24 Favor

Tips and Tricks
Menu
  • Home
  • Advertise
  • Visa Tips
  • Education
  • Greetings
  • Tips & Tricks
  • English

Home » রোজার সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়,ক্যালেন্ডার,সেহেরী ও ইফতার এর নিয়ত

Education

রোজার সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়,ক্যালেন্ডার,সেহেরী ও ইফতার এর নিয়ত

24 Favor February 12, 2024

রোজার সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:রোজা মুসলিম জাহানের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। ইসলামের পঞ্চস্তম্ভ মধ্যে রোজা হচ্ছে একটি অন্যতম স্তম্ভ। রোজা শিক্ষা দেয় সংযম হতে,রোজার মাধ্যমে আমরা শিক্ষা গ্রহণ করে থাকি সমস্ত গুনা থেকে বিরত থাকতে। আর এই রোজার মাসে মুসলমানগন পূর্ণ ঈমানদার হিসেবে নিজেকে গঠন করার সুযোগ পায়।

একটি হাদীসে আছে ’’যে ব্যক্তি রোজাকে সামনে পেয়েও তার গুনাহ মাফ করতে পারলো না, তার মত হতভাগা আর কে আছে।এই হাদীস থেকে বোঝা যায় মুসলমানদের জন্য রোজা খুবই গুরুত্বপূর্ণ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।  আসুন আমরা এখানে রোজার সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিস্তারিত আলোচনা করব। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লে অধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সব কিছু জানতে পারবেন।

রোজার আবিধানিক অর্থ

রোজা অর্থ কি ? আর সিয়াম অর্থ কি?  রোজা শব্দটি রোজ শব্দ থেকে আসছে যার অর্থ হলো দিন , এটি ফারসি ও উর্দু থেকে আসছে যেটা আরবি শব্দ নয় যেটা দিনে পালন করা হয় বা দিনে পালনীয় এই জন্য এটাকে রোজা বা দিনে পালনীয় বলা হয়।  কিন্তু সিয়াম শব্দের অর্থ হলো বিরত থাকা নিভৃত থাকা

 কোন কিছু থেকে নিজেকে দূরে রাখা উদ্দেশ্য হলো এখানে রমজান মাসে বা যে কোন সময়ে রোজার নিয়ত করবে মানুষ তখন সকল প্রকার পানাহার থেকে ও জৈবিক কাজ এ জাতীয় বিষয় থেকে বিরত থাকার নাম হলো সিয়াম। তাই আমরা কুরআনের ভাষা অনুযায়ী রোজার পরিবর্তে সিয়াম শব্দটাকে বেশি ব্যবহার করব।

রোজার গুরুত্ব

একজন মুসলমানের জন্য রোজা খুবই গুরুত্বপূর্ণ । ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে রোজা হচ্ছে একটি। রোজার মাধ্যমে একজন মুসলমান তার ঈমানের পরিপূর্ণতা ফিরে পায়। রোজা শিক্ষা দেয় সংযম হতে, এবং সমস্ত পাপ কাজ থেকে দূরে থাকতে। আর এই রোজার মাধ্যমে প্রতিটি মুসলমান ফিরে পায় তার আত্মশুদ্ধি । আসুন একটি হাদীসের মাধ্যমে বিষয়টি আরো স্পষ্ট করে ব্যাখ্যা করি।

’’হে ঈমানদারগণ ! তোমাদের উপর রোজা ফরয করা হয়েছে , যেরূপ ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের উপর, যেন তোমরা পরহেযগারী অর্জন করতে পারো’’ । (আল-কোরআন)

