চায়না মেডিকেলে পড়ার যোগ্যতা নিয়ে আজকে আমরা বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করবো । আশা করি
সকলেই ভালো আছেন। আপনারা যারা মেডিকেলে পড়ার জন্য চায়না যেতে চান তারা আজকে আমার এই
লেখা টি পড়লে মেডিকেলে পড়ার সম্পর্কে সব কিছু জানতে পারবেন আশা করি। কারণ চায়না শুধুমাত্র
এশিয়া নয় বিশ্বের সব অন্যতম দেশ গুলোর মধ্যে একটি। আর তাই অনেক আগে থেকেই ছাত্র – ছাত্রীরা
মেডিকেলে পড়ারা জন্য গিয়ে থাকেন। তাই যারা মেডিকেলে পড়তে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা
আমার এই চায়না মেডিকেলে পড়ার যোগ্যতা লেখা টি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লে বিস্তারিত ভাবে সব
কিছু জানতে পারবেন। চলুন তাহলে আমরা বিস্তারিত ভাবে জেনে নেই –
চায়না মেডিকেলে পড়ার যোগ্যতা
চায়না মেডিকেলে পড়ার যোগ্যতা: এখন কারা সময়ের নতুন নিয়ম অনুযায়ী চায়না মেডিকেল পড়তে
যাওয়ার যোগ্যতা বাংলাদেশের মতোই। আপনার প্রথমে এস এস সি ও এইচ এস সি মিলে আপনাকে সর্বনিম্ন
নয় পয়েন্ট পেতে হবে । আপনি চাইলে চায়নায় এমবিবিএস শেষ করে বাংলাদেশে এসে ইন্টার্নশিপ করতে
পারবেন এই রকমের সুযোগ থাকে। আপনার রেজাল্ট যদি নয় পয়েন্টের কম হয় তাহলে স্কলারশিপ নিয়ে
চায়না যাওয়া ঠিক হবে না। কারণ সে ক্ষেত্রে আপনি যদি লেখা পড়া শেষ করে বংলাদেশে এসে ইন্টার্নশিপ
করতে নানা ধরণের সমস্যা হতে পারে। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন যে চায়না পড়াতে আপনার
যোগ্যতা হিসেবে এসএসসি এবং এইচএসসি তে কত পয়েন্ট পেতে হবে।
চায়না মেডিকেল পড়ার খরচ কেমন?
চায়না মেডিকেল পড়ার খরচ কেমন?: আপনাদের সাথে চায়না মেডিকেল পড়ার যোগ্যতার পাশাপাশি
কেমন খরচ হবে তাও আলোচনা করলাম। আসুন আমরা আপনাদের চায়না মেডিকেলে পড়তে কেমন
খরচ হয় সেই সম্পর্কে একটু ধারণা দেই কারণ ধারণা থাকাটা খুবি দরকার। আপনি চায়না কোন মেডিকেলে
পড়তে চান তার উপরো খরচ কিছুটা কম বেশি হয়ে থাকে। তবে আপনাদের সাধারণ ভাবে টিউশন ফ্রি , টেল
ফ্রি ও থাকা খাওয়া মিলিয়ে পাঁচ বছরে সর্বনিম্ন ২৫ থেকে ৩০ লক্ষ টাকার মত খরচ হতে পারে। তবে চায়নার
মেডিকেল কলেজ গুলোতে বাংলাদেশের বেসরকারি মেডিকেল কলেজ এর মতো কোনো হিডেন চার্জ নেই
। আর প্রতি বছর একবার টিউশন ফ্রি পে করতে হয় । তাই যারা পড়াশুনা করার জন্য যায় তাদের পরিবারের
উপর কোনো অতিরিক্ত চাপ পড়ে না। তাই আপনারা অনেকেই চায়না লেখা পড়া করানোর মত সাহস পান।
চায়না মেডিকেলে পড়ার মান কেমন?
