চায়না ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং স্কলারশিপ বিষয় টি আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করবো । আশা
করি সকলেই ভালো আছেন। আপনারা যারা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার জন্য চায়না যেতে চান তারা অবশ্যই এই
লেখা টি পড়বেন । কারণ এই লেখার মাধ্যমে আমরা আজকে আপনাদের সাথে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং
সম্পর্কে সব বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করবো। বর্তমানে সব থেকে বেশি ছাত্র – ছাত্রীরা পড়াশোনা করার
জন্য চায়না গিয়ে থাকেন। চায়নায় বাংলাদেশ থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং স্কলারশিপ এর মাধ্যমে বেশি ছাত্র গিয়ে
থাকেন। তাই আপনি যদি ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়াশোনা করার জন্য চায়না যেতে চান তাহলে আমার এই লেখার
মাধ্যমে জানতে পারবেন যে আপনার কত টাকা খরচ হবে এবং কি কি যোগ্যতা লাগবে। স্কলারশিপ অনেক
ধরণের হয়ে থাকে তাই আপনারা যদি ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং স্কলারশিপ সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেতে চান
তাহলে আমার এই লেখা থেকে জানতে পারবেন আশা করি। তাহলে চলুন আমরা বিস্তারিত ভাবে চায়না
ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং স্কলারশিপ সম্পর্কে জেনে নেই-
চায়না ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং
চায়না ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং : আপনারা যারা চায়না ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং স্কলারশিপ নিয়ে পড়তে যেতে
চান তারা আমরা এই লেখা টি মোনোযোগ সহকারে পড়ুন। কারণ চায়না লেখা পড়ার মান উন্নত হওয়ার
কারণে বেশির ভাগ ছাত্ররা চায়না গিয়ে থাকেন চায়নায় । আর এই চিন্তা করে চায়নার অনেক বিশ্ববিদ্যালয়
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকেন। আপনি যদি চায়না ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং
পড়তে যে চান তাহলে আপনাকে আগে সেই সম্পর্কে সব কিছু জানতে হবে। কারণ আপনি যদি ফুল
স্কলারশিপ নিয়ে চায়না ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে যান তাহলে আপনার থাকা খাওয়া, টিউশন ফ্রি সব
কিছুই ফ্রি হবে আর আপনি যদি হাফ স্কলারশিপ নিয়ে চায়না পড়াশোনা করার জন্য যান তাহলে আপনাকে
সব খরচের অর্ধেক নিজেকে বহন করতে হবে। আপনার চায়না পড়তে যাওয়ার কারণ সমূহ নিম্নে দেওয়া
হলো –
- আন্তর্জাতিক বা উন্নত মানের বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।
- গবেষণা করার সুবিধা রয়েছে।
- আর আপনার যে কোনো বিভাগ থেকে যে কোনো পয়েন্ট নিয়ে ভর্তি হওয়া যায় এবং বাংলাদেশের চেয়ে তুলনা মূলক পাস করা অনেক সহজ।
- সেশন জট নেই
- আর সব থেকে বড় বিষয় হলো আপনি বাংলাদেশ থেকে চায়না গেলে অনেক উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবেন।
আপনি চায়না লেখা পড়া করতে গেলে উপরোক্ত সুযোগ – সুবিধা গুলো পাবেন আশা করি।
চায়না পড়াশোনার খরচ
চায়না পড়াশোনার খরচ: আপনারা যারা চায়না লেখা পড়া করতে যেতে চান বা যাবেন তারা যাওয়ার
আগে চায়নায় পড়াশোনার খরচ সম্পর্কে ভালো ভাবে জেনে শুনে জাবেন নয়তো বিপদে পড়বেন। তাই
আপনারা যারা জানতে ইচ্ছুক তারা আমার এই লেখার মাধ্যমে জানতে পারবেন। তাই জানতে চাইলে লেখা
টি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন। কারণ এই লেখার মাধ্যমে আপনাদের খরচ সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে
জানানো হবে। আপনি যদি ফুল স্কলারশিপ নিয়ে চায়না যান তাহলে আপনারা খুব সীমিত খরচ হবে। আর
