বিদেশ থেকে ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম : আমি আজকে আপনাদের সাথে এমন একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো যে বিষয়টি আপনাদের জন্য খুবই প্রয়োজন । কারণ হিসেবে দেখা গেছে আনেকেই
বিদেশ অবস্থান করে সেখান থেকে বাংলাদেশের ব্যাংকে একাউন্ট খোলে টাকা জমা রাখতে চায় । আর বাড়িতে পর্যাপ্ত লোকজন না থাকায় নিজের নামে একাউন্ট খুলে বাড়িতে টাকা পাঠাতে চায় । কিন্তু এই বিষয়
গুলো না জানাার কারণে তারা বিদেশ থেকে ব্যাংক একাউন্ট খুলতে পারেনা। আর তাই আজকে আমি আপনাদের সাথে বেশ কিছু বিষয় শেয়ার করবো আপনি যেন খুব সহজেই আপনার ব্যাংক একাউন্ট খুলতে পারেন সে বিষয়ে বিস্তারিত।
বিদেশ থেকে ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম
বিদেশ থেকে ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম : আপনি যদি বিদেশ থেকে ব্যাংকে একাউন্ট খোলতে চান তবে আপনি ইচ্ছে করলে তা করতে পারবেন। আর তার জন্য আপনাকে বেশ কিছু নিয়ম কানুন ও কাগজ
পত্র জমা দিতে হবে। আর নিম্নোক্ত এই বিষয় ও কাগজ পত্র জমা দিয়ে আপনার বসবাস কারী স্থানে বা কাজের কাছাকাছি যে ব্যাংকের শাখা রয়েছে সেখানে গিয়ে খুব সহজেই আপনার নিজের নামে ব্যাংক হিসাব
খোলতে পারবেন। আরতার জন্য কি কি কাগজ পত্র ও আপনাকে কি করতে হবে তা বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
আপনার কাছাকাছি নির্দিষ্ট ব্যাংক নির্বাচন করুন
আপনার কাছাকাছি নির্দিষ্ট ব্যাংক নির্বাচন করুন : আপনি ইচ্ছে করলেই সকল ব্যাংকেই আপনার হিসাব খোলতে পারবেন না। কারণ আপনার সকল জায়গাতেই সকল ব্যাংকের শাখা নেই তাই আপনাকে
আগে নির্বাচন করতে হবে কোন ব্যাংক আপনার কাছাকাছি রয়েছে। তার পর সেখানে গিয়ে আপনাকে ব্যাংক হিসাব খোলার জন্য যেতে হবে। আর তার জন্য আপনাকে প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র সেখানে নিয়ে যেতে হবে।
ব্যাংকে হিসাব খোলার আগেই তাদের সাথে যোগাযোগ করুন
ব্যাংকে হিসাব খোলার আগেই তাদের সাথে যোগাযোগ করুন : যখন আপনি খোঁজ খবর নিয়ে দেখবেন আপনার কাছাকাছি কোন কোন ব্যাংক রয়েছে। যদি আপনি সেই সকল ব্যাংকে হিসাব খোলতে
চান তবে সেখানে যাওয়ার আগেই খোঁজ খবর নেয়ার চেষ্টা করুন সেখানে হিসাব খোলার জন্য আপনার কি কি কাগজ পত্র লাগবে।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সমূহ সংগ্রহ করুন
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সমূহ সংগ্রহ করুন : একাউন্ট খোলার জন্য আপনার অনেকগুলি কাগজপত্র সরবরাহ করতে হবে। এই কাগজপত্র মাঝে মাঝে ব্যাংকের পলিসি এবং অবস্থানের ব্যাংকের প্রয়োজনীয়তা
অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে পারে, তাই আপনাকে ব্যাংকের ওয়েবসাইটে বা শাখা সরাসরি যোগাযোগ করতে হবে। সাধারণত এই কাগজপত্রগুলি নিম্নলিখিত হতে পারে:
- পাসপোর্ট
- ভিসা অথবা আপনার অবস্থানের কাগজপত্র (অনুযায়ী হতে পারে)
- ঠিকানা প্রমাণপত্র (যেমনঃ বিল বা ব্যাংক স্টেটমেন্ট)
- র্মসূচি (কম্পানির কর্মচারী হলে)
- আদায়কৃত ট্যাক্স রিটার্ন কপি (যেমনঃ পুরাতন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর বা অতিক্রম ট্রেড লাইসেন্স)
- অন্যান্য পরিচিতি প্রমাণপত্র (আপনার অবস্থানের ব্যাংক সহায়তার সাথে সম্পর্কিত)
অ্যাপ্লিকেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করুন
আপনি আপনার নির্বাচিত ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করবেন এবং তাদের অ্যাপ্লিকেশন প্রক্রিয়া শুরু করবেন। প্রতিটি ব্যাংকের নিজস্ব আবেদন পদ্ধতি থাকতে পারে, সেটা আপনার অবস্থান এবং ব্যাংকের
নীতি অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে পারে। আপনি অনলাইনে আবেদন করতে পারেন বা ব্যাংকের শাখার সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন।
বিদেশ থেকে ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম শেষ কথা
আশাকরি উপরোক্ত তথ্য গুলো আপনাদের অনেক কাজে লাগবে। যাদের এই ধরনের আরো তথ্যর প্রয়োজন তারা আমাদের কাছে যে কোন তথ্য জানার জন্য লিখতে পারেন । আশাকরি আপনার প্রশ্নের
উত্তর পেয়ে যাবেন। এছাড়াও আমাদের এই সাইটে আমরা নিয়মিত বিদেশের বিষয়ে আপডেট তথ্য শেয়ার করে থাকি যেমন কোন দেশে কি কি ভিসায় যাওয়া যায় সেখানে কিভাবে খুব সহজেই নগরিকত্ব পাওয়া যায়
এই সকল বিষয়ে। তাই আপনি ইচ্ছে করলে সেই লেখা গুলো পড়তে পারেন । আশাকরি আপনাদের অনেক উপকারে আসবে। আর প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত এই লেখাটি পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
নিচের এই বিষয়ে পড়তে লিংকে ক্লিক করুন
ফিনল্যান্ড স্টুডেন্ড ভিসা খরচ শিক্ষা ব্যবস্থা
ফিনল্যান্ডের মুদ্রার বা টাকার ছবি
পোল্যান্ড কোন কাজের চাহিদা বেশি