চায়না মেডিকেল পড়ার মান কেমন?: আমরা উপরে মেডিকেলে পড়া নিয়ে কিছু কথা বলেছি এখন
আমরা আপনাদের জানাবো চায়না মেডিকেলে পড়ার মান কেমন? এই সম্পর্কে । চায়না সামরিক ও
অর্থনৈতিক দিক এর পাশাপাশি পড়াশোনার দিক থেকেও চায়না দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সেরা এবং বিশ্বের
বেশ কয়েক টি সেরা মেডিকেল কলেজ চায়নায় রয়েছে। সাধারণত বিদেশি ছাত্র -ছাত্রীর জন্য
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিদেশি শিক্ষক রাখা হয়। বেশিরভাগ মেডিকেল কলেজে প্রতি বিষয়ের জন্য আলাদা
ল্যাব , অনেক বই সমৃদ্ধশিত লাইবেরী ও প্যাকটিসের জন্য বিভিন্ন নাম করা হাসপাতাল রয়েছে । এছাড়া
বাইরে থেকে আসা যে ছাত্র – ছাত্রীরা ভালো রেজাল্ট করে তাদের বিভিন্ন ভাবে জব অফার করা হয়। তাই
আপনারা যদি সুযোগ- সুবিধরা কথা ভাবেন তাহলে চীন বিদেশি ছাত্রদের জন্য অনেক ভালো সুযোগ
রয়েছে।
চায়না কেনো মেডিকেলে পড়তে যাবেন
চায়না কেনো মেডিকেলে পড়তে যাবেন: চায়না মেডিকেল কলেজগুলো এনসিআই এবং ডাব্লিউএইচও
অনুমোদিত। তাই আপনি যে কোনো স্বীকৃত ইনস্টিটিউট থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করে ক্যারিয়ারে
দুর্দান্ত ভাবে এগিয়ে যেতে পারবেন। ইউরোপীয় আমেরিকান এমনকি ভারতীয় বেসরকারি মেডিকেল
কলেজ গুলোর চাইতে চায়না মেডিকেল কলেজ গুলোর ফ্রি এর অনেক পার্থক্য রয়েছে। আপনার চায়নার
এমবিবিএস কোর্সের ব্যয় অনেক কম হয়। আপনার চায়নায় এমবিবিএস প্রোগ্রামের সামগ্রিক ব্যয়
তুলনামূলক ভাবে অনেক কম তাই অনেক ছাত্র – ছাত্রীরা এমবিবিএস করার জন্য চায়না গিয়ে থাকেন।
চায়নায় মেডিকেলে পড়তে যাওয়া ছাত্রদের জন্য অনেক আধুনিক বিল্ডিং রয়েছে। আরও খাদ্য, পরিবহন
এবং আশ্রয় কেন্দ্রের জন্য অতিরিক্ত ব্যয়ের কোনো চিন্তা করতে হয় না। কারণ সব কিছুই সাধ্যের মধ্যে
পাওয়া যায়। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন কেনো চায়না মেডিকেলে পড়তে যাবেন।
শেষ মন্তব্য
আজকে আমরা চায়না মেডিকেলে পড়ার যোগ্যতা নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি।
আপনাদের যদি এই সম্পর্কে কোনো কিছু জানার থাকে তাহলে কমেন্ট করে জানাবেন। আমরা তার উত্তর
দেওয়ার চেষ্টা কবো । আর এছাড়াও আরও কিছু জানতে চাইলে আমাদের এই ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।
আমরা নিয়মিত ভাবে বিদেশের ব্যাপারে পোস্ট দিয়ে থাকি। আর নিম্নে আপনাদের জন্য সেখান থেকে কিছু
লেখার লিংক শেয়ার করলাম। আপনারা প্রয়োজন মনে করলে পড়তে পারেন। লেখা টি পড়ার জন্য
সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে আজকের মত এখানেই শেষ করছি। ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।