দুবাই থেকে ইতালি যাওয়ার উপায় : আজকে আমি নতুন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো। যা জানার
পর আপনি অনেক উপকৃত হবেন। বিশেষ করে যারা দুবাই আছেন বা দুবাই গিয়ে সেই দেশ থেকে ইউরোপের দেশ
ইতালিতে নিজেকে স্থায়ীভাবে বসবাস করার জন্য চাচ্ছেন । কিন্তু সুযোগের অভাবে সেখানে যেতে পারছেন না । আজ আমি
তাই আপনাদের সাথে এখানে ইতালি যাওয়ার বিভিন্ন উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো । যা জানার পর আপনার
অনেক উপকারে আসবে। আর তাই এই লেখাটি হতে পারে আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।এ জন্য আমার এই লেখাটি
প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লে আপনি জানতে পারবেন দুবাই থেকে কিভাবে খুব সহজেই ইউরোপের দেশ ইতালিতে
যাওয়া যায়। ইতালিতে যাওয়ার জন্য আপনার কি কি কাগজপত্র লাগবে? কিভাবে কোথায় গিয়ে আবেদন করতে হবে?
সেক্ষেত্রে কতটুকু যোগ্যতা লাগবে। এ সমস্ত বিষয়ে বিস্তারিত বর্ণনা করবো এই দুবাই থেকে ইতালি যাওয়ার উপায় লেখায় ।
এ লেখাটি পড়লে আপনার জন্য দুবাই থেকে ইতালি যাওয়া একদম পানির মত সহজ হয়ে যাবে যদি আপনার অল্প কিছূ
যোগ্যতা থাকে । আশা করি যারা পুরো লেখাটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়বে তাদের জন্য বিষয়টি পরিস্কার হয়ে যাবে।
ইতালির ভিসা আবেদন
আপনি যদি বর্তমানে দুবাই থাকেন বা যেতে চাচ্ছেন তবে এখানে থাকার পর বা যাওয়ার পর আপনাকে দুবাইতে বৈধ ভাবে
বসবাস বা কাজের ভিসা নিয়ে অবস্থান করতে হবে। আর যদি তা হয়ে থাকে তবে আপনি স্বপ্নের দেশ ইতালিতে যাওয়ার
জন্য নিম্নোক্ত বিষয়ে যদি আপনার সবকিছু যোগ্যতা থাকে তবে আপনি ইতালির ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
- আপনার দুবাইতে কাজের বা বৈধভাবে বসবাসের বয়স সর্বনিম্ন ৬ মাস হতে হবে।
- যদি আপনি কাজের ভিসায় যেতে চান তবে যে কাজে তারা লোক নিবে সেই কাজের দক্ষতা থাকতে হবে।
- পাসপোর্টের মেয়াদ সর্বনিম্ন ৬ মাস থাকতে হবে।
- আপনি যে কম্পানিতে কাজ করছেন সেই কম্পানি কর্তৃক একটি N.O.C দিতে হবে( নো অবজেকশন সার্টিফিকেট) নিতে হবে।
- আপনার ব্যংক থেকে ৬ মাসের ব্যাংক সার্টিফিকেট দিতে হবে।
- ব্যাংকে ২৫০০০ হাজার থেকে ৩০০০০ হাজার দেরহাম জমা দেখাতে হবে।
- দুবাই এর পুলিশ কতৃর্ক পুলিশ ক্লিয়ারেন্স নিতে হবে।
- আপনার দুই কপি ছবি সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড পিপি সাইজ ছবি লাগবে ।
