মোবাইল ফোন ব্যবহারে ক্ষতিকর দিকগুলো ও এ থেকে বাঁচার উপায়: বর্তমানে মোবাইল ফোন হচ্ছে সবার হাতে হাতে । বিজ্ঞানের আশীর্বাদে এই যন্ত্রটি শোভা পাচ্ছে এখন সবার হাতেই। আর এর সাথে যোগ হয়েছে বর্তমানে আধুনিক প্রযুক্তির মোবাইল। আধুনিক মোবাইল গুলো মানুষ ব্যবহার করছে হরহামেশাই।
দিনের বেশিরভাগ সময় কাটাচ্ছে তারা মোবাইল ফোন ব্যবহার করে । আর এই মোবাইল ফোন আমাদের শেষ করে দিচ্ছে তিলে তিলে। আজকে আমি আলোচনা করব মোবাইল ফোনের সেইসব ক্ষতিকর দিক, যে গুলো জানলে আপনি চমকে উঠবেন। একই সাথে জানিয়ে দেবো আপনি কিভাবে মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিকগুলো থেকে খুব সহজেই বাঁচতে পারেন।
তো চলুন কথা না বাড়িয়ে আলোচনা করা যাক । মোবাইল ফোন ব্যবহারে ক্ষতিকর দিকগুলো ও এ থেকে বাঁচার উপায় এর খুঁটিনাটি বিষয় সহ সমস্ত ক্ষতিকর বিষয় এবং এর থেকে কিভাবে পরিত্রাণ পাওয়া যায়।
মোবাইল ফোনের ব্যবহার
এই যন্ত্রটি বর্তমান সময়ে এ এক বিস্ময়কর নাম। একসময় আমরা যেটা চিন্তা করতে পারতাম না, এখন এই যন্ত্রটি করে দিচ্ছে সেটা আমাদের নিমিষেই। এটার কারণেই আমরা পেয়েছি আধুনিকতার ছোঁয়া। পেয়েছি যোগাযোগ রক্ষা করায় এক নব দিগন্তের সূচনা। আর এই ডিবাইসটি বর্তমানে ব্যবহার হচ্ছে বিভিন্ন ভাবে। আমরা এটাকে ব্যবহার করতে পারছি না মুখি উপায়ে।
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো কথা বলা, ভিডিও দেখা, স্ট্রিমিং করা, অডিও মিউজিক শোনা, ই-পেপার পড়া, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ রক্ষা করা ও সময় দেখা সহ গেম খেলা এছাড়াও আরো রয়েছে নানা মুখি কাজ।
মোবাইল ফোন ব্যবহারে ক্ষতিকর দিকগুলো ও এ থেকে বাঁচার উপায়
মোবাইল ফোন চালনার ফলে বেশকিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে। যে ক্ষতিকর দিকগুলোর সন্মুখিন আমরা হরহামেশাই হয়ে যাচ্ছি। আর তাই আমরা যদি এখন থেকেই সচেতন না হই তাহলে আমরা প্রতিনিয়ত এসকল সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে । যার ফলে আমাদের শারীরিক, মানসিক, আর্থিক ক্ষতি সহ সবদিকেই সমস্যার সৃষ্টি হবে প্রকট।
আসুন আমরা মোবাইলের এই সকল ক্ষতিকর দিকগুলো বিস্তারিত বর্ণনা করি এবং এর থেকে কিভাবে পরিত্রান পাওয়া যায়, সে বিষয়গুলো আলোচনা করি। আপনি যেন এই আলোচনা পড়ে সহজেই পেতে পারেন এ সমস্যা থেকে পরিত্রান।
আস্তে আস্তে চোখের জ্যোতি কমে যাওয়া
যারা একটানা অনেক সময় মোবাইল ব্যাবহার করে, এবং মোবাইলে ভিডিও গেম খেলে। তারা মোবাইলের স্ক্রিনের দিকে একটানা চেয়ে থাকার কারণে ও মোবাইলের যে ক্ষতিকর রশ্মি সেটা চোখের উপরে পড়ার ফলে আস্তে আস্তে চোখে কম দেখা শুরু করে।
