কিডনি পাথর গলায় কোন খাবার– কিডনি সমস্যা বর্তমানে প্রকট আকার ধারণ করেছে। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে পানি
বা খাবার-দাবারে নিয়ন্ত্রণ না রাখা। এর সাথে আরো আছে তৈলাক্ত জাতীয় খাবার বেশি খাওয়া। আর এই সকল কারণে
অহরহ দেখা যাচ্ছে কিডনিতে পাথর। কিন্তু আমরা যদি একটু সচেতন হই, এবং খাবারের সাথে কিছু খাবার যোগ করি
তাহলে দেখা যাবে আমাদের এই সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যাবে। আর তাই আজকের এই লেখা টি
আপনাদের জন্য হতে যাচ্ছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি লেখা। আপনি যদি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েন, তবে খুব সহজেই
ঘরোয়া পদ্ধতিতে আপনার কিডনির পাথর দূর করতে পারবেন। এখানে সে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। এই
জন্য প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে কিডনি পাথর গলায় কোন খাবার ধৈর্য সহকারে পড়তে থাকুন । আর জেনে নিন
কিভাবে আপনার কিডনির পাথর খুব সহজেই দূর করতে পারেন।
কিডনি পাথর গলায় কোন খাবার
আজকে এমন দুটো খাবারের কথা বলব, যে খাবারগুলো খেলে ইনশাল্লাহ আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানীতে আপনার
কিডনির পাথর গলে যাবে। তবে এর জন্য একটু ধৈর্য সহকারে লম্বা সময় খেতে হবে এই খাদ্যটি। তাহলেই দেখবেন
আপনার এই সমস্যাটি সমাধান হয়ে গেছে । আর যদি কোন কারণে আপনার কিডনিতে পাথর নাও হয়ে থাকে তবে
মাঝেমধ্যে এ খাবার গুলো গ্রহন করতে পারেন। এতে করে আপনার কিডনির পাথর হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না। তাই
আসুন কোন খাবারগুলো কিডনির পাথর গলাতে সহায়তা করে সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি
কিডনির পাথর গলায় তুলসি পাতার রস বা খেলে কি হয়?
তুলসী পাতার রস হচ্ছে এমন একটি ওষুধ, যেটাকে আয়ুর্বেদের ভাষায় বলা যায় এটা হলো মহৌষধ। কারণ এই পাতার রসে
রয়েছে বহু গুণ, যেমন কারো যদি ঠান্ডা লেগে কাশি হয় তাহলে তুলসী পাতার রস খেলে খুব সহজে ভালো হয়ে যায়। ঠিক
তেমনি আমরা যদি নিয়ম করে তুলসী পাতার রস সেবন করি, তাহলে কিডনিতে পাথর খুব সহজেই দূর হয়ে যাবে
ইনশাল্লাহ। আমি আপনাদের নিয়মটা বলে দিচ্ছি কিভাবে আমরা তুলসীপাতার রস খাবো, অনেকের কাছেই তুলসীপাতার
রস ভালো নাও লাগতে পারে । তাই তারা তুলসীপাতা রস করে একটু চিনি দিয়ে খেতে পারেন, অথবা গরম পানির সাথে
মিশিয়ে খেতে পারেন। এছাড়াও তুলসীপাতার রস দিয়ে চা বানিয়ে খেতে পারেন । আপনি যেভাবেই সম্ভব এই পাতার রস
আপনাকে খেতে হবে। এভাবে যদি আপনি ১ থেকে ২ মাস তুলসীপাতার রস সেবন করতে পারেন তবে আপনার কিডনিতে
জমা ছোট ছোট পাথরগুলো প্রসাবের সাথে বেরিয়ে আসবে।
কাগজি লেবুর উপকারিতা বা কিডনির পাথর সমস্যা দূর করে
লেবু হচ্ছে এমন একটি খাদ্য, যে খাবার খেলে আমাদের শরীরে ভিটামিন সি এর অভাব পূরণ করে থাকে। তাছাড়া এরমধ্যে
রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি । তাই একে ভিটামিন সি এর প্রধান উৎস বলা হয়ে থাকে। এর এসিটিক এসিড রয়েছে যা
আমাদের শরীরের খাদ্য হজমে সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে। কিন্তু এর থেকেও বড় কথা লেবু আমাদের সবচেয়ে বড়
যে উপকার করে থাকে তা শরীরের অভ্যন্তরে চর্বিজাতীয় বা পাথর জাতীয় বস্তুকে গলাতে সহায়তা করে থাকে। আর তাই
এটি হচ্ছে সবচেয়ে বড় উপকারী একটি দিক। তাই যদি আপনার কিডনিতে পাথর হয়ে থাকে, বা এই ধরনের সমস্যা থেকে
দূরে সরে থাকতে চান তাহলে অবশ্যই আপনি নিয়মিত লেবু খেতে পারেন। আর এর জন্য আপনি গরম পানির সাথে ২ চা
চামচ মধু, এবং একটি লেবুর অর্ধেক দিয়ে একসাথে করে খেতে পারেন। এছাড়াও লেবু খেলে আরো যে উপকার হয় তাহলো
কারো যদি অতিরিক্ত মেদ থাকে তা কমিয়ে ফেলতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।
কিডনি পাথর গলায় কোন খাবার এর শেষ উপদেশ
কিডনি পাথর গলায় কোন খাবার এই লেখায় দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে যে উপরোক্ত দুটি খাবার আপনারা কিডনির
পাথর গলাতে সহায্য করে তাই আপনি ট্রাই করে দেখতে পারেন। আমার জানামতে বেশ কয়েকজন রোগী আছে যারা এই
নিয়মে খাওয়ার পরে বেশ ভালো ফল পেয়েছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে আপনিও ভালো ফল পাবেন। এরপরেও যদি
কোনো কারণে অতিরিক্ত মাত্রায় সমস্যা দেখা দেয়, তবে অবশ্যই ভালো একজন ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করবেন। সুস্থ
থাকুন সুন্দর থাকুন এই প্রত্যাশা নিয়ে আজকের মত শেষ করছি। ধন্যবাদ প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত লিখাটি পড়ার জন্য ।
লেখা টি ভালো লাগলে শেয়ার করার অনুরোধ রইল, কারণ সবাই যেন উপকৃত হতে পারে।
3 comments
Pingback: গভীর ভালোবাসার মেসেজ ছন্দ ও কবিতা
Pingback: যৌন সমস্যার স্থায়ী সমাধান নিয়ম ও গল্প
Pingback: মেয়েদের যৌনাঙ্গ বা যোনি কালো হওয়ার কারণ ও দূর করার উপায়