লোডশেডিং নিয়ে মজার স্ট্যাটাস: বর্তমানে লোডশেডিং মানুষের জন জীবনে এক কষ্টের নাম। বর্তমানে বিদ্যুতের যে অবস্থা তাতে বলা যায়, বিদ্যুত জায় না মাঝে মাঝে আসে।আমাদের জনজীবনে দিয়ে যায় একটু সুড়সুড়ি। আমরা যখন গরমে অতিষ্ঠ হয়ে মনের প্রশান্তির জন্য, একটু ফ্যানের নিচে বসে হাওয়া খেতে যাই তখনই যেন কারেন্টের সহ্য হয় না। তাই শুরু হয়ে যায় লোডশেডিং ।
আমরা মাঝে মাঝে ভুলে যাই আমরা বর্তমানে আধুনিক বিশ্বে বসবাস করছি । শহরের জীবন আরো কষ্টের। আর এই কষ্টকে তীব্রতর করে আমাদের প্রতিদিনের লোডশেডিং। এর ফলে অতিষ্ঠ হয়ে অনেকেই ফেসবুকে নানা প্রকারের স্ট্যাটাস, ছন্দ, কবিতা ও ক্যাপশন দিয়ে মনের আবেগ প্রকাশ করে থাকে।
আপনি যদি সেই রকম নিজের মনের কষ্টকে ফেসবুকের মাধ্যমে প্রকাশ করার জন্য চাচ্ছেন। কিন্তু মনের মত ক্যাপশন, উক্তি স্ট্যাটাস পাচ্ছেন না তবে আপনি ঠিক জায়গাতেই এসেছেন। আমাদের লোডশেডিং নিয়ে মজার স্ট্যাটাস থেকে পাবেন মজার সব ফেসবুকে স্ট্যাটাস। যেগুলো আপনি শেয়ার করতে পারবেন সবার সাথে।
এতে করে লোডশেডিং থেকে পাওয়া কষ্ট গুলো একটু কমানো যায়। আর যদি আপনি আপনার মনের কষ্টের কারনে ফেসবুকে শেয়ার করেন তবে একটু হলেও আপনার মনের দুঃখ দূর হবে। তাই আসুন দেখে নেয়া যাক সুন্দর সুন্দর উক্তিম ও ক্যাপশন।
লোডশেডিং মানে কি?
আমরা কমবেশি সবাই এই কথাটার সাথে পরিচিত। অনেকে বুঝেও পরিচিত আবার কেউ না বুঝেও পরিচিত। তাই আসুন আজকে আবারো একবার শুধু জেনে নেই লোডশেডিং কাকে বলে । লোডশেডিং কথাটি মূলত ইংরেজী শব্দ যে শব্দটি মূলত বিদ্যুত প্রদানের সময় কিছু সময় বিরতিকে বুঝায়। তাই সহজ ভাবে বলা যায় লোডশেডিংহলো মাঝে মাঝে বিদ্যুতের ঘাটতি বা চলে যাওয়া।
লোডশেডিং কেন হয়?
সবাই জানি কারেন্ট চলেগেছে মানে লোডশেডিং শুরু হয়ে গেছে। কিন্তু আমরা অনেকেই একবারের জন্যও চিন্তাকরি না এই লোডশেডিং মূলত কেন হয়। আর লোডেশেডিং এর জন্য কি কি বিষয় দায়ী। তাই আসুন আজকে আপনাদের পরিস্কার করে বুঝিয়ে দিব লোডশেডিং কেন হয় এবং এর জন্য দায়ী কে?
ধরুন আপনাকে বলা হলো, আপনি আজকে ৫০ জনের জন্য খাবার আয়োজন করবেন । আপনাকে ঠিক ৫০ জনের খাবারের জিনিস পত্র দেয়া হলো । এবার আপনি তাদের জন্য খাবার আয়োজন করেছেন । কিন্তু দেখা গেলে ৫০ জনের সাথে আরো ২৫ জন বিভিন্ন ভাবে লোক বেশি আসছে ।
কিন্তু আপনি যেহেতু ৫০ জনের আয়োজন করেছেন তখন আপনি কি করবেন? নতুন আত্নীয় খাবার না দিয়েও পারবে না । তখন আপনি সেই খাবার গুলোই সবাইকে কম কম করে দিয়ে, সবাই কে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করবেন । ঠিক সেই কাজটাই করে বিদ্যুত অফিস দেশের যে বিদ্যুতের ঘাটতি আছে,
সেটা মেটানোর জন্য তারা একদিকে লাইন চালু রেখে আরেক দিকে বন্ধ করে দেয় । এতে করে সবাই কম কম করে হলেও বিদ্যুত পায় । যখন এই ঘাটতি বেশি হারে দেখা যায় তখন দেশে লোডশেডিং এর পরিমাণ চরম পর্যায়ে পৌছায়।
লোডশেডিং নিয়ে মজার স্ট্যাটাস
গরমে যখন সবার জীবন অতিষ্ঠ বিদ্যুত তখন শুধু মাঝেমধ্যে আসছে। আর তাই বেশিরভাগ সময়ই বিদ্যুত থাকে না। যেই না বিদ্যুত চলে যায় ঠিক সেই মুহূর্তে সভাই অতিষ্ঠ হয়ে, নিজের অনুভূতি গুলোকে প্রকাশ করার জন্য বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়ে থাকে। আর সেই স্ট্যাটাস গুলো অনেক মজা করে প্রকাশ করে থাকে।
আর সেই মজার স্ট্যাটাস গুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়ার জন্য, অনেকেই খোঁজ করে থাকেন। আর তাদের জন্যই এখানে আমরা দিয়েছি অনেক মজার লোডশেডিং নিয়ে স্ট্যাটাস । যেগুলো আপনি শেয়ার করতে পারবেন সবার সাথে।
বিদ্যুত যখন ছিলনা
ছিল তালপাখার পাতা
এখন শুথু লোডশেডিং
বিদ্যুত চলেগেলেই ঘুরে মাথা।
এক দুই তিন শুরু হলো লোডশেডিং
চার পাঁচ ছয় বিদ্যুত চলে গেলেই ভয়।
সাত আট নয় এমন করে কি জীবন চলা হয়,
একদিন এই দেশে হবে লোডশেডিং এর পরা জয়।
হায়রে কপাল মন্দরে
দেশে কারেন্ট থাকতেও
থাকি সবাই অন্ধকারে।
লোডশেডিং যেমন খুশি তেমনি হোক
আমি হচ্ছি গরবে আরাম করা
মহা সুখী লোক।।
লক্ষী কারেন্ট বলছি তোরে
অনেক আদর করে।
আসছো যখন অনেক পরে
থাক আরেকটু আমার ঘরে।
লোডশেডিং নিয়ে কিছু কথা
এখানে আপনাদের জন্য রেখেছি লোডশেডিং নিয়ে কিছু কথা যে গুলো আপনাদের অনেক ভাললাগবে। কারণ বর্তমানে লোডশেডিং একটি জাতীয় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর যখন লোডশেডিং শুরু হয় তখন দুঃখ্য প্রকার ভাষা খুঁজে পাওয়া যায় না। তাই সেই সময় এই কথা গুলো মনে করে নিজেকে শান্ত্বনা দিতে পারেন। অথবা সবার সাথে শেয়ার করতে পারেন এই কথা গুলো।
১. বিদ্যুত নাই তাই মনে হয় চাঁদের দেশে চলে যাই।
২.লোডশেডিং তাতে কি? পড়াশুনায়তো ব্রেক পেলাম।
৩. যখন সুন্দরী ছাত্রী তমাকে পড়াতে যেতাম তখন শুধু মনে মনে লোডশেডিং কামনা করতাম।
৪. বিদ্যুত আসলেই চলে যাবার ভয়ে থাকি।
৫. শুধু আমরাই বুঝলাম বিদ্যুত হিরার চেয়েও দামি।
৬. মাঝে মাঝে লোডশেডিং এর পর যখন বিদ্যুত আসে, তখন মনে হয় হাতে হারানো ধন পেয়ে গেলাম।
৭. লোডশেডিং অবস্থা দেখে মনে হয় যদি সূর্য আর অস্ত না যাইতো তবে কারেন্টের প্রয়োজন তেমন একটা হতো না।
৮. লোকে বলে বউ না বলে চলে যায় কথা শুনে না। কিন্তু বিদ্যুত তারচেয়েও খারাপ না বলেই চলে যায়।
লোডশেডিং নিয়ে ক্যাপশন
যদি আপনি লোডশেডিং নিয়ে সবার সাথে ক্যাপশন শেয়ার করতে চান তাহলে আপনি ঠিক জায়গায় এসেছেন। আশাকরি আপনার মনের মত ক্যাপশন এখানে পাবেন। যেগুলোকে শেয়ার করতে পারবেন সবার সাথে। এখানে নতুন আনকমন কিছু ক্যাপশন দেয়া হলো যেগুলো অনেক ভাল আপনার এবং আপনার বন্ধুদের ভাললাগবে।
লোডশেডিং তুমি বুঝলানা
তোমার যাতনা কত?