আপনার মোটামুটি এই হচ্ছে কাগজ পত্র। তবে যদি আপনি কোন কারণে অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে পারেন
এবং তা আপনার কাগজের সাথে যোগ করে দিতে পারেন তবে। আপনার ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে বহুগুনে।
ইতালির ভিসা
অনেকের মনেই প্রশ্ন ইতালির ভিসা হয় নাকি। তাদের উত্তর যদি আমি সহজ কথায় দেই তাহলে বলতে গেলে পৃথিবীর সব
দেশেই যাওয়া যাবে । শুধু আপনি যদি নিজেকে যোগ্য করে গড়ে তুলতে পারেন। তবে ইউরোপের অন্যান্য দেশে যাওয়ার
তুলনায় এই দেশে যাওয়া অনেক সহজ । কারন এই দেশের অনেক কাজ করার জন্য তারা বাহিরের সেনজেন ভূক্ত দেশ
থেকে লোক নিয়ে থাকে যখন সেখানে পর্যাপ্ত লোক না পায় তখন এশিয়ার এই সকল দেশ থেকে লোক নিয়ে থাকে। বিশেষ
করে এই দেশটিতে কয়েকটি ক্যাটাগরীতে ভিসা দিয়ে থাকে তার মধ্যে উল্লেখ যোগ্য হলে কৃষি কাজের ভিসা ও প্যাকেজিং
ভিসা উল্লেখ যোগ্য।
ইতালির কাজের ভিসা অনলাইনে আবেদন করুন।
আপনার যদি কম্পিউটার ও ইন্টারনেট এর বিষয়ে ধারনা থাকে এবং অনলাইনে আবেদন করতে পারেন তবে । আপনার
আর কারো কাছে ধরণা দিতে হবে না। আপনি নিজেই করতে পারবেন আপনার আবেদনটি। সেক্ষেত্রে কাউকে এক টাকা
দিতে হবেনা। আপনি আবেদন করার পর তারা যদি আপনাকে যোগ্য প্রর্থী মনে করে তবে আপনাকে ফোনে বা ইমেল করে
জানিয়ে দিবে। পরবর্তীতে আপনি এদের এম্ভাসির মাধ্যমে কাগজ পত্র কম্পিলিট করে সে খানে চলে যেতে পারবেন। আর
এদের ওয়েবসাইটের ঠিকানার জন্য নিচে ক্লিক করুন। এখানে দেখবেন অনেক বিষয়ে চাকুরী আছে আপনার সিভি বা
আপনার যোগ্যতা আপনার কাজের অভিজ্ঞতা যে জবটার সাথে মিলে সেখানে এপ্লাই করবেন।
( ইতালির জবের জন্য এখানে ক্লিক করুন )
ইতালির কৃষি ভিসা
অনেক সময় কৃষি কাজের জন্য এখানে বেশ কিছু ভিসা দিয়ে থাকে। বিশেষ করে শীতের সময় এই দেশে কৃষি কাজ করার
জন্য অনেক লোকের প্রয়োজন হয়। তখন তারা প্রথমে ইউরোপের দেশ থেকে থেকে লোক সংগ্রহ করার চেষ্টা করে পরে
তারা যদি তা না পায় তবে তারা এশিয়ার বিভিন্ন দেশ হতে লোক সংগ্রহ করে থাকে। আর সেই সুযোগে যারা বিশেষ করে
মধ্যপ্রচ্যের দেশে কাজের জন্য আছেন তারা এই সুযোগটি বেশি পেয়ে থাকেন। তাই আপনিও যেতে পারেন স্বপ্নের এই
দেশটিতে।
ইতালির ভিজিট ভিসা
আপনি যদি দুবাই থেকে ভিজিট ভিসায় যেতে চান তাহলে যদি আপনার দুবাইতে ভাল জবে আছেন বা বিজনেস ভিসায়
ব্যবসা করার জন্য সেখানে বসবাস করছেন । একই সাথে যারা চকুরী করেন এবং যাদের বেতন ২ দুই হাজার দেরহামের
সমান বা বেশি। যাদের আরো দুয়েকটি দেশে বেড়ানোর রেকর্ড আছে। এই সকল লোক তাদের প্রয়োজনীয় কাগজ পত্রদিয়ে