আর এই জন্য আমরা যারা প্রয়োজনের তাগিদে মোবাইল ফোন ব্যবহার করি। তাদের উচিত একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব রেখে মোবাইল ব্যবহার করা, এবং মোবাইলে বিভিন্ন অপশন আছে যেগুলো চোখের জন্য কম ক্ষতি করে সেই সমস্ত অপশন চালু করে রাখা।
মোবাইল হেডফোন ব্যবহারের ফলে কানে কম শোনা
বর্তমানে বাজারে অনেক মোবাইল ফোন আছে। যেগুলো অনেক উচ্চ শব্দ সম্পন্ন মোবাইল। এছাড়াও অনেক আধুনিক হেডফোন আছে, যেগুলো খুবই উচ্চ শব্দ সম্পন্ন হেডফোন। আর এই সমস্ত হেডফোন, আমরা যখন কানে লাগিয়ে ব্যবহার করি। তখন আস্তে আস্তে আমাদের কানের সোনার প্রবণতা কমে আসে। অর্থাৎ আস্তে আস্তে আমরা কানে কম শুনি।
আর এ থেকে যদি আপনি পরিত্রান পেতে চান আপনাকে অবশ্যই হেডফোন ব্যবহার থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করতে হবে। আর নিতান্তই প্রয়োজনের সময় আপনি যদি ভালমানের হেডফোন ব্যবহার করেন, তাহলে এই সমস্যা থেকে পরিত্রান পাওয়া যাবে তবে আমি আপনাকে বলব হেডফোন প্রয়োজনের তাগিদে খুবই অল্প সময়ের জন্য ব্যবহার করবেন না ব্যবহার করতে পারলে আরো ভাল ।
অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার করার ফলে মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাও
এক গবেষণায় দেখা গেছে যারা দিনের অধিকাংশ সময় মোবাইলে কথা বলে এবং মোবাইল নিয়ে সময় কাটায় তাদের মেজাজ হয়ে যায় খিটখিটে । তারা কারো সাথে ভালো আচরণ করে না। কেউ যদি তাদের সাথে কথা বলতে চায় তারা তখন তাদের রাগ দেখায়, এবং তাদের আচরণ স্বাভাবিক থেকে পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়।যার ফলে তাদের মেজাজ হয় খিটখিটে।
এই সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য আপনি বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করতে পারেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে বিভিন্ন বই পড়া, পেপার ও ম্যাগাজিন পড়া, বিভিন্ন ধর্মীয় আচার আচরণে অংশগ্রহণ করা এবং বিভিন্ন জায়গায় বেড়াতে গিয়ে সময় কাটানো।
চিন্তাশক্তি লোপ পাওয়া
যেহেতু মোবাইল ব্যবহার করার ফলে, আমাদের চিন্তা শক্তি এক দিকে প্রবাহিত হয়। যার ফলে আমাদের চিন্তা শক্তি বিকশিত হতে পারে না। আমরা কোন সৃষ্টিধর্মী কাজকর্ম করতে পারি না । আমাদের চিন্তা শক্তি সবসময় মোবাইলকে গিরে থাকে। এর ফলে আস্তে আস্তে আমাদের চিন্তাশক্তি লোপ পায়।
আর আপনি যদি এই সমস্যা থেকে সমাধান পেতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনার মোবাইলের ব্যবহারের পরিমাণ কমিয়ে দিতে হবে। শুধু প্রয়োজনের তাগিদে যতটুকু ব্যবহার করা প্রয়োজন ঠিক ততটুকুই ব্যবহার করতে হবে।
আর্থিক ক্ষতি হওয়া