আপনি যদি স্কলারশিপ ছাড়া যান তাহলে আপনার একটু বেশি খরচ হবে। এছাড়াও আপনি কোন কলেজে
এবং কোন বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করবেন তার উপরো খরচ অনেটা নির্ভর করবে। আপনাকে একটু ধারণা
হিসেবে জানাই যে, আপনি যদি সাধারণ ভাবে চায়না পড়তে যান তাহলে আপনারা খরচ ২ লক্ষ ২০ হাজার
টাকার মত হতে পারে। আপনি যে ধরণের কলেজে ভর্তি হবেন আপনার খরচ পুরোটাই তার উপর নির্ভর
করবে । আশা করি চায়না পড়াশোনার খরচ সম্পর্কে আপনারা বুঝতে পেরেছেন।
চায়না ইঞ্জিনিয়ারিং স্কলারশিপ
চায়না ইঞ্জিনিয়ারিং স্কলারশিপ: এশিয়া মহাদেশের মধ্যে সব চেয়ে প্রিয় একটি দেশ হল চায়না। চায়নায়
আপনার বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয় সংখ্যক বিশ্ববিদ্যালয় গুলো রয়েছে চায়না । আপনি যদি স্কলারশিপ নিয়ে
চায়না ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে যেতে চান তাহলে আপনাকে যে সকল সুযোগ – সুবিধা চায়না দিবে সেগুলো হল-
যেমন, আপনার কোনো টিউশন ফ্রি দিতে হবে না। আপনাকে কোনো হোস্টেল ফ্রি দিতে হবে না। প্রত্যেক
মাসে বাংলাদেশি টাকায় ৫০০০ হাজার থেকে ৪৫ হাজার টাকা পর্যন্ত সুবিধা পাবেন শুধু ফুল স্কলারশিপের
জন্য আর আপনি যদি হাফ স্কলারশিপ নিয়ে যান তাহলে আপনি অর্ধেক সুবিধা পাবেন। আপনি যদি চায়না
ইঞ্জিনিয়ারিং স্কলারশিপ নিয়ে যান তাহলে যে প্রোগ্রাম গুলো পাবেন তাহল-
- এমবিবিএস করার জন্য পাঁচ বছর।
- ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাচেলর প্রোগ্রাম করার জন্য পাবেন তিন থেকে চার বছর।
- ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপ্লোমা প্রোগ্রাম এর জন্য পাবেন তিন থেকে চার বছর।
চায়না স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
চায়না স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়: আপনারা যারা চায়না স্কলারশিপ এর জন্য আবেদন করতে চান তারা
এই লেখার মাধ্যমে জেনে নেন । স্কলারশিপের জন্য আপনি যদি সরাসরি চায়না বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে
আবেদন করেন তাহলে স্কলারশিপ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাছাড়া আপনি যদি দূতাবাস এর মাধ্যমে
আবেদন করেন তাহলে স্কলারশিপ প্রতিযোগী বেশি থাকে তার জন্য তাই দূতাবাস এর মাধ্যমে আবেদন
করলে কম পরিমাণে চান্স পায় স্কলারশিপে। আপনার স্কলারশিপ এর জন্য নিম্নে এসএসসি বা এইচএসসি
যোগ্যতা হিসেবে থাকতে হবে। মাস্টার্স অথবা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স সম্পূর্ণ করার জন্য নির্দিষ্ট বয়স অনুযায়ী
আবেদন করতে হয়।
উপসংহার
আজকের মত এখানেই শেষ করছি চায়না ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং স্কলারশিপ লেখা টি । আপনারা যারা
চায়না পড়াশোনার ভিসা নিয়ে যেতে চান তারা এই লেখা থেকে উপকৃত হইবেন আশা করি। এছাড়াও যদি
আপনাদের আরও কোনো বিষয় জানার থাকে তাহলে আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন। আমরা তার উত্তর
দিয়ে আপনাকে জানিয়ে দিবো । কারণ আমরা বিদেশের ব্যাপারে সব সময় সব ধরণের তথ্য দিয়ে থাকি ।
তাই আপনারা যারা বিদেশের ব্যাপারে তথ্য জানতে ইচ্ছুক তারা আমার এই ওয়েবসাইট থেকে জানতে
পারবেন। নিম্নে আপনাদের সাথে কিছু লেখার লিংক শেয়ার করা হল । প্রয়োজন মনে করলে পড়তে
পারেন। আশা করি কাজে লাগবে। ধন্যবাদ সবাইকে আজকে আমার এই চায়না ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং
স্কলারশিপ লেখা টি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য। ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে
দেখবেন। আল্লাহ্ হাফেজ।