ইতালির ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। সেই ক্ষেত্রে কাগজ পত্র সেম । একই ধরনের কাগজ পত্র লাগবে সেক্ষেত্রে
খুব একটা তারতম্য নেই। শুধু পার্থক্য ভিজিট ভিসায় গেলে ব্যাংক সলভেন্সি দেখাতে হবে এবং ব্যাংকে প্রতি মাসে ব্যাংকের
মাধ্যমে ভালমানের বেতন গ্রহণ করা হয়।
ইতালির ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
যদি কোন সহজ মাধ্যম থাকে বা বৈধ কোন জীবনের ঝুঁকি ছাড়া ইতালি যাওয়ার মাধ্যম হচ্ছে এই দেশে ওয়ার্ক পারমিট
ভিসা। যদি আপনি কোন একটি কাজে দক্ষ থাকেন আর এই দেশ সেই একই কাজের জন্য লোখ খুঁজছে তাহলে আপনি
খুব সহজেই সেই কাজের জন্য আবেদ করতে পারবেন। আর প্রতিবছর ইতালি কয়েকটি সেক্টরের কাজের জন্য প্রচুর ভিসা
দিয়ে থাকে।
ইতালির এজেন্সি
আশাকরি উপরোক্ত বিষয় সমূহ জানার পর আপনার মনে কৌতুহল জাগছে। এই ভেবে যে সবকিছুতো জানা শেষ কিন্তু
আমি কিভাবে এই স্বপ্নের দেশে যাব। এছাড়াও অনেক সময় কিছু অসাধু দালালের চক্করে পড়ে অনেকেই টাকা পয়সা লস
খায়। তাই আপনাদের অবগতির জন্য জানানো হচ্ছে যখন আপনি কোন একজন দালালের হাতে টাকা বা কাগজ পত্র
জমা দিবেন তখন ভালোবাবে দেখে শুনে দিতে হবে। তা নাহলে আপনিও ধরা খেতে পারেন। দুবাইতে অনেক এজেন্সি
আছে। এদের মধ্যে কিছু আছে যেমন ভাল আবার তাদের মধ্যে কিছূ ভূয়া দালালও আছে। তাই তাদের সাথে আপনি নিজ
জিম্বায় কথা বলবেন। তবে যাওয়ার আগে অবশ্যই তাদের কাজ করার পূর্বের অভিজ্ঞতা দেখতে হবে যে তারা কতজন সেই
দেশে পাঠিয়েছে তা দেখে নিবেনএবং সকল প্রকার চুক্তি করে নিবেন।
দুবাই থেকে ইতালি যাওয়ার উপায় এর শেষ কথা
আমার বিশ্বাস যারা দুবাই থেকে ইতালি যাওয়ার উপায় খুঁজছেন তারা আমার এই লেখাটি পড়লে আপনাদের অনেক কাজে
লাগবে। আমার আরো অনেক লেখা আছে যেগুলোতে ই্উরোপের দেশে যাওয়ার বিষয়ে আরো অনেক আলোচনা আছে ।
যে গুলো আপনি ইচ্ছে করলে পড়তে পারেন। আপনাদের জন্য দোয়া রইল এবং আশাকরি চেষ্টা করলে আপনি একদিন
ইউরোপের বাসিন্দা হতে পারবেন। আর এই বিষয়ে যদি কারো মনে আরো কোন বিষয়ে প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই আমাকে
কমেন্স করে জানাবেন। আমি সময় করে আপনাদের সবগুলো প্রশ্নের উত্তর দিব। আর দুবাই থেকে ইতালি যাওয়ার উপায়
এই লেখাটি যদি আপনার কাজে লেগে থাকে তবে শেয়ার করুন অন্যর জন্য তারও যেন উপকার হয়। ধন্যবাদ কষ্ট করে
সম্পূর্ণ লেখাটি পড়ার জন্য।
একই আরো যে বিষয় গুলো পড়তে পাড়েন:
১. বাংলাদেশ থেকে রোমানিয়া যাওয়ার উপায়।
No Responses