তোমার ব্যাথা পেয়ে মনে
মোম পুড়াচ্ছে শত শত।
হারিকেন নাই
আগের সেই দোয়াত নেই
আছে শুধু মোম
লোডশেডিং হলেই গরমে বেড়োয় দম।
এদিক ওদিক তাকাই আমি
নাইকো কারেন্ট ঘরে।
ঘরে আছে যতই ফ্যান
সবই রইল শুধু পড়ে।
আমাদের কপাল গেছে
ফাইটা জীবন গেলো কাইটা
ঘরে আমার কারেন্ট নাই
বউ মাড়লো মরো খাইটা।
লোডশেডিং নিয়ে কবিতা
কবিতার মাধ্যমে যদি লোডশেডিং এর দুঃখকে প্রকাশ করতে চান, তবে নিচের কবিতাটি আপনার জন্য। অনেকেই আছেন লোডশেডিং এর সময় কবিতা ব্যবহার করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে থাকে । আর বিভিন্নভাবে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে থাকে। তাই এই কবিতা আপনি ব্যবহার করতে পারেন আপনার লোডশেডিং এর দুঃখ ভুলার জন্য।
লোডশেডিং
কবি: 24favor.com
শুরু হলো লোডশেডিং
এবার কারেন্ট যাবার পালা
পাশের বাড়ীর খালা আসল
হাতে নিয়ে খাবার থালা।
তাহার ঘরে নাইকো মোম
ঘর তাই আজ অন্ধকার
খাওয়া শেষ হতে খালার
আলো বেশ দরকার।
রাগে দুঃখে খালা আজ
করছে বকা বকি।
খালার বকা শুনে আসলো
পাশের বাসার রকি।
রকি এসে বল্ল খালা
বকা দিয়ে খালা কি হয়?
লোডশেডিং হলো আমাদের সাথী
এটা জীবনের শেষ হবার নয়।
কি ভাবে লোডশেডিং দূর করা যায়?
উপরোক্ত লেখাটি পড়ার পর অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, বর্তমানের যে আমাদের লোডশেডিং আছে সেখান থেকে কিভাবে পরিত্রান পেতে পারি? এই লোডশেডিং এড়ানোর উপায় কি কি? আর কি করলে আমরা লোডশেডিং থেকে মুক্তি পাবো? এই সকল প্রশ্নের উত্তরে বলা যায়, উপরে আপনাদের যে উদাহরণটি দেওয়া হয়েছে ৫০ জনের খাবার ৭৫ জনের মধ্যে দিলে আমাদের খাবার শর্ট পড়েছে এটাও ঠিক তাই।
এখন আমরা দুটি উপায় এই সমস্যা থেকে পরিত্রান পেতে পারি। এ ছাড়াও আরও বেশ কিছু উপায় আছে যেগুলো আমি আলোচনা করব । কিন্তু আমরা দুটি উপায়ের যেকোনো একটি অবলম্বন করে এখান থেকে খুব সহজে পরিত্রান পেতে পারি। একটি হচ্ছে আমি বাড়তি লোকের জন্য খাবার রান্না করে ও বাড়তি লোককে খাবার না দিয়ে ।
ঠিক তাই যদি আমরা ঘাটতি বিদ্যুত উৎপাদন করি তবে লোডশেডিং দূর হয়ে যাবে । অথবা যতটুকু উৎপাদন হয় ততটুকুই সাপ্লাই দিয়ে। এছাড়াও আরো কিছু কারণ আছে যে গুলো অনুসরণ করলে কিছুটা হলেও লোডশেডিং কমানো যাবে।
- বিদ্যুত অপচয় রোধ করে।
- সিস্টেম লজ প্রতিরোধ করে।
- অবৈধ সংযোগ বন্ধ করে।
- বিদ্যুত খাতে দূর্নীতি বন্ধ করে।
- প্রতি বছর লাইনে গাছপালা পরিস্কার পরিছন্ন রেখে।
শেষ কথা
লোডশেডিং নিয়ে মজার স্ট্যাটাস লেখাটি কেমন লেগেছে জানাবেন আর পরিশেষে বলা যায় বিদ্যুৎ হচ্ছে আমাদের সম্পদ। আর এই সম্পদকে রক্ষা করা আমাদের সবারই দায়িত্ব। আমাদের সবারই উচিৎ বিদ্যুৎ ব্যবহারে সচেতন হওয়া। তবেই এই সম্পদকে রক্ষা করা যাবে। যদি আমরা এই সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার করতে পারি তবেই আমাদের দেশ উন্নত হবে। তাই আসুন আমরা অপ্রয়োজনে যেন আমাদের একটুও বিদ্যুৎ অপচয় না হয়।
আমরা যারা শুধু প্রয়োজনের সময় বিদ্যুৎ ব্যবহার করি, এবং সকল প্রকার অবৈধ বিদ্যুৎ ব্যবহার থেকে নিজেদেরকে বিরত রাখি। ধন্যবাদ কষ্ট করে উপরোক্ত লেখাটি পড়ার জন্য ।ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
আরো যে বিষয় গুলো পড়তে পারেন তাহলো :
১. জীবন নিয়ে সেরা ২৫০ টি কথা .উক্তি