পোল্যান্ড ভিজিট বা টুরিস্ট ভিসা

সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি খুবই সুন্দর একটি পোল্যান্ড ভিজিট বা টুরিস্ট ভিসা  লিখাতে। যে লেখাটি

হয়তোবা অনেকেরই উপকারে আসবে। বিশেষ করে যারা এই দেশটিতে ভিজিট, অথবা টুরিস্ট ভিসায়

যেতে চাচ্ছেন তাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ । কারণ এই লেখাটিতে আমরা আপনাদের সাথে শেয়ার করব

আপনি যদি পোল্যান্ডে টুরিস্ট ভিসায় যেতে চান সেক্ষেত্রে আপনি কি কি কাগজপত্র লাগবে? এবং কিভাবে

সেখানে যেতে পারবেন । এই বিষয়ের জন্য কোথায় আবেদন করতে হবে? এই সকল যাবতীয় বিষয় থাকবে

এই লেখাটিতে। আর এই সকল বিষয়ে জানতে হলে আপনাকে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পোল্যান্ড ভিজিট

বা টুরিস্ট ভিসা  লেখা টি পড়তে হবে। তবেই জেনে নিতে পারবেন এই বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত

ভাবে।

পোল্যান্ড ভিজিট বা টুরিস্ট ভিসা ২০২৩

পোল্যান্ড ভিজিট বা টুরিস্ট ভিসা ২০২৩-  বিভিন্ন কারণেই দেখা যায় পোল্যান্ডে মানুষজন ভিজিট,

অথবা টুরিস্ট ভিসায় গিয়ে থাকেন। তার মধ্যে উল্লেখ যোগ্য হলো সভা সমাবেশে যোগদান, আত্নীয় বা

পরিবারের লোকদের সাথে দেখা করা, বেড়ানোর জন্য আবার কেউ কেউ সেখানে কাজের জন্যও এই

ধরনের ভিসার ব্যবস্থা করে থাকে। বর্তমানে পোল্যান্ডের সরকার কর্তৃক অনেক গুলো ভিসা চালু আছে যার

মধ্যে  এই ভিসাটি অন্যতম। আর এই ধরনের ভিসায় সেখানে যাওয়া অন্যান্য ভিসার তুলনায় অনেকটা

সহজ । তাই অনেকেই এই ধরনের ভিসায় সেখানে গিয়ে কাজ করার জন্য বা স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য

চেষ্টা করে থাকে। তাই আজকে এখানে আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করবো আপনি কিভাবে

সেখানে যেতে পারেন।

পোল্যান্ডে যাওয়ার জন্য কি কি কাগজ পত্র লাগে?

 অনেকেই আমাদের কাছে প্রশ্ন করে থাকে আমি

যদি এই দেশটিতে যেতে চাই তবে আমার কি কি কাগজ পত্র লাগবে? তাদের প্রশ্নের উত্তরে বলতে চাই

আপনি যদি এই দেশটিতে যেতে চান তবে আপনাকে বেশ কিছু কাগজ পত্র যোগাতে হবে। আর একটি

বিষয় খেয়াল রাখতে হবে আপনি যে তথ্য গুলো সেখানে দিবেন সেগুলোর মধ্যে যেন কোন প্রকারের মিথ্যা

না থাকে। কারণ যখন তারা আপনাকে ভিসা দিবে তখন তারা অনেক বেশি যাচাই বাছাই করবে তথ্যর মধ্যে

কোন প্রকার অমিল দেখলে আপনাকে তারা ভিসা দিবেনা। আর এই দেশের ভিসা পেতে হলে আপনাকে

জেনুইন ভিজিটর হতে হবে, বা আপনাকে বুঝাতে হবে আপনি অরজিনাল ভিজিটর আপনি সেখানে গিয়ে

থাকবেননা। নিম্নোক্ত কাগজ পত্র হলেই আপনি সেখানে ভিজিটের জন্য যেতে পারবেন।

  • মেয়াদ সহ পাসপোর্ট নূন্যতম ৬ মাস মেয়াদ। তবে পাসপোর্টে একাধিক ভিসা লাগানো থাকলে সে ক্ষেত্রে দুটো পাতা খালি রাখতে হবে।
  • সাদ্যতোলা ২কপি  সাদা ব্যাকরাউন্ড ৩৫এমএম/৪৫ এমএম সাইজের ছবি।
  • নির্দিষ্ট ফর্মে ভিসার জন্য আবেদন পত্র পুরণ করতে হবে।
  • একটি কভার লেটার দিতে হবে যেখানে বিস্তারিত বর্ণনা করা থাকবে।
  • যদি সম্ভব হয়, বা থাকে তবে একটি ইনভাইটেশন লেটার।
  • আপনার  আর্থিক সলভেনসিং দেখানোর জন্য ব্যাংক স্টেটমেন্ট দিতে হবে যা হবে লাস্ট ৬ মাসের। তবে এখানে একটি বিষয় লক্ষ্যনীয় আপনি যে পরিমানে টাকা জমা হিসেবে দেখাতে চাচ্ছেন তা যেন সকল লেনদেনের পরেও সবসময় জমা থাকে তা দেখাতে হবে।
  • ব্যাক সলভেসিং সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে।
  • ট্রাভেল আইটেনারি জমা দিতে হবে। এটা মূলত একটি ভ্রমন পরিল্পনা। যেখানে আপনি বিস্তারিত তুলেধরবেন সেখানে আপনি কি জন্য যাচ্ছেন তার বিস্তারিত বর্ণনা।
  • এর পরে যে জীনিসটি দিতে হবে তাহলো প্রুপ অবফান্ড।
  • আপনাকে আপডাউন এয়ার টিকেট জমা দিতে হবে।
  • আপনাকে হোটেল বুকিং রশিদ জমা দিতে হবে।
  • ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্স জমা দিতে হবে।

