিসা ও ওয়ার্ক পারমিট

দুবাই থেকে পর্তুগাল যাওয়ার উপায়

দুবাই থেকে পর্তুগাল যাওয়ার উপায়: প্রিয় বন্ধুরা সেনজেনভুক্ত ইউরোপের দেশগুলোতে নিজেদেরকে স্থায়ীভাবে বসবাস

করার জন্য অনেকেই চায়। কিন্তু সুযোগের অভাবে সেখানে যাওয়া যায়না। আর তাই সেখানে যাওয়ার বিভিন্ন উপায়

খুঁজছেন অনেকেই। আপনার গল্পটি যদি তাই হয় তাহেল এই লেখাটি হতে পারে আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।এ লেখাটা

প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লে আপনি জানতে পারবেন দুবাই থেকে কিভাবে খুব সহজেই সেনজেনভুক্ত দেশ পর্তুগালে

যাওয়া যায়। পর্তুগালে সহ সেখানে যাওয়ার জন্য আপনার কি কি কাগজপত্র লাগবে? কিভাবে আবেদন করা লাগবে?

কোথায় যেতে হবে? কোন কোন বিষয়ে আপনার যোগ্যতা থাকতে হবে? এ সমস্ত বিষয়ে বিস্তারিত বর্ণনা করবো এই  দুবাই

থেকে পর্তুগাল যাওয়ার উপায় লেখায় । এ লেখাটি পড়লে আপনার জন্য দুবাই থেকে পর্তুগাল যাওয়ার একদম সহজ হয়ে

যাবে । আশা করি তার প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লে বিষয়টি পরিস্কার হয়ে যাবে।

পর্তুগাল ভিসা আবেদন

যদি কেহ দুবাইতে বৈধ ভাবে বসবাস বা কাজের ভিসা নিয়ে অবস্থান করে থাকেন তবে আপনি ইচ্ছে করলে সেনজেন ভুক্ত

ইউরোপের এই দেশটিতে যাওয়ার জন্য ভিসা প্রপ্তির আবেদন করতে পারবেন। তার জন্য আপনাকে বেশ কিছু শর্তমানতে

হবে বা আপনার কিছু যোগ্যতা থাকতে হবে। আর তাহলো।

  • আপনার দুবাইতে কাজের বা বৈধভাবে বসবাসের বয়স সর্বনিম্ন ১ বছর হতে হবে।
  • যদি আপনি কাজের ভিসায় যেতে চান তবে যে কাজে তারা লোক নিবে সেই কাজের দক্ষতা থাকতে হবে।
  • পাসপোর্টের মেয়াদ মিনিমাম ১ বছর থাকতে হবে।
  • আপনি যে কম্পানিতে কাজ করছেন সেই কম্পানি কর্তৃক একটি এন.ও.সি দিতে হবে( নো অবজেকশন সার্টিফিকেট) নিতে হবে।
  • আপনার ব্যংক সার্টিফিকেট বা  ব্যাংক ট্রান্জেকশন হিস্টোরি নিতে হবে।
  • দুবাই এর পুলিশ ক্লিয়ারেন্স নিতে হবে।
  • আপনার দুই কপি ছবি লাগবে যা পাসপোর্ট সাইজ এবং ব্যাকগ্রাউন্ড সাদা ।

এই হচ্ছে কাগজ পত্র তবে আপনি যদি কোন ভাল বিশ্বস্ত এজেন্সির দারস্থ হতে পারেন তবে তারাই আপনার ফাইল সুন্দর করে রেডি করে দিবে। যাতে করে আপনার ভিসাটি মিস না হয়।

পর্তুগাল ভিসা

অনেকের মনেই প্রশ্ন পর্তুগালের ভিসা হয় নাকি। তাদের উত্তর যদি আমি সহজ কথায় দেই তাহলে বলতে গেলে পৃথিবীর

সব দেশেই যাওয়া যাবে । শুধু আপনি যদি নিজেকে যোগ্য করে গড়ে তুলতে পারেন। তবে ইউরোপের অন্যান্য দেশে

যাওয়ার তুলনায় এই দেশে যাওয়া অনেক সহজ । কারন এই দেশের অনেক কাজ করার জন্য তারা বাহিরের সেনজেন ভূক্ত

দেশ থেকে লোক নিয়ে থাকে যখন সেখানে পর্যাপ্ত লোক না পায় তখন এশিয়ার এই সকল দেশ থেকে লোক নিয়ে থাকে।

বিশেষ করে এই দেশটিতে কয়েকটি ক্যাটাগরীতে ভিসা দিয়ে থাকে তার মধ্যে উল্লেখ যোগ্য হলে কৃষি কাজের ভিসা ও

প্যাকেজিং ভিসা উল্লেখ যোগ্য।

পর্তুগাল কাজের ভিসা অনলাইনে আবেদন করুন।

আপনার যদি কম্পিউটার ও ইন্টারনেট এর বিষয়ে ধারনা থাকে এবং অনলাইনে আবেদন করতে পারেন তবে । আপনার

আর কারো কাছে ধরণা দিতে হবে না। আপনি নিজেই করতে পারবেন আপনার আবেদনটি। সেক্ষেত্রে কাউকে এক টাকা

দিতে হবেনা। আপনি আবেদন করার পর তারা যদি আপনাকে যোগ্য প্রর্থী মনে করে তবে আপনাকে ফোনে বা ইমেল করে

জানিয়ে দিবে। পরবর্তীতে আপনি এদের এম্ভাসির মাধ্যমে কাগজ পত্র কম্পিলিট করে সে খানে চলে যেতে পারবেন। আর