মোবাইল শুধু শারীরিক ক্ষতি করেনা এর সাথে সাথে মোবাইল আর্থিক ক্ষতি করে থাকে। কারণ আপনি যদি অত্যাধিক মোবাইল ব্যবহার করেন, সেক্ষেত্রে আপনাকে কিনতে হয় বিভিন্ন মিনিট প্যাক অথবা এর সাথে কিন্তু হয় বিভিন্ন ইন্টারনেট প্যাক। এইজন্য আপনাকে গুনতে হয় প্রচুর টাকা।
আর এই সমস্যা থেকে পরিত্রান হওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই মোবাইল ব্যবহারের পরিমাণ কমিয়ে আনতে হবে। মোবাই কম্পানির বিভিন্ন চটকদার বিজ্ঞাপনে বিভিন্ন প্যাকেজের প্রতি আসক্ত হওয়া যাবে না। মোবাই ব্যবহারের বিপরিতে টাকা সঞ্চয় এর করার জন্য নিজেকে উৎসাহিত করতে হবে।
সময়ের অপচয় হওয়া
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, আমরা আমাদের দিনের বেশিরভাগ সময় কাটাই এই ক্ষুদ্র একটা যন্ত্রের সাথে। এটাকে আমরা দিনের বেশিরভাগ সময় ব্যবহার করে থাকি বিভিন্নভাবে। যেমন অনেক সময় আমরা ব্যবহার করি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, এটাকে ব্যবহার করি বিভিন্ন মুভি বা গেম খেলে, আর এর জন্য এই যন্ত্রটি নষ্ট করছে আমাদের জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সময়টুকু।
আর এই সমস্যা থেকে সমাধান পেতে হলে। আপনাকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যেন, আপনি কোনোভাবেই অপ্রয়োজনের অতিরিক্ত সময় মোবাইল ব্যবহার না করেন।
মোবাইল ব্যবহারে ঘাড়ে ও মাথায় ব্যথার সৃষ্টি
দীর্ঘ সময় মোবাইল ব্যবহার করার ফলে দেখা যায়, আমারা একদিকে কাত হয়ে কথা বলি। আর এভাবে একদিকে কাত হয়ে কথা বলার কারণে, আমাদের ঘারের মাংসপেশিতে ব্যথা অনুভব করি। এর ফলে এই ব্যথা এক সময় স্থায়ী রূপ আকার ধারণ করে। এটা মূলত হয়ে থাকে আমরা নির্দিষ্ট দূরত্বে রেখে মোবাইল ব্যবহার না করার ফলে।
আর এই সমস্যা থেকে সমাধান পেতে হলে আপনাকে অবশ্যই একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব রেখে মোবাইল ব্যবহার করতে হবে, এবং সবসময় খেয়াল রাখতে হবে মোবাইল ব্যবহার করার ফলে আপনার ঘাড়ে কোন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে কিনা?।
মোবাইল ফোন ব্যবহারে শিশুদের যে সকল ক্ষতি হয়
মোবাইল ফোন ব্যবহারে প্রথম যারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর অবস্থার সম্মুখীন হয়, তারা হচ্ছে আমাদের শিশুরা। বিশেষ করে যারা অসচেতন বাবা-মা, তারা দেখা যায় শিশুদের বিভিন্নভাবে ব্যস্ত রাখতে মোবাইল খেলনা হিসেবে তাদের দিয়ে থাকেন। শিশুরা সেই মোবাইল পেয়ে অনেক আনন্দ খেলনা হিসেবে ব্যবহার করে থাকে,
এবং দিনের বেশিরভাগ সময়ে তারা কাটায় মোবাইলে ভিডিও দেখে ও গেম খেলে তারা অনেক ব্যস্ত সময় কাটিয়ে থাকে বিভিন্ন কার্টুন অথবা শিশুদের মজার গেম খেলে। তাই শিশুদের মোবাইল ব্যবহারের ফলে যে সকল ক্ষতি হয়।