মোটামুটি ধরে নেয়া যায় উপরোক্ত কাগজপত্র জমা দিলে ভিসা অফিস আপনাকে ভিসা দিবে। তবে একটি

বিষয় খেয়াল রাখতে হবে আর তাহলো ইতিপূর্বে আপনার যেন কয়কটি দেশ ভ্রমন করা থাকে। আর সেই

দেশগুলো যেন ভালোমানের হয়।

পোল্যান্ডের ভিজিট ও টুরিস্ট ভিসার খরচ কত?

পোল্যান্ডের ভিজিট ও টুরিস্ট ভিসার খরচ কত?–  যারা ইতি পূর্বে আমাদের কাছে প্রশ্ন করছেন আমি

যদি এই দেশটিতে বেড়ানোর জন্য, বা ভিজিটের জন্য যেতে চাই তবে আমার কত টাকা খরচ হবে? তাই

আজকে আমি আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করবো যদি আপনি এই দেশটিতে যেতে চান তবে যে

পরিমাণে টাকা খরচ করতে হবে তার হিসাব বিস্তারিত তুলে ধরবো। যাতে করে আপনি খুব সহজেই বুঝতে

পারেন এই দেশটিতে যেতে হলে আপনাকে কত টাকা খরচ করতে হবে?

এখানে সাধারণত দু-ধরনের ভিসা ফি রয়েছে ছোট বাচ্চাদের জন্য এক ধরনের ফি নিয়ে থাকে আর যারা

প্রাপ্ত বয়স্ক তাদের জন্য এক ধরনের ফি নিয়ে থাকে আর তা হলো নিম্ন রূপ-

  • স্বল্প মেয়াদী ভিসা যা সি ক্যাটাগরি বড়দের জন্য ফি- ৮০ ইউরো বা ৭০৫৪ ইন্ডিয়ান রুপি।
  • আর যাদের বয়স ৬- ১২ বছর তাদের ক্ষেত্রে লাগবে- ৪০ ইউরো বা ৩৫২৭ ইন্ডিয়ান রুপি।
  • সার্বিস চার্জ দিতে হবে ৯৭০ ইন্ডিয়ান রুপি।
  • মেডিকেল ফি বাবাদ প্রায় ৭ থেকে ৮০০০ হাজার বাংলাদেশী টাকা।
  • বিমান ভাড়া অনেকটা নিজের উপরেও নির্ভর করবে তবে ধরে নেয়া যায় ৬৫ হাজার থেকে ৮০ হাজার বাংলাদেশী টাকা।

পোল্যান্ড ভিজিট বা টুরিস্ট ভিসা এর শেষ উক্তি

পরিশেষে সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে শেষ করতে যাচ্ছি আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ পোল্যান্ড ভিজিট,বা

টুরিস্ট ভিসা  লেখাটির। আশাকরি উপরোক্ত তথ্য গুলো আপনাদের অনেক উপকারে আসবে। এছাড়াও

সেখানে যাওয়ার বিষয়ে আমাদের আরো অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ লেখা আছে। আপনি ইচ্ছে করলে সে

লেখাগুলো পড়ে আসতে পারেন। আশাকরি লেখাগুলো আপনাদের অনেক উপকারে আসবে। আপনাদের

সুবিধার জন্য সেই লেখা গুলোর লিঙ্ক আমি নিচে দিয়ে দিলাম। এ ছাড়াও আপনাদের যদি কোন বিষয়ে

জানার প্রয়োজন থাকে, তবে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আমরা আপনাদেরকে সেই

বিষয়ে জানিয়ে দেবো। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পোল্যান্ড ভিজিট বা টুরিস্ট ভিসা  লেখাটা পড়ার জন্য

অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ।

একই বিষয়ে পড়তে পারেনঃ

পোল্যান্ড কোন কাজের চাহিদা বেশি

পোল্যান্ড মানচিত্র

ইতালি স্পন্সর ভিসা ২০২৩ আবেদন

পোল্যান্ড ধর্ম কি?

ইতালির ভ্রমণ ভিসার জন্য খরচপোল্যান্ড মুসলিম

পোল্যান্ড কেমন দেশ?

পোল্যান্ডের টাকার নাম কি? / পোল্যান্ড মুদ্রা

পোল্যান্ড রাজধানীর নাম কি?

পোল্যান্ড ভিসা ফ্রম বাংলাদেশ জন্য পোল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

About 24 Favor

Check Also

আমেরিকার ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা

আমেরিকার ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা

আমেরিকার ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা: সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে শুরু করছি সুন্দর একটি বিষয় । …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *