সিত্রাং শব্দের অর্থ কি?– বর্তমানে বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। যেটি বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে
যে কোন সময় আঘাত হানতে পারে। লন্ডভন্ড করে দিতে পারে উপকূলীয় অঞ্চল কে। তাই এই ঘূর্ণিঝড় কে মোকাবেলা
করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে নেয়া হচ্ছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা। আর একইসাথে উপকূলবাসী যারা আছে তারা সরে
যাচ্ছেন নিরাপদ আশ্রয়ে। আসুন মহান আল্লাহ তা’আলা যেন আমাদেরকে এ ধরনের প্রাকৃতিক ক্ষতি থেকে হেফাজত
করেন সেই প্রত্যাশা নিয়েই ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা করবো। আর নিয়মিত আপডেট খবর পেতে সবসময়
আমাদের টোয়েন্টিফোর ফেবার ( 24favor.com) ডটকমের সাথে থাকুন।
সিত্রাং শব্দের অর্থ কি?
এই নামটি দেয়া মূলত থাইল্যান্ডের যার অর্থ অনেকেই জানতে চায়। আর তাদের জন্য এখানে এর নামের অর্থ আমরা তুলে
ধরবো। এবার যে ঘূর্ণিঝড় আসছে তার নাম হলো সিত্রাং যার বাংলা অর্থ করলে হয় ”পাতা’। সাধারণত এই ধরনের নাম
করনের প্রথা চালু হয় মহাসাগরে বড় ধরনের ঘূর্ণিঝড় হওয়ার পর থেকেই । আর এই নামকরনে কয়েকটি দেশ অংশ গ্রহণ
কর থাকে। আর এই সব সাইক্লোনের নাম আগে হতেই নির্ধারন করা হয়। আর এই নাম করনের মধ্যে যে সকল দেশ রয়েছে
তারা হলেন বাংলাদেশ,পাকিস্তান,ভারত,নেপাল,ভুটান,চিন,মালদীপ সৌদীআরব,শ্রীল্কা,থাইল্যান্ড ইয়েমেন.সংযুক্ত আরব
আমিরাত,ওমান । এই সকল দেশ নাম ঠিক করে আঞ্চলিক অফিসে পাঠায় আর সেখান থেকে নাম চুড়ান্ত হয়।
ঘূর্ণিঝড় এর সর্বশেষ সংবাদ
যদিও পূর্বে ভারতের দিকে এই ঝড়ের মুখ ছিল কিন্তু বর্তমানে এটি বাংলাদেশের দিকে দেয়ে আসছে। বর্তমানে এটি
আন্দামান সাগরে ঘনিভূত হচ্ছে যা আগামি সোমবার নাগাদ বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে। প্রথমে
সেটা কোন অঞ্চলে আঘাত হানবে সেটা অনেকটা অনিশ্চিত ছিল। কিন্তু এবার ভারতীয় গণমাধ্যম এই সময়ে জানালো
ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থান বলা হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের দিকে নয়, বাংলাদেশের দিকে মুখ ঘুরিয়ে বর্তমান অবস্থায় বাংলাদেশে উপকূলে
২৫ অক্টোবর ২০২২ ভোরের দিকে আচড়ে পড়তে পারে। আবহাওয়া অফিসের বিষয়টি নিয়ে জানতে চাওয়া হলে
আবহাওয়া বিদ আবহাওয়া অধিদপ্তর জনাব আব্দুর রহমান খান বলেন বিষয়টি গভীর ভাবে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে এটি
বর্তমানে আগের থেকে অনেক বেশি ঘনিভূত হচ্ছে এখন পর্যন্ত এটির মুখ বাংলাদেশের দিকে রয়েছে। তবে যেহেতু
সাইক্লোন যে কোন সময় তার মোর ঘুড়িয়ে অন্যদিকে আঘাত হানতে পারে। তাই সঠিক ভাবে এখনো বলা যাবেনা যে এটি
বাংলাদেশেই আঘাত হানবে। তবে যে কোন অবস্থা মোকাবেলা করার জন্য তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।
সবাইকে এই ধরনের মহামারি থেকে আল্লাহ আমাদের রক্ষা করুন । আর যে যার মত নিজের দিক থেকে সর্তক থাকুন।
যাতে করে বিপদের সময় নিরাপদ স্থানে আশ্রয় গ্রহণ করতে পারেন।