সুইচ গবেষকরা ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী ৭০০ কিশোর তরুনের উপর বছরখানেক ধরে গবেষণা করেছে। এতে দেখা যাচ্ছে মোবাইল ফোনের রেডিয়েশন তাদের মস্তিষ্কের বিকাশের উপর নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করে। এই গবেষণায় দেখা গেছে একটি মজার বিষয় আর তা হলো যারা ডানকানে মোবাইল ব্যবহার করে তাদের থেকে বামকানে ব্যবহার করা ব্যক্তিদের ক্ষতির পরিমাণ কম।
আর তাই ক্ষতির পরিমাণ কমানোর জন্য তারা বাম কানে মোবাইল ব্যবহারের পরামর্শ দেন। এছাড়াও আরো যে উল্ল্যেখযোগ্য ক্ষতিকর দিক রয়েছে তা নিম্নে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হলো।
মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া
মোবাইল ফোন ব্যবহারে শিশুদের মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। কারন তারা সবসময় পছন্দ করে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে আর তাই তারা সেটা নিয়ে থাকতে চায়। যখন আপনি তাকে মোবাইল থেকে দূরে আনতে যাবেন তখন সে আপনার কথা শুনতে চাইবে না, এবং সে আচরণগত সমস্যা দেখাবে ।
তার মেজাজ খিটখিটে ভাব হয়ে যাবে । আর এর বাস্তব প্রমান দেখিয়েছেন জার্মানির লাইপজিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষকদল তারা তাদের গবেষণা শেষ করার পর রিপোর্টে দেখান শিশুদের হাতে স্মার্টফোন দিলে তাদের আচরণগত সমস্যায় পরিবর্তন দেখা যায় যেট আসলে নিতিবাচক আর তাই এই ধরনের সমস্যা থেকে শিশুদেরকে বাঁচাতে চাইলে তার হাতে স্মার্টফোন না দেওয়া।
খারাপ ছবির প্রতি আসক্তি এবং জীবনি শক্তি হারানো
বিশ্বায়নের এই আধুনিক যুগে, আপনি পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকেন না কেন। এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তের মানুষের আচার-আচরণ কৃষ্টি-কালচার আপনি দেখতে পারবেন খুব সহজেই। পৃথিবীর অনেক দেশেই মেলামেশা হচ্ছে অবাধ। সেখানে প্রাপ্তবয়স্ক যারা বৈধ মেলামেশা করতে পারে।
এছাড়াও কিছু লোক আছে যারা এটাকে শিল্প হিসেবে নিয়ে তারা বিভিন্ন সিনেমা এবং খারাপ সিনেমা তৈরি করে থাকে। যেটা তারা ইন্টারনেটে আপলোড দিয়ে সারা দুনিয়ার মানুষ দেরকে দেখার জন্য ব্যবস্থা করে থাকে। আর এই সকল জিনিস আমাদের যারা কোমলমতি শিশু আছে তারা খুব সহজেই ইন্টারনেট ব্রাউজ করে দেখে থাকেন।
যার ফলে তারা এগুলো দেখে বাস্তব জীবনে যখন প্রাকটিস করে। তখন তারা আস্তে আস্তে শুরু করে দেয় খারাপ চর্চা করে যার ফলে দিন দিন তাদের জীবনি শক্তি হারিয়ে যায়। এর ফল তারা ভোগেন বিভিন্ন স্বাস্থ্যগত সমস্যায়।
