হ্যালো বন্ধুরা, আশা করি সকলেই ভাল আছেন। আজকে আমরা কথা বলব আপনাদের আকর্ষণীয় এবং
লোভনীয় একটি বিষয় নিয়ে। আজকের বিষয় টি হচ্ছে সোনার খাদ চেনার উপায় ও কেনার কৌশল ।
বিশেষ করে মেয়েদের স্বর্ণের প্রতি একটু লোভটা বেশি থাকে। তাই আপনারা যারা বিভিন্ন জুয়েলারি থেকে
স্বর্ণ কিনেন তাদের জন্যে আজকে আমার এই লেখা টি। আপনারা এই লেখা টি পড়লে স্বর্ণের সম্পর্কে একটি
ধারনা পাবেন। তাই স্বর্ণ কিনতে চাইলে আমাদের এই লেখা টি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে আশা করি
স্বর্ণ কিনতে ঠকবেন না। এখান থেকে আপনারা আরো জানতে পারবেন সোনার খাদ, সোনা কেনার কৌশল,
সোনার দর দাম, সোনা চেনার উপায়,সোনার গহনার ছাড়,দামের পার্থক্য,সোনার বিনিয়োগ এবং মণি- মুক্তা
বসানো সোনা কতটুকু যুক্তিসঙ্গত।এ সকল বিষয় নিম্নে আলোচনা করা হলো।চলুন তাহলে, আমরা স্বর্ণ
সম্পর্কে জেনে নেই-
সোনার খাদ
প্রাচীনকাল থেকে সোনার ব্যবহার হয়ে আসছে, বিশেষ করে মহিলাদের সোনার প্রতি আকর্ষণ বেশি। কিন্তু
আমাদের সোনার খাদ সম্পর্কে ধারণা না থাকার কারণে অনেক সময় ঠকে যাই। আজকে আমরা স্বর্ণের
খাদ সম্পর্কে জানব ।নিচে সোনার খাদ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো – ২৪ ক্যারেট সোনায় রয়েছে ৯৯.৯%
সোনা , ২২ ক্যারেট সোনা রয়েছে ৯১.৬% সোনা ,২১ ক্যারেট সোনায় রয়েছে ৮৭%সোটনা, ১৮ ক্যারেট
সোনায় রয়েছে ৭৫% সোনা , ১৬ ক্যারেট সোনায় রয়েছে ৬৬.৬৬% সোনা ,১৪ ক্যারেট সোনায় রয়েছে
৫৮.৩৩%সোনা ,এবং ১২ ক্যারেট সোনায় রয়েছে ৫০% সোনা। সোনার খাদ নির্ণয়ের জন্য যে যন্ত্রটি ব্যবহার
করা হয় সেটা হলো স্পেকট্রোমিটার।
খাঁটি সোনা চেনার উপায়
খাঁটি সোনা ক্রয় করতে হলে আমাদের অবশ্যই হলোগ্রাম যুক্ত সোনা কিনতেই হবে ।সে ক্ষেত্রে ২৪
ক্যারেটের সোনা হল সবচেয়ে খাঁটি সোনা। খাঁটি সোনা কিনতে হলে অবশ্যই আরেক টি দিক খেয়াল রাখতে
হবে, সেটা হল স্পেকট্রোমিটার দিয়ে যাচাই করে নেয়া।আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন খাঁটি সোনা কি
ভাবে চেনা যায়।
সোনা কেনার কৌশল
সোনা কিনতে হলে অবশ্যই আমাদের কিছু কৌশল অবলম্বন করতে হবে ।যেমন আমরা সোনা কেনার
আগে সোনার দাম সম্পর্কে জেনে নিব এবং পাশাপাশি দোকান গুলোতে যাচাই করব স্বর্ণের দাম সম্পর্কে
এবং আমরা জেনে নেব যে, কোন সোনায় খাদ বেশি । গহনার জন্য ভালো হল ২২ ক্যারেট এর সোনা ।
সোনার গহনা তৈরির ক্ষেত্রে অবশ্যই আমরা সেদিকে খেয়াল রাখব।আমরা খাটি সোনা হিসেবে ২৪ ক্যারেট
সোনাকে দাম দিলেও গহনা বানানোর ক্ষেত্রে আমরা ২২ ক্যারেট এবং ২১ ক্যারেট সোনার ব্যবহার বেশি
করে থাকি। আরেক টি বিষয় হলো-আপনারা যখন সোনা কিনবেন তখন অবশ্যই হলমার্ক যুক্ত সোনা দেখে
কিনবেন তাহলে আর ঠকার কোন সম্ভাবনা নেই।আশা করি আপনারা সোনা কেনার কৌশল সম্পর্কে ধারণা
পেয়েছেন।
সোনার গহনার ছাড়
সোনার গহনার ছাড়ের ক্ষেত্রে আমরা বলতে চাই যে, অনেকে স্বর্ণের গহনার মজুরির ক্ষেত্রে কম নিতে পারে
কিন্তু কেউ যদি আরো বেশি ছাড় দিতে চায় তাহলে বুঝে নিতে হবে যে স্বর্ণের খাদ এর পরিমান বেশি থাকবে।
সে ক্ষেত্রে আমাদের সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে এবং জেনে শুনে কিনতে হবে।
দামের পার্থক্য
সোনার দাম সব জায়গায় একই রকম হয়ে থাকে । তবে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে ২৪ ক্যারেট সোনার