রোজার কয়েকটি গুরুত্ব পূর্ণ হাদিস

  • হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেন যে ব্যক্তি রমজান মাসের সিয়াম পালন করবে তার পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সকল গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে। (সহীহ বুখারী:৩৮ স)
  • হযরত সাহল বিন সা’দ (রাঃ) হতে বর্ণিত । তিনি বলেন, রাসূলূল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেন, জান্নাতের একটি দরজা আছে , একে রাইয়ান বলা হয়, এই দরজা দিয়ে কিয়ামতের দিন একমাত্র সায়িম ব্যক্তিই জান্নাতে প্রবেশ করবে। তাদের ছাড়া অন্য কেউ এই পথে প্রবেশ করবে না। সেদিন এই বলে আহবান করা হবে সায়িসগন ভেতরে প্রশে করার পড় দরজাটি বন্ধ করে দেওয়া হবে। অত:পর এ পথে আর কেউ প্রবেশ করবে না। (সহী বুখারী:১৮৯৬ সহীহ মুসলিম:১১৫২)
  • হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেন, সিয়াম ঢালস্বরূপ। তোমাদের কেউ কোন দিন সিয়াম পালন করলে তার মুখ থেকে যেন অশ্লীল কথা বের না হয়। কেউ যদি তাকে গালমন্দ করে অথবা ঝগড়ায় প্ররোচিত করতে চায় সে যেন বলে আমি সায়িম। (সহি বুখারী ১৮৯৪ সহীহ মুসলীশ:১১৫১)
  • যরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেন, আল্লাহতালা বলেছেন সিয়াম ব্যতীত আদম সন্তানের প্রতিটি কাজই তারা নিজের জন্য, কিন্তু সিয়াম আমার জন্য এবং আমি এর প্রতিদান দেব। ( সহীহ বুখারী:১৯০৪)
  • হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেন,তোমাদের নিকট রমজান মাস উপস্থিত।এটা এক অত্যন্ত বরকতময় মাস।আল্লাহ তা’য়ালা এ মাসে তোমাদের প্রতি সাওম ফরজ করেছেন।এ মাসে আকাশের দরজা সমূহ উন্মুক্ত হয়ে যায়, এ মাসে জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেয়া হয় এবং এ মাসে বড় বড় শয়তানগুলোকে আটকে রাখা হয়। আল্লাহর বান্ধার জন্য এ মাসে একটি রাত আছে। যা হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। যে লোক এ রাত্রির মহা কল্যাণলাভ হতে বঞ্চিত থাকল, সে সত্যিই বঞ্চিত ব্যক্তি।( সুনানুন নাসায়ী:২১০৬)

রোজার ফজিলত

এর গুরুত্ব অপরিসীম এটা একদিকে যেমন আখিরাতের মুক্তি অন্যদিকে এর সাইন্টিফিক অনেক কারণ আছে রোজার মাধ্যমে আমাদের শরীরের বাড়তি মেদ বা চর্বি সেটা যেন গিয়ে আমাদের শরীর ফিট এবং আমাদের যদি কোন ধরনের শারীরিক সমস্যা থাকে সেটা ঐ রোযার মাধ্যমে সমাধান হয়ে থাকে তাছাড়া অনেকের গ্যাসটি থাকে যেটা রোজার মাধ্যমে অনেকটা দূর হয়ে যায় তাছাড়া নিম্নোক্ত হাদিসের মাধ্যমে রোজার উপকার সম্পর্কে আমরা সুস্পষ্ট ধারণা দিব

’’যরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন রাসূল( সাঃ) বলেছেন, তোমাদের প্রভু বলেন প্রতিটি নেক কাজ দশগুন হতে সাতশ গুণ পর্যন্ত হয়। আর রোজা আমার জন্য,আমিই এর প্রতিদান দিব। বস্তুত রোজা হলো জাহান্নাম হতে ঢাল। রোযাদারের মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহতালার কাছে মিশকের ঘ্রাণের চেয়েও অধিক  সুগন্ধি’’। ( তিরমিজি শরিফ)

রোজা রাখার নিয়ত

আমরা যারা বাংলা ভাষাভাষী মানুষ অনেকেই রোজার নিয়ত আরবীতে পড়তে পারি না। অথবা আরবি পড়া না জানার কারণে আমরা রোজার নিয়ত জানিনা । তাই আসুন আপনাদের সুবিধার্থে রোজার নিয়ত বাংলায় দেয়া হলো। যেন সহজেই রোজার নিয়ত মুখস্ত করতে পারেন।

রোজা রাখার নিয়ত বাংলায়:

’’নাওয়াইতু আন  আছুমা গাদাম মিন শাহরি রমাদনাল মুবারাকি, ফারদুল্লাকা  ইয়া আল্লাহু ফাতাক্বাববাল মিন্নী ইন্নাকা আংতাস সামিউল আলীম’’।

ইফতার করার দোয়া

নিম্নোক্ত ইফতারের দোয়া টি বাংলায় প্রদান করা হলো। কারণ আমরা অনেকেই আরবি পড়া পড়তে পারি না, যার জন্য দোয়া পড়া আমাদের কষ্টকর ব্যাপার হয়ে যায়। তাই আসুন বাংলায় দোয়াটি পড়ে মুখস্ত করে নেই এবং রোজার মাসে ইফতারির সময় পড়ে ইফতার করি।