আর আপনি যদি আপনার বাচ্চাকে এই ধরনের সমস্যা থেকে বাঁচাতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে আপনার বাচ্চা, যখন মোবাইলে অথবা কম্পিউটারে ইন্টারনেট ব্রাউজ করে। তখন সে কোন ধরনের জিনিস ব্রাউজ করতেছে । কোন কোন সাইটে ব্রাউজ করতেছে ।
এই বিষয়ে লক্ষ্য রাখা সহ তার সাথে খোলামেলা ভাবে খারাপ ছবি ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে আলোচনা করতে হবে। যাতে করে সে এগুলো থেকে নিজেকে দূরে রাখতে পারে উৎসাহী বোধ করে।
চোখের জ্যোতি কমে যাওয়া
আমরা জানি মোবাইল থেকে এক ধরনের আলোক রশ্মি বের হয় । যেটা চোখের জন্য খুবই ক্ষতিকর। বিশেষ করে যে সকল শিশুরা খুব কাছ থেকে মোবাইল ফোন দেখে বা ভিডিও গেম খেলে। তারা একটানা মোবাইলের দিকে তাকিয়ে থাকার ফলে তাদের চোখের রেটিনার উপর প্রভাব পড়ে ।
আর যার ফলে তারা আস্তে আস্তে চোখে কম দেখা শুরু করেন। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, যে সকল শিশুরা অধিক মোবাইল ফোন ব্যবহার করে, তারা বিভিন্ন ধরনের চোখের সমস্যায় ভুগে থাকেন।
আর তাই আপনি যদি আপনার বাচ্চার এই সমস্যা থেকে সমাধান পেতে চান অথবা তাকে মোবাইল থেকে দূরে রাখতে চান। তাহলে আপনাকে অবশ্যই আপনার বাচ্চাদের জন্যে মোবাইল এর পরিবর্তে খেলনার ব্যবস্তা করতে হবে। অথবা আপনি তাদেরকে বিভিন্ন খেলায় অংশ গ্রহণ করা সহ তাদের নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বেড়াতে যেতে পারেন। যেন তারা মোবাইলের প্রতি আসক্ত না হয়।
লেখাপড়া নষ্ট হওয়া
লেখাপড়া উপযুক্ত সময় হচ্ছে ছোট সময়। আর তাই শিশু থেকেই লেখাপড়া শুরু না করলে, বড় হয়ে তারা লেখাপড়ার প্রতি আর মনোযোগ দিতে পারে না। আর তাই শিশু বয়সে যদি বইয়ের বদলে তারা হাতে নেয় মোবাইল, তাহলে মোবাইলের বিভিন্ন ফিচার থাকার কারণে তারা বই থেকে মোবাইল কে বেশি পছন্দ করে থাকে।
তাছাড়া মোবাইলে থাকে বিভিন্ন ধরনের মজাদার গেম। যে গেম গুলো বাচ্চারা সারাদিন ব্যাপী খেলতে পছন্দ করে। আর তাই তারা লেখাপড়ার থেকে মোবাইল চালানো কে বেশি পছন্দ করে থাকে।
আর আমরা যদি শিশুদেরকে মোবাইল ফোন ব্যবহার থেকে বিরত রাখে চাই তাহলে তাদের লেখা পড়ার মনোযোগ বাড়াতে হবে । তাদের সাথে আলোচনা করতে হবে এর ক্ষতিকর দিক সম্পের্কে । আর তাদের লেখাপড়া ভালো হওয়ার জন্য তাদেরকে মোবাইল এর পরিবর্তে সুন্দর সুন্দর মজাদার গল্পের বই ও অন্যান্য বিভিন্ন সাইন্সফিকসন বই কিনে দিতে হবে যাতে করে তারা পড়ে পছন্দ করে এতে করে তাদের জ্ঞানের পরিধিকে বৃদ্ধি পাবে।
চিন্তা শক্তি কমে যাওয়া
মোবাইলে গেম খেলা বা ভিডিও দেখার ফলে তাদের চিন্তাশক্তি একটা জায়গায় আটকে যায়। তাদের চিন্তা শক্তি একদিকে ডাইভার্ট হয় ।তারা অন্য কোন চিন্তা করতে পারে না। যার ফলে দিন দিন তাদের চিন্তাশক্তি কমে যায়। এর ফলে দেখা যায় একসময় তারা বাহিরের সৃষ্টিধর্মী কোন কিছু চিন্তা করতে পারে না।