দাম সবচেয়ে বেশি । আবার অনেকে মিথ্যা লোভ দেখিয়ে সোনায় খাদ দিয়ে সাধারন মানুষকে ঠকিয়ে থাকে
। তাছাড়া আমরা যদি যাচাই না করে সোনা কিনি তাহলে দামের পার্থক্য হয়ে থাকে ।তাই আমরা অবশ্যই
সোনা কিনার সময় জেনে শুনে কিনবো।
দরদাম
সোনা কিনার ইচ্ছা থাকলে সকলের জন্য দরদাম করা আবশ্যক ।কারণ দরদাম করে কিনলে বা যাচাই-
বাছাই করে কিনলে সোনা কিনে ঠকার সম্ভাবনা কম ।তাই আমরা সোনা কেনার সময় অবশ্যই দরদাম করে
সোনা কিনবো।তাহলে আমাদের ঠকার সম্ভাবনা কম থাকবে।
মনি মুক্তা বসানো সোনা কতটুকু যুক্তিসঙ্গত
মনি- মুক্তা বসানো সোনা দেখতে সুন্দর হলেও এই গহনায় খাদ বেশি। এজন্য মণি-মুক্তা বসানো গহনা
ব্যবহার না করাই ভালো । তাছাড়া মণি-মুক্তা বসাতে যে পরিমাণ খরচ হয়, পরবর্তীতে সেরকম দাম পাওয়া
যায় না, সেজন্য আমরা সব সময় চেষ্টা করব মনি-মুক্তা ছাড়া গহনা ব্যবহার করার ।তাই এই বিষয় টি খেয়াল
করে আমরা গহনা বানাবো ।
সোনায় বিনিয়োগ
বর্তমানে সোনার দাম অনেক বেশি, তবে যাঁরা পাঁচ থেকে দশ বছর আগে সোনা কিনে রেখেছিল তাদের
অনেক লাভ হয়েছে । সোনায় বিনিয়োগ করে রাখলে সেরকম কোনো ক্ষতি নেই, কারণ সোনা ব্যবহারের
পরেও যতটুকু ততটুকু থাকে কোন ঘাটতি হয় না । তবে সোনায় যদি বেশি খাদ থাকে তবে ক্ষতি হওয়ার
সম্ভাবনা আছে।তাই আমরা সোনায় বিনিয়োগ করার আগে যাচাই -বাছাই করে তার পরে বিনিয়োগ করবো।
আশা করি আপনাদের বুঝাতে পেরেছি।
শেষ কথা
আপনারা যারা আমার এই সোনার খাদ চেনার উপায় ও কেনার কৌশল লেখা টি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত
পড়েছেন তাদের অনেক ধন্যবাদ । পরবর্তীতে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মতামত কমেন্ট করে
আমাদের জানাবেন কি রকম লেখা আপনাদের দরকার ।যারা সবটুকু পড়া শেষ করেছেন তারা অবশ্যই
সোনার খাদ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন ।নিম্নে আপনাদের সাথে আরো কিছু লেখার লিংক শেয়ার করা
হলো ।প্রয়োজন মনে করলে পড়তে পারেন।আশা করি কাজে লাগবে।ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে
দেখবেন।
একই বিষয়ে পড়তে পারেনঃ
- অস্ট্রেলিয়া যেতে কত সময় লাগে
- সরকরিভাবে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার উপায়
- অস্ট্রেলিয়া শ্রমিকের বেতন
- কাতারে কোন কাজের চাহিদা বেশি।
- সিংঙ্গাপুরে কোন কাজের চাহিদা ও বেতন বেশি।
- কানাডায় কোন কাজের চাহিদা বেশি।
- মালয়েশিয়ায় কোন কাজের চাহিদা বেশি
- সৌদি আরব ভিসা কত প্রকার
- সুইজারল্যান্ড সংবিধান ও জনপ্রিয় স্থান
- সুইজারল্যান্ড ভাষা এবং প্রশাসন
- সুইজারল্যান্ড কোন মহাদেশে অবস্থত
- সুইজারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
- সুইজারল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা
- সুইজারল্যান্ড ভ্রমণ ভিসা
- সুইজারল্যান্ড নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায়
- নিউজিল্যান্ড দেশের পরিচিতি ও জনসংখ্যা কত?
- নিউজিল্যান্ড ভিসা ও বেতন কত?
- নিউজিল্যান্ডের মুদ্রার নাম ও মান কত?
- পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ও কোন কাজের চাহিদা বেশি
- নিউজিল্যান্ড নাগরিকত্ব ও স্থায়ী বসবাসের সুবিধা
- বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যাওয়ার নিয়ম ও আবেদন
- পর্তুগাল দেশ কেমন
- পর্তুগাল স্টুডেন্ট ভিসা
- পর্তুগাল টুরিস্ট বা ভিজিট ভিসা এবং কি কি কাগজপত্র লাগে