এদের ওয়েবসাইটের ঠিকানার জন্য নিচে ক্লিক করুন। এখানে দেখবেন অনেক বিষয়ে চাকুরী আছে আপনার সিভি বা

আপনার যোগ্যতা আপনার কাজের অভিজ্ঞতা যে জবটার সাথে মিলে সেখানে এপ্লাই করবেন।

 (পর্তুগালের জবের জন্য এখানে ক্লিক করুন)

পর্তুগাল কৃষি ভিসা

এই দেশটি কৃষি কাজের জন্য প্রচুর পরিমাণে ভিসা দিয়ে থাকে। বিশেষ করে শীতের সময় এই দেশে কৃষি কাজ করার জন্য

অনেক লোকের প্রয়োজন হয়। তখন তারা প্রথমে সেনজেন ভূক্ত দেশ থেকে লোক সংগ্রহ করার চেষ্টা করে পরে তারা যদি

তা না পায় তবে তারা এশিয়ার বিভিন্ন দেশ হতে লোক সংগ্রহ করে থাকে। আর সেই সুযোগে যারা বিশেষ করে মধ্যপ্রচ্যের

দেশে কাজের জন্য আচেণ তারা এই সুযোগটি বেশি পেয়ে থাকেন। তাই আপনিও যেতে পারেন সেনজেন ভূক্ত স্বপ্নের এই

দেশটিতে।

পর্তুগাল ভিজিট  ভিসা

যারা দুবাইতে ভাল জবে আছেন বা বিজনেস ভিসায় ব্যবসা করার জন্য সেখানে বসবাস করছেন । একই সাথে যারা চকুরী

করেন এবং যাদের বেতন ২ দুই হাজার দেরহামের সমান বা বেশি। যাদের আরো দুয়েকটি দেশে বেড়ানোর রেকর্ড আছে।

এই সকল লোক তাদের প্রয়োজনীয় কাগজ পত্রদিয়ে পর্তুগালের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। সেই ক্ষেত্রে কাগজ

পত্র সেম । একই ধরনের কাগজ পত্র লাগবে সেক্ষেত্রে খুব একটা তারতম্য নেই।  শুধু পার্থক্য ভিজিট ভিসায় গেলে ব্যাংক

সলভেন্সি দেখাতে হবে এবং ব্যাংকে প্রতি মাসে ব্যাংকের মাধ্যমে ভালমানের বেতন গ্রহণ করা হয়।

পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

সবচেয়ে সহজ এবং মজার বিষয় হচ্ছে এই দেশে ভালভাবে যাওয়ার জন্য ওয়ার্ক পারমিট ভিসা। আপনি যদি কোন একটি

কাজে দক্ষ থাকেন আর এই দেশ সেই কাজের জন্য লোখ খুঁজছে তাহলে আপনি খুব সহজেই সেই কাজের জন্য আবেদ

করতে পারবেন। আর প্রতিবছর পর্তুগাল কয়েকটি সেক্টরের কাজের জন্য  প্রচুর ভিসা দিয়ে থাকে।

পর্তুগাল এজেন্সি

সবকিছুর পর এখন আপনার মনে অনেক কৌতুহল জাগছে সবকিছুতো জানা শেষ কিন্তু আমি কিভাবে এই স্বপ্নের দেশে

যাব। আর তার জন্য অনেক সময় তারা অনেক জায়গায় ঘুরা ঘুরি করে থাকেন । আবার কেউ কেউ ভূয়া দালালের উপর

নির্ভর করে অনেক টাকা পয়সা মার খায়। তাই আপনাদের একটি অনুরোধ করি আপনি কোন একজন দালালের হাতে

টাকা বা কাগজ পত্র দেয়ার আগে ভালোবাবে দেখে শুনে দিতে হবে। তা নাহলে আপনি ধরা খেতে পারেন। দুবাইতে অনেক

এজেন্সি আছে। তবে তাদের সাথে আপনি নিজ জিম্বায় কথা বলবেন। তবে যাওয়ার আগে অবশ্যই তাদের  কাজ করার

পূর্বের অভিজ্ঞতা দেখতে হবে যে তারা কতজন সেই দেশে পাঠিয়েছে তা দেখে নিবেনএবং সকল প্রকার চুক্তি করে নিবেন।

দুবাই থেকে পর্তুগাল যাওয়ার উপায় এর শেষ কথা

আশাকরি দুবাই থেকে পর্তুগাল যাওয়ার উপায় লেখাটি পড়ে আপনাদের অনেক কাজে লেগেছে । আমার এই সাইটে

অনেক ই্উরোপের দেশে যাওয়ার বিষয়ে আরো অনেক আলোচনা আছে । যে গুলো পড়তে পারেন। আশাকরি চেষ্টা করলে

আপনি একদিন ইউরোপের বাসিন্দা হতে পারবেন। আর এই বিষয়ে যদি কারো মনে প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই আমাকে

কমেন্স করে জানাবেন। আমি সময় করে আপনাদের উত্তর দিব। আর দুবাই থেকে পর্তুগাল যাওয়ার উপায় এই লেখাটি যদি

আপনার কাজে লেগে থাকে তবে শেয়ার করতে পারেন অন্যর জন্য তারও যেন উপকার হয়। ধন্যবাদ কষ্ট করে লেখাটি

পড়ার জন্য।

একই আরো যে বিষয় গুলো পড়তে পাড়েন:

১. বাংলাদেশ থেকে রোমানিয়া যাওয়ার উপায়।

২. রোমানিয়া থেকে টাকা পাঠানোর উপায়।

৩. রোমানিয়ার ১ টাকা বাংলাদেমের কত টাকা?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social Share Buttons and Icons powered by Ultimatelysocial