আপনি যদি এই ধরনের সমস্যা থেকে রেহাই পেতে চান তাহলে আপনার বাচ্চাকে মোবাইলের প্রতি আসক্ত না করে, তাকে বিভিন্ন শিক্ষামূলক খেলনা কিনে দিতে পারেন। এতে করে তার চিন্তাশক্তি বিকশিত হবে। অন্যদিকে মোবাইল থেকে খেলনা কে বেশি পছন্দ করে খেলনার প্রতি আসক্ত হবে।
(আপনার যদি কোণ ধরনের ইনকাম করার থাকে তাহলে আপনি ব্যবসা করার এই ধরণাটি ব্যবহার করতে পারেন।)
মোবাইল ফোন এর সঠিক ব্যবহার বা মোবাইল ফোনের ভালো দিক
যে যন্ত্রটি বর্তমানে মানুষের কাজ কে করেছে সহজ এবং যোগাযোগ ব্যবস্থাকে করেছে উন্নত। যেখানে আগেকার যুগে যোগাযোগ করতে সময় লেগেছে কয়েক ঘণ্টা থেকে শুরু করে কয়েকদিন পর্যন্ত। সেখানে মোবাইল মুহূর্তের মধ্যেই যোগাযোগ করে দিতে পারে। যার ফলে যোগাযোগের মাধ্যমকে করেছে সহজ।
মোবাইলের অল্প কিছু ক্ষতিকর প্রভাব থাকলেও, এর উপকারী দিক কম নয়। মোবাইলের ফলে আমরা নানা সুবিধার সম্মুখীন হয়েছি। আর যে সকল সুবিধা মোবাইল আমাদেরকে দিয়েছে সে সকল সুবিধা গুলো নিম্নে দেয়া হলো।
- মোবাইল ফোন দিয়ে যেকোনো জায়গায় সহজেই যোগাযোগ করা যায়।
- এটা দ্বারা আমরা সময় জানতে পারি।
- আমরা আমাদের স্থানকে অথবা লোকেশন ট্র্যাক করতে পারি।
- আমরা বিনোদনের জন্য যেকোন ধরনের ভিডিও দেখতে পারি।
- ভিডিও গেম খেলতে পারি।
- সবার সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারি।
- আমরা ঘড়ির সময় দেখতে পারি।
- ক্যালকুলেটরের কাজ করতে পারি।
- ই-বুক পড়তে পারি।
- ইলেকট্রিক পেপার পড়তে পারি।
আরো অনেক কাজ রয়েছে যেগুলো আমরা আলোচনা কমানোর স্বার্থে এখানে পড়াশোনা হল এক কথায় বলা চলে এক মোবাইলের ব্যবহার বহুবিধ ব্যবহার।
মোবাইল ফোনের অপব্যবহার
যদিও মোবাইলকে আমরা বর্তমানে ব্যবহার করে বিভিন্ন উপকারী কাজে লাগাতে পারি। কিন্তু এর ক্ষতিকর দিক ও কম নয়। বর্তমানে মোবাইল দ্বারা বেড়ে বেড়ে গেছে বিভিন্ন ক্রাইম। এছাড়াও দেখা দিয়েছে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক অপরাধ প্রবণতা। মোবাইল ব্যবহার করার ফলে উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েরা জড়িয়ে পড়ছে প্রেমসহ অনৈতিক কাজে।
তাছাড়াও সমাজে বেড়ে গেছে পরকীয়া প্রেমের প্রভাব। যার কারণে সমাজে বেড়ে গিয়েছে সামাজিক অপরাধ প্রবণতা। এছাড়াও মোবাইল ব্যবহার করে অনেকেই কিডন্যাপের মত কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে । তাছাড়া মোবাইল দিয়ে লোকেশন ট্র্যাক করে যে কাউকে কিডন্যাপ করা সহ খুন করা সহজ বলে এটাকে তারা ব্যবহার করে থাকে।