ইফতার করার সময় দোয়া বাংলায়:

’’আল্লাহুম্মা লাকা ছুমতু ওয়ালাইকা তাওয়াক্কালতু ওয়াআলা রিযক্কিকা আফতারতু বিরহমাতিকা ইয়া আরহামার রহিমীন’’।

 রোজা ভঙ্গের কারণ

  • নাকে বা কানে তৈল, ঔষধ প্রবেশ করলে।
  • কুলি বা নাকে পানি দেওয়ার সময় গলার ভিতর পানি ঢুকলে।
  • ইচ্ছাকৃতভাবে মুখভর্তি বমি করলে।
  • দাঁতের ফাঁকে আটকালো বুট পরিমাণ খাদ্য গিলে ফেললে।
  • সুগন্ধি দ্রব্যের ধোয়া গলধকরণে বা নাকের ভিতর ইচ্ছাকৃতভাবে টেনে নিলে।
  • ধূমপান করলে।
  • রাত্রি বিবেচনায় সুবহে সাদিকের সময় সাহরী খেলে।

এ বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য (এখানে ক্লিক করুন)।

যে কারণে রোজা ভঙ্গ হয় না

  • ভুলবশত পানাহার করলে।
  • অনিচ্ছাকৃত বমি করলে।
  • অনিচ্ছাকৃত নাকে কানে বা গলার ভিতর  ধুলা-বালি মশা -মাছি বা এই জাতীয় কিছু প্রবেশ করলে।
  • স্বপ্নদোষ হলে।

যে কারণে রোজা মাকরুহ হয়

  • মিথ্যা কথা বললে।
  • গীবত, গালা-গালি বা ঝগড়া ফাসাদ করলে।
  • সারাদিন নাপাক অবস্থায় থাকলে।
  • কোন জিনিসের স্বাদ নিলে।
  • ইচ্ছা করে থুতু  জমিয়ে তা গিলে ফেললে।

রমজান মাসে রোজা রাখা ও ইফতারির সময়ের ক্যালেন্ডার

আপনাদের সকলের বোঝার সুবিধার্থে রমজান মাসের ক্যালেন্ডার প্রদান করা হলো । এটা মূলত ঢাকা এবং

এর আশেপাশে এলাকার কে কেন্দ্র করে। আপনাদের এলাকার সাথে ঢাকার যে সময়ের পার্থক্য সেখানে

শুধু প্লাস মাইনাস করে নিবেন।

শেষ কথা:

আসুন আমরা এই মুসলিম জাহান রোজার মাস থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে সকলেই  নিজের আত্মশুদ্ধি হয়ে।

সামনের দিনগুলোতে ভ্রাতৃত্ববোধের মাধ্যমে সারা পৃথিবীতে শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দিব । থাকবেনা কোন

ভেদাভেদ থাকবেনা কোন প্রকার হিংসা। ইসলাম শান্তির ধর্ম। সবাই যেন পায় এই শান্তির পরশ।

ইসলাম ধর্মকে যেন কেউ ঘৃণা করতে না পারে, সে প্রত্যাশায় আমার লেখা এখানে শেষ করছি। ধন্যবাদ

সবাইকে কষ্ট করে আমার এই লেখা পড়ার জন্য।

একই বিষয়:

১. রোজা ভঙ্গের কারণ বিস্তারিত।

Share
Tweet
Email
Prev Article
Next Article

Related Articles

মুক্তপাঠ সকল কোর্স  রেজিষ্ট্রেশন login ও সার্টিফিকেট আবেদন
মুক্তপাঠ সকল কোর্স রেজিষ্ট্রেশন – প্রিয় বন্ধুরা বর্তমান সময়ের আলোচিত এক …

মুক্তপাঠ সকল কোর্স রেজিষ্ট্রেশন login ও সার্টিফিকেট আবেদন

গভীর ভালোবাসার মেসেজ ছন্দ ও কবিতা
গভীর ভালোবাসার মেসেজ ছন্দ-পৃথিবীতে প্রেম হল এক মানব জীবনের অবিচ্ছেদ্য …

গভীর ভালোবাসার মেসেজ ছন্দ ও কবিতা

About The Author

24 Favor

No Responses

  1. Pingback: রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ
    September 20, 2022

Leave a Reply Cancel Reply

24 Favor

Tips and Tricks
Copyright © 2025 24 Favor

Ad Blocker Detected

Our website is made possible by displaying online advertisements to our visitors. Please consider supporting us by disabling your ad blocker.

Refresh