(জীবনে সফল হতে চাইলে জানতে হবে সফল হওয়ার কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস। আর আমরা সাজিয়েছে টিপস গুলো আমাদের এই পেইজটিতে। দেখে আসতে পারেন আমাদের এই পেইজটি তাহলে জানতে পারবেন সফল হওয়ার মূল টিপসগুলো)
মোবাইল ফোনের ব্যবহার শিক্ষার্থীদের বিপথগামী করছে
মোবাইলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে যারা, তারা হচ্ছেন উঠতি বয়সী স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা। বর্তমানে দেখা গেছে উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েরা বিভিন্ন পড়ার নামে তারা আসক্ত হয়ে পড়েছে বিভিন্ন অসামাজিক ভিডিও দেখায়। এছাড়াও সময় কাটায় বিভিন্ন ধরনের ভিডিও গেম খেলে। যার ফলে মোবাইল ফোনের উপকার দিকের পরিবর্তে ক্ষতিকর দিকেই বেশি হয়ে থাকে।
আর এই জন্য তারা মোবাইলের প্রতি আসক্ত হয়ে দিন দিন হয়ে যাচ্ছে বিপথগামী।
(জীবনে কে না সুখী হতে চায়? আমি নিশ্চিত আপনিও সুখী হতে চান আর তার জন্য জানা দরকার সুখি হওয়ার মূলমন্ত্র গুলো । আর এর জন্য ভিজিট করতে পারেন আমাদের এই পেজটি)
দিনে কত ঘন্টা মোবাইল ফোন চালানো উচিত
মোবাইলের অনেক ক্ষতিকর দিকে থাকার কারণে। অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে আমরা আমাদের প্রয়োজনের তাগিদে মোবাইল চালাতে চাই। সে ক্ষেত্রে আমাদের কতটুকু সময় সর্বোচ্চ মোবাইল চালাতে পারবো বা স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো হবে।তাদের এই প্রশ্নের আলোকে বিভিন্ন গবেষকগণ গবেষণা করে দেখেছেন দিনে প্রয়োজনের তাগিদে সর্বোচ্চ এক থেকে দুই ঘন্টা মোবাইল চালানোর স্বাস্থ্যের পক্ষে উত্তম ।
এছাড়াও আমরা যখন মোবাইল পরিচালনা করব, সে ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। যেমন বডি ডিসটেন্স, চোখের দূরত্ব ইত্যাদি। আর এই সব বিষয়গুলোর দিকে আমাদের নজর দেই তাহলে আমরা মোবাইলের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করতে পারব।
(আপনি কি আধুনিক কৃষি বিষয়ক সকল ভিডিও দেখতে চান? তাহলে ক্লিক করুন আমাদের এই চ্যানেলকে দেখে নিন প্রতিদিনের আপডেট কৃষি তথ্য)
শেষকথা
মোবাইলের একদিকে যেমন উপকারী দিক রয়েছে। অন্যদিকে রয়েছে অনেক ক্ষতিকর দিকও। তাই আপনারা যারা আমার এই লেখা পড়লেন। তারা অবশ্যই আপনার বিবেকের সাথে বুঝে তারপরে মোবাইল ব্যাবহার করবেন। কারণ আমরা মোবাইলকে ব্যবহার করতে চাই শুধু আমাদের প্রয়োজনে।
তাই আসুন আমরা মোবাইলের সদ্ব্যবহার করি, এবং মোবাইলকে আমাদের কাজে লাগাই। আর আমার এই লেখা পড়ে আপনার যদি উপকার হয়ে থাকে। তবে অবশ্যই আপনি লেখাটি শেয়ার করবেন বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। আপনি আমাকে জানাবেন এই লেথাটি পড়ে আপনার কেমন লেগেছে। ধন্যবাদ কষ্ট করে পড়ার জন্য।